১২৪এ: মোদী বনাম দেশ

মোদী সরকারের হলফনামায় চালাকি ছিল। বিশেষজ্ঞরা কেউ কেউ মনে করিয়েছেন যে আদালতে পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আবার আদালতকে সরেও যেতে বলা হয়েছে পুনর্বিবেচনা প্রক্রিয়ার থেকে। অর্থাৎ প্রশাসনিক স্তরে নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখে এই কাজ সারার আগ্রহ দেখাচ্ছে মোদী সরকার। নাগরিক স্বাধীনতার প্রতি দায়বদ্ধতার সঙ্গে অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বারবার প্রধানমন্ত্রীকে টেনে এনে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে সরকার নাগরিক স্বাধীনতার প্রশ্নে সংবেদনশীল।

Anis-Khan-DYFI

এখনই ক্রান্তিকাল - একটি পর্যালোচনা

এই ক্রান্তির ক্ষণে আবার বেজে উঠুক পাঞ্চজন্য। পিনাকীর ডম্বরুকেও স্তব্ধ করে নিক্ষিপ্ত হোক শ্লোগান। সমস্ত সর্দার আর রাজাদের ভ্রুকুটিকুটিল ক্রুরতার চোখে চোখ রেখে নন্দিনীর নিনাদ উঠুক আরেক বার। ইতিহাস সাক্ষী থাকুক।

শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞতা আমাদের যা শেখায়

শ্রীলংকায় যা হয়েছে তা আগামিদিনে যেকোনো দেশেই ঘটতে পারে। সরকারী ব্যয়বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া কিংবা জনকল্যানমুখী নীতিসমূহকে বাতিল করে দেওয়ায় আদৌ কোন সুরাহা হবে না যেমনটা কতিপয় ভারতীয় পর্যবেক্ষক আমাদের দেশের কিছু রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছেন। যা প্রয়োজন তা হল নয়া-উদারবাদের শিকল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা।

সংকটে শ্রীলঙ্কা - দায় কার?

রাজাপক্ষে সরকার করের পরিমাণ হ্রাস এবং পুঁজিপতিদের জন্য ব্যাপক সুবিধা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়। আর এইসব প্রতিশ্রুতি পালন করতে গিয়ে রাজস্ব সংগ্রহ হ্রাস পায়। ফলে বিদেশি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয় শ্রীলঙ্কা। খাদ্যে ভরতুকি ছাঁটাই করার খাদ্যশস্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। ইতিমধ্যে দেশের কৃষি ব্যবস্থা আক্রান্ত হয়ে পড়ে। ফলে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা আক্রান্ত হয়। এর সঙ্গেই যুক্ত হয় কোভিড সংক্রমণ।

PB Statement

পলিট ব্যুরোর বিবৃতি

সদ্য সমাপ্ত ২৩তম পার্টি কংগ্রেসের পরে নবগঠিত পলিট ব্যুরোর এটিই প্রথম বৈঠক। কাজ এবং দায়িত্ব বণ্টন সংক্রান্ত আলোচনায় যা নির্ধারিত হয়েছে সেইসব এই বছর ১৮-১৯ জুন কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে বিবেচনার জন্য পেশ করা হবে।

রবীন্দ্রনাথ ও ফ্যাসিবাদ

ফ্যাসিস্টদের প্রচার কৌশল ও বাক চাতুর্যে অনেক বিদ্বান মানুষও সাময়িকভাবে প্রভাবিত হয়ে পড়েছেন নানান সময়ে। ধীরে ধীরে সত্য উন্মোচিত হয়েছে। আমাদের দেশে এখন তাই হচ্ছে। তবে শুভ বুদ্ধির উদয় হবেই দ্রুত। অসত্যের উপর কোনকিছুই বেশী দিন দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনা।

ধর্ম ও রবীন্দ্রনাথ

এই ঘোর বেশি দিন টেকেনি। তিনি উপলব্ধি করলেন, নিজের সঙ্গে নিজের অদৃশ্য ব্যবধান তৈরি করে ফেলেছেন। সনাতন হিন্দুধর্ম আর হিন্দুতা নিয়ে গৌরববোধের এক তীব্র মোহ তাঁকে গ্রাস করেছে। এই মোহের অভেদ্য দুর্গের মধ্যে তিনি ‘মুক্তি’ খুঁজেছেন। এই মুক্তিচিন্তা তাঁর অন্তরাত্মাকে তৃপ্ত করতে পারেনি, তিনি শ্রেয়কে পাননি।

Marx and India Part II

কার্ল মার্কস ও ভারত প্রসঙ্গ (২য় পর্ব)

যতদূর সম্ভাবনার বিষয়টি বোঝা যাচ্ছে, মনে হচ্ছে ভারতে এক বিপ্লবী কর্মকাণ্ড শুরু হতে চলেছে। ইউরোপীয় সর্বহারা শ্রেণি যেভাবে উঠে আসছে তাতে এখনই তাদের পক্ষে ঔপনিবেশিক শাসন বিরোধী কোন যুদ্ধ সংগঠিত করা সম্ভব নয়, আর তাই ভারতের মতো দেশে এহেন বিদ্রোহের সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণ সুযোগ দিতেই হবে। আসন্ন বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে অনেককিছুই ধ্বংস হবে, কিন্তু বিপ্লবের পথে সেইসব ধংস্বকে এড়িয়ে গিয়ে সামনে এগোনো যায়

Marx And India Part I

কার্ল মার্কস ও ভারত প্রসঙ্গ (১ম পর্ব)

গ্রামীণ ভারতে এক স্বাভাবিক অর্থনীতি প্রচলিত ছিল, তার বাইরে শহর এবং বাজারগুলিতে পণ্য সঞ্চালিত হত। মনে রাখতে হবে, পুঁজিবাদী উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যে কোনো বিনিময়েই অর্থের ব্যবহার হয়, উৎপাদনের সব ক্ষেত্রেই পণ্য-নির্ভর অর্থনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়।

Somnath Bhattacharya on Marx 2022

সত্যের নিকটতম দর্শন মার্কসবাদ

পুঁজিবাদ শেষ হলেই মার্কসবাদের কাজ শেষ হয়ে যায় না। মার্কস এঙ্গেলস বর্ণিত সাম্যবাদী সমাজ অর্থাৎ সর্বাপেক্ষা মানবিক সমাজ গড়ে তুলতে হলে মার্কসবাদের হাত ধরে আমাদের আরও অনেক পথ হাঁটতে হবে। পুঁজিবাদ তাদের কাজ করুক আর আমরা জারি রাখি আমাদের পথ চলা