সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো নিম্নলিখিত বিবৃতি প্রকাশ করেছেঃ
দিল্লিতে আয়োজিত তবলিঘি জামাতের সভায় বহু মানুষ অংশগ্রহণ অরেছিলেন এবং সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফিরে যাবার পরে পরীক্ষা করে তাদের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এই ঘটনা খুবই গুরত্বপুর্ন এবং উদ্বেগজনক। মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ইতিমধ্যেই যখন জনসমাগম হবার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সেই সময়ে এধরণের সভার আয়োজন করে জামাত প্রধানরা খুবই দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। এই ঘটনারও কোন ব্যাখা নেই কিভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ২০-২১ মার্চ নাগাদ দ্বিতীয়বারের জন্য এই সমাবেশের অনুমতি দিলেন।
এই উপলক্ষ্যে ঘটনাটিতে সাম্প্রদায়িক রং চাপানো হচ্ছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রচার চালানোর প্রচেষ্টা চলছে সিপিআই(এম) তার প্রতিবাদ জানাচ্ছে। করোনা ভাইরাস কাউকে সংক্রামিত করার সময় তার ধর্মীয় পরিচয় দেখে না। ১৩ মার্চ সারা দেশে সামাজিক, ধর্মীয় অথবা রাজনৈতিক সমস্ত জনসমাবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা জার হবার পরেও কিভাবে ২০০’র বেশি মানুষ জড় হলেন তা বিস্তারিত ভাবে তদন্ত করতে হবে। এধরণের সবকটি জনসমাবেশকেই সেই তদন্তের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। দক্ষিন কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুরে যেভাবে সমস্ত জনসমাবেশে যুক্তদের খুঁজে বের করে অবিলম্বে তাদের পরীক্ষা করে ভাইরাস সংক্রমণের সামাজিক স্তরে ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে সেই পথই আমাদের অনুসরণ করা উচিত। ভারত এখন পরীক্ষা করার হারের ভিত্তিতে খুবই খারাপ অবস্থানে রয়েছে, দক্ষিন কোরিয়ার থেকে ২৪১ নম্বর পিছনে। এই অবস্থার উন্নতি ঘটাতেই হবে।
এখন সময় কোভিড-১৯’ বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ের। এই লড়াইকে সাম্রদায়িক করে তোলার সবকটি প্রচেস্টাই কার্যত এই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনে আমাদের আগেকার সব ব্যাবস্থাপনাকে দুর্বল করবে। এধরনের কাজ আত্মবিসর্জনের তুল্য হবে, জনমানসে এই ভয়ংকর সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ রুখে দিতে প্রয়োজনীয় যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত সরকারের ।
এই পরিস্থিতিতে কোনোরকম প্ররোচনার শিকার না হয়ে একযোগে এই মহামারীকে রুখে দেবার লড়াইকে শক্তিশালী করতে সিপিআই(এম)পলিট ব্যুরো সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছে ।
শেয়ার করুন