প্রভাত পট্টনায়েক
শুরুটা করেছিলেন কেন্দ্রিয় অর্থমন্ত্রকের সচিব নিজেই। তিনি বলে বসলেন কেন্দ্রীয় সরকার যদি বাজার থেকে ধার কম নেয় তবে বেসরকারি সংস্থাগুলি বাড়তি অর্থের যোগান পাবে। এর পরে আসরে নামলেন রিজার্ভ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর। তার বক্তব্য কেন্দ্রীয় সরকারের জন্যই বেসরকারি সংস্থাগুলি বাজার থেকে প্রয়োজনীয় ধার কর্জ করতে পারছে না। এমনসব কথাবার্তায় মূল ধারনাটি হল ধার নেওয়ার জন্য বাজারে অর্থের যে যোগানটুকু থাকে তার পরিমাণ নির্দিষ্ট। তাই সেই অর্থে সরকার যত বেশি হাত বাড়ায় বেসরকারি উদ্যোগের জন্য সুযোগও ঠিক ততটাই কমে। অর্থনীতির ভাষায় একেই ‘ফিক্সড পুল’ বলে।
সরকারের ধার নেওয়ায় বেসরকারি সংস্থার দুর্গতি সংক্রান্ত এই তত্ত্বটি যে ভ্রান্ত তা আজ থেকে ৯০ বছর আগেই প্রমাণিত হয়েছে। ১৯৩১ সালে কেইন্সিয় অর্থশাস্ত্রী রিচার্ড কাহ্ন সেই প্রমান দেন। ধ্রুপদী অর্থনীতিতে জন মেইনার্ড কেইন্স যে বিপ্লব ঘটিয়ে ছিলেন, রিচার্ড কার্যত তারই তাত্ত্বিক পরাকাষ্ঠা নির্মাণ করেন। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার কারনে বুর্জোয়া অর্থনীতি যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল কেইন্স তারই সমাধান বাৎলেছিলেন। তিনি নিজেও শেষ অবধি বুর্জোয়া অর্থশাস্ত্রেই আস্থাশীল ছিলেন। পুঁজিবাদী ব্যবস্থাকে সংরক্ষিত রাখাই ছিল কেইন্সের লক্ষ্য। পুঁজিবাদ নিজেকে বিকশিত করার সাথেই চরম বেকারত্বের পরিবেশ তৈরি করে, জন মেইনার্ড কেইন্সের মতে এটি বুর্জোয়া অর্থনীতির আত্মহননের নিয়ম। একে প্রতিহত করতেই তিনি অর্থনীতিতে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ সমর্থন করেন।
অবশ্য কেইন্সের মতামত শেষে ভ্রান্ত বলেই প্রমাণিত হয়, রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের পরেও কার্যত সমস্যার কোনও সমাধানই হয়নি। পুঁজিবাদ এমনই রোগ যাকে কিছুতেই সারিয়ে তোলা যায় না, ত্রুটিমুক্ত করা যায় না। কেইন্সের সমসাময়িক পোল্যান্ডের মার্কসীয় অর্থশাস্ত্রী মাইকেল কালেইকি’ও নিজের গবেষণায় রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের ভূমিকা আলোচনা করেছিলেন। এসবের একশো বছর আগে মার্কস নিজে এই প্রসঙ্গে যে সকল পর্যালোচনা করেছিলেন তা আজও অভ্রান্ত বলেই চিহ্নিত হয়েছে। এত কিছুর পরেও আমাদের দেশে দুজন প্রবীণ সরকারী আমলা সেই একই ভুল করছেন দেখে কিছুটা আশ্চর্য বোধ হওয়া স্বাভাবিক।
বাজারে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের যোগান হিসাবে ফিক্সড পুল-এর ধারনাটি কেন ভ্রান্ত তা আলোচনা করা যাক। অর্থনীতিতে সঞ্চয়ের পরিমাণ সর্বদাই আয়ের উপরে নির্ভরশীল হয়। এক্ষেত্রে বাজারে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় বা জমা হিসাবে রয়েছে ধরে নেওয়ার অর্থ হবে ঐসময় জনসাধারণের জন্য আয়েরও একটি ন্যুনতম স্তর কার্যকর রয়েছে। বাজারে কর্মসংস্থান সম্পূর্ণ হলে তবেই এমনটা হবে। অবশ্য কর্মসংস্থান সম্পূর্ণ হলেও অর্থের যোগানে ফিক্সড পুল’র ধারণাটি ভ্রান্তই থাকে, আলোচনার সুবিধার্থে আপাতত সেই প্রসঙ্গ মুলতুবী রইল। তাহলে কি দাঁড়াল? স্বাভাবিক অবস্থায় কর্মসংস্থান সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকারী ব্যয়বরাদ্দ বাড়লে বাজারে চাহিদা বাড়ে। চাহিদা বাড়লে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায় এবং এরই প্রভাবে সঞ্চয়ের পরিমাণও বাড়ে।
বুঝতে সহজ হতে পারে তাই আলোচ্য অর্থনীতিকে নিরুদ্ধ (ক্লোজড) ধরেই এগোনো যায়। এমন অবস্থায় বাজার থেকে ধার করে সরকারী ব্যয়বরাদ্দ যতখানি বাড়ানো যায়, বেসরকারি সঞ্চয়ের পরিমাণও আগের তুলনায় ঠিক ততটাই বাড়ে। সবচেয়ে বড় কথা হল এহেন ব্যয়বরাদ্দের সুবাদে বাজারে সঞ্চয়ের মোট পরিমাণ বৃদ্ধির সাথে বাড়তি আয়েরও সুযোগ তৈরি হয়।
উদাহরন হিসাবে ধরা যাক সরকারী ব্যয়বরাদ্দ নির্ধারিত হয়েছে ১০০ টাকা যার পুরোটাই বাজার থেকে ধার হিসাবে সংগ্রহ করা হবে। যদি মজুরি ও মুনাফার পরিমাণ সমান হয় যেখানে শ্রমিকরা কিছুই সঞ্চয় না করে আর মালিকপক্ষ মুনাফার অর্ধেক সঞ্চয় করে তখন ব্যপারটা কেমন হবে? ১০০ টাকা সরকারী বরাদ্দ বৃদ্ধির ফলে আয় বৃদ্ধি ঘটবে ৪০০ টাকা। এই ৪০০ টাকার অর্ধেক অর্থাৎ ২০০ টাকা হল মজুরি। বাকি ২০০ টাকা মুনাফা যার অর্ধেক ১০০ টাকা মালিকদের সঞ্চয়। তাহলে বাজারে ব্যায়ের পরিমাণ হবে ৩০০ টাকা। এভাবেই সরকারী ব্যয়বরাদ্দের ফলে মালিকপক্ষের হাতে যেমন সঞ্চয় বাড়ে তেমনই বাজারে নতুন আয়ের সুযোগও বৃদ্ধি পায়। ১০০ টাকা সরকারী বরাদ্দের সুবাদে মালিদের মুনাফা হল ১০০টাকা, অথচ এতে তাদের কোনও কৃতিত্বই নেই! আবার একইসাথে বাজারে ৩০০ টাকা খরচ করার মত সামর্থ্য বৃদ্ধি পেল। এতে বেসরকারি উদ্যোগের বিপদের কোনও সম্ভাবনা রয়েছে কি? বাজারে সুদের হার যাই থাকুক না কেন, নিরুদ্ধ (ক্লোজড) অর্থনীতিতে সরকার যদি বাজার থেকে ঋণ নেয় তবে তার জোরে সঞ্চয়ের মোট পরিমাণে বৃদ্ধি বেসরকারি উদ্যোগের তুলনায় বেশি হয়। যদি অর্থনীতিকে মুক্ত (ওপেন) ধরা হয় তখন ঐ বৃদ্ধি রাজস্ব ঘাটতির সাথে সমান হবে অর্থাৎ সরকারী তহবিলে বকেয়ার পরিমাণ বেসরকারি মালিকানা সহ মোট উদ্বৃত্তের পরিমানের সাথে মিলে যাবে।
সরকারী বন্ডের দামে দ্রুত ওঠা-নামা চললে বেসরকারি বন্ডের উপরে তার কিছুটা প্রভাব পড়ে ঠিকই। কিন্তু এহেন অস্থিরতা একেবারেই সাময়িক। কিন্তু সরকার বাজার থেকে ঋণ নিলেই বেসরকারি পুঁজির দফারফা হয়ে যাবে এমনটা ভাবা একেবারেই অনুচিত। সরকারী ঋণ সমপরিমাণে বেসরকারি মুনাফার যোগান দেয়, আবার বাজারে আয়ের সুযোগও বৃদ্ধি করে। একটি কামরায় দুজন একইসময়ে ঢুকতে চাইলে দরজার গোড়ায় কিছুক্ষণ গুঁতোগুঁতি চলতে পারে, কিন্তু এতে গোটা ঘরে বদ্ধাবস্থা তৈরি হয়েছে এমন বলা চলে না। তাই সরকার কর্তৃক ঋণ নেওয়ার মানেই অন্যদের ভাতে মারা না, বরং উল্টোটাই সত্যি, ইতিমধ্যে আমরা সেই আলোচনা করেছি।
তবে সরকারী আমলারা এমন বিবৃতি দিলেন কেন? অর্থনৈতিক বাস্তবতার নিরিখে তাদের উদ্দেশ্য অপাপবিদ্ধ সন্দেহ নেই, কিন্তু এমন মন্তব্যের পিছনের কারন কি? একে বুঝতে গেলে রাজস্ব ঘাটতি সম্পর্কে প্রচলিত দুটি সমালোচনার মধ্যেকার ফারাক’কে চিহ্নিত করতে হবে।
প্রথমে রাজকোষ ঘাটতি সম্পর্কে বামপন্থীদের সমালোচনাকে বিবেচনা করা যাক। তাদের মতে রাজকোষ ঘাটতির ফলে ঋণের বাজারে টানও পড়ে না, মূল্যবৃদ্ধিও ঘটে না যা একেবারেই সঠিক। যে দেশে অর্থনীতিতে লভ্য সম্পদসমূহের সম্পূর্ণ ব্যবহার এখনও অধরা, সেখানে একথা অবশ্যই সত্য। বামপন্থীরা রাজকোষীয় ঘাটতির সমালোচনা করেন কারন এর প্রভাবে পুঁজিপতিদের মুনাফা বাড়ে এবং অনায়াসেই বাড়ে। আগের উদাহরনেই আমরা দেখেছি ১০০ টাকা সরকারী বরাদ্দের ফলে বেসরকারি মালিকানায় সঞ্চয় হিসাবে ১০০ টাকা জমা হয়। তারা এই অর্থে সরকারী বন্ড কিনে রাখে অর্থাৎ সরকারের কাছে তাদের পাওনা বকেয়া থাকে। এবার সরকার যদি রাজকোষ ঘাটতি মেটাতে বদ্ধপরিকর হয় এবং ধনীদের উপরে সম্পত্তি কর চাপায় তবে কি ঘটবে? তখন ১০০ টাকা বরাদ্দের ফলে আগের মতই আয় বৃদ্ধি ঘটবে ৪০০ টাকা। তবে এইবার বাজারে ৩০০-র বদলে ৪০০ টাকারই সমপরিমাণ চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। একইসাথে আয়ের সুযোগ বেড়ে যাওয়ায় কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাবে। এতে কেবল পুঁজিপতির পকেটে বাড়তি সম্পদের যোগানটুকুই বন্ধ হবে কেননা সরকার ১০০ টাকা মূল্যের সম্পত্তি কর চাপানোর সিদ্ধান্ত নেবে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য সম্পত্তি কর চাপিয়ে পুঁজির মালিকদের ফোকটে পাওয়া বাড়তি সম্পদটুকু কেড়ে নেওয়াকেই কেইন্স ‘লুট’ বলেছিলেন।
রাজকোষ ঘাটতি বিরুদ্ধে লগ্নী পুঁজি’রও সমালোচনা রয়েছে। রাজকোষ ঘাটতির কারনে বেসরকারি পুঁজির জন্য বাজারে অর্থের যোগান কমবে একথাটি আসলে তাদেরই। এই যুক্তি যে একেবারেই ভ্রান্ত তা আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। কেইন্সিয় অর্থশাস্ত্রী হিসাবে সুপরিচিত জোয়ান রবিনসন এহেন যুক্তিকে সরাসরি ‘লগ্নী বিষয়ক প্রবঞ্চনা’ বলে দুষেছিলেন। লগ্নী পুঁজি অবশ্য সেই অপমান গায়ে মাখেনি এবং বিগত ৯০ বছর ধরে তারা সেই ভ্রান্ত তত্ত্বই ঢাক পিটিয়ে প্রচার করে চলেছে। আমাদের দেশে উচ্চপদস্থ আমলারা সেই প্রচারে মোহিত হয়েছেন বলেই অমন বিবৃতি জারী করেছেন। আসলে অর্থনীতি, বিনিয়োগ ইত্যাদি বিষয়ে রাষ্ট্র কোনোরকম হস্তক্ষেপ করুক এটাই লগ্নী পুঁজি চায় না। তাদের বক্তব্য রাষ্ট্র সর্বতোভাবে পুঁজিপতিদের সহায়তা যোগাক, কেবলমাত্র বেসরকারি পুঁজির মাধ্যমেই মাধ্যমেই বাজারে বিনিয়োগ, ব্যয়বরাদ্দ ইত্যাদি হোক। বিনিয়োগ, ব্যয়বরাদ্দ কিংবা কর্মসংস্থান- অর্থনীতির কোনোকিছুতেই পুঁজিপতিদের ভুমিকায় যেন রাষ্ট্র ভাগ না বসায়। আসলে লগ্নী পুঁজির একান্ত ভয়, রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে যদি অর্থনীতি সংক্রান্ত সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া যায় তবে ভবিষ্যতে জনসাধারণের মনে হতে পারে পুঁজিপতি থাকার আর দরকার নেই!
এই ভয়ই লগ্নী পুঁজিকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। আমরা দেখলাম কিভাবে সরকারী ব্যয়বরাদ্দের ফলেও তাদের মুনাফা বাড়ে (আমাদের উদাহরনে যার পরিমাণ প্রতি ১০০ টাকায় ২০০টাকা হিসাবে), পুঁজিপতিরা এই হিসাব জানে না এমন নয়। তা সত্ত্বেও তারা রাষ্ট্র কর্তৃক ব্যয়বরাদ্দদের বিরোধী কারন ঐ ভীতি। এমনকি বাজার থেকে ঋণ নেবার বদলে কোনও রাষ্ট্র যদি রাজকোষ ঘাটতিকে মেনে নিয়েই ব্যয়বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেয় তখনও লগ্নী পুঁজি বিরোধিতা করে। সেই বিরোধিতার যুক্তি যতই ভ্রান্ত হোক না কেন, নিজেদের টিকিয়ে রাখার আশংকায় খড়কুটো ধরার প্রয়াস হিসাবে একরকম বৈধই!
রিজার্ভ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর অবশ্য লগ্নী পুঁজির পেশ করা যুক্তির চাইতেও এক ধাপ এগিয়ে গেছেন। সরকারী ঋণের প্রভাবে বেসরকারি উদ্যোগের যোগানে টান পড়বে ধরে নিয়েই তিনি দাওয়াই দিয়েছেন। তার দাবী অর্থের প্রয়োজন হলে সরকারী সংস্থাগুলি নিজেদের মালিকানার অংশীদারি ছাড়ুক, অর্থাৎ ইক্যুইটি বেচে দিক। সোজা কথায় বেসরকারিকরণ চলুক।
এক মুহূর্তের জন্য যদি ধরেও নেওয়া যায় সরকারী ঋণে বেসরকারি উদ্যোগের অর্থের যোগানে টান পড়ে এমন গাঁজাখুরি কথাটা সত্য তাহলেও এমন প্রস্তাবে কিছুতেই সায় দেওয়া যায় না। সরকারী বন্ড বিক্রি করলে (অর্থাৎ বাজার থেকে ঋণ নিলে) যদি অর্থের যোগানে টান পড়ে (ফিক্সড পুল থিয়োরি অনুযায়ী) তবে সরকারী শেয়ার (ইক্যুইটি) বিক্রির সময় তেমনটা হবে না কেন? সরকারী শেয়ার কেনার জন্যেও তো বাজারে লভ্য অর্থই ব্যবহৃত হবে! তখন কি সেই যোগানে টান পড়বে না? আসলে সরকারী শেয়ার বিক্রি করে খরচ মেটানোর নামে এদের যুক্তিটি অর্থনৈতিক নয়, একেবারেই মতাদর্শগত অবস্থান জনিত মতামত। আর্থিক হিসাব-নিকাশের বাস্তবতায় অমন ধারনার খোঁজ মিলবে না, একে উপলব্ধি করতে হয় রাজনৈতিক দর্শনের ভিত্তিতে। যত বড় প্রেক্ষিতেই হিসাব করা হোক না কেন, সরকারী সংস্থার মালিকানা বেচে দিয়ে অর্থ সংস্থানের পথ কোনোভাবেই অর্থনীতি সম্মত না, এটাই সত্য। এমনকি সরকারী ঋণনীতির কারনে বাজারে টান পড়ার ভ্রান্ত যুক্তিটি মেনে নিলেও এমন সিদ্ধান্তকে কার্যকর পদক্ষেপ হিসাবে ব্যখ্যা করা যায় না।
অর্থনীতির দুনিয়ায় নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে লগ্নী পুঁজি এমন অনেক ভ্রান্ত তত্ত্বের প্রচার চালায়। সেইসব ভ্রান্ত তত্ত্বের মুখোশ খুলে দেওয়ার কাজটিও ধারাবাহিকভাবেই চালিয়ে যেতে হবে।
মূল প্রবন্ধটি ‘আ ফল্স থিয়োরি’ শিরোনামে ২০১৯ সালে নিউজ ক্লিক পোর্টালে প্রকাশিত
ভাষান্তর- সৌভিক ঘোষ