ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)‘র পলিটব্যুরো নিম্নলিখিত বিবৃতি দিয়েছেঃ
রাজ্যগুলিকে জিএসটি সংক্রান্ত বকেয়া ক্ষতিপূরণ এখনই মিটিয়ে দিতে হবে কেন্দ্রকে
বিগত আর্থিক বর্ষ শেষ হবার চার মাস পরে কেন্দ্রীয় সরকার ৩১ মার্চ অবধি রাজ্যগুলির জিএসটি সংক্রান্ত ক্ষতিপূরণের বকেয়া অর্থ বরাদ্দ ঘোষণা করেছে। যদিও সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটিকে ফিন্যান্স সচিব ইতিমধ্যেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে জিএসটি সংক্রান্ত বকেয়া মেটানোর মতো অবস্থায় নেই কারন বর্তমানে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের কর আদায় সংক্রান্ত পরিস্থিতি।
জিএসটি লাগু করার পরে প্রথম পাঁচ বছরের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। অপ্রতক্ষ্য কর আদায়ের দ্বারা রাজস্ব সংগ্রহের কয়েকটি ক্ষেত্র জিএসটি’র ফলে রাজ্যগুলির ক্ষমতার আওতার বাইরে চলে যাওয়ায়, ক্ষতিপূরণের এই প্রসঙ্গ আসে।
রাজ্যগুলিকে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া সংক্রান্ত বিধির উল্লেখ জিএসটি আইনেই রয়েছে। জিএসটি কাউন্সিলের দ্বারাই একে প্রয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত কোনোরকম প্রতিজ্ঞাভঙ্গ করা হলে তা হবে সংবিধানের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর নীতি উল্লঙ্ঘন, কেন্দ্রের হাতে আরও বেশি ক্ষমতার কেন্দ্রীকরন এবং কর আদায় করার ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির অধিকারের থেকে তাদের বঞ্চিত করা। এই অবস্থা মেনে নেওয়া যায় না, এখন এধরণের তহবিলের প্রয়োজন আরও বেশি কারন অতিমারি মোকাবিলাকে মুখ্য বিষয় হিসাবে সরকারগুলিকে কাজ করতে হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে সিপিআই(এম)’র পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ঘোষিত একটি দাবিকেই পুনরায় সরকারের কাছে দাবী হিসাবে পেশ করছে, অতিমারি মোকাবিলার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর নামে যে অস্বচ্ছ, নিরীক্ষণযোগ্যতাহীন তহবিল খোলা হয়েছে সেই তহবিলের সমস্ত অর্থ রাজ্যসরকারগুলীর জন্য বরাদ্দ করা হোক কারন অতিমারির মোকাবিলায় রাজ্যগুলিই লড়াইয়ের সামনের সারিতে রয়েছে।
সিপিআই(এম)’র পলিট ব্যুরো দাবী জানাচ্ছে অবিলম্বে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের প্রথম তিনমাসের মেয়াদ যা সবে শেষ হয়েছে সেই সময়কালের বকেয়া ক্ষতিপূরণ এখনই রাজ্যগুলিকে মিটিয়ে দিতে হবে। এই ক্ষতিপূরণ মেটানো সংক্রান্ত বিষয়ে শুধু যে কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা রয়েছে তাই নয়, বর্তমানে অতিমারি মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির তরফে আরও সক্রিয় এবং সদর্থক ভূমিকা পালন করার ক্ষেত্রে তা একান্তই প্রয়োজন।
শেয়ার করুন