একটি কথা বলা প্রয়োজন। পার্টি, আন্দোলন, মতাদর্শ ও বিপ্লবের স্বার্থে তিনি ছিলেন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রশ্নের খুবই কঠোর। বাইরের কারোর সঙ্গে বন্ধুত্ব তাকে পার্টির আদর্শ থেকে কোনদিন বিচ্যুত করতে পারেনি। এমনকি পার্টির অভ্যন্তরে যখন আদর্শগত সংগ্রাম হয়েছে তখনও তিনি বলতেন, “বন্ধুর থেকে পার্টি ও তার আদর্শ বড়”। “মার্কসবাদী-লেনিনবাদী আদর্শ রক্ষার ক্ষেত্রে কারোর বন্ধুত্ব যেন অন্তরায় হয়ে না দাঁড়ায়”। শোষক শ্রেণী ও শাসকগোষ্ঠীর প্রতি তাঁর ছিল অসীম ঘৃণা। মার্কসবাদ বিরোধী তত্ত্বের ও ক্রিয়া-কলাপ এর বিরুদ্ধে তার সংগ্রাম ছিল গৌরবোজ্জ্বল।
Author: Souvik Ghosh
Sitaram Yechury on Gokhale’s Baseless Comments
নিজের লেখা বইতে বিজয় গোখলে সংশ্লিষ্ট চুক্তির প্রশ্নে বামেদের বিরুদ্ধে যেসমস্ত অভিযোগ করেছেন তা ভিত্তিহীন। সম্ভবত তার জানা নেই, এই চুক্তি সম্পাদিত হবার সময় প্রধান বিরোধী দল ছিল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং তারাও এই চুক্তি প্রসঙ্গে সংসদের আলোচনায় বিরোধিতাই জানিয়েছিল।
CPI(M) Pays Homage To Comrade Sudarshan Roy Choudhary
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও বাংলায় এম এ পাশ শেষে ১৯৭১ সালে শ্রীরামপুর কলেজে অধ্যাপনায় নিযুক্ত হন। তিনি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক । শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে দুবার (১৯৮৯ ও ১৯৯১ )সাংসদ নির্বাচিত হন সুদর্শন রায় চৌধুরী । ২০০৬ সালে জাঙ্গিপাডা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকারের উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ২০১১ সাল অবধি।
Property Rights and Pandemic Deaths
একথা সত্য, কোনও আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালনের আগে যে কোনও সরকারেই নিজের দেশের নাগরিকদের জীবনকে অগ্রাধিকার দেবে। কিন্তু উন্নত দেশগুলির সরকারগুলির সামনে নিজেদের নাগরিকের জীবন বনাম অন্য দেশের নাগরিকদের জীবন সংক্রান্ত তুলনার প্রশ্ন কার্যত অহেতুক; সামগ্রিকভাবে ভ্যাকসিনের ঘাটতির কারণে একদল মানুষের জীবনযাত্রার ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছে যা আসলে ব্যক্তিগত সম্পত্তি-অধিকার রক্ষার প্রয়োজনে সৃষ্ট একটি কৃত্রিম ঘাটতি। এহেন সুরক্ষার পরিকল্পনাই আসলে টিকার উৎপাদন বৃদ্ধি রুদ্ধ করে রেখেছে। সংক্ষেপে বললে এসব এক দেশের লোক বনাম আরেক দেশের লোকের প্রশ্নই নয়, এ হল লাভ বনাম মানুষের জীবনের মধ্যে যে কোন একটিকে বেছে নেবার প্রশ্ন।
Moncada Day: Significance Of The Legacy
গত প্রায় দুবছর ধরে করোনা অতিমারি’র জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো অর্থনৈতিক সমস্যা বেড়েছে কিউবারও। কিউবার বিদেশী মুদ্রা আয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র পর্যটন থেকে আয় কমেছে চারভাগের প্রায় তিনভাগ। অবরোধের ফলে খাদ্য আমদানিতে বাড়তি সমস্যার মুখে। আয় কমেছে রপ্তানি খাতে। অবরোধের সমস্যা তীব্রতর। কিন্তু তার মধ্যেও করোনা মোকাবিলায় গোটা বিশ্বে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে কিউবা। করোনায় প্রতি দশ লক্ষে কিউবায় মৃত্যু ১৩৯।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি দশ লক্ষে কোভিডে মৃত্যু ১,৮৭১। দেশীয় উদ্যোগে পাঁচটি ভ্যাকসিন তারা তৈরি করেছে। জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সমস্ত সরকারী ব্যবস্থা কিউবা সরকার বজায় রেখেছে। কিউবার পরিচয় তার সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য। কিউবা ব্যতিক্রমী তার বৈপ্লবিক রূপান্তরের জন্য
It’s War Again: The Cuba Story
১৯৯২ থেকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদ ভোট দিয়ে আসছে কিউবার বিরুদ্ধে মার্কিন অবরোধের অবসান চেয়ে। ২০২১, সর্বশেষ ভোটের ফলাফল ১৮৪-২। কিউবার সঙ্গে গোটা বিশ্ব। আরও একঘরে বাইডেন। অবরোধের অবসান চেয়ে ভোট দিয়েছে বিশ্বের ১৮৪ টি দেশ। বিপক্ষে মাত্র দু’টি দেশ। ট্রাম্পের উত্তরসূরী বাইডেনের আমেরিকা এবং ইজরায়েল। ভোটদানে বিরত থেকেছে ‘লাতিনের ট্রাম্প’ বোলসোনারোর ব্রাজিল, কলম্বিয়া এবং ইউক্রেন। তবু নির্বিকার মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ। স্বাভাবিক। একরত্তি কিউবা না। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের লক্ষ্য আসলে কিউবার সমাজতন্ত্র। আর সেকারণে কোনওভাবেই পেরে না উঠে কিউবাকে ভাতে মারতে চায়।
“It Is Not Consciousness That Determines Their Being, But, On Contrary Their Social Beings That Determines Their Consciousness”: The Pegasus Comes Alive (Part II)
বলা বাহুল্য চলতি সংকটের আক্রমনে জর্জরিত জনগণের ভীষণ রোষ তো আর লাইব্রেরীর টেবিলে বসে লেখা গবেষণাপত্র না যে বেছে বেছে ঠিক এই এই স্থানে পুঁজিবাদ লুকিয়ে রয়েছে তাকেই শুধু আক্রমন করবে, জনগণ বস্তুগত সত্যকেই আঁকড়ে ধরেন। তারা নাটের গুরু চিনে নেবেন খুব সহজেই, ফলে আক্রমণটা নেমে আসবে রাষ্ট্রের পরিচালকবৃন্দের উপরেই – পুঁজিবাদ এই সত্য ভালো বোঝে, রাষ্ট্রপরিচালনায় যুক্ত রাজনৈতিক শক্তি বোঝে আরও বেশি কারন তার গদি হারানোর ভয় থাকে, দেশে বিদেশে ছুটে বেড়ানো ফিন্যান্স পূঁজির মতো তার চরিত্র আদৌ বিমূর্ত নয় যে! ফলে জনগণ কখন কি ভাবছে, কি করছে সেই খোঁজ রাখতে রাষ্ট্র বাধ্য – ফলে ‘আড়ি পাতা’ এবং ‘পেগাসাস’।
“…but people never forgive themselves and so they would always be dangerous.”:The Pegasus Comes Alive!
তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত যাবতীয় আধুনিকতার যেরকম ভয়াবহ প্রচার ভারতে আজকের প্রজন্ম ইতিমধ্যেই দেখেছে বা দেখছে তার কারন কোন “ডিজিটাল ইন্ডিয়া” নয়, বিশ্ববাংলা তো নয়ই! এর পিছনের কারন বুঝতে হলে আমাদের ফিন্যান্স পুঁজি, পুঁজিবাদী আধুনিক অর্থনীতি এবং আজকের পৃথিবীতে সাম্রাজ্যবাদের সমবেত মিথস্ক্রিয়া বুঝতে হবে। সেই উদ্দেশ্যেই এই নিবন্ধের সুত্রপাত। স্মার্টফোনে স্পাইওয়্যার পাঠিয়ে নাগরিকদের চলাফেরায় আড়ি পাতছে দেশের সরকার – এ আর জেমস বন্ডের আষাঢ়ে গপ্পো নয়! জর্জ অরয়েল বেঁচে থাকলে আরেকবার 1984 লিখতে বসতেন কিনা জানার সুযোগ নেই, সোশ্যালিজম আদৌ পেরেছিল কিনা কেউ জানেনা কিন্তু পুঁজিবাদ তার সেই কষ্টকল্পনাকে সত্যি প্রমান করেই ছাড়ল; এখন বলতেই হচ্ছে বিগ ব্রাদার ইজ ওয়াচিং আস!
Who Authorized Illegal Surveillance?
ভারতীয় আইনে কারোর স্মার্টফোন হ্যাক করে সাইবার-স্পাই সফটওয়্যার দ্বারা কারোর ব্যক্তিগত তথ্য বের করা নিষিদ্ধ, এমনকি ভারত সরকারও সেই কাজ করতে পারে না। তবে ভারত সরকার কোন আইনের বলে এহেন নজরদারি চালাচ্ছে? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশানুযায়ী ব্যক্তিগত গোপনীয়তা প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার, কিন্তু কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংক্রান্ত আইনকে কার্যকরী করতে গিয়ে সত্যের অপলাপ ঘটাচ্ছে।
US Must Lift Blockade of Cuba: Joint Statement By CPI(M) And CPI
কিউবার সরকার এবং সেদেশের জনগনের এই কঠিন সংগ্রামের প্রতি আমরা সংহতি জানাচ্ছি। সবার কাছে আমাদের আবেদন কিউবার এই লড়াইতে তাদের পাশে থাকুন। নিজেদের মাতৃভূমির সুরক্ষা, সার্বভৌমত্ব এবং সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বজায় রাখতে কিউবার জনগন এবং প্রশাসন যে লড়াই চালাচ্ছে তাকে সমর্থন জানান।