কৃষি আইনসমূহ বাতিল এবং ন্যূনতম সহায়তা মূল্যের আইনি নিশ্চয়তার দাবীতে কৃষকদের ঐতিহাসিক সংগ্রাম তার দশম মাসেও অব্যাহত রয়েছে। সংগ্রামরত কৃষকদের সাথে কোনোরকম আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসুত্র খুঁজে বের করতে মোদী সরকার বারংবার অস্বীকার করছে। মোদি সরকারের এহেন আচরণের নিন্দা করার সাথে বাম দলগুলি এই দাবিও করছে যে নয়া কৃষি আইনসমূহ অবিলম্বে বাতিল করা হোক, ফসলের বিক্রিতে ন্যুনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেওয়া হোক, ন্যাশনাল মানিটাইজেশন পাইপলাইন পরিকল্পনা এবং নয়া শ্রম কোড বাতিল করা হোক। বামদলগুলির পক্ষ থেকে সারা দেশে নিজেদের সমস্ত ইউনিটকে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর, ভারত বনধ সফল করতে সক্রিয় হবার আহ্বান জানাচ্ছে। দেশের জনগণের সমীপে এই ভারত বন্ধকে সমর্থন করার জন্য বামদলগুলির পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হচ্ছে।
Campaigns & Struggle
“১৪৪ ধারা ভাঙবো, দলে দলে ১৪৪ ধারা ভাঙবো, একজন দুজন করে নয়, হাজার হাজার লোক ১৪৪ ধারা ভাঙবো” – বিধানসভায় জ্যোতি বসু
১৯৫৯ সালের ৩১ আগস্ট শহীদ মিনার ময়দানে তিন লক্ষাধিক মানুষ জমায়েত হয়েছিল খাদ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল চন্দ্র সেনের অপসারণ এবং খাদ্যের দাবিতে। পুলিশ মিছিলের ওপর গুলি চালায়। এই খাদ্য আন্দোলনে ৮০ জন শহীদ হন, নিখোঁজ হন অন্তত ২০০ মানুষ।
Note On Food Movement: A Retrospect
১৯৫৯ সালের খাদ্য আন্দোলন পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশের মেহনতি মানুষের লড়াইতে এক অনন্য নজীর। তৎকালীন খাদ্য সংকটের জন্য প্রাদেশিক সরকারের অপদার্থতাই ছিল মূলত দায়ী। সেই সময় অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির প্রাদেশিক কমিটি রাজ্যের সমস্ত পার্টি ইউনিটকে আসন্ন খাদ্য সংকট মোকাবিলায় নির্দিষ্ট পথনির্দেশ দেয়। পার্টি চিঠির আকারে সেই নির্দেশ পার্টি ইউনিটগুলিতে পাঠানো হয়। রাজ্য ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে সেই পার্টি চিঠিই প্রকাশ করা হল। এই চিঠি শুধুই এক ঐতিহাসিক দলীল না, আজকের পরিস্থিতির ব্যাখ্যা, কর্মসূচি গ্রহণ এবং মোকাবিলায় কমিউনিস্টদের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতেও সহায়ক।
Stop Sale of India
দৈনন্দিন খরচ মেটাতে যারা পারিবারিক সম্পদ যেমন রুপো বিক্রি করে তাদের অর্থনৈতিক বা সাধারণ জ্ঞান বিচার্য হতে পারে না। যখন বাজারে মন্দাবস্থা চলছে সেই অবস্থায় জাতীয় সম্পদ বিক্রির এহেন সিধান্তে ধান্দাবাজ (ক্রোনি) কর্পোরেটের মুনাফা ব্যাতিত আর কারোর স্বার্থ সুরিক্ষিত থাকবে না। এই কাজ আসলে ধান্দাবাজ পুঁজিবাদের প্রচার।
আফগান সঙ্কট কেন? শমীক লাহিড়ী
দ্বিতীয় পর্ব মৌলবাদীদের ক্ষমতা দখল ১৯৯২ সালে পাকিস্তান-আমেরিকা-সৌদি আরবের মদতপুষ্ট সশস্ত্র মুজাহিদীন এবং অন্যান্য ইসলামিক মৌলবাদী গোষ্ঠী কাবুল দখল করে
আফগান সঙ্কট কেন? শমীক লাহিড়ী
প্রথম পর্ব আফগানিস্থান দখল নিয়েছে তালিবানরা ২০বছর পরে। সেই দেশের ভয়াবহ দৃশ্য বিশ্বজুড়ে বহু মানুষের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। মৌলবাদী তালিবানদের
স্বাধীনতার লড়াই, দেশপ্রেমের খতিয়ান- সুজন চক্রবর্তী…
স্বাধীনতার লড়াইতে বিশ্বাষঘাতক যারা স্বাধীনতার লড়াইতে যাদের কোন সংগ্রামী ভুমিকা ছিল না, তারাই আজ দেশ চালানোর দায়িত্বে। স্বাধীনতার লড়াইতে যারা
স্বাধীনতার লড়াই, দেশপ্রেমের খতিয়ান- সুজন চক্রবর্তী…
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ১৯৪২, কার কি ভুমিকা…. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতেই কমিউনিস্ট পার্টি দেশব্যাপী বিভিন্ন যায়গায় যুদ্ধবিরোধী কর্মসূচী গ্রহণ করে। বরং এদেশে
স্বাধীনতার লড়াই, দেশপ্রেমের খতিয়ান- সুজন চক্রবর্তী…
স্বাধীনতার লড়াইতে আর এস এস কোথায়? আর এস এস-এর জন্ম ১৯২৫ সালে। প্রতিষ্ঠতা পাঁচ জন। সবাই হিন্দু মহাসভার নেতা ছিলেন।
Why We Are Not Free? A Retrospect
ভারতের নবীন শিক্ষিত সম্প্রদায়কে এ-ক্ষেত্রে সমবেত হতে হবে। চাষী আর মজরদের মধ্যে জীবনের বাণী প্রচার করা আর তাদের সত্যকারের জীবনের সন্ধান দেওয়াই নবীন শিক্ষিত সমাজের একমাত্র কাজ। চাষী আর মজুরদের বলতে হবে, তোমরা অজানা ভবিষ্যতের লাভের আশায়, বর্তমানের শ্রমলব্ধ ধন পরের পায়ে বিলিয়ে দিয়ে বসে আছ, কিন্তু জানো না তোমরা, বিয়োগের ভিতর দিয়ে লাভ কখনো হতে পারে না। লাভের জন্য যে যোগ চাই-ই চাই। তাদের বোঝাতে হবে, তাদের শ্রমের ধনে তাদের ভোগের অধিকার ষোল আনা রয়েছে, সে -অধিকার ত্যাগ করে তারা পৌরুষের পরিচয় না দিয়ে কাপুরুষতার পরিচয়ই দিচ্ছে, মনুষ্যত্ব হতে তারা বহু দূরে সরে পড়েছে। এককথায়, জীবনে খাওয়া-পরার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যতদিন না আমাদের দেশের কৃষক ও শ্রমিকগণের প্রাণে জাগবে ততদিন আমাদের অবস্থার পরিবর্তন কিছুতেই হবে না। পরিবর্তনের প্রয়োজনের সৃষ্টি না হলে পরিবর্তন কেনই বা হবে?