Lenin - Shantanu Dey

আমরা আজও লড়ছি সমাজতন্ত্রের জন্য

যুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষের মাঝে ধনী পুঁজিবাদী দেশগুলির এক শতাব্দীর পর মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সদ্যোজাত সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বলশেভিকরা নিয়েছিল অনেক বেশি বৈজ্ঞানিক, কার্যকরী একটি গণতান্ত্রিক নীতি।
যে কারণে, দারিদ্র ও মহামারির পুঁজিবাদী সমাজের পরিবর্তে আমরা আজও লড়ছি সমাজতন্ত্রের জন্য।

Lenin-Sridip Bhattacharya

যুগ সন্ধিক্ষণে কমরেড লেনিন আজ আরও প্রাসঙ্গিক

পুঁজিবাদের পতন ঘটিয়ে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ব্যাতিরেকে সমাধানের অতীত সংকট থেকে মানব সমাজ ও সভ্যতাকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। বিষয়ীগত (Subjective) উপাদানগুলিতে অনেক ধরণের দুর্বলতা বিরাজ করছে, সেই দুর্বলতা অতিক্রম করে দেশে দেশে সমাজতন্ত্রকে জয়যুক্ত করাই একমাত্র বিকল্প। এই লক্ষ্যে প্রতিটি দেশের বাস্তব পরিস্থিতিকে বিশ্লেষণ করেই বিপ্লবের কর্মপন্থা স্থির করতে হবে। সমস্ত ধরণের সংগ্রামের সুযোগকে কাজে লাগিয়েই এই লক্ষ্যে ধৈর্যের সাথে এগিয়ে চলা ছাড়া কমিউনিস্টদের সামনে অন্য কোন বিকল্প নেই। এই কর্তব্য পালনে কমরেড লেনিনের শিক্ষা অমূল্য সম্পদ। বর্তমান পরিস্থিতি, এই যুগ সন্ধিক্ষণে কমরেড লেনিন আজ আরও প্রাসঙ্গিক।

Liberalism

"মা নিষাদ প্রতিষ্ঠাং ত্বমগম" - কুশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার রাজনীতি

একাংশের পত্রপত্রিকাতে ইতিহাস চর্চার নামে অপইতিহাসকেই নিজস্ব আঙ্গিকের সন্দর্ভ দিয়ে প্রতিষ্ঠা করতে চায়।রবীন্দ্রনাথ থেকে অন্নদাশঙ্কর, কাজী আবদুল ওদুদ, রেজাউল করীম, অমর্ত্য সেন – সকলেই,মিছে হাসি খেলা, প্রমোদের ও মেলা , শুধু মিছে কথার ছলনা।এঁদের কাছে বামপন্থীদের উদ্দেশে কেবল অনুষ্টুপ ছন্দে অভিশাপ ই নির্গত হবে;” মা নিষাদ প্রতিষ্ঠাং ত্বমগম।” এঁদের কাছে একমাত্র কাম্য হল, যে কোনো উপায়ে মমতার পুনঃপ্রতিষ্ঠা।

Dalit Movement - Part 2

আজকের ভারতে দলিতদের আন্দোলন সংগ্রাম এবং বামপন্থা (২য় পর্ব)

ভারতে জাতিভেদ প্রথা কিভাবে কার্যকর তা সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে যথাযথ তাত্বিক বোঝাপড়া গড়ে উঠবে যদি আমরা তাদের রোজকার জীবন সংগ্রামের সাথে যুক্ত হতে পারি। সেই বৃহত্তর ঐক্যের জন্য বিভিন্ন গনসংগঠনের মাধ্যমে তফসিলি এবং দলিত সম্প্রদায়ের সাথে যথোপযুক্ত যোগাযোগ বজায় রেখে সঠিক রাজনৈতিক ইস্যুকে সামনে এনে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারি। সেই লক্ষ্যে এগোতে নতুন পরিপ্রেক্ষিত তৈরি হয়েছে। সেই সুযোগকে কার্যকরী করে তোলার দায়িত্ব আমাদের। এই প্রবন্ধে উল্লিখিত তিনটি লড়াইয়ের প্রসঙ্গ এবং সামাজিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে অন্যান্য সমস্ত ন্যায্য দাবীর ভিত্তিতে এক বিপ্লবী সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অ্যাজেন্ডাকে সামনে রেখে আমাদের এগোতে হবে।

Dalit Movement - Part 1

আজকের ভারতে দলিতদের আন্দোলন সংগ্রাম এবং বামপন্থা (১ম পর্ব)

নয়া উদারবাদী নীতি সবচেয়ে বড় আঘাত হেনেছে দলিতদের উপরেই। নয়া উদারবাদী নীতির বিরুদ্ধে যাবতীয় আন্দোলন-সংগ্রামে এই কারণেই দলিতদের বিভিন্ন অংশের আন্দোলন-সংগ্রাম এসে যুক্ত হচ্ছে।

বিজেপি'তে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার বিষয়টিই এখন আর এস এসের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

আদি বনাম নব বিজেপির সংঘাত দেশজুড়ে গৌতম রায় পশ্চিমবঙ্গের চলতি বিধানসভার ভোটে বিজেপি কে নিয়ে গোটা দেশেই একটা চাঞ্চল্য তৈরি

মানুষের অর্জিত স্বাধীনতা স্বৈরাচার আর ফ্যাসিস্টদের হাতে লাশ হতে পারে না

লাশ পড়ছে গণতন্ত্রের শমীক লাহিড়ী একটা নির্বাচন। ৫ জন মৃত। ৪৪ জন প্রার্থী আক্রান্ত। আক্রান্ত সাংবাদিকের সংখ্যা জানা যায়নি। আর

AIKS Statement

রাসায়নিক সারের দামবৃদ্ধির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান সারা ভারত কৃষক সভার

দুই মাস পূর্বেই ঘোষণা করা হয়েছিল রাসায়নিক সারের দাম বাড়ানো হবে না কারন তার ফলে চাষের কাজে কৃষকদের উৎপাদন খরচ (ইনপুট কস্ট) বেড়ে যাবে, এরই মধ্যে আইএফএফসিও ( ইন্ডিয়ান ফারমার্স ফার্টিলাইজারস কোঅপারেটিভ লিমিটেড) যেভাবে বর্ধিত দামের তালিকা প্রকাশ করেছে তা এক নিদারুন রসিকতা। এমনটা হতে পারছে কারন সার উৎপাদন ক্ষেত্রকে মোদী সরকার সম্পূর্ণরুপে বিনিয়ন্ত্রনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সার উৎপাদক সংস্থাগুলিও কৃষকদের প্রাপ্য ভর্তুকির অর্থ না দিয়েই সারের চড়া বিক্রয়মূল্য ধার্য করছে। মোদী সরকার কৃষকদের আয় দ্বিগুন করার কথা বলে কার্যত কৃষকদের দুর্দশা দ্বিগুন করে চলেছে

The Inculcable Oversights

অনবধানতার রাজনীতি

সরকারী ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে সুদ কমলে কি হয়? অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চিন্তায় জনসাধারণ সরকারী ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়ে অধিক সুদের ফাঁদে পড়ে বেসরকারি বিভিন্ন ফান্ডে (চিট ফান্ড যার মধ্যে অন্যতম) আমানত জমা করবেন। সেই সব বেসরকারি হাতে আমানত কতদূর সুরক্ষিত তা সবার জানা। আমাদের রাজ্যেই সারদা কেলেঙ্কারির সাম্প্রতিক উদাহরণ রয়েছে। বাজারে সংকট, বহু কর্পোরেট সংস্থা সরকারী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পালিয়ে গেছে – এই অবস্থায় জনসাধারনের সঞ্চিত অর্থকে ঘুরপথে বাজারে পূঁজির যোগান হিসাবে পরিণত করতে চাইছে মোদী সরকার। সারা দেশে পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন চলছে – এই অবস্থায় এমন বিজ্ঞপ্তি ক্ষমতাসীন দলের প্রতি জনরোষের জন্ম দেবে এটুকু বুঝতে মোদী সরকার অনবধানের ভুল করতেই পারে না। জনসাধারনের অর্থকে বিভিন্ন পন্থায় কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়া যাদের ধারাবাহিক কর্মসূচী সেই সরকার এমন সিদ্ধান্ত পুনরায় কার্যকরী করতে পারে এই কথা সবাইকেই মাথায় রাখতে হবে, নির্বাচনের সময় বলেই এমন সন্দেহ আরও বেশী কার্যকর।