সভ্য সমাজে এমন বর্বরোচিত ঘটনার কোন জায়গা নেই, এমন নৃশংস ঘটনায় সমাজের উপরে কুপ্রভাব পড়ে। কোন পরিস্থিতির অজুহাতেই এহেন হত্যালীলা সমর্থনযোগ্য নয়।
Author: Souvik Ghosh
শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞতা আমাদের যা শেখায়
শ্রীলংকায় যা হয়েছে তা আগামিদিনে যেকোনো দেশেই ঘটতে পারে। সরকারী ব্যয়বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া কিংবা জনকল্যানমুখী নীতিসমূহকে বাতিল করে দেওয়ায় আদৌ কোন সুরাহা হবে না যেমনটা কতিপয় ভারতীয় পর্যবেক্ষক আমাদের দেশের কিছু রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছেন। যা প্রয়োজন তা হল নয়া-উদারবাদের শিকল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা।
সংকটে শ্রীলঙ্কা - দায় কার?
রাজাপক্ষে সরকার করের পরিমাণ হ্রাস এবং পুঁজিপতিদের জন্য ব্যাপক সুবিধা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়। আর এইসব প্রতিশ্রুতি পালন করতে গিয়ে রাজস্ব সংগ্রহ হ্রাস পায়। ফলে বিদেশি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয় শ্রীলঙ্কা। খাদ্যে ভরতুকি ছাঁটাই করার খাদ্যশস্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। ইতিমধ্যে দেশের কৃষি ব্যবস্থা আক্রান্ত হয়ে পড়ে। ফলে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা আক্রান্ত হয়। এর সঙ্গেই যুক্ত হয় কোভিড সংক্রমণ।
পলিট ব্যুরোর বিবৃতি
সদ্য সমাপ্ত ২৩তম পার্টি কংগ্রেসের পরে নবগঠিত পলিট ব্যুরোর এটিই প্রথম বৈঠক। কাজ এবং দায়িত্ব বণ্টন সংক্রান্ত আলোচনায় যা নির্ধারিত হয়েছে সেইসব এই বছর ১৮-১৯ জুন কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে বিবেচনার জন্য পেশ করা হবে।
রবীন্দ্রনাথ ও ফ্যাসিবাদ
ফ্যাসিস্টদের প্রচার কৌশল ও বাক চাতুর্যে অনেক বিদ্বান মানুষও সাময়িকভাবে প্রভাবিত হয়ে পড়েছেন নানান সময়ে। ধীরে ধীরে সত্য উন্মোচিত হয়েছে। আমাদের দেশে এখন তাই হচ্ছে। তবে শুভ বুদ্ধির উদয় হবেই দ্রুত। অসত্যের উপর কোনকিছুই বেশী দিন দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনা।
কার্ল মার্কস ও ভারত প্রসঙ্গ (২য় পর্ব)
যতদূর সম্ভাবনার বিষয়টি বোঝা যাচ্ছে, মনে হচ্ছে ভারতে এক বিপ্লবী কর্মকাণ্ড শুরু হতে চলেছে। ইউরোপীয় সর্বহারা শ্রেণি যেভাবে উঠে আসছে তাতে এখনই তাদের পক্ষে ঔপনিবেশিক শাসন বিরোধী কোন যুদ্ধ সংগঠিত করা সম্ভব নয়, আর তাই ভারতের মতো দেশে এহেন বিদ্রোহের সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণ সুযোগ দিতেই হবে। আসন্ন বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে অনেককিছুই ধ্বংস হবে, কিন্তু বিপ্লবের পথে সেইসব ধংস্বকে এড়িয়ে গিয়ে সামনে এগোনো যায়
কার্ল মার্কস ও ভারত প্রসঙ্গ (১ম পর্ব)
গ্রামীণ ভারতে এক স্বাভাবিক অর্থনীতি প্রচলিত ছিল, তার বাইরে শহর এবং বাজারগুলিতে পণ্য সঞ্চালিত হত। মনে রাখতে হবে, পুঁজিবাদী উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যে কোনো বিনিময়েই অর্থের ব্যবহার হয়, উৎপাদনের সব ক্ষেত্রেই পণ্য-নির্ভর অর্থনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
সত্যের নিকটতম দর্শন মার্কসবাদ
পুঁজিবাদ শেষ হলেই মার্কসবাদের কাজ শেষ হয়ে যায় না। মার্কস এঙ্গেলস বর্ণিত সাম্যবাদী সমাজ অর্থাৎ সর্বাপেক্ষা মানবিক সমাজ গড়ে তুলতে হলে মার্কসবাদের হাত ধরে আমাদের আরও অনেক পথ হাঁটতে হবে। পুঁজিবাদ তাদের কাজ করুক আর আমরা জারি রাখি আমাদের পথ চলা
দারিদ্র্যের দর্শনের জবাবে দর্শনের দারিদ্র
মানব মুক্তির প্রকৃত দিশা নির্ধারণে যে দর্শনশাস্ত্র অপারগ, তাকে শেষ বিদায় জানানোর সময় এসেছে। যদিও প্রুধোঁর মতবাদের জবাবে মার্কস যা লিখলেন তাকে আরও কুড়ি বছর পরে প্রকাশিত ক্যাপিটালের দার্শনিক, অর্থনৈতিক ভ্রূণ বলা চলে। প্রুধোঁর দারিদ্র্যের দর্শনের বিরুদ্ধে ১৮৪৭ সালের জুলাই মাসে ব্রাসেলস এবং প্যারিস থেকে প্রকাশিত হল মার্কসের লেখা ‘দর্শনের দারিদ্র’, পভার্টি অফ ফিলোজফি শিরোনামে
বিদ্রোহী সত্যজিৎ
একটি বস্তুকে জানা মানে হচ্ছে বস্তুর সঙ্গে চিন্তার সংগতি ঘটাবার এক অন্তহীন প্রক্রিয়া। মানুষের মনে প্রকৃতির যে প্রতিফলন ঘটে তা প্রাণহীন নয়, বিমুর্ত নয়, নিশ্চল নয়, দ্বন্দ্বহীন নয়। তা গতিশীল। তার মধ্যে দ্বন্দ্ব-উপস্থিত হয় এবং সে-দ্বন্দ্বের সমাধানও বেরিয়ে আসে