মহাজীবনের অনুসারি হতে তাকে উপলব্ধি করতে হয় দ্বান্দ্বিক-বস্তুবাদের দৃষ্টিভঙ্গিতেই।

মহাজীবনের অনুসারি হতে তাকে উপলব্ধি করতে হয় দ্বান্দ্বিক-বস্তুবাদের দৃষ্টিভঙ্গিতেই।
মার্কস ছিলেন এমন একজন যার মতের বিরোধী হয়ত অনেকেই কিন্তু ব্যাক্তিগত শত্রু একজনও নেই
পরিবেশের সংকটকে প্রযুক্তিগত সংকট বলে ভেবে নেওয়ার একটা চল রয়েছে, সেই মনোভাব সঠিক নয়।
তাঁকে আপনি যাই ভাবুন, মার্কস এখনও একটা ব্যাপার, মার্কসকে বাদ দিয়ে ভাবতে পারবেন না।
এমনটা না যে স্তালিনের আমলে কোনও ভুল ত্রুটি হয়নি। মাও বলেছিলেন স্তালিন ৭০% সঠিক, ৩০% ভুল করেছিলেন। মাও-এর মৃত্যুর পর তাঁর সম্পর্কে একই মূল্যায়ন করে চীন পার্টির কংগ্রেস। আমরা শতাংশ হারে বিচার করিনি, ভুলগুলি নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করেছি। ভুলগুলি অস্বাভাবিক নয়। সেগুলি থেকে প্রাপ্ত শিক্ষাই আমাদের পথ দেখায়।
একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগোনোর কাজে এমন কেউ নেই যিনি অজাতশত্রু। মার্কস এমনই কতিপয় শত্রুকে পৃথিবীতে ছেড়ে গেলেন। তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তাকে ইউরোপের এমন একজনে পরিণত করেছে যার নামে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা এবং কুৎসা প্রচার করা হয়েছে। কদাচিৎ কখনো কেউ তার নামে অপবাদ দেবার সাহস দেখিয়েছে। মৃত্যুর পূর্বে সেইসব অপবাদের সম্মুখে তিনি দেখে গেছেন পৃথিবী জূড়ে তাঁর লক্ষ লক্ষ সমর্থকদের – সাইবেরিয়ার খনি থেকে ইউরোপ এবং আমেরিকার কারখানা অবধি যাদের বিস্তৃতি, ব্যাপ্তি। তিনি নিশ্চিত হয়েছেন পৃথিবীজূড়ে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর আবিষ্কৃত অর্থনৈতিক তত্ত্বই হবে বুনিয়াদি শক্তি। অত্যন্ত জোর দিয়েই বলা যায় তার মতের বিরোধী অনেকেই ছিলেন কিন্তু তার ব্যাক্তিগত শত্রু একজনও নেই