স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস বিকৃতি - অর্কপ্রভ সেনগুপ্ত...

১৯ জানুয়ারী ,২০২২ বুধবার


 
মহাবিদ্রোহ: ১৮৫৭।
বিবেকানন্দের জন্মদিন: ১৮৬৩।
রমণ মহর্ষির জন্মদিন: ১৮৭৯।

ক্রনোলজি স্পষ্ট। বুঝতে কারুর কোনও ভুল হওয়ার কথা নয়। অথচ, মোদী সরকারের দাবি, স্বামী বিবেকানন্দের ‘আধ্যাত্মিক জাগরণের’ ফলেই ঘটেছিল সিপাহি বিদ্রোহ! দিল্লির ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী শাসকগোষ্ঠীর মর্জিতে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে জন্ম নেওয়া বিবেকানন্দ আর রমণ মহর্ষিই হয়ে উঠলেন বিদ্রোহের প্রধান অনুপ্রেরণা!

স্বাধীনতার ৭৫-বছর উপলক্ষে মোদী সরকার যে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ পালন করছে, তারই অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকের অধীন প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো’র প্রকাশিত ‘নিউ ইন্ডিয়া সমাচার’ পত্রিকায় ‘নতুন ভারতের অমৃত যাত্রা’ নামক নিবন্ধে বেমক্কা দাবি করা হয়েছে, ‘ভক্তি আন্দোলনই ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনা করেছিল। ভক্তি যুগে স্বামী বিবেকানন্দ, চৈতন্য মহাপ্রভু, রমণ মহর্ষি আধ্যাত্মিক জাগরণ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। এটাই ১৮৫৭-এর বিদ্রোহের প্রেক্ষাপট হিসেবে কাজ করেছিল।‘

ইতিহাসের ছাত্র শুধু না, ইতিহাস সম্পর্কে কিছুমাত্র ধারণা যে মানুষের আছে, তিনিই এই বক্তব্য দেখে স্তম্ভিত হবেন। ভক্তি আন্দোলন হয়েছিল মধ্যযুগের ভারতে। সুফি আন্দোলনের সঙ্গে সঙ্গে মধ্যযুগের ভারতে হিন্দু ও ইসলাম এই ধর্মের দুই মহাসিন্ধুর মধ্যে মিলন রচনা করায় এই আন্দোলনের ছিল অনবদ্য ভূমিকা। জাতপাত ও ব্রাহ্মণ্যবাদকে চূর্ণ করার আন্দোলন ছিল ভক্তি আন্দোলন। এর সঙ্গে সিপাহী বিদ্রোহের কোনও সম্পর্কই ছিল না। আরও মজার বিষয় হল, যে তিনজনের নাম নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে একমাত্র চৈতন্য মহাপ্রভু ছিলেন ভক্তি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত মানুষ। স্বামী বিবেকানন্দ ও রমণ মহর্ষি উভয়ের সঙ্গেই মধ্যযুগের ভক্তি আন্দোলনের কোনও সম্পর্কই নেই। তাঁরা সিপাহী বিদ্রোহেরও পরের সময়ের মানুষ। উভয়েই উনবিংশ শতকের শেষার্ধে জন্মগ্রহণ করেন। সুতরাং ভক্তি আন্দোলনের সঙ্গে সিপাহী বিদ্রোহের কী সম্পর্ক তা কিছুই বোধগম্য হল না। বোঝা গেল না স্বামী বিবেকানন্দ ও রমণ মহর্ষির সঙ্গেই বা এই দুইয়ের কী যোগাযোগ। সে বোধ হয় একমাত্র পিআইবি-র কর্তারা ও তাঁদের মাথায় বসে যাঁরা দেশ চালাচ্ছেন, সেই আরএসএস-বিজেপি নেতারাই জানেন।

শ্রীমদ্‌ভগবদ্‌গীতা

এ মেনে নেওয়া খুবই শক্ত যে এটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। বিশেষ করে যখন ১১ জানুয়ারি তারিখে ফলাও করে নিবন্ধের ঐ অংশের ছবি পিআইবি টুইট অবধি করেছে। এবং সকল প্রতিবাদ অগ্রাহ্য করে তা প্রত্যাহার করেনি। আর তখন ধরেই নেওয়া যায় এটি একটি ইচ্ছাকৃত বিকৃতি। কিন্তু কেন? এর উত্তর পাওয়া যাবে নিবন্ধের আরেকটি অংশে। ‘ইতিহাস থেকে অনুপ্রেরণা’ শিরোনামে নিবন্ধের এই অংশটিতেও আরেকটি অনৈতিহাসিক কথা রয়েছে। বেমালুম দাবি করা হয়েছে ‘স্বাধীনতা আন্দোলন শুধু ব্রিটিশ শাসনেই সীমাবদ্ধ ছিল না, এর পূর্বেও ভারত দাসত্বের পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে গেছে,’ স্পষ্টতই পূর্বের ‘দাসত্বের পর্যায়’ বলতে এখানে ব্রিটিশ শাসনের পূর্বে মুঘল যুগকে নিশানা করা হচ্ছে। এই দেশের অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়, যে মুঘল-ভারতকে যেনতেন প্রকারেণ জাতীয় ইতিহাস থেকে ছেঁটে ফেলতে এবং তাকে একপ্রকার ‘বিদেশী শাসন’ হিসেবে তুলে ধরতে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী বদ্ধপরিকর।

স্বামী বিবেকানন্দ
রমণ মহর্ষি

দীর্ঘকাল মোঙ্গল ও মাঞ্চু শাসকরা চীন শাসন করেছে, ইংল্যান্ডের রাজ সিংহাসনে তো ফরাসী ও জার্মান বংশোদ্ভূত শাসকদের ছড়াছড়ি (ইংল্যান্ডের বর্তমান রাজ পরিবারের আদতে জার্মান)। মুঘলদের মতোই বাইরে থেকে এলেও এই রাজবংশগুলি এই দেশগুলির জাতীয় ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। তাঁরা মধ্যযুগীয় সামন্ততান্ত্রিক শাসক ছিলেন, এই সত্য মাথায় রেখেও দ্ব্যর্থহীন ভাবে বলা যায় মুঘল সম্রাটরা অনেকেই সাধারণ মানুষের নিকট জনপ্রিয় ছিলেন। জনৈক জৈন ব্যবসায়ী বারাণসীদাসের আত্মজীবনী অর্ধ-কথানক থেকে আমরা জানতে পারি সাধারণ মানুষ মুঘল সাম্রাজ্য ও সম্রাটদের কি চোখে দেখতেন এবং তা অবশ্যই কোনও বিদেশী সাম্রাজ্য হিসেবে না। স্বয়ং ছত্রপতি শিবাজীর বাদশাহ আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে রচিত পত্রও এই ইতিবাচক মনোভাবের সাক্ষ্য বহন করে। মুঘল সাম্রাজ্যকে যে দেশীয় সাম্রাজ্য হিসেবে দেখা হত, তার সর্বাপেক্ষা বৃহৎ প্রমাণ হল ১৮৫৭-এর মহাবিদ্রোহ। ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈ, তাঁতিয়া টোপি, নানা সাহেব সহ সকল বিদ্রোহীরা সর্ব-সম্মতিক্রমে বাহাদুর শাহ জাফরকে স্বাধীন ভারতের অধিপতি হিসেবে ব্রিটিশ শাসনের বিকল্প হিসেবে স্বীকার করে নেয়। সমস্যা হল, সংঘ কর্তৃক ঘৃণিত জনৈক ‘বাবরের ঔলাদ’ যদি স্বাধীনতার প্রথম লড়াই সিপাহী বিদ্রোহের মাথায় থাকে, তাহলে ‘দাসত্বের পর্যায়’-এর ভাষ্যটা টেঁকে না। এই কারণেই সিপাহী বিদ্রোহের অনুপ্রেরণা হিসেবে অনৈতিহাসিক ভাবে ভক্তি আন্দোলন ও কালপরিব্রাজক স্বামী বিবেকানন্দ ও রমণ মহর্ষির অবতারণা।

ঝাঁসির রানী
১৮৫৭-এর মহাবিদ্রোহ

আসলে ইতিহাস সাক্ষ্য প্রদান করে, যে কোনও উগ্র দক্ষিণপন্থী শক্তিরই সহজাত প্রবণতা হল ইতিহাসের বিকৃতি। এর কারণ হল, কোনও প্রকার জাতীয় মিথ ছাড়া অতি-দক্ষিণপন্থী ভাষ্য গঠন অসম্ভব। সেই মিথ হতে পারে হেরেনভক তত্ব, হতে পারে য়ামাতো জাতির গরিমা, হতে পারে রোমান সাম্রাজ্য নিয়ে বিকৃত দম্ভ। সমস্যা হল, ইতিহাসের আলোচনা কোনও সরল সোজা বিষয় না, তার পথ সবসময় অগ্রসর হয় এঁকেবেঁকে। ইতিহাসের অর্থ হল বর্তমানে দাঁড়িয়ে অতীতের পুনর্নির্মাণের প্রচেষ্টা। বর্তমান থেকে আমরা দেখার চেষ্টা করি অতীতকে। কিন্তু এই অতীতের প্রতিচ্ছবি আয়নায় দেখা স্পষ্ট প্রতিফলন নয়, পুকুরের জলে দেখা প্রতিবিম্বের মতো কম্পিত। এই কারণেই ইতিহাসের চর্চা করতে হয় ধীরে, সন্তর্পণে ও বস্তুনিষ্ঠ ভাবে। ঐতিহাসিক মাত্রই জানেন তাঁর জগৎ সাদাকালো নয়, বরং হাজার রকম ধূসরে পরিপূর্ণ। মুশকিল হল, জাতীয় মিথ নির্মাণ করতে হলে এই জটিলতার বা ধূসরের ধার ধারলে চলে না, কারণ শত্রু-মিত্র, নায়ক-খলনায়কের সাদা-কালো দুনিয়া তার একান্তই প্রয়োজন। প্রয়োজন নিজেকে সেই ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের রক্ষাকর্তা হিসেবে তুলে ধরারও।

এই জায়গা থেকেই উঠে আসে ইতিহাসকে বিকৃত করার প্রবণতা। দেশে দেশে এই বিকৃতি ফ্যাসিবাদীরা ঘটায়ও একই কৌশলে, প্রথমে তারা প্রতিপক্ষকে (সাধারণতঃ উদারপন্থী, মধ্য বামপন্থী ও কমিউনিস্টদের) ইতিহাস বিকৃতির দায়ে অভিযুক্ত করে এবং তারপর ‘বিকৃত ইতিহাস’ সঠিক করার নামে ইতিহাসকে নিজেদের মতো করে পাল্টে নিতে অগ্রসর হয়। আমাদের দেশ, ভারতবর্ষেও উগ্র-দক্ষিণপন্থীদের মধ্যে এই প্রবণতা দীর্ঘ সময় ধরে রয়েছে। ১৯৭০-এর দশক থেকেই এই ঝোঁক ক্রমশ গতি লাভ করে। বর্তমানে এই অপ-ইতিহাস চর্চা কোন পর্যায়ে এসে পৌছেছে, তা চেতনাশীল ভারতবাসী মাত্রই অবগত আছেন। তাজমহলকে শিবমন্দির দাবী করা হোক বা প্রাচীন ভারতে পরমাণু বোমা থেকে উড়োজাহাজের সন্ধান খুঁজে পাওয়া, অপ-ইতিহাস ও ভারতের শাসকগোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতায় তার চর্চার ইতিবৃত্ত দীর্ঘ। সাম্প্রতিক কালে আইআইটি খড়গপুর থেকে প্রকাশিত ক্যালেন্ডার নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হল, তা থেকেই স্পষ্ট এই অপ-ইতিহাস চর্চার বিষ ভারতের শিক্ষাব্যবস্থার ঠিক কোন স্তরে প্রবেশ করেছে। এরই নবতম সংযোজন প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরোর ‘নিউ ইন্ডিয়া সমাচার’-এ প্রকাশিত এই ক্ষমাহীন ঐতিহাসিক বিকৃতি।  

আগেই একথা বলা হয়েছে ইতিহাস কখনো সোজা রাস্তায় চলে না। ১৮৫৭-এর মহাবিদ্রোহ-এর মধ্যে দিয়ে যে প্রক্রিয়ার সূচনা হয়েছিল সেই প্রক্রিয়াই স্বাধীনতা উত্তর ৬৫০-এর অধিক দেশীয় রাজ্যের প্রজাতন্ত্রে অন্তর্ভুক্তিকরণের মাধ্যমে সম্পূর্ণ হয়। এই আধুনিক ধর্মনিরপেক্ষ-গণতান্ত্রিক ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের নির্মাণে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের উল্লেখযোগ্য কোনও ভূমিকাই ছিল না (এই সত্য এমনকি সঙ্ঘের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লেখা ওয়াল্টার কে. অ্যান্ডারসন এবং শ্রীধর ডি. দামলে রচিত ‘দ্য ব্রাদারহুড ইন স্যাফরন’ গ্রন্থেও অস্বীকার করা হয়নি)। ১৯৪২-এর আগস্ট আন্দোলনে কমিউনিস্ট পার্টির অংশগ্রহণ না করাকে হাতিয়ার করে সঙ্ঘ অনেক সময় কমিউনিস্টদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলে থাকে। মজার বিষয় হল অ্যান্ডারসন ও দামলে রচিত পূর্বে উল্লেখিত পুস্তকে আমরা দেখি বোম্বের স্বরাষ্ট্র বিভাগ তাদের ১৯৪২-এর আগস্ট আন্দোলনে অংশগ্রহণ নিয়ে বক্তব্য রাখছে - “…সংঘ অত্যন্ত সতর্ক ভাবে আইন মান্য করে চলেছে, এবং তারা বিশেষ করে ১৯৪২ সালের আগস্ট মাসের গন্ডগোলে কোনোপ্রকার অংশগ্রহণ করেনি…”, অপরদিকে ‘দেশদ্রোহী’ বলে সঙ্ঘ যে কমিউনিস্টদের সর্বদা আক্রমণ করে চলেন, তাঁদের সম্পর্কে আগস্ট আন্দোলনের পঞ্চাশ বছর উদযাপনকালে ১৯৯২ সালের ৯-ই আগস্ট রাষ্ট্রপতি শংকর দয়াল শর্মা পার্লামেন্টে তাঁর ভাষণে বলেন, ‘কানপুর, জামসেদপুর ও আমেদাবাদের মিলগুলিতে বৃহৎ আকারের ধর্মঘট হওয়ার পরে দিল্লি থেকে ১৯৪২ সালের ৫-ই সেপ্টেম্বর লন্ডনের স্বরাষ্ট্র সচিবের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা প্রেরিত হয় যাতে কমিউনিস্ট পার্টি সম্পর্কে বিবরণ দেওয়া হয় যে, তাদের সদস্যদের আচরণ দেখে তা-ই প্রমানিত হয় যা চিরকালই স্পষ্ট ছিল, এই দল ব্রিটিশ-বিরোধী বিপ্লবীদের নিয়ে গঠিত।‘  

বর্তমানে সঙ্ঘ ও ভারতীয় জনতা পার্টি নিজেদের দেশের একমাত্র দেশপ্রেমিক শক্তি হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে। যা তাদের বিরুদ্ধে তাই দেশদ্রোহী— এই ভাষ্যকে তুলে ধরতে তারা বদ্ধপরিকর। যে কোনও অতি-দক্ষিণপন্থী শক্তি নিজেদের দেশের ঐতিহ্য সংস্কৃতির একক রক্ষাকর্তা হিসেবে তুলে ধরতে চায়। তারা দাবি করে দেশপ্রেমের ও কে দেশপ্রেমী তা ঠিক করে দেওয়ার একচেটিয়া অধিকার। সঙ্ঘ ও কেন্দ্রীয় শাসকদলের সামনে এই দাবীর পথে প্রকৃত অন্তরায় হল দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস। এই কারণেই তার উপর এত আক্রমণ, তাকে বিকৃত করার এত প্রচেষ্টা। এর সঙ্গে রয়েছে ধর্ম সংসদ থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের গণহত্যার আহ্বান, নির্বাচনকে ৮০-২০-এর লড়াই বলে ধর্মীয় মেরুকরণের চক্রান্ত। সেই প্রেক্ষিতে মহাবিদ্রোহের সময় হিন্দু ও মুসলিম এই দুই সম্প্রদায় যা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছিল, সেই ইতিহাস বর্তমান শাসকেরওয়াল্টার কে. অ্যান্ডারসন এবং শ্রীধর ডি. দামলে রচিত ‘দ্য ব্রাদারহুড ইন স্যাফরন’ গ্রন্থেও অস্বীকার করা হয়নিএ হলাহলের ন্যায়। এই কারণেই ইচ্ছাকৃত বিকৃতি, মিথ্যা ইতিহাস প্রচারের এত আয়োজন।

এই ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাসকে রক্ষা করতে প্রত্যেক শুভবুদ্ধি সম্পন্ন ভারতীয়কে এগিয়ে আসতেই হবে। সমগ্র দেশের বিবেক নিয়ে যে পাঞ্জা লড়া চলছে, তাতে নিরপেক্ষ থাকার অবকাশ নেই।


শেয়ার করুন

উত্তর দিন