Logo oF Communism

এধরণের গ্রেফতারীর বিরোধিতা করুন - সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরোর বিবৃতি

সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর – ২০২০

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( মার্কসবাদী )’র পলিট ব্যুরো নিম্নলিখিত বিবৃতি জানিয়েছেঃ

ইউ এ পি এ’র ন্যায় দানবীয় আইনের প্রয়োগ করে যেভাবে উমর খালিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ঐ একই আইনের ধারায় নাতাশা নরওয়াল, দেবাঙ্গনা কলিতা (জে এন ইউ), ইশরত জাহান (কংগ্রেসের একজন প্রাক্তন কাউন্সিলার), আর জে ডি’র যুব নেতা এবং জামিয়ার ছাত্র মিরন হায়দার, আসিফ তানহা, সাফুরা জাগার এবং গুলফিশা ফাতিমা ও শিফর-উল-রহমান’দের গ্রেফতার করা হয়েছে।

একদিকে যখন কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপে বিজেপি’র উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্ব যারা ঘৃণা ছড়িয়েছেন এবং হিংসায় মদত জুগিয়েছেন তাদের সুরক্ষা দেওয়া চলছে তখনই আরেকদিকে সেই কেদ্রিয় সরকারের অধীনস্তে কাজ করা দিল্লি পুলিসের পক্ষ থেকে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে যুক্তদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় উস্কানি দেবার অভিযোগ তুলে গ্রেফতার করা শুরু হয়েছে। স্পেশাল ব্রাঞ্চের নাম করে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তর এবং পুলিশের পক্ষ থেকে সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের উপরে মিথ্যা অভিযোগে জড়িয়ে দেবার এই জবরদস্তি এখনই বন্ধ হওয়া উচিত।

একাধিক নিম্নতর আদালতের বিভিন্ন সময়কার পর্যবেক্ষণে একথা স্পষ্ট যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনোরকম সাক্ষ্যপ্রমান না থাকা সত্বেও তাদের ইউএপিএ ধারায় গ্রেফতার করার ফলে এদের সবরকম আইনি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে যাতে তারা কোনোভাবেই জামিন না পান। ভিন্নমত প্রকাশ করা সম্পর্কে গণতান্ত্রিক অধিকারের যে সাংবিধানিক স্বীকৃতি রয়েছে এই গ্রেফতারীর ঘটনায় সেই অধিকারের উপরে সরাসরি আঘাত সংগঠিত হল।

সংসদের ভিতরে এবং বাইরে (সারা দেশ জূড়ে) সিপিআই(এম) সিএএ-এনআরসি-এনপিআর’র বিরোধিতা করেছে। এই ঘটনায় সেই বিরোধিতার স্পষ্ট অবস্থানকে আরও একবার জোরের সাথে ঘোষণা করা হল। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যাদের উপরে অন্যায় নিপীড়ন নামিয়ে আনা হয়েছে তাদের সবার প্রতি সংহতি জানানো হচ্ছে। দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে যাদের উপরে ইউএপিএ ধারা প্রয়োগ করে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের সবাইকে অবিলম্বে মুক্ত করার দাবী জানাচ্ছে সিপিআই(এম)।

প্রকাশিত সাম্প্রতিক তথ্যাবলিতে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অধিনস্ত দিল্লী পুলিশ ইতিমধ্যেই দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার তদন্তের কাজে ভয়ংকর পক্ষপাতদুষ্ট মনোভাবের পরিচয় দিয়েছে, তাই, ঐ ঘটনায় একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির অধীনে স্বাধীন তদন্ত হওয়া অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে।
শেয়ার করুন

উত্তর দিন