পাঠক

খিদের মুখে বেড়ে দেওয়া একথালা ভাত যতই খিদে পাক না কেন গ্রাস গ্রাস করেই খেতে হবে, কিন্তু খিদে মেটাতে পুরো থালার ভাতটাই শেষ করতে হবে – মাও সে তুং’এর শিক্ষা। মার্কস চর্চাও ঐ সম্পূর্ণতার অভ্যাস ব্যাতিত সাফল্য দেবে না। লক্ষ্যে পোঁছাতে হলে সম্যক চর্চার পরিশ্রমসাধ্য পথই বেছে নিতে হয় – মার্কস নিজেই তাই করে গেছেন সারাজীবন ধরে। মতামত নির্মাণ – প্রতি মতামত নির্মাণ এবং সেই দুইয়ের যথাযথ সংশ্লেষে সিদ্ধান্ত গ্রহন, দ্বন্দ্বমূলক এবং ঐতিহাসিক বস্তুবাদের সার কথাটি ভুললে চলে না।
নাজিম হিকমতের লেখা কয়েকটা শব্দ অনেক কিছুই শিখিয়ে দেয়।”জেলে এলাম সেই কবে,তারপর দশবার সূর্য্যকে প্রদক্ষিণ করেছে পৃথিবী।পৃথিবীকে যদি বলো, সে বলবেকিছুই নয়, অনুমাত্র কাল। আমি বলবো – আমার জীবনের দশটা বছর। যে বছর জেলে এলাম একটা পেন্সিল ছিলো,লিখে লিখে ক্ষইয়ে ফেলতে এক সপ্তাহও লাগেনি।পেন্সিলকে জিগ্যেস করলে সে বলবে গোটা একটা জীবন।আমি বলব, এ আর এমনকি, একটা মাত্র সপ্তাহ।”
2 may 2021 Sundayভারত থেকে বিদেশে ওষুধ রপ্তানির মুখ্য এজেন্সী র নাম Pharmaceutical s Export Promotion Council of India. এই
কয়েকটি বুনিয়াদি সত্য আমাদের বারে বারে স্মরণে রাখতে হবে। ‘পুঁজি হচ্ছে মৃত শ্রম’। পুঁজিবাদ চিরকাল ব্যবহার করে মৃত শ্রমকে।
জো বাইডেনের আর্থিক প্যাকেজকে উন্নত ধনতান্ত্রিক দেশে বসবাসকারী বহু বামপন্থী সমর্থন জানিয়েছেন, তৃতীয় বিশ্ব এবং সেখানকার জনসাধারনের উপরে এই প্যাকেজ নীতির ফলে কি দুর্দশা নেমে আসতে পারে সেই নিয়ে এইসব বামপন্থীদের আরও একটু সংবেদনশীল হওয়া উচিত ছিল
শ্রেণীচিন্তাটাকে গুলিয়ে দিতেই একটা সময়ে একাংশের সংবাদমাধ্যম ধারাবাহিক ভাবে প্রচার করতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টালির চালের বাড়ি, মুড়ি খাওয়া, হরিণগাটার দুধের ডিপোতে দুধ বিক্রি করে পড়াশুনা করার মতো গল্পগুলি।এই সংবাদমাধ্যম গুলি কিন্তু এখন একটি বারের জন্যেও মুখ্যমন্ত্রী মমতার নিত্য হেলিকপ্টারে করে এপাড়া থেকে ওপাড়া যাওয়া আসার ঘটনাগুলির কথা বলেই না।
যুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষের মাঝে ধনী পুঁজিবাদী দেশগুলির এক শতাব্দীর পর মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সদ্যোজাত সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বলশেভিকরা নিয়েছিল অনেক বেশি বৈজ্ঞানিক, কার্যকরী একটি গণতান্ত্রিক নীতি।
যে কারণে, দারিদ্র ও মহামারির পুঁজিবাদী সমাজের পরিবর্তে আমরা আজও লড়ছি সমাজতন্ত্রের জন্য।