অ্যাপের সুরক্ষাবিধিকে দুর্বল করে দিয়ে জনগনের ব্যাক্তিগত মেসেজের তথ্যকে সরকারের পক্ষে নজরদারি চালানোর লক্ষ্যে সহজলভ্য করে দেওয়ার আইন এক ভয়ানক এবং পশ্চাদপদ মানসিকতার পরিচয় দেয়। নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকারকে লঙ্ঘন করে এহেন আইন আসলে এক শক্তিশালী পুলিশি রাষ্ট্রের অভিমুখে এগোনোর পথে চলা। সিপিআই(এম)-এর পলিট ব্যুরো এমন সকল আইন অবিলম্বে খারিজ করার দাবী জানাচ্ছে।
Author: Souvik Ghosh
প্রকৃতির প্রকোপ থেকে বাঁচানোর লড়াইয়ের সাথেই বানভাসি মানুষকে সংকীর্ণ রাজনীতির হাত থেকেও বাঁচাতে হবে
সুন্দরবন এলাকার সব মানুষকে একটা দাবিতেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে – সুন্দরবনে পাকা নদীবাঁধের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে অর্থ দিতে হবে। রাজ্য সরকারকে স্বচ্ছতার সাথে এই মেরামতের কাজ করতে হবে।
দেশহিতৈষীর অনলাইন সংস্করণ
২১ মে ২০২১ (৫৮ বর্ষ ৪০ সংখ্যা) থেকে ‘দেশহিতৈষী’ মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকছে। কিন্তু পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ যথারীতি প্রকাশিত হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘দেশহিতৈষী’ মুদ্রিত আকারেও নিয়মিত প্রকাশিত হবে
লকডাউনঃ অর্থনীতির এক বিপজ্জনক পরিণতি
কিন্তু মোদি সরকার যেমন ভীতু তেমনি অপদার্থ। এই চূড়ান্ত অর্থনৈতিক সঙ্কটকালেও সরকার ব্যয়সঙ্কোচনের নীতি আঁকড়ে চলতে চায় বলেই তার মত, এই নীতি দেশকে এক বিপজ্জনক পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে।
প্রধান বিরোধী দলগুলির যৌথ বিবৃতি
নিজেদের একগুঁয়েমি পরিত্যাগ করে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এখনই সমস্যার সমাধা করতে সংযুক্ত কিষান মোর্চার সাথে আলোচনায় বসা।
আজকের সময় এবং মানুষের স্বার্থে বিকল্পের লড়াইতে বামপন্থীদের অগ্রণী ভূমিকা
আগামী দিনে তৃনমূলের চরিত্র বদলে যাবে না। অন্যদিকে বিজেপি তার নির্বাচনী সমর্থনকে ক্রমাগত সাম্প্রদায়িক খাতে সংঘঠিত করার চেষ্টা করে যাবে। সমাজের বৃহত্তর শ্রমজীবী জনগন তৃনমূল সরকারের কার্যকলাপের প্রতিবাদে সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিবাদী শক্তির হাত ধরবে না লাল ঝাণ্ডা কাঁধে তুলে নেবে আগামী দিনে তা ঠিক হবে বামপন্থীদের এই লড়াইতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার উপর।
চিলিতে দক্ষিনপন্থা মানুষের সমর্থন আদায়ে ব্যার্থ
আরও একবার প্রমান হল আগ্রাসী দক্ষিনপন্থার রাজনীতি যতই কৌশল নিক, একজোট হওয়া মানুষ চাইলে জনগণের স্বার্থরক্ষা হবেই, জনগণকে কেউ পরাজিত করতে পারবে না।
দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপি-র মতাে ভয়ংকর শক্তিকে মােকাবিলা করা যায় না : পার্টির রাজ্য সম্পাদকের বিবৃতি
এখন করােনা মহামারি মােকাবিলাই প্রধান কাজ। কেন্দ্রীয় সরকারের সার্বিক ব্যর্থতা দেশের জনগণকে এক ভয়ংকর বিপদের মধ্যে নিক্ষেপ করেছে। বিজেপি-র মনে রাখা উচিত সদ্য রাজ্যের মানুষ যে তাঁদের সরকারে চায় না, স্পষ্টভাবে সেই রায় দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীরও মনে রাখা উচিত যে এই রায় বিজেপি-র বিরুদ্ধে হলেও তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি ও স্বৈরশাসনের পক্ষে ইতিবাচক রায় নয়। দুর্নীতির সঙ্গে আপােষ করে, দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপি-র মতাে ভয়ংকর শক্তিকে যে মােকাবিলা করা যায় না এই শিক্ষা তৃণমূল কংগ্রেসেরও গ্রহণ করা উচিত।
রাজ্যে লকডাউন ঘোষণায় পার্টির রাজ্য সম্পাদকের বিবৃতি
২০২০ সালে লকডাউনের নিষ্ঠুর ও মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা সকলের হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের জন্য আবার লকডাউনের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে জনগণকে আর্থিক ও চিকিৎসাগত সহায়তা দানের ঘোষণারও প্রয়োজন ছিল। কর্মহীনতা, জীবিকা ও কর্মস্থান থেকে ছাঁটাই এখন মারাত্মক অবস্থায়; আরও শোচনীয় অবস্থার দিকে তা যাচ্ছে। এ সময়ে কর্মচ্যুত ও কর্মহীনদের মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং দৈনিক পাঁচ কেজি করে চাল-গম দেবার অত্যন্ত জরুরি দাবি পূরণ করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও এ জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তার দাবি জানাতে হবে।
পার্টির ধারাবাহিক এবং জটিল কাজের সাথে যুক্ত হন, সংগঠনকে আরও মজবুত করুন
সিপিএম-র নিশ্চয় দুর্বলতা আছে, সাংগঠনিক ও কৌশলগত ত্রুটিও আছে। নির্বাচনী পরাজয়ে তার মুখ্য দায়ও আছে। কিন্তু সার্বিক ভাবে সেই সমস্যার বিশ্লেষণ করা, সমাধান খোঁজা এবং প্রয়োগের কাজ ধারাবাহিক ও জটিল। আপনি যদি বামপন্থীদের নির্বাচনী পরাজয়ের সমব্যথী হন তাহলে নির্বাচনী পরাজয়ের পর সমস্যা গুলো সিপিএম নেতৃত্বের বা সদস্যদের উপর চাপিয়ে না দিয়ে বরং আসুন সেই ধারাবাহিক ও জটিল প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করুন। দয়া করে ফেসবুকে কিম্বা মিডিয়াতে টেনিদা সেজে হতাশার চাষ করবেন না।