৩০ নভেম্বর সকাল ১০-০০ টায় বেলেঘাটা পূর্বতন জোন অফিস, ১১টায় পার্টির রাজ্য দপ্তর, ১১-৩০টায় জেলা দপ্তর হয়ে বেলা ১২-৩০ টায় মিছিল করে কলকাতা মেডিকাল কলেজে দেহদান সম্পন্ন হবে।

৩০ নভেম্বর সকাল ১০-০০ টায় বেলেঘাটা পূর্বতন জোন অফিস, ১১টায় পার্টির রাজ্য দপ্তর, ১১-৩০টায় জেলা দপ্তর হয়ে বেলা ১২-৩০ টায় মিছিল করে কলকাতা মেডিকাল কলেজে দেহদান সম্পন্ন হবে।
অর্থনৈতিক তত্ত্বের দৃষ্টিভঙ্গিতে বিবেচনা করলে এঙ্গেলসের লেখাটি খুব একটা নতুন কিছু না ঠিকই। কিন্তু তাঁর এই লেখাটি থেকেই আমরা একটি রাস্তা খুঁজে পাই- ভেকধারি বুদ্ধিজীবী, আধুনিক প্রযুক্তির নামে বড়াই করা বিজ্ঞানীকুল ও সামাজিক সুযোগসুবিধার উপরে সার্বিক দখলদার বুর্জোয়াদের রাতারাতি মানবিক সাজার পিছনে যে বিরাট ভণ্ডামি (যা আজও চলছে) সেসবের মুখোশ কিভাবে টেনে ছিঁড়ে ফেলতে হয়।
মানুষের সত্তা তার চেতনার দ্বারা নির্ধারিত নয়। বিপরীতে মানুষের সামাজিক সত্তাই নির্ধারিত করে তার চেতনাকে।
অমিত’রা যাদের ইচ্ছায় এসব বলছেন, করছেন তাদের মাথায় একটা ভূত ঢুকে রয়েছে। সেই ভূত অতীত সম্পর্কে ভিত্তিহীন অহমিকাকে আশ্রয় করে গড়ে ওঠে, বাস্তব পরিস্থিতির সমস্যা সমাধানের ব্যর্থতা ভুলে থাকতে অজুহাত যুগিয়ে টিকে থাকে।
বিজেপির শাসনে গ্রাম শহর নির্বিশেষে গরীব মানুষের অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে, কমেছে ক্রয় ক্ষমতা, চাহিদা কমেছে, কিন্তু পুঁজি উৎপাদন কমায়নি মুনাফার লোভে – অতি উৎপাদন সমস্যার আকার নিয়েছে।
মোদী যতই নেহরুর বিরোধী সাজুন না কেন, আসলে তিনিও তাকেই অনুসরণ করেছেন, কিছুটা অতিক্রমও করেছেন। ঐ একই আক্ষেপ বুকে চেপে তিনি প্রমাণ করতে চাইছেন কর্পোরেটরা দেশের জন্য অনেক কিছু করছেন- আর তাই সরকারী আর্থিক নীতিতে কর্পোরেটদেরই সর্বাধিক করছাড় দেওয়া চলছে। আন্তর্জাতিক ফিন্যান্স পূঁজির শব্দকোষে গায়ের চামড়া বলে কোনও শব্দ নেই যে!
সংগঠনে এবং সংগ্রামে গান, নাটক, কবিতার অসামান্য ভূমিকা প্রমাণ করেছিল কমিউনিস্ট পার্টিই। এগুলি ছাড়া লড়াই হবে না।
চিত্রনাট্যকার বা পরিচালক হিসাবে ঋত্বিক কখনও জাতীয় পুরস্কার পাননি। তাঁর একমাত্র জাতীয় পুরষ্কার এসেছিল “যুক্তি তক্কো আর গল্প” সিনেমার গল্পের জন্য। “মেঘে ঢাকা তারা” হ’ল একমাত্র চলচ্চিত্র যা সেই সময়ে জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিল।
যতদিন দেশের জনগণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এই মিডিয়াতে চোখ রাখবেন, প্রভাবিত হবেন- তাদের প্রভাবিত করতে পুঁজিবাদ নিত্যনতুন ফিকির বের করে মানুষের মাথার দখল নিতে চাইবে ততদিন আমরাও এই মিডিয়াকে ব্যবহার করেই মানুষকে সচেতন করতে, তাদের সংহত করতে এবং সবশেষে মানুষখেকো ব্যবস্থা বদলের লক্ষ্যে মানুষের সংগ্রামের কথা প্রচার করতে থাকব।
ইন্দো-ইউরোপীয়, দ্রাবিড় কিংবা অন্যান্য জনগোষ্ঠীর বংশকৌলীন্য গোছের পরিচিতির কারণে বাড়তি কোনো শ্লাঘার অনুভব আসলে মূর্খামি ছাড়া আর কিছুই না। ভারতীয়দের কর্তব্য ‘সকলেই যে আসলে এক’ এই সহজ সত্যটিকে চেতনা ও অনুভবে প্রতিষ্ঠা করে একসাথে দেশের ভবিষ্যত নির্মাণে ব্রতী হত্তয়া।