চন্দন দাস
ছ’ বছরের কণ্যা বুলুর মৃত্যুতে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তখন মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। ১৯৩৩। উদয়নের এক ঘরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে তাঁর দেখা। সেই তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ। তাঁকে আশীর্বাদ করে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন—‘‘গ্রামকে গড়ে তোল, নইলে ভারতবর্ষ বাঁচবে না।’’
‘রাইকমল’ আর ‘ছলনাময়ী’ রেজিস্ট্রি করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে পাঠিয়েছিলেন তারাশঙ্কর, তাঁর আরও এক সঙ্কটকালে। প্রথমবার তাঁর কবিকে বই পাঠানো। কেন? তাঁর লেখার সমালোচনা হচ্ছিল, যা তাঁকে অস্থির, বেদনাহত করেছিল। সমালোচনার মোদ্দা কথা ছিল তাঁর লেখা ‘বড় লাউড।’
যাঁর অনেকে নেই, তাঁর রবীন্দ্রনাথ আছেন। ঘটলোও তাই। বইদুটি পাঠানোর সপ্তাহ খানেক পরে চিঠি এলো শান্তিনিকেতন থেকে। রবীন্দ্রনাথের। তিনি ১৯৩৭-র ১০ই ফেব্রুয়ারি চিঠিতে লিখলেন তারাশঙ্করকে,‘‘তোমার বইখানি পড়ে খুশি হয়েছি। আমার পরিচরবর্গ অনুপস্থিত থাকাতে বইখানি আমার হাতে এসে পড়েছিল তাতে পরিতাপের কারণ ঘটেনি। রাইকমল গল্পটির রচনার রস আছে এবং জোর আছে—তা ছাড়া এটি ষোলো আনা গল্প, এতে ভেজাল কিছু নেই। পাত্রদের ভাষায় ও ভঙ্গিতে যে বাস্তবতার পরিচয় পাওয়া গেল সেটি গড়ে তোলা সহজ নয়। তোমার অন্য বইটি সময় পেলে পড়ব।’’
তারাশঙ্কর অভিভূত হলেন। কিন্তু সমালোচনায় বিদ্ধ মনের কাতরতা থেকে আবার তিনি কবিকে লিখলেন,‘‘রাইকমল সম্পর্কে আপনি আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন কিনা জানি না। কারণ আমার সমসাময়িকেরা আমার লেখাকে বলেন—স্থুল। ১৯৩৭-র ১২ই মার্চ রবীন্দ্রনাথ জবাব পাঠালেন,‘‘তোমার স্থুল দৃষ্টির অপবাদ কে দিয়েছে জানিনে কিন্তু আমার তো মনে হয় তোমার রচনায় সূক্ষ্মস্পর্শ আছে, আর তোমার কলমে বাস্তবতা সত্য হয়েই দেখা দেয় তাতে বাস্তবতার কোমরবাঁধা ভান নেই, গল্প লিখতে বসে গল্প না লেখাটাকেই যাঁরা বাহাদুরি মনে করেন, তুমি যে তাঁদের দলে নাম লেখাওনি এতে খুশি হয়েছি।’’
তাৎপর্যপূর্ণ হলো চিঠিতে তারাশঙ্করের প্রশংসার পাশাপাশি দুটি সুস্পষ্ট প্রবণতার সমালোচনা করলেন রবীন্দ্রনাথ, যা সর্বকালে প্রযোজ্য। প্রথমত, বাস্তবতা তুলে ধরার নামে ‘কোমরবাঁধা ভান’। দ্বিতীয়ত, ‘গল্প লিখতে বসে গল্প না লেখার বাহাদুরি’।
১৮৯৮-র ২৩শে জুলাই জন্ম। বীরভূমের লাভপুরে। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন মায়ের থেকে। এক মামা ছিলেন উত্তর ভারতের সশস্ত্র বিপ্লবী দলভুক্ত। মায়ের সম্পর্কে তারাশঙ্করের অনেক কথার মাঝে একটি উল্লেখযোগ্য। ‘আমার কালের কথা’য় তারাশঙ্কর লিখছেন,‘‘আমার মায়ের দেশপ্রেম ছিল আরও বাস্তব। তিনি পাটনার মেয়ে। বাস্তব রাজনীতি-বোধ তাঁর শুদ্ধমাত্র ধর্ম এবং অদৃষ্টের উপর নির্ভরশীল ছিল না।’’
গান্ধীজীর ডাকে আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দিয়ে তারাশঙ্কর গ্রেপ্তার হন ১৯৩০— এ। জেলেই রাজনীতি ত্যাগের সিদ্ধান্ত। তবে পরবর্তীকালে বিভিন্ন আন্দোলনে তাঁকে দেখা গেছে। সময়ের দাবি অস্বীকার করেননি তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৩১-এ জেল থেকে বেরিয়ে প্রথম উপন্যাস ‘চৈতালী ঘূর্ণী’। শনিবারের চিঠি আর প্রবাসীতে ধারাবাহিক প্রকাশিত হয়েছিল ‘ধাত্রীদেবতা’ এবং ‘কালিন্দী’। তার কিছু আগে ‘চৈতালী ঘুর্ণি’। চিন্মমোহন সেহানবীশের মতো কমিউনিস্ট নেতার কথায়,‘‘গণদেবতা, বিশেষ করে পঞ্চগ্রামের পরিপূর্ণতায় না পৌঁছলেও, বলাবাহুল্য ঐ তিনটি উপন্যাসই তখন প্রবলভাবে নাড়া দিয়েছিল আমাদের তরুণ, রোমান্টিক মনকে।’’
তখন মানে কখন? চৈতালী ঘূর্ণির প্রকাশ কাল ১৯৩১। ধাত্রীদেবতা ১৯৩৯। কালিন্দী— ১৯৪০। গণদেবতা ১৯৪৩। পঞ্চগ্রাম? ১৯৪৪। সেই বছরই প্রকাশিত হয়েছিল ‘মন্বন্তর’। তারাশঙ্করকে আমরা দেখতে পাচ্ছি ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট হলে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী লেখক সম্মেলন’র অনুষ্ঠানে, ১৯৪২-র ডিসেম্বরে। তিনি নির্বাচিত হন লেখক ও শিল্পী সঙ্ঘের সভাপতি পদে। তারাশঙ্করের কথায়,‘‘আমার জীবনে অ্যান্টিফ্যাশিস্ট রাইটার্স অ্যান্ড আর্টিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সংগ্রামের অধ্যায়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।’’ মহম্মদ আলি পার্কে লেখকদের সম্মেলনে তাঁর গলায় বলিষ্ঠ আশা, ‘‘দেশের গণ চেতনায় নব স্পন্দন সূচিত হচ্ছে। মূহ্যমান আশা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে।…বাংলার কৃষক, বাংলার শ্রমিক, বাংলার শিক্ষিত অশিক্ষিত জনসাধারণের সঙ্গে সম্মিলিত হয়ে নব জীবনের পথে যাত্রা করবে।…সময় আসছে, সময় হয়েছে, বাঙালি সাহিত্যিক বৃন্দকে আমিও আহ্বান জানাচ্ছি—রচনা কর, রচনা কর নব জীবনের গান।’’
কখন? ১৯৪৫-র মার্চে।মন্বন্তর পেরিয়ে আসা দেশের সামনে তখন বিক্ষুব্ধ সময়— দেশভাগ, সাম্প্রদায়িকতার আশঙ্কার মাঝেই বিপ্লবের প্রবল সম্ভাবনা।
ফ্যাসিবাদ, সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী এই মানুষটি সম্পর্কে তাঁর মৃত্যুর পরেও কয়েকজন লিখেছিলেন যে, কমিউনিস্টরা নাকি তাঁকে ‘গ্রাস’ করতে চেয়েছিল। এর জবাব তিনি নিজেই জীবদ্দশায় দিয়ে গেছে। ‘আমার সাহিত্য জীবন’-এ তারাশঙ্কর লিখেছেন,‘‘অনেকে আমাকে মার্কসবাদ প্রভাবিত বলে ঠাউরেছেন। কিন্তু মার্কসের ক্যাপিটাল বা তাঁর লেখা কোন বই আমি পড়িনি। এদেশে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত মার্কসবাদের ওপর লেখা প্রবন্ধ কিছু কিছু পড়েছি মাত্র। আমার সম্বল প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা, তা থেকেই আমি আমার উপলব্ধিসম্মত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলাম।’’
‘উপলব্ধিসম্মত সিদ্ধান্ত’—অর্থাৎ বাস্তবের অভিজ্ঞতা থেকে উৎসারিত জ্ঞান। অর্থাৎ মার্কসবাদের ভিত্তি-কথা। বাস্তব পরিস্থিতি থেকে উপলব্ধ জ্ঞানের প্রয়োগ ঘটেছিল তাঁর সাহিত্যে। আর তাই তাঁকে ‘মার্কসবাদী’ হিসাবে চিহ্নিত করে ফেলা হয়েছিল! আবার রবীন্দ্রনাথও তাঁর এই বাস্তবকে কোনও ‘কোমরবাঁধা ভান’ ছাড়া তুলে ধরার দক্ষতার প্রশংসা করেছেন, অভয় দিয়েছেন। অবশ্যম্ভাবি কিন্তু অনবদ্য সমাপতন।
কেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখায় ক্ষয়িষ্ণু সামন্ততন্ত্র আর জাগ্রত আগ্রাসী ধনতন্ত্রের দ্বন্দ্বকেই তাঁর বিভিন্নন উপন্যাসে মূর্ত হয়েছিল? কেন এখনও ‘কালিন্দী’ পড়তে পড়তে মনে হয় আমাদের মধ্যেই জেগে আছে অহীন্দ্র, জরাজীর্ণ সামন্ত পরিবারের যে সন্তান নির্মম ধনতন্ত্রের আগ্রাসনে ধসে যেতে বসা গ্রামের ছবি দেখতে দেখতে বিপ্লবী হয়ে ওঠে। জনগনতন্ত্রের কথা কোথাও নেই। কোথাও লাল পতাকা নেই। কিন্তু বিপ্লবের স্পষ্ট রবিকিরণ এঁকে যাচ্ছেন এক অহিংসবাদী! কারণ একটিই। এই সব ছবিই ছিল বাস্তবতা।
অসংখ্যা প্রমাণের মাঝখান থেকে ‘চৈতালী ঘূর্ণী’র উদাহরণই দেওয়া যাক। প্রধান চরিত্র গোষ্ঠ। তিনি ছিলেন কৃষক। জমিদার ও মহাজনের অত্যাচারে তাঁকে গ্রাম ছাড়তে হয়। হয়ে যান কলের শ্রমিক। সেখানেও কারখানার মালিকের শোষণ। সেই নিপীড়নের বিরুদ্ধে কৃষক থেকে সর্বহারা হয়ে পড়া গোষ্ঠ হয়ে ওঠে ট্রেড ইউনিয়নের সংগঠক। গোষ্ঠ এবং সঙ্গীরা ধর্মঘটের প্রস্তুতি নেয়। ধর্মঘটের দিনের আগে কল মালিকের চক্রান্তে গোষ্ঠ খুন হন। গোষ্ঠ শহীদ হন।
ওই উপন্যাস কিসের ইঙ্গিত, তা সহজেই অনুমেয়। তারাশঙ্কর সেই প্রসঙ্গে লিখেছেন,‘‘হাজার হাজার বৎসর ধরে মানুষের প্রতি মানুষের অন্যায়ের প্রায়শ্চিত্তের কাল একদিন আসবেই। এই আমি বুঝেছিলাম, উনিশশো ষোল, সতেরো সাল থেকে উনিশশো ত্রিশ-একত্রিশ সাল পর্যন্ত গ্রামে গ্রামে মানুষদের মধ্যে ঘুরে এটুকু বুঝেছিলাম যে, সেদিন আসতে আর দেরি হবে না। রুশবিপ্লব সেই দিনের ঊষাকাল তাতে সন্দেহ নাই। বাতাসটা উঠেছিল সেইখানেই প্রথম; সেখান থেকেই বাতাস উঠে এখানকার গুমোটের মধ্যে চাঞ্চল্য তুলেছে। এরজন্য মার্কসবাদ পড়তে হয়নি আমাকে। তবে, মার্কসবাদের একটি তত্ত্ব অভিনব।’’
মার্কসবাদের সেই অভিনবত্ব কী? তারাশঙ্কর লিখেছেন,‘‘এদেশে প্রকাশিত নানা প্রবন্ধের মধ্যে এইটুকু জেনেছি। এদেশে প্রকাশিত নানা প্রবন্ধের মধ্যে একটি সত্যের সন্ধান পেয়েছি, যেটি ভারতীয় সত্যের সঙ্গে সমন্বিত হওয়ার অলঙ্ঘীয় দাবি নিয়ে এসে দাঁড়িয়েছে। সে হল অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণ করার শক্তি। সেই শক্তি যে কেমনভাবে ঠেলে নিয়ে চলেছে মানুষের সমাজকে, মানুষকে, সেই সত্যকে প্রবন্ধ মারফত জেনেছিলাম প্রথম—তারপর গ্রামে গ্রামে ঘুরে সেখানকার সামাজিক উত্থান-পতনের ইতিহাস সংগ্রহ করে মিলিয়ে দেখে উপলব্ধি করেছিলাম এই তত্ত্বকে। কিন্তু…’’
কিন্তু কী? একটি আশ্চর্য দ্বন্দ্ব। নিজের বিশ্বাসের সঙ্গে নিজেরই পরখ করে অর্জিত জ্ঞানের। তাঁর কথায়,‘‘কিন্তু তার বস্তুবাদ সর্বস্বভাবে মানতে পারিনি।’’
যোশী তখন কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক। তাঁকে এক চিঠিতে তারাশঙ্কর নিজের মত পার্থক্যের কথা লেখেন,‘‘Dear Mr. Joshi, My best thanks to you for your very kind letter and the books…Though we met and congratulated each other we had not the opportunity or occasion of exchanging our views.Still I hope, you know my views. I know that from your writings, inspite of my best regards for you I differ in my outlook from that of yours in some points. But I admire the sincerity of the workers of your party and your boldness. I sincerely believe that everybody has the right of doing what he thinks just and just. My Creed is Ahimsa and truth. Not to accuse anybody and to love all is my motto. I remain, I try to always to remain, true to my creed and motto of life.”
এই তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলশেভিক বিপ্লবের সাফল্যকে ‘ঊষাকাল’ বলেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে তাঁর এখানেও প্রবল মিল। তারাশঙ্কর মার্কসবাদের প্রাথমিক ভিত্তিকে পরখ করেছেন গ্রামে গ্রামে ঘুরে। সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তা অভ্রান্ত। সাহিত্যে সেই সত্যের প্রতিষ্ঠা করেছেন।
প্রমাণ অনেক। আপাতত শ্রীহরির কথাই বলা যাক। ‘গণদেবতার’ শ্রীহরির স্পর্ধা ছিল অসীম। অনেকদিনের শিলা ভেঙে, ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে নতুন শিলা পুঁতে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল তার। সেই পুরোন শিলায় সমাজের, সংস্কৃতির ঐতিহ্যের ছোঁয়া থাকলেও তার হাত কাঁপতো না। বরং নতুন শিলায় নিজের নাম খোদাই করে যাবতীয় সৃষ্টিকে নিজের অবদান বলে দাবি করার নির্লজ্জতা ছিল শ্রীহরির ধমনিতে। শ্রীহরির আরও কী ছিল? একজোড়া লালসা, লোভ, বিদগুটে কাদা মাখানো, পঙ্কিল চোখ ছিল। তা দিয়ে সে পাড়ার গরিব পরিবারের মহিলাদের দিকে কুৎসিত ভাবে তাকাতে পারতো। পাকা লম্পট বলতে যা বোঝায় শ্রীহরি তেমনই ছিল। এবং আছে। এখনও শ্রীহরি তাই। শ্রীহরিরা তেমনই।
শ্রীহরি হচ্ছে একটি কালভার্ট। ১৯৪৩-র গ্রাম আর ২০২৪-র পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি পাড়ার মাঝে অন্যতম যোগসূত্র হলো শ্রীহরি। নব্য ধনী। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় দেখাচ্ছেন শ্রীহরি কিভাবে গরিব দেবু পন্ডিতকে ষড়যন্ত্র করে জেলে পাঠাচ্ছেন। কিভাবে গরিবের জমি জিরেত দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছে লাগাতার ছলে বলে কৌশলে। কিভাবে বিদ্রোহী হয়ে ওঠা শ্রমজীবী কর্মকার ‘অনিভাই’কে দমন করতে যা খুশি করার চেষ্টা চালায় শ্রীহরি। তেলতেলে মুখের, বিগলিত এঁটো হাসিময় মুখের পুলিশ শ্রীহরির সাকরেদ। শ্রীহরি ঘর জ্বালায়। পুলিশ পৌঁছোয় না। শ্রীহরি গ্রামের মানুষকে উসকায়। খোচররা হাসে। শ্রীহরি অত্যাচার করে, লড়াকু-বিদ্রোহীদের হয় ভয় করে। তাই অত্যাচার করে।
এই ছবি ভাষায় তুলে ধরেছেন যিনি, তিনি অনুপ্রেরণা। তাঁর মননের যাবতীয় দ্বন্দ্ব, বাহিরের সব মত পার্থক্য সত্বেও তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তাই।