সাধারণতন্ত্র দিবসে পার্টির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির আহ্বান
আমরা ভারতের জনসাধারন রাজতন্ত্রের ধারনাকে ছুঁড়ে ফেলে একটি সাধারণতন্ত্র হিসাবে দেশকে গড়ে তুলতে সিদ্ধান্তকৃত। আজ দেশের সাধারণতন্ত্র দিবসে আমরা এমন এক দেশ গড়ার শপথ নিয়েছি যেখানে রাষ্ট্র এবং জনগণের আন্তঃসম্পর্কে সকলের সমানাধিকারের বিষয়টি জনসাধারনের মৌলিক অধিকার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত।
নয়া তিন কৃষি আইন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকেই আইন বাতিলের ঘোষণা করতে হবে।
মোদী সরকারই পরিস্থিতিকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। ষাট দিনেরো বেশী সময় ধরে ভয়ংকর শীতের মধ্যে কৃষকেরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে এসেছেন। তাদের দিল্লিতে ধকার অনুমতি দেওয়া হয় নি, দিল্লি থেকে একশো কিলোমিটারেরও বেশী দুরত্বে তাদের রাস্তা আটকে দেওয়া হয়েছে।
হিংসা কখনোই কোন সমস্যার সমাধান হতে পারেনা, হিংসাকে কখনোই মেনে নেওয়া চলে না। সরকার প্রথম থেকেই যেকোনো বিরোধিতার স্বরকে কালিমালিপ্ত করেছে। বিজেপি’র ট্রোল আর্মির কবলে পড়ে যেকোনো মানুষ যিনি নিজের অধিকারের দাবী জানিয়েছেন তাকেই নির্লজ্জ আক্রমনের শিকার হতে হয়েছে। সরকারের মন্ত্রীরা, আইন বিষয়ক আধিকারিকেরা কৃষকদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে আদালতে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন - কৃষকদের ন্যায্য দাবির সম্মুখে সরকার কোনো ন্যায়সঙ্গত সমাধানসুত্র বের করতে পারেনি।
যেকোনো সাধারণতন্ত্র সবসময়ই জনসাধারণের অভিমুখি হয়। গনতন্ত্র শব্দটির মধ্যেকার ‘তন্ত্র’ অর্থাৎ নির্মিত সৌধের ধারনাটি ‘জন’ অর্থাৎ জনসাধারনের ধারণা ব্যাতিরেকে মূল্যহীন।
সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বসবাসকারী লাখো লাখো কৃষকের ন্যায্য দাবিতে এই আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে। আজকের দিনে সবেচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রশ্নের সমাধান হতে হবে। সেই সমাধান খুবই স্পষ্ট – নয়া কৃষি আইন বাতিল করতে হবে।