Logo oF Communism

লড়াই জারী থাকবে - বিহার নির্বাচনে বামদলগুলির প্রেস বিবৃতি

বিহারে নির্বাচন প্রসঙ্গে

তারিখঃ বুধবার, ১১ নভেম্বর – ২০২০

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী), ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী – লেনিনবাদী) একত্রে নিম্নলিখিত প্রেস বিবৃতি জারী করেছেঃ

বামদলগুলির পাশাপাশি মহাগঠবন্ধনের প্রতি মানুষের বিশাল সমর্থনএর জন্য শাসক বিজেপি-জেডি(ইউ)’র প্রতিপক্ষ হিসাবে নির্বাচনে মহাজোট যে লড়াই করেছে তাতে বামদলগুলির পক্ষ থেকে বিহারের নির্বাচকমন্ডলিকে অভিনন্দন।

এই নির্বাচনে মানুষের রুটিরুজি এবং কর্মসংস্থানের সমস্যার প্রতি যুবসম্প্রদায়ের যে মনোভাব দেখা গেছে তা উৎসাহব্যাঞ্জক।

নির্বাচনের ফলাফলে স্পষ্ট, প্রতিদ্বন্দ্বী দুই জোটের মধ্যেকার প্রাপ্ত ভোটের ফারাক খুবই অল্প। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি’র নেতৃত্বে জোট যত ভোট পেয়েছিল এই নির্বাচনে তার ১২% ভোট তারা হারিয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর অকর্মণ্য দল হিসাবে জনতা দল ইউনাইটেড মাত্র ৪৩টি আসনে জিতেছে, গতবারের বিধানসভা নির্বাচনে তারা ৭১টি আসনে জয়ী হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার যেভাবে মহাজোট ত্যাগ করে বিজেপি’র হাত ধরেছেন তাকে রাজ্যের জনগণের এক বড় অংশই প্রত্যাখ্যান করেছেন।

বামদলগুলি একত্রে ২৯ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৬টি আসনে জয়ী হয়েছে, সিপিআই(এম-এল) – ১২টি, সিপিআই(এম) – ২ টি এবং সিপিআই – ২টি আসনে।

এই নির্বাচনে মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক মেরুকরনের উদ্দেশ্যে বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উঁচু গলায় সাম্প্রদায়িক অ্যাজেন্ডার প্রচার করেছেন। মহামারী প্রতিরোধে বিজেপি সরকারের ব্যার্থতা, ক্রমবর্ধমান বেরোজগারি এবং লকডাউনের ফলে মানুষের উপরে যে অর্থনৈতিক দুর্দশা নামিয়ে আনা হয়েছে এসবের বিরুদ্ধে মহাজোটের পক্ষ থেকে যেভাবে প্রচার করা হয়েছিল তাকে মোকাবিলা না করতে পেরেই বিজেপি’র পক্ষ থেকে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণকে হাতিয়ার করা হয়।

বামদলগুলি একসাথে এই বিবৃতি দিচ্ছে যে ভোটগননার শেষ পর্বে কিছু নিশ্চিত এবং স্পষ্ট গরমিল রয়েছে এবং সেইসব গরমিল সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের দায় রয়েছে। মহাজোটের অন্যান্য দলগুলির সাথে একত্রে বামদলগুলি ভারতের নির্বাচন কমিশনকে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অভিযোগ জানানো হবে।

বামদলগুলি সংসদের ভিতরে থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিপীড়িত জনগণের স্বার্থে, কর্মসংস্থান এবং বিবিধ সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই জারী রাখবে।

সেই লক্ষ্যে লড়াই আন্দোলনের পথেই আরও দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে চলা জারী থাকবে।

সাক্ষর

সীতারাম ইয়েচুরি

সাধারণ সম্পাদক, সিপিআই(এম)

ডি রাজা

সাধারণ সম্পাদক, সিপিআই

দীপঙ্কর ভট্টাচার্য

সাধারণ সম্পাদক, সিপিআই(এম-এল) – লিবারেশন
শেয়ার করুন

উত্তর দিন