দেশের নির্বাচনী আইনে রদবদল যা আগামিদিনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তার করতে পারে এমনসব গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনগুলিকে বিলের আকারে লোকসভায় পেশ করে যেভাবে এক ঝটকায় পাস করানো হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে সিপিআই(এম)-এর পলিট ব্যুরো৷ সংসদ সদস্যদের এই বিষয়ে আলোচনার জন্য সময় দেওয়া হয়নি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সংসদ সদস্যদের কোনো সংশোধনী আনার অনুমতি অবধি দেওয়া হয়নি। এভাবে সংসদীয় আইন ও পদ্ধতির চরম লঙ্ঘিত হল। পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বিচারের জন্য সংসদীয় সিলেক্ট কমিটির কাছে বিলটিকে পাঠানোর বিষয়ে আলোচনার সময় বরাদ্দ ছিল অধিবেশনের সকালবেলা। সেই সিদ্ধান্ত খারিজ করে, মধ্যাহ্নভোজের পরেই নতুন এজেন্ডা জারি করে সরকার দ্রুত বিলটি পাস করিয়ে নেয়।
Author: Souvik Ghosh
Polit Bureau Communique
২০২১ সালের শুধু নভেম্বর মাসেই, ৬৮ লক্ষ বেতনপ্রাপ্ত শ্রমিক নিজেদের কাজ হারিয়েছেন। বিগত ১৭-সপ্তাহে শহরাঞ্চলে বেকারত্বের সূচক সর্বোচ্চ হয়েছে এবং সামগ্রিক বেকারত্ব শেষ ৯-সপ্তাহে সর্বোচ্চ অবস্থায় পোঁছে গেছে।
Congratulations to the Kisan Movement
বর্তমান সরকারের আমলে জনগনের জীবন-জীবিকার উপরে নেমে আসা আক্রমনের প্রতিরোধে সংগ্রামী ঐক্য এবং উপযুক্ত নমনীয়তা কতটা কার্যকর হতে পারে তার উজ্জ্বল উদাহরণ হল কৃষকদের আন্দোলন। জাতি এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যেকার ব্যাবধান পিছনে ফেলে রেখে গণতান্ত্রিক অধিকার সমুহের উপরে আক্রমনের প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে যেকোনো বাধা পেরিয়ে যাওয়া যায় এই আন্দোলনের জয় সেকথাই উর্ধে তুলে ধরছে।
Withdraw this Decision of Haryana CM
গত কয়েক মাসে, প্রতি শুক্রবার, বজরং দল এবং ঐ ধরনের সংগঠনের লোকজন ঐসব এলাকায় মুসলমানদের নমাজ পড়তে বিরক্ত করেছে, কোথাও বাধা দিয়েছে। পুলিশ কিংকর্তব্যবিমুঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থেকে এহেন অন্যায় কর্মকাণ্ড চলতে দিয়েছে। দুর্বৃত্তদের শাস্তি দেওয়া এবং শান্তিপূর্ণভাবে প্রার্থনার কাজ নিশ্চিত করার পরিবর্তে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভারতীয় নাগরিকদের একটি অংশের মৌলিক সাংবিধানিক অধিকারকে অস্বীকার করছেন।
Condemn Nagaland Killings
সেনাবাহিনী ব্যাখ্যা দিয়েছে যে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড একটি “গোয়েন্দার কাজে ব্যর্থতার” কারণে ঘটেছে তাতে স্পস্ট হয়েছে যে এই ধরনের একটি অতর্কিত ভুল কীভাবে ঘটেছে। দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।এই ঘটনায় আবারও আইনি বিধানে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য বিশেষ ক্ষমতা আইন (আফস্পা) প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয়তাকেই তুলে ধরছে।
Samyukta Kisan Morcha Press Bulletin
। সরকারের তরফে জানানো মৌখিক আশ্বাসের ক্ষেত্রে এবং সেই আশ্বাসের ভরসায় নিজেদের আন্দোলন থেকে পেছিয়ে আসার ক্ষেত্রে দেশের কৃষক ইউনিয়নগুলির পূর্ব অভিজ্ঞতা খুবই তিক্ত, এর আগে এধরণের মৌখিক আশ্বাসের ন্যুনতম মর্যাদাও রক্ষিত হয় নি। তাই যথাযথ প্রত্যুত্তর না মেলা অবধি আমরা নিজেদের অবস্থান বদলাচ্ছি না – আজকের সভায় কৃষকরা এই কথাই জানিয়েছেন।
Condemn Brutal Killing by RSS
আরএসএস-বিজেপি-র লক্ষ্য হল কেরালায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে ব্যাহত করে হিংসাশ্রয়ী আক্রমনে সিপিআই(এম)-এর বৃদ্ধি ঠেকানোর চেষ্টা করে যাওয়া। এই ষড়যন্ত্র রুখতেই হবে।
Stop Intimidation : Hold Impartial Probe into Loni Encounter
ঘটনায় জড়িত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা না করে সেই সাতজনকেই আটক করে রাখা হয়। স্থানীয় বিধায়ক সাম্প্রদায়িক মনোভাবের ভিত্তিতে এহেন বর্বর পুলিশি পদক্ষেপের সমর্থনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনিই এখন আক্রান্তদের পাশে থাকা লোকজনেদের হুমকি দিচ্ছেন এবং ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছেন। সিপিআই(এম) এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছে। যারা ন্যায়বিচারকে বাধা দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।
On Revolutionary Proletariate: Friedrich Engels
সমাজ বিপ্লব এবং শ্রেণীসংগ্রামের তত্ত্ব কে প্রতিষ্ঠাই নয়, সংগঠিত শ্রমিকশ্রেণীর নেতৃত্বে বিপ্লব এবং শ্রমিকশ্রেণীর একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠার একান্ত আবশ্যকতার প্রশ্নে মার্কস, এঙ্গেলস এবং মার্কসের অবর্তমানে এঙ্গেলস কে বিরামহীন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হয়েছিল। যারা কার্ল মার্কসের রচনা সমগ্র বা মার্কস-এঙ্গেলস-এর রচিত “কমিউনিস্ট ইশতেহারের” উল্লেখ করে শ্রমিকশ্রেণী কর্তৃক রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের পর কোথাও শ্রমিকশ্রেণীর একনায়কত্বের কথা উল্লেখ নেই বলে চিৎকার জুড়ে দিয়ে নিজেদের আসল চেহারা মুখোশের আড়ালে ঢাকা দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে ব্যস্ত, তাদের দৃষ্টি বার বার প্যারি কমিউনের প্রতি আকৃষ্ট করে এঙ্গেলস দেখিয়ে দিয়েছেন শ্রমিকশ্রেণীর একনায়কত্ব বলতে প্রকৃতই মার্কসবাদীরা কি বোঝাতে চান।
Fiscal Folly
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথেই মোদী সরকারের রাজস্ব আদায় নীতি অভ্যন্তরীণ মুদ্রাস্ফীতির হারকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। সরকার যদি সেই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায় তবে বিশ্বের দামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেশীয় পেট্রোপণ্যের দাম না বাড়িয়ে তাদের উপরে চাপানো বর্ধিত কর কার্যকরীরূপে কমাতে হবে (যেমনটা তারা সম্প্রতি করেছে)। কিন্তু তারপরেও সরকারী ব্যয়বরাদ্দ কমিয়ে দিয়ে সেই ঘাটতির ভারসাম্য বজায় রাখা হবে যাতে রাজস্ব ঘাটতি সীমার মধ্যে থাকে এবং বিশ্বায়িত পুঁজির স্বার্থ অক্ষুণ্ণ থাকে। এর ফলাফল হবে অত্যন্ত হাস্যকর যখন মোদী সরকার জাতীয় অর্থনীতির মন্থর অবস্থার মধ্যেও বেকারত্বকে আরও ভয়াবহরূপে বাড়িয়ে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবে।