ভাষা নিয়ে কোনো কথা উঠলে ফরাসি কথাকার আলফোঁস দোদে (১৮৪০-৯৭)-র সেই গল্পটার কথা কতবার বলেছি আপনমনে। সেই ১৮৭০-৭১ সালের কথা-

ভাষা নিয়ে কোনো কথা উঠলে ফরাসি কথাকার আলফোঁস দোদে (১৮৪০-৯৭)-র সেই গল্পটার কথা কতবার বলেছি আপনমনে। সেই ১৮৭০-৭১ সালের কথা-
সাতের দশকের নানা সঙ্কটকালেও জাতীয় আন্দোলনের নেতৃত্বের একটা বড়ো অংশের শারীরিক উপস্থিতি মানুষকে সঙ্কট থেকে উত্তোরিত হতে অনেকখানি সাহায্য করেছিল।মূল্যবোধের সঙ্কট সেই সময়কালের প্রেক্ষিতে তীব্র হলেও তাকে মোকাবিলার শক্তি মানুষ তার শিকড় থেকেই অর্জন করেছিল। আর বিশ্বায়নের জেরে প্রথম চেষ্টাটাই চলে মানুষকে তার শিকড় থেকে টেনে উপড়ে ফেলবার।শারীরিক এবং মানসিক -দুই ভাবেই মানুষকে উপড়ে ফেলবার যে চেষ্টা তখন শুরু হয়েছিল , সময়ের সঙগে পাল্লা দিয়ে তা আমাদের সমাজ জীবনে দুরারোগ্য কর্কট ব্যাধির মতো ধীরে ধীরে ছড়িয়েছে।ফলে নিজের সাংস্কৃতিক চেতনা, মূল্যবোধ এখন সম্পুর্ণভাবে স্বকীয়তা হারাতে বসেছে।যে রবীন্দ্রনাথের গান একদিন ছিল কথা ও সুরের মেলবন্ধনে মানবমুক্তির একটা খোলা আকাশ, সেই রবীন্দ্রনাথের গান এখন ফিউশন নির্ভর যন্ত্রের যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমাদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে যে জীবন সংকটের সম্মুখীন হতে হয় তাতে লড়াইয়ের রসদ বাংলাটা ভাল করে জানলে, কম পড়ে না। বরং আমি মনে করি মাতৃভাষায় পাঠ্যক্রমের পুরোটা শেখানোর পাশপাশি ইংরেজিটাও ভালভাবেই শেখান চলতে পারে – তাতে কোনও সমস্যা নেই। আজ প্রযুক্তি যে সুবিধা দিচ্ছে, ব্রিটিশ ভারতে শিক্ষার্থীরা সেই সুবিধা পান নি, তাদের জন্য কোনও হাতে গরম ইংরেজিময় পরিবেশ ছিল না। নীরদ চৌধুরীর মতো মানুষ বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করেও অসাধারণ ইংরেজী রচনা করেছেন – এমনটা করা যায়। যে কোনও সরকারের সেই চেষ্টাই করা উচিত।