এই ঘটনা লাতিন আমেরিকার জন্য একটি বড় শিক্ষা: তুমি সরকারে আসতে পারো, কিন্তু তার অর্থ রাষ্ট্র ক্ষমতায় নয়।

এই ঘটনা লাতিন আমেরিকার জন্য একটি বড় শিক্ষা: তুমি সরকারে আসতে পারো, কিন্তু তার অর্থ রাষ্ট্র ক্ষমতায় নয়।
হিন্দুত্ববাদীদের ক্ষমতায় এনে, দেশের সম্পদ ও জনগণকে অবাধ লুঠ করার জন্যই হিন্দু রাষ্ট্রের অবতারনা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্যও ‘হিন্দুত্ববাদী মোদীজি’ পেট্রোল- ডিজেল- কেরোসিন-গ্যাস-ভোজ্যতেল সহ সব জিনিষের দাম বাড়িয়েছেন।
অর্থনৈতিক তত্ত্বের দৃষ্টিভঙ্গিতে বিবেচনা করলে এঙ্গেলসের লেখাটি খুব একটা নতুন কিছু না ঠিকই। কিন্তু তাঁর এই লেখাটি থেকেই আমরা একটি রাস্তা খুঁজে পাই- ভেকধারি বুদ্ধিজীবী, আধুনিক প্রযুক্তির নামে বড়াই করা বিজ্ঞানীকুল ও সামাজিক সুযোগসুবিধার উপরে সার্বিক দখলদার বুর্জোয়াদের রাতারাতি মানবিক সাজার পিছনে যে বিরাট ভণ্ডামি (যা আজও চলছে) সেসবের মুখোশ কিভাবে টেনে ছিঁড়ে ফেলতে হয়।
মানুষের সত্তা তার চেতনার দ্বারা নির্ধারিত নয়। বিপরীতে মানুষের সামাজিক সত্তাই নির্ধারিত করে তার চেতনাকে।
সমাজতন্ত্র নির্মাণের পথে কার্যকরী পূর্বশর্ত হিসাবে মার্কস-এঙ্গেলস দুজনেই শ্রমিক-কৃষক জোটের পক্ষেই ছিলেন।
অমিত’রা যাদের ইচ্ছায় এসব বলছেন, করছেন তাদের মাথায় একটা ভূত ঢুকে রয়েছে। সেই ভূত অতীত সম্পর্কে ভিত্তিহীন অহমিকাকে আশ্রয় করে গড়ে ওঠে, বাস্তব পরিস্থিতির সমস্যা সমাধানের ব্যর্থতা ভুলে থাকতে অজুহাত যুগিয়ে টিকে থাকে।
মোদী যতই নেহরুর বিরোধী সাজুন না কেন, আসলে তিনিও তাকেই অনুসরণ করেছেন, কিছুটা অতিক্রমও করেছেন। ঐ একই আক্ষেপ বুকে চেপে তিনি প্রমাণ করতে চাইছেন কর্পোরেটরা দেশের জন্য অনেক কিছু করছেন- আর তাই সরকারী আর্থিক নীতিতে কর্পোরেটদেরই সর্বাধিক করছাড় দেওয়া চলছে। আন্তর্জাতিক ফিন্যান্স পূঁজির শব্দকোষে গায়ের চামড়া বলে কোনও শব্দ নেই যে!
সংগঠনে এবং সংগ্রামে গান, নাটক, কবিতার অসামান্য ভূমিকা প্রমাণ করেছিল কমিউনিস্ট পার্টিই। এগুলি ছাড়া লড়াই হবে না।
‘ধনগরিমার ইতরতা অবসানে’ সুদীর্ঘ সংগ্রামের লক্ষ্যে অবিচল উন্নত সংস্কৃতির প্রথম জাগরণ ঘটিয়েছে নভেম্বর বিপ্লব-ই।
শোষণের মতাদর্শগত আঘাতকে প্রতিহত করতে দরকার মার্কসীয় দর্শনের সঠিক জ্ঞান। সাথে অতীত থেকে সঠিক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের । তাই দরকার অতীত চর্চার সাথে বাস্তব সময়ের সঠিক বিশ্লেষণ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।