উল্লেখ স্বয়ং প্যাটেলের চিঠিতেই, গান্ধী-হত্যার পর মিষ্টি বিলি আরএসএস’র

গডসেকে শাসক দলের নেতারা বলছেন ‘দেশপ্রেমিক’। গান্ধীজীর জন্ম দিবসে একটি স্বতন্ত্র সরকারি বিজ্ঞাপনও এখন বিলুপ্ত।

গঙ্গা-যমুনা তাহজিব ও গান্ধী হত্যা

মহাত্মা গান্ধী আমাদের মহান ভারত বর্ষকে চারটি মূল্যবান উপহার দিয়ে গেছেন তাহলো ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান, সামাজিক ন্যায়,যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং আর্থিক আত্মনির্ভরতা ।তিনি সাম্প্রদায়িক বিবাদ , বর্ণ ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা, নারী নির্যাতন নিগ্রহের বিরুদ্ধে তিনি আমৃত্যু লড়াই করে গেছেন।

Gandhi Assassination

গান্ধী হত্যা: 'ফ্যাসিস্ট স্পেশাল' ছিল অস্ত্রের নাম, দোষী করা হয়েছিল উদ্বাস্তুদের!

গান্ধীকে যে তিনটি বুলেট বিদ্ধ করেছিল তা ছোঁড়া হয়েছিল সেই ‘ফ্যাসিস্ট স্পেশাল’ থেকেই।
আর নাথুরাম গডসে সেই অস্ত্র সরবরাহের দায় কার ঘাড়ে চাপিয়েছিল?
গডসে আদালতে জানান,‘‘চরম হতাশা নিয়ে দিল্লি পৌঁছে আমি দিল্লির উদ্বাস্তু কলোনীতে গেলাম। উদ্বাস্তু শিবিরে ঘুরতে ঘুরতে আমার চিন্তাভাবনা একটা স্পষ্ট চূড়ান্ত মোড় নিল। আকস্মিকভাবেই আমার এক উদ্বাস্তুর সঙ্গে দেখা হল — সে অস্ত্রাদির লেনদেন করত এবং আমাকে একটি পিস্তল দেখাল। এটা পাওয়ার জন্য আমি প্রলুব্ধ হলাম এবং তারপর তার থেকে কিনে ফেললাম। এই পিস্তলটাই পরে আমি যে গুলি ছুঁড়েছিলাম তাতে ব্যবহার করেছিলাম।’’

Gandhi's Last Day 1

মহাত্মার শেষ দিন (১ম পর্ব)

ভারতবাসী অহিংসা কোনোদিনই গ্রহণ করেনি, করলেও তার চর্চা করেনি – এই দেশ তাকে মহাত্মা মেনেছে ঠিকই কিন্তু তার মাহাত্ম্য আদৌ স্বীকার করেনি। তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।

গান্ধী এবং সাভারকর: ইতিহাসের বিকৃতি

মৃদুলা মুখার্জি/আদিত্য মুখার্জি/সুচেতা মহাজন দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ১৩ অক্টোবর,২০২১,আমাদের জানায় যে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং দাবি করেছেন যে “সাভারকারের

এক মহাত্মা ও তার জীবন প্রসঙ্গে - ই এম এস নাম্বুদিরিপাদ

অর্ধশতাব্দীরও বেশী সময় ধরে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা স্বীকার করছেন যে স্বপ্নের জন্য তিনি লড়াই করেছিলেন, ১৯৪৭ সালের ১৫ই অগাস্ট সেই স্বাধীনতা আদৌ অর্জন করা যায়নি, ক্ষমতার বলে বলিয়ান হয়ে তাঁর প্রাক্তন শিষ্যরাই এমন স্বার্থপর এবং কুচক্রী হয়ে পড়েছেন যে নিজের হাতে গড়ে তোলা ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের গোটা সংগঠনটাকেই তিনি বাতিল করে দিতে চান – একমাত্র গান্ধীর পক্ষেই এতটা হিম্মত দেখানো সম্ভব ছিল। সত্যের উপলব্ধি প্রকাশের হিম্মতের জন্যেই তাকে প্রকৃত মহাত্মা বলা যায়, যিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা করলেন তার গোটা জীবনটাই লক্ষ্যভেদে ব্যার্থ।