মহিলারা কেন ব্রিগেড যাবে ....

২৭ ফেব্রুয়ারি ২১ ,শনিবার

লেখায় : কনীনিকা ঘোষ

নতুন দিনের ডাকে ব্রিগেড যে ঐ হাঁকে.....

নয়না মনস্থির করে ফেলেছে ও ২৮ তারিখ ব্রিগেড যাবেই। সোমালি, অদ্রিজা, সাইফুল দীপ্তিমান কয়েক দিন ধরেই বলছিল যে ওরা যাচ্ছে,নয়না যেন যায় কিন্তু মনে মনে ওদের দাবিগুলো খানিকটা সমর্থন করলেও, দোলাচল ছিল, একদম রাজনৈতিক দলের ডাকে চলে যাবে, ভাবছিল নয়না, কিন্তু যখন পরশুদিন খেলার মাঠের কিছুটা জায়গায় কেন মন্দির বানানো হল,একে তো খেলার মাঠ কম,তারপর তাও দখল হয়ে যাচ্ছে, এ কথা বলতে গেলে ওই ছেলেগুলো ওকে খুব মারে,যারা নাকি নিজেদের ছাত্রনেতা বলে, অথচ কেউ দীর্ঘদিন পরীক্ষা দেয় না, কেউ বা পাস করে গেছে, আচ্ছা,ওরা তো জয় শ্রীরাম বলে যারা গন্ডগোল করল সেদিন তাদের তো কিছু বলেনি,তাহলে কেন রোহন?কিন্তু রোহন মার খেয়েও চোখে চোখ রেখে বলেছিল আমরা মন্দির মসজিদ নিয়ে লড়াই করব না, তোমরা তো কলেজ ইউনিভার্সিটি খোলার কথা বলছো না, আমরা তো সেটাই বলছি। ছাত্রদের আগে কোনটা প্রয়োজন, কিন্তু ওরা কোন কথা শোনেনি, তবু রোহন মাথা নোয়ায় নি আর সেই আর সেই সময় রোহন কে যখন ওরা সবাই মিলে উদ্ধার করল তখনই নয়না মনস্থির করেছে, না! ওর দাবি নিয়ে যারা লড়াই করে তাদের সাথে মাথা উঁচু করে ও ব্রিগেড যাবেই।

Work from home থেকে মাথা তুলতে না পেরে যখন শিল্পা ভাবছিল এই লকডাউনেই তো কতজনকে, বড় বড় তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি গুলো ছাঁটাই করে দিল। এখন তো ওদেরও কোন সময় ঠিক নেই,, একে salary কমিয়ে দিয়েছে, তার ওপর এতক্ষন কাজ, সন্দীপ্ত, কৌশিক,মেহনাজ, ডরথী এসব কিছুর প্রতিবাদ করছে, ওকেও বলেছে, শিল্পার ও প্রতিবাদে মুখর হতে ইচ্ছা করছে, মেনে নেওয়া যায় না এরকম অন্যায়,এই অবস্থা পাল্টে দেবার ডাক দিয়েছে ২৮ এর ব্রিগেড,ওই দিন ও ব্রিগেড যাবেই। নতুন কাজ, কাজের স্থায়িত্বের দাবিতে, যখন তখন ছাঁটাই করার বিরুদ্ধে।

গ্যাস টা কমিয়ে দিতে গিয়ে সুমিতাদি ভাবছিলেন আবার বাড়লো গ্যাসের দাম! আড়াই মাসে প্রায় দ্বিগুন বেড়ে গেল, সেই নাকি মোদিজীর জিনিসের দাম কমাবে বলেছিলেন! আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ও তো এত কথা বলেন কিন্তু তাও তো শুধু দলের কথা! গ্যাসের দাম কমানোর কথা তো বলেন না, কোন জিনিসের দাম কমানো বিরুদ্ধে তো কোন কথা নেই! বুম্বা, বিল্টু, রীমারা ব্রিগেডের জন্য রুটি প্যাকেট করে রাখার কথা বলতে এসে বলছিল 'চলনা কাকিমা আমাদের মা রা যাচ্ছে এই জিনিসের দাম কমানো তো ব্রিগেডেরও দাবী!২৮ তারিখ তুমিও চলো'' সুমিতা দি আর ভাবেননি চাল ডাল আলু সবজি পেট্রোল ডিজেল গ্যাসের দামের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবে যে ব্রিগেড তাতেই উনিও সেদিন ঘরের কাজ তাড়াতাড়ি সেরে বলে যাবেন বলে ঠিক করেছেন।

খবরের কাগজ হাতে নিয়েই বসে ছিলেন কাকলি মাসিমা। আবার বেলদায় ধর্ষণ এবার আবার তৃনমূল আর বিজেপির নামে একসাথে! ভাবছিলেন সারাদেশ জুড়ে আজ নারীর নিরাপত্তা কোথায় আজ হাথরাসে দলিত ধর্ষন হচ্ছে তো কালকে রাজগঞ্জে পরশুদিন হিঙ্গলগঞ্জ পরের দিন কলকাতার জোড়াবাগান! উত্তরপ্রদেশ নাকি রামরাজ্য! তাই যদি হয় তাহলে সত্যিই অন্য বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলো কী?! ভাবছিলেন সদ্য অবসরপ্রাপ্ত কাকলি মাসিমা। হবেনাই বা কেন? মনুবাদই তো বিজেপির দর্শন, সেখানে যে মেয়েদের সব সময় অধীন করে রাখা হয়েছে! আর এখানেও মাননীয়ার দ্বিচারিতায় ঘৃণা হয় ওনার। মেয়েদের প্রশ্নে বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলেন অথচ কামদুনি, মধ্যমগ্রাম,হিঙ্গলগঞ্জ যেন পার্কস্ট্রিটে যেন ধর্ষণের মিছিল চলছে। আর কই তখন তো মুখ্যমন্ত্রী কিছু বলেন না! যখন তৃণমূল জড়িত, তখন 'দুষ্টু ছেলেরা', 'শরীর থাকলে জ্বর হয়' সেরকমই ধর্ষণ-- এরকম কথা বলে দায়িত্ব এড়ানোর কথা বলেন! ছি:! বামফ্রন্টের কথা মনে হয় তার, মনে হয় জ্যোতি বসুরা কোনদিন রাজনৈতিক রঙ দেখেননি। দুষ্কৃতী সেদিনও ছিল কিন্তু ওরা জানত তাদের পাশে কেউদাঁড়াবে না। রাজনীতি যাই হোক না কেন অন্যায়ের শাস্তি পাবেই! তাইতো মেয়েরা অনেক নিরাপদ ছিল। নারীর নিরাপত্তার আওয়াজ তোলা ২৮ এর ঐতিহাসিক ব্রিগেডে উনি সাক্ষী থাকবেনই।

ধানেরবীজতলা তৈরি করতে করতে বাসন্তী টুডু, সবিতা মল্ল সাজেদা খাতুন রাআলোচনা করছিল প্রতিদিন কাজ কমছে,চাষীরাই বা কি করবে,ওরাও তো দাম পাচ্ছেনা,লকডাউনে বাম পার্টি রা সাহায্য না করলে ওরা যে কী করত!

ওরা জানে আজ সব কৃষক দেরই খুব বিপদ, টি ভি তেও দেখেছে দেশের সরকারি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সারাদেশে দারুণ কৃষক আন্দোলন হচ্ছে। ওরাও তো কলকাতায় গিয়েছিল এই জন্যই। কাজের মজুরি বাড়ানোর জন্য, ফসলের ন্যায্য দাম এর জন্যই তো আন্দোলন।আর এই কথা আরো জোরে বলতেই তো ব্রিগেড! রাত থাকতেই রওনা দিয়ে তাই সবার সাথে ওরা ২৮ তারিখ বিগেড যাবেই।

হ্যাঁ এরকম ভাবেই ইঁটভাটার শ্রমিক মহিলারা, বিড়ি বাঁধেন যে মহিলা, যাবেন তাদের সামাজিক সুরক্ষার জন্য, মজুরি বাড়ানোর জন্য। পার্শ্ব শিক্ষিকারা তাদের সমকাজে সমমজুরি দাবিতে, ব্যাংকের সংযুক্তিকরণ এর বিরুদ্ধে ব্যাংক কর্মচারী মহিলারা, বীমার শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বীমাকর্মী মহিলারা-- সবাই আজ একজোট। লাল ঝান্ডা যে শুধু সেলিব্রিটিদের কথা বলার জন্য না, লাল ঝান্ডা যে দূর আকাশের তারার কথা বলার জন্য না, লাল ঝান্ডা তো দলবদল এর গল্পের কথা বলে না, লাল ঝান্ডা চমকের ফুলঝুড়ি দেখানোর জন্য না! লাল ঝান্ডা আমাদের সবার জীবনের কথা বলবে, গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ সমস্ত শক্তি কে সাথে নিয়ে, তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী শক্তি গুলো কে সাথে নিয়ে। তাইতো সব মহিলারা কান্না, ঘাম, পরিশ্রম যন্ত্রণা, লাঞ্ছনা ভাগ করে নিয়ে একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে আর এই অন্ধকার কাটিয়ে নতুন আলোর দিন ফিরিয়ে আনতে, বাম গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করার দাবিতে ২৮ তারিখ ব্রিগেড যাবে। মহিলারা ব্রিগেড যাবে দৃপ্ত জেদে, লড়াকু মানসিকতায় বিকল্প কে প্রতিষ্ঠা করবেই-- এই অঙ্গীকার গ্রহণ করতে।



ব্রিগেডের ময়দান

কথায় : অঞ্জু কর

ওয়েবডেস্কঃ একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী এই রাজ্যে আছেন। আপনাদের কী মনে হয় এটা এ রাজ্যের মহিলাদের জন্য কোন অতিরিক্ত সুবিধা দেয়?

অঞ্জু কর : রাজ‍্যের মুখ‍্যমন্ত্রীর পদ পুরুষ অথবা মহিলা বলে কিছু হয় না। এটা সরকারের সর্বোচ্চ পদ। পুরুষ এবং মহিলা সকলের জন্যই তিনি কোন দৃষ্টিভঙ্গী গ্রহণ করছেন, কি ভূমিকা পালন করছেন সর্বক্ষেত্রে সেটাই দেখার বিষয় পুরুষ বা মহিলা হিসাবে নয়।

ওয়েবডেস্কঃ বামেদের শাসনকালের চেয়ে বর্তমানে এ রাজ্যে মহিলারা বেশি নিরাপদ, আপনাদের কী মত?

অঞ্জু কর : মোটেই নিরাপদ তো নয়ই বরং বিজেপি শাসিত রাজ‍্যগুলোতে যা চলছে এরাজ‍্যেও একই ঘটনা ঘটে চলেছে প্রতিদিন। বর্তমানে এরাজ‍্যে মহিলারা সবচেয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এই সরকারের দশ বছরে ঘটেছে অজস্র নারী নির্যাতন, নিপীড়ন, ধর্ষণ ও হত‍্যার ঘটনা। যেমন পার্কস্ট্রীট, কামদুনি, কাটোয়া, মধ‍্যমগ্রাম, সন্দেশখালিতে ৬৫ বছরের মহিলার গণধর্ষণ সহ অসংখ্য ঘটনা। প্রতিদিন এ সংখ্যা বেড়েছে। কাকদ্বীপের ছাত্রীর ওপর নৃশংস অত‍্যাচার। রাজ‍্যজুড়ে উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ কোচবিহার, রাজগঞ্জ, রায়গঞ্জ, ধূপগুড়ি, বীরপাড়া চা বাগানের শ্রমজীবি মহিলা খুন হয়েছে। লকডাউনের দীর্ঘ সময়েও মহিলারা রেহাই পায়নি। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারেও অসহায়ভাবে ধর্ষিতা হয়েছে। মহম্মদ বাজার, কলকাতা, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদা সহ সর্বত্র কোথাও বাদ নেই। এই সময়ে সবচেয়ে বেশী ছাত্রী, আদিবাসী, দলিত মেয়েরা গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। অতি সম্প্রতি কোচবিহারের ঘোকসাডাঙা, দাঁতনের ঘটনা উদ্বেকজনক। কিন্তু প্রতিটা ঘটনাই মুখ‍্যমন্ত্রী অস্বীকার করেছেন, সাজানো ঘটনা, ছোট ঘটনা বলে উড়িয়ে দিয়েছে। পুলিশ কোন ক্ষেত্রে অভিযোগ নেয় না, নিলেও ঘটনা চাপা দিতে চায়। মুখ‍্যমন্ত্রী কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্পের বড়াই করেন কিন্তু অপরাধী যেহেতু বেশীর ভাগ TMC এবং BJP দলেরই দুস্কৃতি তাই কোন বিচার এবং শাস্তি হয় না, আবার তিনি ধর্ষণের রেটও ঠিক করে দিয়েছেন, আমরা লজ্জিত। এরাজ‍্যের মানবাধিকার কমিশন ও নারী কমিশনকে তিনি প্রায় নিষ্ক্রিয় করে রেখেছেন।এই সময়ে এরাজ‍্যের মহিলারা সবচেয়ে বেশী ক্ষুধার শিকার, অনাহার, অর্ধহারে দিন কাটছে, পেটের সন্তান বিক্রি করে দিচ্ছে। রক্তাল্পতা, অপুষ্টি বেড়েই চলেছে। কাজ হারাচ্ছে ব‍্যাপক সংখ্যায় মহিলারা, উত্তরবঙ্গে চা বাগানের শ্রমজীবি মহিলারা কাজ করার নামে পাচার হয়ে যাচ্ছে। ১০০ দিনের কাজ থেকে মেয়েরা ছাঁটাই হচ্ছে, সম কাজে সম মজুরী মিলছে না। তার ওপর আনলক প্রথম পর্যায়ে মদের দোকান খোলার জন‍্য পারিবারিক হিংসা এখন ব‍হুগুন বেড়েছে।তাছাড়া পনপ্রথা, ডাইনপ্রথা, লাভ জিহাদ, সম্মানের নামেও মহিলারা পাশবিক ভাবে খুন হচ্ছেন। কোথাও সামাজিক মীমাংসার নামে ডেকে পঞ্চায়েতে TMC দের নেতৃত্বে গণধর্ষণের শিকার হচ্ছে, জরিমানা দিতে হচ্ছে, বাড়ি ও জমি থেকে উচ্ছেদ হচ্ছে। ব‍্যাপক রাজনৈতিক হিংসাও চলছে, যেমন নদীয়া, মেদিনীপুরে নিজের জমি রক্ষা করতে গিয়ে TMC নেতার হাতে মহিলারা আক্রান্ত হয়েছে। এক কথায় এরাজ‍্যে এই দশ বছরে আইন শৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই। একেবারে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। বাংলায় নারীসমাজ কতটা বিপন্ন তা ৯ই ফেব্রুয়ারি মাননীয়ার দলদাস পুলিশ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।

ওয়েবডেস্কঃ নারীদের ক্ষমতায়নের প্রশ্নে এ রাজ্য কতটা অগ্রসর হয়েছে?

অঞ্জু কর : ক্ষমতায়নের ২টি দিক। বামফ্রন্ট সরকার নারী সমাজের উন্নয়নে বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশাসনিক ভাবে পঞ্চায়েতের ত্রিস্তর ও পৌর সভায় ৩৩% মহিলাদের জন‍্য আসন সংরক্ষণ করেছিল।পরে ৫০% হয়েছিল। এছাড়া পদাধিকারীর ক্ষেত্রেও তা হয়েছিল। সেটা এই সরকার ভাঙতে পারেনি এখনও সেটা চলছে। মহিলারা সেই সুযোগ ভোগ করছেন কিন্তু আমরা সেই বিষয়টিকে যেভাবে দেখি তা এখন নেই। এখন নির্বাচিত সদস‍্যা ও পদাধিকারীরা স্বাধীন ভাবে কোন কাজ করতে পারছে না কারণ মেয়েদের চেয়ারে পুতুলের মতো বসিয়ে রেখে ওদের নেতারাই সব ক্ষমতা ভোগ করে। দুর্নীতির সঙ্গেও মহিলাদের যুক্ত করে দিচ্ছে, সবচেয়ে বড় কথা সে সময় SC/ST/ সংখ্যালঘু, পিছিয়ে পড়া মহিলাদের একাজে যুক্ত করে সামাজিক ভারসাম্যের পরিবর্তন করা হয়েছিল, মেয়েরা ছিল সব উন্নয়নের কাজে সিদ্ধান্তের প্রধান অংশীদার। বতর্মানে সে সুযোগ থেকে মহিলারা বঞ্চিত। বামফ্রন্টের সময় যে অধিকার তারা অর্জন করেছিল তা ওরা কেড়ে নিয়েছে। যে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত বামফ্রন্ট সরকার স্থাপন করেছিল মহিলাদের জন‍্য আজ ওরা তা নস‍্যাৎ করে সমস্ত ক্ষমতা ওদের নেতারাই ভোগ করছে।

ওয়েবডেস্কঃ নতুন প্রজন্ম কী আজ নারী আন্দোলনের সাথে যুক্ত হচ্ছেন ? না হলে সমস্যা কোথায় ?

অঞ্জু কর : অবশ্যই নতুন প্রজন্ম আসছে। জেলায় জেলায় তাকালে দেখা যায় একঝাঁক করে নতুন ও তরুণ কর্মী আসছে। গরীব, শ্রমজীবিরাও নতুনভাবে আসছে। ছাত্রী-যুবতী অংশের মধ্যে লড়াকু মনোভাব গড়ে উঠছে। দাবী দাওয়া আদায়ের আন্দোলনে, বিশেষত করোনা অতিমারীতে ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরণের কাজে মানুষের জন্য এই অংশের আকুতি অনেক বেশী দেখা গেছে। আমফান দুর্গত এলাকায় এই কর্মীদের সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করতে আমরা দেখেছি। নারী আন্দোলন ও সংগঠনে এই অংশকে যুক্ত করার জন‍্য আমরা নানাভাবে চেষ্টা করছি। তবে সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়।
বর্তমানে উদারীকরণ ও বিশ্বায়নের ফলে পৃথিবীটা ছোট হয়ে গেছে। সুস্থ চিন্তার জগত থাকছে না। মিডিয়া মানুষকে মূল সমস্যা ভুলিয়ে দিতে চাইছে। সামাজিক, পারিবারিক, সাংস্কৃতিক অবক্ষয় চলছে। মানুষকে রাজনীতি বিমুখ করে তোলা হচ্ছে।সাজ পোশাক, পরিচ্ছদ সবটা চটুল দিকে চলে যাচ্ছে। কিছু রাজনৈতিক দলের ভাষা, সংস্কৃতি, সৌজন্যতা থাকছে না। অর্থনৈতিক এবং চিন্তার জগতেও তার প্রভাব পড়ছে, ভালো মন্দ, সত‍্য মিথ্যা, শত্রু মিত্র সব গুলিয়ে দিচ্ছে। মনজগতকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।নেশার মত যেন আচ্ছন্ন করছে। টিভি সিরিয়াল গুলো বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে বাস্তব জগত থেকে মানুষকে আলাদা করে দিতে চাইছে। এটা ভয়ানক সামাজিক বিপদ। তাই প্রতিনিয়ত এসবের বিরুদ্ধে আমাদের প্রচার আন্দোলন চলছে। আমাদের লড়াই অবিরাম চলবে।নতুন প্রজন্ম সামনের সারিতেই থাকবে।



শেয়ার করুন

উত্তর দিন