এইমুহূর্তে দেশ ও দেশের সংবিধান রক্ষায় বিকল্প মোর্চার লড়াই জরুরী

তৃতীয় পর্ব

অর্থনৈতিক বিপর্যয়

ভয়াবহ মন্দা ও কোভিড বিপর্যয়ের পর দেশের অর্থনৈতিক সংকট নতুন মাত্রা লাভ করেছে যা কর্পোরেট লবির পরামর্শে ও তাদের মালিকানাধীন মিডিয়ার সাহায্যে সম্পূর্ণ বিপরীত আঙ্গিকে তুলে ধরার চেষ্টা করছে বিজেপি সরকার। সম্প্রতি এক সরকারি সভায় নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছেন তৃতীয় দফায় অর্থাৎ ২০২৪ সালে বিজেপির সরকার তৈরির পর তাঁর নেতৃত্বে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। অর্থনীতির প্রশ্নে আসার আগে যেটা জানার দরকার, বিজেপি সরকার তৃতীয়বার আসছে এ কথা তিনি জানলেন কি করে, আর সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি তাই বা কে ঠিক করল? আসলে ফ্যাসিস্ট ধাঁচায় গড়ে ওঠা সরকারের প্রধানের আচরণে হিটলারের মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না, তা হয় নাকি?

বিজেপি সরকার আসার পর গত ন'বছরে দেশের দারিদ্র, বেকারি, বৈষম্য এবং খেতে না পাওয়া মানুষের সংখ্যা রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি ভাষ্যে যে উৎপাদন বৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে তার সুফল ভোগ করছে আদানি আম্বানিদের মত মুষ্টিমেয় কিছু শিল্পপতি। গরিব মানুষ আরো গরীব হয়েছে। তাদের দুর্দশা বেড়েছে। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প দুর্বল হওয়ায় গ্রামের গরীব মানুষের ক্রয়ক্ষমতা অনেকটা কমেছে। খাদ্য সুরক্ষা যোজনায় বরাদ্দ এক তৃতীয়াংশ কমে যাওয়ায় অসহায় বুভুক্ষু মানুষ তাদের সংসারের প্রয়োজনীয় খাবারটুকু জোগাড় করতে পারছেন না। বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের তুলনায় আয় বা মজুরি কমতে থাকায় এই বিপদ আরো বেড়েছে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগের দাপাদাপিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা সাধারণ মানুষের কাছে দুর্মূল্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্বাধীন ভারতে কর্পোরেট মালিকরা অতীতে এই মাত্রায় সুবিধা ভোগ করেনি যা তারা পাচ্ছে মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের আমলে। দেশের ব্যাংক, বীমা, প্রতিরক্ষা, রেল, বিমান পরিবহন, বন্দর, খনি, জাতীয় সড়ক, মিডিয়া-- সর্বত্র এখন এই কর্পোরেট মালিকদের দখলদারী চলছে। সরকারি সম্পত্তির লুঠের এই লাইসেন্স পাওয়ার জন্য এরা দু'ভাবে সরকার তথা শাসকদলকে সাহায্য করছে। প্রথমতঃ, ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে,যার সিংহভাগ ভোগ করে বিজেপি দল পুনরায় কেন্দ্রে ও রাজ্যগুলিতে ক্ষমতা দখলের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করার জন্য। দ্বিতীয়তঃ, পি এম কেয়ার ফান্ডের মাধ্যমে, যার কোনো হিসেব প্রকাশ্যে দিতে হয় না সরকারকে। দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্যই কর্পোরেট মালিক এই লুটেরা বাহিনীকে দেশলুঠের লাইসেন্স দিয়েছে বিজেপি সরকার। এই সরকার কতটা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার বিরোধী তা বোঝা যায় যখন দেখি, পি এম কেয়ার ফান্ডে টাকা দিলে কর্পোরেট মালিকরা ট্যাক্স থেকে তা পুরোপুরি ছাড় পায়, অথচ একই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর গড়া তহবিলে কেউ দান করলে সেই ছাড় দেওয়া হয় না।

বিদেশি বহু জাতিক পুঁজির কৃষি ক্ষেত্রে ঢালাও অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দেওয়ার কারণে এদেশের কৃষিজীবী মানুষ চরম সংকটাপন্ন। রাসায়নিক সারের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ফাটকাবাজরা। তাই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সার ওষুধ ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। বিদ্যুতের ভর্তুকি তুলে দেওয়ার কারণে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় সেচের খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ। বিদেশি বহুজাতিক সংস্থার সরবরাহ করা বীজের ফাঁদে পড়ে ( বিটি কটন বিটি ব্রিনজল ইত্যাদি) দিশেহারা কৃষক আত্মহত্যার পথে পা বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও চাষীকে তার ফসলের লাভজনক দাম দেওয়ার প্রশ্নে সরকার কোনো সদর্থক ভূমিকা পালন করেনি। উল্টে কৃষিতে সরকারি বিনিয়োগ ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনার অর্থ ঘুরপথে চলে যাচ্ছে কর্পোরেট মালিকদের হাতে। ফলে চাষবাসের খরচ অনেকটা বেড়ে গেছে।

মোদির জমানায় গত ন'বছরের সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এদেশের ছোট ও মাঝারি শিল্পগুলি। রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পগুলির মালিকানা বেসরকারি হাতে বদল হওয়ায় এইসব এম এস এম ই সংস্থাগুলির পাশে দাঁড়ানোর কেউ ছিলনা। সরকার কোভিড পর্বে এই সংস্থাগুলিকে বাঁচানোর জন্য গালভরা কিছু অর্থনৈতিক প্যাকেজের কথা ঘোষণা করেছিল। যদিও তা কিভাবে কার্যকর হবে তার কোনো দিক নির্দেশ ঐ প্যাকেজে ছিল না। তাই বন্ধ হয়েছে একের পর এক ছোট ও মাঝারি শিল্প। ফলে নতুন করে কাজ হারিয়েছেন কয়েক কোটি মানুষ। কর্পোরেট মালিকদের জন্য প্রতিবছর করের বোঝা লাঘব করা হয়েছে অথচ প্রয়োজনীয় পুঁজির অভাবে হারিয়ে গেছে এইসব ছোট ও মাঝারি শিল্পের বিনিয়োগকারীরা। এর প্রত্যক্ষ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে।

গত এক দশকে দুনিয়া জুড়ে আর্থিক লগ্নী পুঁজির দাপটে সংগঠিত শিল্পের নাভিশ্বাস উঠেছে। এদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। এই সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি বহু শিল্পকারখানা ভ্রান্ত সরকারি নীতির সংকটে পড়ে হয় বন্ধ হয়ে গেছে নতুবা ধুঁকছে। নতুন নিয়োগ তো নেই উল্টে স্বেচ্ছা-অবসরের নামে দেদার শ্রমিক কর্মচারী ছাঁটায় চলছে এইসব সংস্থায়। নরেন্দ্র মোদির গালভরা 'মেক ইন ইন্ডিয়া' কর্মসূচির সুফল ভোগ করছে সরকারের প্রত্যক্ষ সুবিধাভোগী মুষ্টিমেয় কর্পোরেট মালিকরা। এদের জন্য প্রয়োজনে অভ্যন্তরীণ বাজার সংরক্ষণ করা হচ্ছে অথচ সেই বাজারের ক্রেতা অর্থাৎ এদেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর কোনো সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি বিজেপি সরকার নেয়নি। উৎপাদন শিল্পে বিনিয়োগ ধারাবাহিকভাবে কমছে। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রও একই ধরনের সংকটের সম্মুখীন। বিদেশি মূলধন বিনিয়োগ বাড়ছে আর্থিক ক্ষেত্রে যা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশঙ্কা তৈরি করে চলেছে। 'আত্মনির্ভর ভারত' বস্তুত আদানি নির্ভর ও আম্বানি নির্ভর ভারত হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় আমাদের নিঃস্ব করে নিজেদের সম্পদ কয়েকশো গুণ বাড়িয়ে নিয়েছে। এইসব কর্পোরেট মালিকদের মোট বিনিয়োগের বেশিরভাগটাই ঋণ নেওয়া অর্থ, যা দেশবাসীর সঞ্চিত আমানত। সেই ঋণ অনাদায়ী চিহ্নিত করে কয়েক দফায় মুকুব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান বিজেপি সরকার। জনগণের আমানত এইভাবে দিনের আলোয় লুঠ হয়েছে, হবেও আগামী দিনে যদি এই লুটেরা বাহিনীকে হটানো না যায়।

অসংগঠিত ক্ষেত্রে যুক্ত দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রমজীবী মানুষের দুর্দশা এক কথায় অবর্ণনীয়। বারংবার দাবি করেও এদের জন্য ন্যূনতম মজুরি নির্দিষ্ট করা যায়নি। নরেন্দ্র মোদি নিয়ম করে নিজের 'মন কি বাত' শোনান, এদের 'মন কি বাত' শোনার ফুরসৎ তাঁর হয়নি। এদের একটা বড় অংশ পরিযায়ী শ্রমিক। এইসব শ্রমিকদের দৈনন্দিন জীবন ধারণের ন্যূনতম নিরাপত্তা দেওয়ার তাগিদ বোধ করেনি বর্তমান সরকার।

ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সাময়িক পিছু হটানো গেছে স্বৈরাচারী মোদি সরকারকে। কর্পোরেট মানিকদের এদেশের কৃষিক্ষেত্র অবাধে লুঠ করবার লাইসেন্স দিতে তিনটি কৃষি আইন এনেছিল এই সরকার, যা সাময়িক সাময়িক স্থগিত হয়েছে এই আন্দোলনের চাপে। এতে কৃষকদের দুর্গতি কমেছে এমনটা দাবি করা যাবে না কারণ সরকারিভাবে এখনো কৃষি পণ্যের লাভজনক সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করবার প্রশ্নে সরকার সদর্থক ভূমিকা পালন করেনি। এই সময়ে শ্রম আইনের সংস্কার করে এমন শ্রমকোড বানিয়েছে যেখানে ৩০০ জন অব্দি শ্রমিক কর্মচারী কাজ করে এমন কারখানা একতরফা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য মালিককে সরকারের অনুমতি নিতে হবে না। কর্পোরেট মালিকদের স্বার্থে মোদি সরকার শ্রমিক কৃষকের কি মাত্রায় সর্বনাশ করতে পারে এর থেকে তা অনুমান করা যায়। তাই কলে কারখানায়, ক্ষেতে খামারে যুক্ত সর্বস্তরের শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থে এদের ক্ষমতাচ্যুত করা জরুরী।

'ইন্ডিয়া' জোট ও আমাদের দায়িত্ব

নরেন্দ্র মোদী ও তার সরকারকে হটিয়ে দেশ বাঁচাতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুশিভ অ্যালায়েন্স ('ইন্ডিয়া') তৈরি করেছে। 'ইন্ডিয়া' তাদের প্রথম ঘোষণাপত্রে দেশের সংবিধান রক্ষার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছে। একইসাথে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, সংসদীয় গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষ সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সারা দেশজুড়ে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সারা দেশে এখন 'ইন্ডিয়া'র ব্যানারে জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই শুরু হয়েছে।।এই জোটে বামপন্থীরা সহ এমন অনেক দল আছে যাদের আদর্শগত অবস্থান পরস্পর বিরোধী। তবু এরা জোট বেঁধেছে দেশ এবং দেশের সংবিধানকে বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে। আগামী দিনে হয়তো এদের কেউ নিজস্ব সমস্যায় জোট ছাড়তে পারে আবার পরিস্থিতির বাধ্যবাধকতায় নতুন কোন দল এই জোটে নাম লেখাতে পারে। তবে 'ইন্ডিয়া'র লড়াই দেখে বিজেপি যে ভয় পেতে শুরু করেছে তা ওদের নেতাদের গালমন্দে ভরা ভাষণে পরিষ্কার। 'ইন্ডিয়া' তৈরি হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াই প্রমাণ করেছে গাড়ি সঠিক রাস্তায় গড়া শুরু করেছে। কর্পোরেট মালিকানাধীন মিডিয়া ২১ পিপে নস্য নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে সিপিআইএম সহ বামপন্থীরা কেন তৃণমূলের সঙ্গে একমঞ্চে-- এই নিয়ে। ভুললে চলবে না, এও বিজেপির কয়েক হাজার কোটি টাকা দিয়ে তৈরি মিডিয়া সেলের পরিকল্পনা।

সিপিআইএম আর তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা এক নয়। আরএসএস বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিপিআইএম সর্বশক্তি দিয়ে পথে নামবে এ কথা তাদের কর্মসূচিতেই নির্দিষ্ট করেছে। কান্মুরে অনুষ্ঠিত ২৩ তম পাটি কংগ্রেসে এই বিপদের বিস্তৃত বর্ণনা দিয়ে দেশের সরকার থেকে বিজেপিকে হটাতে এবং আরএসএসের ধর্মীয় সম্প্রদায়িক মেরুকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে সর্বব্যাপক লড়াই গড়ে তুলতে নিজেদের ও বামপন্থী জোটের শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি এ ধরণের বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক মঞ্চ গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এটা পাটনা বা ব্যাঙ্গালোরে তৈরি হওয়া কোনো ভাবনা নয়। আর তৃণমূল কংগ্রেসের এক এবং অদ্বিতীয় রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা হল, যেন তেন প্রকারেণ ক্ষমতায় টিকে থাকা। এর জন্য অটল বিহারি বাজপেয়ি মালপোয়া খেয়েছেন কালীঘাটে এসে। নরেন্দ্র মোদী নিয়মিত চুড়িদার পাঞ্জাবি ও অন্যান্য ভেট পেয়েছেন। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে ব্রিগেডের সভায় নরেন্দ্র মোদির সেই দুই লাড্ডু খাওয়া ও খাওয়ানোর টোপ আমরা ভুলিনি। এবারের রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে তৃণমূল কংগ্রেস যে ভূমিকা নিয়েছিল তা আমরা সবাই লক্ষ্য করেছি।তাই তৃণমূল শেষমেষ কি করবে তা তাদের একমাত্র নেত্রীই জানেন। তা নিয়ে আমাদের মাথা ব্যথা করে লাভ নেই। আমরা জানি, এ রাজ্যে বিজেপিকে নিয়ে আসার ক্ষমাহীন অপরাধ করেছে মমতা ব্যানার্জি ও তার দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষিতে তৃণমূলকে পরাস্ত করা সর্বাগ্রে জরুরী।তবেই বিজেপিকে হটানো সম্ভব হবে। এ নিয়ে কোনো সংশয় থাকার সুযোগ নেই। আর সারা দেশে এই মুহূর্তে দেশ বাঁচাতে 'ইন্ডিয়া'র লড়াইকে আরও শক্তিশালী করা প্রকৃত দেশপ্রেমিক সিপিআইএম সহ বামপন্থীদেরই প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মহাসন্ধিক্ষণে এ কাজে আমাদের সকলকে সামিল হতে হবে।

সম্পূর্ণ নিবন্ধটি তিনটি পর্বে প্রকাশিত


শেয়ার করুন

উত্তর দিন