এক কদর্য কৃপণতা যা অর্থনীতির প্রেক্ষিতে নিরর্থক - প্রভাত পট্টনায়েক

ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় জনগণের পাশে দাঁড়াতে আরও কয়েকধাপ এগোতে সক্ষম, এক্ষেত্রে রাজকোষ ঘাটতির দুশ্চিন্তা অমুলক।

সারা দেশে যেভাবে তিন সপ্তাহব্যাপি লকডাউন জারী করা হয়েছে তা কিছুটা বাড়াবাড়ি কিনা সে নিয়ে বিতর্ক করাই চলে। আরও ব্যাপকহারে পরীক্ষা চালানো, জনজীবনে দুরত্ব বজায় রাখার ব্যাবস্থা, বয়স্কদের জন্য ব্যাক্তিগত স্তরে অন্তর্লিন থাকার ব্যাবস্থা এবং সংক্রমনে আক্রান্ত নির্দিষ্ট অঞ্চল চিহ্নিত করে সেইজায়গাতে লকডাউনের ব্যাবস্থা করা (যেমন চীনের সরকার উহান অঞ্চলের জন্য প্রয়োগ করেছিল) এইসব কিছুই হয়ত মহামারীর মোকাবিলায় যথেষ্ট হতো। এই নিয়ে বিতর্ক চালানো গেলেও একথা নিশ্চিতরুপেই বলা যায় যে সার্বিক লকডাউন কোনোরকম বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা ছাড়াই জারী করা হয়েছে।


দুর্যোগের সময়ে জনগণের অবস্থার উন্নতিকল্পের উদ্দেশ্যে যথেষ্ট ব্যবস্থা সরকারকে করতেই হবে। বিভিন্ন জায়গা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকেরা যেভাবে দলে দলে ঘরে ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছেন তার ব্যাখ্যায় সুপ্রিম কোর্টে সরকার যেরকম জানিয়েছে সেই ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়া আদৌ সত্যি নয়, বরং তারা এভাবে বেরিয়ে পড়েছেন নিজেদের রক্ষা করার মরিয়া চেষ্টাতেই। যদিও অর্থমন্ত্রকের তরফে কিছু ঘোষণা এই প্রসঙ্গে করা হয়েছে কিন্তু ৩৬ ঘন্টার লকডাউনের পড়ে সেই সব প্রয়োজনের তুলনায় অনুমাত্র।

একটি তুলনামূলক চিত্রঃ

মহামারীর প্রকোপে আক্রান্ত গরীব শ্রমজীবীদের পাশে দাঁড়াতে এবং এই অবস্থায় তাদের কল্যানে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলির মধ্যে ভারতের অবস্থান এমন জায়গায় যা এক্ষেত্রে তার উদাসীনতা এবং দানবীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের স্বরুপ চিনিয়ে দিচ্ছে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় এই লকডাউনের সময়ে কিছুদিনের মধ্যেই আমেরিকায় নিজেদের বেকার হিসাবে ঘোষণা করা মানুষের সংখ্যা ২.৮ লক্ষ থেকে বেড়ে ৬.৬ মিলিয়নে পরিণত হয়েছে। এই সংকটের সময়ে তাদের পাশে থাকতে আমেরিকার সরকার দেশের জিডিপি’র প্রায় ১০% বেকারদের কল্যানের জন্য খরচ করছে। একই সময়ে ভারতে অর্থমন্ত্রীর এই একই কাজে ঘোষণা করা আর্থিক প্যাকেজ আমাদের দেশের জিডিপি’র ১% চেয়েও কম এবং এর মধ্যেও বেশিরভাগই সেই সমস্ত প্রকল্পে যেগুলি আগে থেকেই চলছে। ঘোষণা অনুযায়ী নতুন ভাবে সমস্যা মোকাবিলায় যেটুকু অর্থবরাদ্দ হয়েছে তার পরিমান ১.৭ লক্ষ কোটি টাকার অর্ধেকের চেয়ে সামান্য বেশি।

পাশাপাশি একথাও মনে রাখতে হবে সরকারের একটি ঘোষণাতেও পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্যের উদ্দেশ্যে কিছুই নেই; এদের বেশিরভাগেরই রেশন কার্ড নিজেদের ঘরে পড়ে রয়েছে, হাতে নেই – অথচ এদের জন্য কোনোরকম বাড়তি খাদ্যশস্যের যোগান দেবার কাজটুকুও করা হয়নি। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেক লেখালেখি হয়েছে, তাই একই বিষয়ে আর পুনরাবৃত্তির প্রয়োজন নেই।

কি করা যেতে পারেঃ

আমি প্রধানত যে কথা উল্লেখ করতে চাইব তা হল সরকার এই ক্ষেত্রে এমনই এক কদর্য কৃপণতা দেখাচ্ছে যা অর্থনীতির প্রেক্ষিতে একেবারেই নিরর্থক। ইতিমধ্যেই অনেক অর্থনীতিবিদ এবং সুশীল সমাজের সক্রিয় প্রতিনিধিরা এই সংকটের মোকাবিলায় দেশের গরীব জনতার ৮০%’র জন্য আগামী দুই মাস ৭০০০ টাকা করে দেবার দাবি জানিয়েছে, একইসাথে তাদের জন্য খাদ্যশস্য এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রিকে রেশনের মাধ্যমে পৌঁছে দেবার কথাও বলা হয়েছে। এটুকু নগদ টাকা তাদের হাতে পৌঁছে দিতেই প্রায় ৩.৬৬ লক্ষ কোটি টাকা সরকারকে খরচ করতে হবে যা অর্থমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঐ একইধরণের ঘোষণায় বরাদ্দকৃত অর্থের ১০ গুনের চেয়েও বেশি। নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, সুশিল সমাজের পক্ষ থেকে এই সংকটের সময়ে গরীব জনতার কল্যানে সরকারকে যা কিছু পদক্ষেপ নিতে বলা হচ্ছে সেইসব করতে সরকারের পদ্ধতিগত সমস্যা থাকতে পারে কিন্তু আর্থিক সমস্যা একেবারেই নেই।

লকডাউন চলাকালীন অপর্যাপ্ত আর্থিক অনুদানঃ

যদি ধরেও নেওয়া হয় এই সময়ে এধরণের খরচের ফলে সরকারি রাজকোষে কিছুটা টান পড়তে পারে তাহলেও যেভাবে অর্থনীতির দোহাই পেড়ে সেই ঘাটতিকে ভয়ানক কিছু বলে জাহির করা হচ্ছে সেরকম কিছুই হবে না। এক্ষেত্রে খরচের ধাক্কা দুভাবে প্রভাব ফেলতে পারে, এক মুদ্রাস্ফিতির উপরে এর প্রভাব এবং দুই নগদ লেনদেনের ক্ষেত্রে খুচরো টাকার ঘাটতি তৈরি হয়ে। দেখে নেওয়া যাক, দুই ক্ষেত্রেই এর প্রভাব কতটা কি হতে পারে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীসমুহের যোগানে যতক্ষণ অবধি টান না পড়ছে এবং এইসবের সরবারহ যদি গনবন্টন ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে করা হয় যাতে তা মুদ্রাস্ফিতির প্রভাবমুক্ত থাকে আবার বেশিরভাগ মানুষের কাছেও পৌঁছে যায় তাহলে সাধারণ মুদ্রাস্ফিতির সমস্যা খুব একটা বড় প্রভাব ফেলতে পারবে না। ভারত এই মুহূর্তে এই অবস্থাতেই রয়েছে।

খাদ্যশস্যের প্রাচুর্যঃ

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং খাদ্যশস্যের অঢেল যোগান রয়েছে। এই মুহূর্তে সরকারের হেফাজতে ৫৮ মিলিয়ন টন খাদ্যশস্য রয়েছে যার মধ্যে এখনকার সংকট মোকাবিলা করতে যোগানের জন্য ২১ মিলিয়ন টন খাদ্যশস্য দরকার হবে, অর্থাৎ এরপরেও ৩৭ মিলিয়ন টন খাদ্যশস্য উদ্বৃত্ত থাকবে যা গনবন্টন ব্যাবস্থাকে শক্তিশালী করে মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়াই যাবে আবার মুদ্রাস্ফিতির মোকাবিলায় তা সহায়ক ভূমিকা নেবে।

এই মুহূর্তে রবিশস্যের উৎপাদন ভালই হচ্ছে ধরে নেওয়া যায়, অন্তত যতক্ষণ সেই কাজ সুরক্ষিত উপায়ে করা হবে। এর ফলে সরকারের খাদ্যশস্যের মজুতভান্ডার আবার পুষ্ট হবে। কিছু জায়গায় ক্ষেতে কাজ করার মজুরের অভাব রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। এটি একধরনের সাময়িক সমস্যা যা লকডাউন শিথিল হলেই মিটে যাবে। যদি তারপরেও সমস্যা থাকে তবে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ রোজগার নিশ্চয়তা আইনের এক্তিয়ার বিস্তৃত করে যেসব জায়গায় ফসল ফলানো অথবা ফসল কাটার কাজে মজুর নিয়োগ করতে সমস্যা হচ্ছে তা মিটিয়ে ফেলা যায়।

একইভাবে পণ্যোৎপাদন পদ্ধতিতে নির্মিত নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর যোগান দেওয়ার ব্যাবস্থা যা সবসময়ই চাহিদা নির্ভর ব্যাবস্থা তাকে ঠিক রাখতে আগামী দিনের বাড়তি চাহিদাই সক্ষম হবে, একান্ত প্রয়োজনে পণ্য আমদানি ব্যাবস্থাকে সময়োপযোগী করেও সেই সমস্যার সমাধান করা যায়। সংক্ষেপে বললে যা দাঁড়ায় তা হল রাজকোষে ঘাটতির জন্য আগামিদিনে ভয়ংকর মুদ্রাস্ফিতি তৈরি হতে যাচ্ছে এরকম কোন দুশ্চিন্তার কারণ নেই।

লকডাউন লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী মানুষকে উৎখাত করেছেঃ

এই প্রসঙ্গে কিছু বাড়তি আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। চাহিদার প্রাথমিক পর্যায়ে বৃদ্ধি শেষ অবধি সামগ্রিক চাহিদাকেই বাড়িয়ে দেয়। এই প্রাথমিক পর্যায়ের বৃদ্ধিকে রাজকোষ ঘাটতি দিয়ে মেটাতে হয়। এক্ষেত্রে প্রাথমিক স্তরের চাহিদা পরবর্তীকালের সামগ্রিক চাহিদার চেয়ে কয়েক গুন বেশি হয়। এখন আমাদের দেশ যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলছে তাতে লকডাউন উঠে গিয়েও যদি সঠিকভাবে জনজীবনে দুরত্ব বজায় রাখার নীতি ধরে রাখা যায়, বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে আপাতত রাশ টেনে ধরা হয় তবে এখনকার প্রাথমিক স্তরের চাহিদা পরবর্তীকালের সামগ্রিক চাহিদার কয়েকগুন হবার যে তাত্বিক হিসেব উল্লেখ করা হয়েছে তার তুলনায় বাস্তবে অনেকটাই কম হবে। সামগ্রিকভাবে চাহিদার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ ব্যাবস্থা বজায় রাখতে পারলে জনগণের ক্রয়ক্ষমতা একই স্তরে থাকবে এবং এই ব্যাবস্থা আরেকদিকে মুদ্রাস্ফিতি রোধ করতেও এক স্বয়ংক্রিয় ব্যাবস্থা হিসাবে কার্যকরী হবে।

নিশ্চিতভাবেই এই ব্যাবস্থার ফলে কিছু একান্তই কম প্রয়োজনীয় পন্যের যোগানের ক্ষেত্রে বাজারে ঘাটতি দেখা দেবে, সেইসব ঘাটতির ক্ষেত্রে গোপন মজুতভান্ডার তৈরি হবার ঘটনাও ঘটবে। কিন্তু একথাও মনে রাখতে হবে যেহেতু এধরনের ঘাটতি একান্তই সাময়িক এবং যার কারনে এই ঘাটতি সেই মহামারী খুব বেশিদিন চলবে না বলেই আশা করা যায়, সুতরাং সেইসব গোপন মজুতভান্ডারও সময়ের সাথে সাথেই অচল হয়ে ভেঙ্গে পড়বে।

ঘাটতি বিষয়ক আলোচনাঃ

একথা ঠিক যে মুদ্রাস্ফিতির প্রভাব সম্পর্কে যতদূর হিসাব করা যাচ্ছে তা যদি আরও বেশিদিনের জন্য স্থায়ী হয় অথবা মুদ্রাস্ফিতির হার আরও বাড়ে তবে তার ফলে গনবন্টনের আওতার বাইরে থাকা পণ্যসামগ্রীর ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধির হার অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে কিন্তু সরকার সেই ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতামূলক ব্যাবস্থা নিতেই পারে। যেমন পেট্রলিয়াম পন্যের দাম কমিয়ে দেওয়া। সারা পৃথিবীতেই তেলের দাম ক্রমশ কমছে – এই অবস্থার সুযোগ নিয়েই সেই কাজ করা যাবে। সুতরাং রাজকোষের ক্ষেত্রে বড়সড় কোন ঘাটতি মুদ্রাস্ফিতির ক্ষেত্রে উদ্বেগজনক কোন প্রভাব ফেলতে পারবে না।

রাজকোষ ঘাটতির সাথে অনুষঙ্গ হিসাবে নগদ লেনদেনের ক্ষেত্রে খুচরো টাকাপয়সার ঘাটতির সম্ভাব্যতা নিয়ে যেসব অর্থনৈতিক তরজা চলছে তার আসল কারণ হল বিভিন্ন বিনিয়োগকারীর মনে এই নিয়ে ভয় ঢুকেছে। সেই ভয়ের প্রভাব ইতিমধ্যেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ভারতীয় টাকার দাম পড়তে শুরু করেছে। এই অর্থনৈতিক অবস্থার কারণ আদৌ রাজকোষ ঘাটতি নয়, যখনই বিনিয়োগের বাজারে কোন কুলক্ষন দেখা দেয় তখনই ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে একটি সামগ্রিক প্রবণতা তৈরি হয় যাতে ভারতীয় টাকার বদলে বিনয়োগকারিরা ডলারের প্রতি বেশি আস্থা দেখান। এমনকি সেই কুলক্ষনের একই কারনে যখন আমেরিকা নিজেই আক্রান্ত সেইসময়েও এই ধরণের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।

অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের লং মার্চঃ

ভারতের হাতে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের জন্য প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলারের অর্ধেকের মতো মজুত রয়েছে। ভারতীয় টাকার বদলে ডলারে বিনিয়োগের প্রবণতা কাটিয়ে উঠতে সেই মজুত রাশিকে ব্যাবহার করা যায়। যদি এই ধরণের প্রবণতা আগামিদিনেও একইভাবে বজায় থাকে তবে মহামারীর প্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে পূঁজির বহির্দেশে গমন আটকাতে সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর জন্য ভারতের পক্ষে যথেষ্ট ন্যায্য কারণ থাকবে।

আমরা এখন এক উদ্ভট সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছি যখন দেশের সীমান্ত পেরিয়ে মানুষের আসা-যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কিন্তু বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যেকোনো দেশের সীমান্ত পেরোনোর অনুমতি দেওয়া রয়েছে। যদি মহামারীর প্রকোপে এবং লকডাউনের ফলে আক্রান্ত মানুষের কল্যানে আরও বেশি সরকারি অর্থবরাদ্দের প্রয়োজনের কোন সুরাহা না হয় এবং সেই দায় না মিটিয়ে রাজকোষ ঘাটতি হবার আতংককেই বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয় এই যুক্তিতে, যে তার ফলে পূঁজি এবং বিনিয়োগের বহির্দেশে পলায়ন আরম্ভ হবে তাহলে মেনে নেওয়া ভাল যে মানুষের তুলনায় পূঁজি এবং বিনিয়োগকে অধিক গুরুত্ব দেবার দিন শেষ হয়েছে।

এই অবস্থা চলতে দেওয়া যাবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের রাজকোষ ঘাটতি নিয়ে ভাবার সময় নয় এখন। এই সময়ে যখন রাজ্যগুলি মহামারীর মোকাবিলায় বাড়তি খরচের দায় স্বীকার করে নিয়েছে তখন কেন্দ্রকেও তাদের জন্য আর্থিক সাহায্যের উদ্দেশ্যে অন্যান্য আর্থিক উৎসগুলিকে ব্যাবহার করতে হবে। রাজ্যগুলির ঋণের পরিমানের উর্ধসীমা আরও বাড়াতে হবে, প্রয়োজনে সাধারণ নিয়মের ব্যাতিক্রম ঘটিয়ে সেই পরিমাণ দ্বিগুন করতে হতে পারে। একইভাবে সরকারি রাজকোষ থেকে রাজ্যগুলির জন্য আর্থিক সাহায্যের ব্যাবস্থা করার ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে।



তথ্যসুত্রঃ দ্য হিন্দু
শেয়ার করুন

উত্তর দিন