সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক সূর্য মিশ্রের বিবৃতি ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১কলকাতা গত ১১ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা ও কাজের দাবিতে কলকাতায় ছাত্রযুব

সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক সূর্য মিশ্রের বিবৃতি ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১কলকাতা গত ১১ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা ও কাজের দাবিতে কলকাতায় ছাত্রযুব
ভিমা কোরেগাঁও ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে তারিখ: বৃহস্পতিবার, ১১ই ফেব্রুয়ারি,২০২১ ভিমা কোরেগাঁও ঘটনায় আটক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলাগুলি
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ কলকাতা বাম ও বাম সহযোগী দলসমূহের পক্ষ থেকে বিমান বসুর বিবৃতি। আজকে বামপন্থী ছাত্রযুব সংগঠনগুলি এবং জাতীয়
সংকটের সময় কেন্দ্রীয় সরকার নির্লজ্জের ন্যায় শুধু যে নিজের ব্যায়বরাদ্দ কমিয়েছে তাই নয়, জিএসটি বাবদ ক্ষতিপূরণের যে অর্থ রাজ্য সরকারগুলির ন্যায্য পাওনা ছিল তাকেও বকেয়া রেখে দিয়েছে। অত্যন্ত লজ্জার হলেও এটাই সত্য যে আজ সারা পৃথিবীতে ভারতের অবস্থান সেইসব দেশের সাথে যারা মহামারী চলাকালীন জনকল্যানে নিজেদের ব্যায়বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে। কেবলমাত্র একটি প্রেক্ষিত বিচার করলেই নরেন্দ্র মোদীর তুলনায় জো বাইডেনের অবস্থানগত ফারাক স্পষ্ট হয়ে যায়।
দিল্লির বুকে প্রায় আড়াই মাস ধরে সারা ভারত কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি ও সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার আহবানে সরকারী দমনপীড়নের কর্মসূচীকে ব্যর্থ করে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলন চলছে। কৃষক আন্দোলনের দাবি, দেশের কৃষকবিরোধী ৩টি আইন প্রত্যাহার করতে হবে এবং বিদ্যুৎ বিল বাতিল করতে হবে।
যুক্ত থাকুন আমাদের সাথে, তুলে ধরুন করোনাকালে স্বজন হারানো মানুষের কথা। সামাজিক না, করোনা মোকাবিলার সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনে বজায় রাখুন শারীরিক দূরত্ব। গড়ে তুলুন সামাজিক ঐক্য। করোনার বিরুদ্ধে, করোনা মোকাবিলার যাবতীয় ত্রুটি-বিচ্যুতি-অবহেলার বিরুদ্ধে, মানুষের লড়াইকে আরো শক্তিশালী করে তুলুন।
কৃষকদের প্রতিবাদ আন্দোলনকে উৎখাত করতে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ দিল্লী পুলিশ কৃষকদের অভুক্ত রাখার উদ্দেশ্যেই এমন অমানবিক আচরণ করছে। কৃষকদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এমন জঘন্য আচরণ করলেও সরকার কিছুতেই তাদের প্রতিবাদের কণ্ঠরোধ করতে পারবে না। তাদের এই দৃঢ় এবং অকুতোভয় মনোভাবে উদ্বুদ্ধ হয়ে আন্দোলনের ময়দানে শক্তিবৃদ্ধি করতে প্রতিদিন আরও অনেক কৃষকের সমাগম হচ্ছে
করোনা সংক্রান্ত খাতে সরকারী খরচ অনেক আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, কেবলমাত্র প্রতিষেধকের জন্য খরচটুকুই সরকারের ব্যায় হিসাবে এখন প্রয়োজন। এখন যে প্রসঙ্গে সরকারের অনেক বেশী পরিমানে ব্যায়বরাদ্দ করা প্রয়োজন তা হল মোটের উপর অর্থনৈতিক সংকট যার প্রধান খাতগুলি হল ধ্বংসপ্রাপ্ত কর্মসংস্থানের চেহারা, জীবন – জীবিকার সুরক্ষা, জনগণের আয় বৃদ্ধি এবং বাজারে চাহিদা হ্রাস পাওয়ার মোকাবিলা করা। যেভাবে সরকার গতবারের ব্যায়বরাদ্দের খরচ বকেয়া রেখেছে, এবং এবারের বাজেটেও ব্যায়বরাদ্দে কাটছাঁট করেছে তাতে বলাই যায় জনগণের উপরে এক বিপর্যয় নেমে আসতে চলেছে। এর ফলে জনগনের দুর্দশা বাড়বে এবং বৈষম্য বাড়িয়ে দেবে যার জন্য ইতিমধ্যেই ভারত সারা পৃথিবীতে সুপরিচিত।
আগামী দিনে প্রচারের মূল লক্ষ্যই হবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে বিজেপি-কে পরাস্থ করা এবং কেরালায় সিপিআই(এম)-এর নেতৃত্বে বাম গনতান্ত্রিক সরকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করা, পশ্চিমবঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষ, গনতান্ত্রিক বিকল্প বামপন্থী সরকারের প্রতিষ্ঠা, তামিলনাড়ুতে বিজেপি – এআইএডিএমকে জোটকে পরাস্থ করে ডিএমকে’র নেতৃত্বে ফ্রন্টের জয় এবং আসাম বিধানসভায় আরও বেশী পার্টির প্রভাব বিস্তার করা।
ভারতে সাধারণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে ২৬শে জানুয়ারি,২০২১ দেশের সাধারণতন্ত্র দিবসের দিনে সারা ভারত এবং গোটা পৃথিবী সাক্ষী রইল এক ঐতিহাসিক