Stimulus Package: Patnaik

Biden’s Package and Its Pitfalls

মূল ইংরেজি প্রবন্ধটি পিপলস ডেমোক্র্যাসি পত্রিকার ১৮ এপ্রিল, ২০২১ সংখ্যায় Biden’s Package and Its Pitfalls শিরোনামে প্রকাশিত। রাজ্য ওয়েবসাইটে সেই প্রবন্ধের সম্পূর্ণ বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করা হল।  

গত বছর মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রাথমিকস্তরে ২ ট্রিলিয়ন ডলার এবং ডিসেম্বর মাস নাগাদ ৯০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের কোভিড সুরক্ষা প্যাকেজ (বিশেষ অর্থনৈতিক সুবিধা) ঘোষণা করেছিলেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন সম্প্রতি ১.৯ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের বিশেষ আর্থিক সুরক্ষা প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন। এই প্যাকেজটি সারা পৃথিবীতে কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলায় এখনও অবধি সবচাইতে উচ্চাকাঙ্ক্ষী পদক্ষেপ বলা যেতে পারে। এই প্যাকেজ শুধু আমেরিকার নিজস্ব অর্থনীতি নয় পৃথিবীর অন্যান্য অংশেও কোভিডোত্তর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহজ সমাধান হিসাবে কার্যকরী হতে পারে। যদিও নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে আমেরিকা এখনও পণ্য আমদানির উপরে ট্রাম্প জমানার বিবিধ নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তগুলি বজায় রেখেছে। বাইডেনের বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ যুদ্ধোত্তর আমেরিকার ইতিহাসে জিডিপি এবং রাজকোষ ঘাটতির অনুপাতকে এক অভূতপূর্ব সূচকে উন্নিত করবে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার পরে পুঁজিবাদী দুনিয়ায় যে অভাবনীয় উন্নয়ন দেখা যায় তা মূলত রাষ্ট্রীয় কোষাগারের সহায়তায় সক্রিয় রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের ফল। বাজারে তেজি বজায় রাখতে এই কৌশল একসময় গুরুত্ব হারায় কারন ততদিনে পুঁজি বিনিয়োগের চরিত্র আন্তর্জাতিক হয়ে পড়ে। পুঁজি অনেক আগে থেকেই রাষ্ট্রীয় কোষাগারের ঘাটতি পূরণে ধনীদের উপরে বর্ধিত কর আদায়সহ অন্যান্য সরকারী সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এসেছে, নতুন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে বিনিয়োগের দরজা খুলে যাওয়ায় বাজারে মন্দা সংক্রান্ত পরিস্থিতিতে সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে পুঁজিই হয়ে ওঠে নিয়ন্ত্রক। সহজ করে বললে আন্তর্জাতিক লগ্নী পুঁজির ইচ্ছামতো যদি কোনও দেশের সরকার কাজ না করে তবে বিনিয়োগ রাতারাতি এক দেশ ছেড়ে অন্য কোথাও সরে পড়ে। 

আমেরিকা অবশ্য এমন সংকটের সম্মুখীন খুব কমই হয়েছে। “স্বর্ণসম বিনিময়ের মাধ্যম” হিসাবে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবহৃত হয়ে মার্কিন ডলার তাদের স্বার্থরক্ষাকবচে পরিণত হয়।  সম্পদ রক্ষার মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায় মার্কিন ডলার, তাই দেশ থেকে বিনিয়োগ স্থানান্তরিত হবার ভয় তাদের কমে যায়। আমেরিকায় বিরাট অংকের কোষাগারীয় খরচ অন্যান্য দেশের চাহিদার বাজারে ঘাটতি তৈরি করে, ফলে বিদেশে নতুন কাজের সুযোগ তৈরি করা সত্বেও নিজেদেরই নীতির প্রভাবে তারা বহিঃস্থ ঋণের জালে জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হয়। এই অবস্থা নতুন করে সরকারী ব্যয়বরাদ্দ ঘোষণায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এমন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতেই ট্রাম্প রক্ষনশীল নীতি প্রণয়নে বাধ্য হন, যাতে মার্কিন কোষাগারীয় খরচ বিদেশের বদলে দেশের ভিতরেই কাজের সুযোগ তৈরি করে, কর্মসংস্থান বাড়ে। যদিও এমন ধারার রক্ষনশীল নীতি প্রণয়ন সত্বেও সাম্প্রতিক কালে কোষাগারীয় খরচের ঘোষণা থেকে একথা স্পষ্ট যে আমেরিকার গুরুতর বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে, অর্থাৎ এখনও বিদেশের বাজারে চাহিদায় ঘাটতি রয়ে গেছে। বাইডেনের ঘোষণা আসলে আমেরিকার সংকটে পড়া অর্থনীতিকে অন্তত কিছুদিনের জন্য হলেও চাঙ্গা করতে সরকারী ব্যয়বরাদ্দের পরিকল্পনা যা পূর্বের রক্ষনশীল মনোভাবের ঠিক বিপরীত নীতি।

আমেরিকান প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে ভারতের খুশি হওয়া স্বাভাবিক, কারন এর ফলে ভারতের রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে, বিশ্ববাজারে চাহিদা বাড়বে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে রাষ্ট্রীয় সহায়তায় অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে আমেরিকার পদক্ষেপে ভারতের অর্থনীতিতে যে পূরক প্রভাব পড়েছিল তার তুলনায় এখনকার পরিস্থিতির কিছু মূলগত ফারাক আছে, এই কথা মাথায় রাখতে হবে। তখন বিনিয়োগের আন্তর্জাতিকতা ছিল না, এখন পুঁজি ইচ্ছামতো যত্রতত্র সঞ্চরন করতে ক্ষমতাবান।

আজকের অবস্থায় বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা বুঝতে অন্যান্য দেশে কার্যকরী সুদের হার মার্কিন মুলুকে প্রযোজ্য সুদের হারের সাথে তুলনা করতে হবে। উদাহরণ হিসাবে একটি অবস্থার কথা চিন্তা করা যায়। ধরা যাক কোনো একটি নির্দিষ্ট বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভারতে প্রাপ্ত সুদের হার মোটের হিসাবে আমেরিকায় প্রাপ্ত সুদের হার এবং বিনিয়োগে সম্ভাব্য ঝুঁকি সংক্রান্ত হিসাবের মোট অংকের তুলনায় কম হল, পুঁজি তখন ভারতে বিনিয়োগ করবে না, সোজা আমেরিকায় চলে যাবে।

এখন অন্তত কিছুদিনের জন্য আমেরিকা নিজেদের দেশে বিনিয়োগ টানতে যেকোনো মূল্যে কোষাগারীয় খরচ মেনে নিয়েও সুদের হারকে শূন্যের কাছাকাছি রাখতে সক্রিয় হবে। আরেকদিকে কোষাগার থেকে বিভিন্ন খাতে খরচ করার জন্যই আমেরিকায় যেমন সুদের হার কিছুটা বাড়বে, তেমনই ভারতের মতো দেশেও এর ফলে সুদের হার বাড়াতে বাধ্য করবে। ইতিমধ্যেই আমাদের দেশে সেই প্রভাব শুরু হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াকে সরকারি বন্ডে সুদের হার কম রাখতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে, কারণ মার্কিন বন্ডের ক্ষেত্রে সুদের হার বাড়ানো হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে এই সংকট আরো বড় চেহারায় সামনে আসবে। এভাবে সুদের হার বেড়ে গেলে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

অবশ্য এমন পরিস্থিতির জন্য মুদ্রাস্ফীতিও দায়ী। আমেরিকায় সেই নিয়ে ঘোরতর বিতর্ক চলছেও। মধ্যপন্থী অথবা দক্ষিণপন্থী ঝোঁক আছে এমন অর্থনীতিবিদেরা আমেরিকার এহেন কোষাগারীয় খরচের পরিকল্পনায় যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। তারা মনে করছেন বাইডেনের এমন নীতির ফলে আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতির পরিস্থিতি তৈরি হবে। ঈষৎ বামপন্থী অর্থশাস্ত্রজ্ঞেরা এমন আতঙ্ককে সজোরে পরিহার্য মনে করেছেন। আশ্চর্যের হলেও একথা সত্যি যে মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত যাবতীয় আলোচনার পরিসর কেবলমাত্র আমেরিকাকে কেন্দ্র করেই, তাদের কোষাগারীয় নীতির ফলে অন্যান্য দেশে মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনাকে কেউই খতিয়ে দেখছেন না। বেঁচে থাকতে প্রাথমিক প্রয়োজন এমন পণ্যসমুহ আমেরিকা সহ অন্যান্য উন্নত পুঁজিবাদী দেশে রপ্তানি করে যে সকল দেশ (যাদের মধ্যে ভারত অন্যতম) তারা এমন সংকটের প্রশ্নে আলোচনার কেন্দ্রে থাকা উচিত।

আমেরিকার আর্থিক নীতির ফলে সেদেশে প্রাথমিক প্রয়োজন হিসাবে চিহ্নিত পণ্যসামগ্রীর চাহিদা বাড়বে, মুল্যবৃদ্ধি ঘটবে। তাদের অভ্যন্তরীণ কোষাগারীয় নীতির ফলে সেখানে মুদ্রাস্ফীতি খুব বেশি প্রভাব বিস্তার না করলেও ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের অন্যান্য পণ্য উৎপাদন এবং রপ্তানিকারী দেশগুলিতে গুরুতর মুদ্রাস্ফীতির পরিস্থিতি তৈরি হবে। এহেন মুদ্রাস্ফীতি রোধ করতে সক্ষম এমন কোনও নীতি, সিদ্ধান্ত হবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পৃথিবীতে আন্তর্জাতিক লগ্নী পূঁজির পক্ষে সুবিধাজনক বিনিয়োগের নীতির পরিপন্থী। প্রাথমিক প্রয়োজন হিসাবে চিহ্নিত পণ্যসমূহের চাহিদায় আকস্মিক বৃদ্ধির ফলে সেইসব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটবে – একইসাথে উৎপাদন এবং সরবরাহের (যোগান) কাজে তেজি আনতে বাড়তি সরকারী ব্যয়বরাদ্দের সংস্থান প্রয়োজন হবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক লগ্নী পুঁজি এহেন সরকারী ব্যায়বরাদ্দের নীতিকে বরদাস্ত করবে না, উল্টে মুদ্রাস্ফিতির সংকটকে দূরে ঠেলে দেবার নামে সারা দুনিয়ায় রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মোট চাহিদাকে অগ্রাহ্য করে শুধুমাত্র কোনও একটি দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদাকেই প্রাধান্য দেবে। এর ফলে রপ্তানিযোগ্য প্রাথমিক প্রয়োজনের পণ্যসমূহ উৎপাদনকারী দেশের অর্থনীতির উপরে কৃপণতার খাঁড়া নেমে আসবে, এভাবেই সেইসব দেশের আর্থিক প্রগতির সম্ভাবনাও ক্ষীণ হবে।

বলাই যায় বাইডেনের আর্থিক নীতির ফলে ভারতের রপ্তানি কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও মোটের উপরে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কর্মকাণ্ডকে অচিরেই গলা টিপে ধরা হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা মেটাতে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে প্রাথমিক প্রয়োজনের পণ্যসমূহ যতটা পারা যায় টেনে বের করে নেওয়া হবে যার ফলে আমাদের দেশে যোগানের বাজারে বড় আকারের ঘাটতি দেখা দেবে এবং ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতি ঘটবে।  

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে তেজি বাজারে পরিস্থিতি এমন ছিল না, কারন তখন কোনও দেশের সরকারকে পূঁজির কথামতো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য থাকতে হয় নি। প্রাথমিক প্রয়োজনের পণ্যসমূহ উৎপাদনের কাজে প্রয়োজনমত সরকারী ব্যয়বরাদ্দ বাড়িয়ে নেওয়া যেত। এখনকার অবস্থায় অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্য কেনায় প্রয়োজন থাকা সত্বেও সরকারী ব্যয়বরাদ্দে ছাঁটাই করাই দস্তুর। এই কারনেই সেই যুগে ভারতের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছিল, আজকের পরিস্থিতিতে যা সম্ভব হবে না।

বাইডেনের ঘোষিত আর্থিক প্যাকেজ এমন এক ধারণার উপরে ভিত্তি করে প্রকল্পিত যা সমর্থনের যোগ্য নয়। কেইন্সিয় নীতির নাম দিয়ে এই প্রকল্পের পক্ষে যুক্তি হাজির করা হলেও মনে রাখতে হবে কেইন্সিয় অর্থনীতির প্রধান শর্তই হল “সরকারী ব্যয়বরাদ্দকে যেকোনো ধরণের বিনিয়োগের উর্ধে প্রাধান্য দিতে হবে” – বাইডেনের প্যাকেজে সেই সতর্কতা অগ্রাহ্য করা হয়েছে। এহেন আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার পিছনে যে ধারণাটি কাজ করে তা হল নয়া-উদারবাদী অর্থনীতি বর্তমানে যে সংকটে পড়েছে তার থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র পন্থা হল পূঁজির উপর যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার করে নেওয়া –  অর্থাৎ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যত সংকটই আসুক না কেন একচেটিয়া পূঁজি বিনিয়োগের সেই সংক্রান্ত কোনও দায় নেই। যদি ধরেও নেওয়া যায় একচেটিয়া পূঁজির আঘাতে আমেরিকাসহ অন্যান্য উন্নত ধনতান্ত্রিক দেশগুলির উন্নয়নের দৌড়ে চোট খাওয়ার সম্ভাবনা কম তাহলেও একটা সম্ভাবনা নিশ্চিত, আগত সংকটের ধাক্কায় ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। একচেটিয়া বিনিয়োগের রাজত্বে উদ্ভুত সংকটের পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক লগ্নী পূঁজির চোখে চোখ রেখে বিভিন্ন রাষ্ট্রগুলির যখন পুনরায় পুঁজিকে নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে যথোপযুক্ত অভ্যন্তরীণ আর্থিক নীতি প্রণয়ন করা উচিত সেই সময় বাইডেনের আর্থিক প্যাকেজ আসলে এক বিভ্রান্তি যা মনে করে চলতি সংকটের মধ্যে থেকেই কেইন্সিয় জমানার চাহিদা নিয়ন্ত্রণের বন্দোবস্তে সমস্ত দেশের যাবতীয় সমস্যা মিটিয়ে দেওয়া যাবে।   

নিজের আর্থিক প্যাকেজের কারজকারিতা সম্পর্কে জো বাইডেন যতই উচ্চাকাঙ্ক্ষী হন না কেন, এটুকু উপলব্ধি করতে অসুবিধা হয় না এমন আর্থিক পরিকল্পনার তাত্বিক ভিত্তিটাই সমর্থনের অযোগ্য। এমন নীতির ফলে পৃথিবীজূড়ে বিভিন্ন দেশের আর্থিক অবস্থার ব্যবধান আরও বেড়ে যাবে, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিকে ভয়াবহ বেকারত্ব এবং গুরুতর রাজকোষ ঘাটতির খাদে ঠেলে দিয়ে উন্নত দেশগুলি সম্পদসম্ভোগের পথে অনেকটাই এগিয়ে যাবে। আই এম এফ (International Monetary Fund) ইতিমধ্যেই সেই লক্ষ্যে একাধিক নীতি প্রণয়ন করে চলেছে। আই এম এফ’র কথা বাদ দিলেও বলা যায় বিনিয়োগ নির্ভর বিশ্ব-অর্থনীতি দুনিয়াজূড়ে ভয়াবহ অসাম্য প্রতিষ্ঠার অভিমুখেই কর্তব্যরত।

জো বাইডেনের আর্থিক প্যাকেজকে উন্নত ধনতান্ত্রিক দেশে বসবাসকারী বহু বামপন্থী সমর্থন জানিয়েছেন, তৃতীয় বিশ্ব এবং সেখানকার জনসাধারনের উপরে এই প্যাকেজ নীতির ফলে কি দুর্দশা নেমে আসতে পারে সেই নিয়ে এইসব বামপন্থীদের আরও একটু সংবেদনশীল হওয়া উচিত ছিল।    

ওয়েবডেস্কের পক্ষে অনুবাদঃ সৌভিক ঘোষ

Spread the word

Leave a Reply