General Strike

দেশ বাঁচাও, দেশের জনগণকে বাঁচাও (২য় পর্ব)

আগামী ২৮-২৯ মার্চ ২০২২ এর এই সাধারণ ধর্মঘটকে গুণগতভাবে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে এই স্বৈরাচারী ও ধ্বংসাত্মক সরকার কে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য, দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে যেতে হবে আরো উন্নত চেতনার দিকে যার মাধ্যমে এই নয়া উদারবাদের রাজনীতিকেই সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করে পরাজিত করা সম্ভব হয় দেশ এবং দেশের মানুষকে বাঁচানোর স্বার্থে।

General Strike

দেশ বাঁচাও, দেশের জনগণকে বাঁচাও (১ম পর্ব)

এই সাধারণ ধর্মঘট ১৯৯১ সালে নয়া উদারনীতি পর্বের আরম্ভের পরে একবিংশতিতম ধর্মঘট হতে চলেছে। এই তিন দশকের লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, প্রতিটি সাধারণ ধর্মঘটের মধ্য দিয়ে এবং তার মধ্যে শিল্প ও পরিষেবা ক্ষেত্রে সংগঠিত ও অসংগঠিত অংশ মিলিয়ে অসংখ্য নির্দিষ্ট দাবি আদায়ের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে, ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের সংযুক্ত মঞ্চ গড়ে উঠেছে, সম্প্রসারিত হয়েছে, এবং শেষ পর্যন্ত ২০০৯ সালে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলিকে এক ছাতার নীচে আনতে সক্ষম হয়েছে।

Aijaz Ahmad Feature

প্রয়াত মার্কসবাদী চিন্তাবিদ আইজাজ আহমদ

গতকাল ৯ মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রখ্যাত মার্কসবাদী বুদ্ধিজীবী, তাত্ত্বিক ও কমরেড – আইজাজ আহমেদের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করছে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)৷ তিনি সিপিআই(এম) এর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন এবং দেশ জুড়ে অসংখ্য সেমিনার, সভায় বক্তৃতার কাজে সর্বদা সময় দিতে ইচ্ছাপ্রকাশ করতেন। আইজাজ আহমদ এক অত্যন্ত সম্মানীয় তাত্ত্বিক হিসাবেই সুপরিচিত ছিলেন। মার্কসবাদের সমর্থনে তাঁর রচনাগুলির মর্যাদা ধ্রুপদী সাহিত্যের মতোই যা একের পর এক প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। ভিসা সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা এবং অসুস্থতার কারণে তাকে ভারত ছাড়তে বাধ্য করা হয়। মৃত্যুর আগে অবধি তাঁর দেশে ফেরার ইচ্ছা বজায় ছিল। তিনি দেশে ফিরতে পারেননি, এই ঘটনা দুঃখজনক। সমাজতন্ত্রে আস্থাশীল এবং সেই লক্ষ্যে সংগ্রামরত বিশ্বব্যাপী মানুষের জন্য তার মৃত্যু এক বিশাল ক্ষতি বিশেষ।

ইউক্রেনে যুদ্ধপরিস্থিতিতে আইএমএফ’র ভূমিকা

পুতিন যা করছেন তাকে কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক লগ্নী পুঁজির আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়াই বলা যায় না। আন্তর্জাতিক লগ্নী পুঁজির স্বার্থে কাজ করে এমন সংস্থার হাতের পুতুল কোন প্রতিবেশী দেশের আধিপত্যের বিরুদ্ধে আদর্শগত সংগ্রাম পরিচালনা করার মতো কোনও সমাজতান্ত্রিকও তিনি নন। তার উদ্বেগ শুধুমাত্র রাশিয়ার নিরাপত্তা সংক্রান্ত, ন্যাটোর নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা রাশিয়ার এলাকাতেই সেই দুশ্চিন্তা সীমাবদ্ধ৷ আইএমএফ’র তরফে দেয় ‘সহায়তা’র বদলে ইয়ানুকোভিচকে তিনি যে বিকল্প সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তারও উদ্দেশ্য ছিল এটুকুই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক স্বার্থের পক্ষে আইএমএফের ভূমিকা নিয়েই তিনি চিন্তাগ্রস্থ, সাধারণভাবে নয়া-উদারনীতির প্রবর্তক হিসেবে আইএমএফের ভূমিকা নিয়ে তার কোন মাথাব্যাথা নেই। নয়া-উদারবাদ যেভাবে জনজীবনে গভীর অসাম্য এবং চূড়ান্ত দারিদ্র ডেকে আনে, পুতিন এখনও অবধি তার চাইতে খুব একটা বেশি কিছু অর্জন করতে পারেন নি এটুকু বলাই যায়।

General Secretary States

ইউক্রেন: শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাস্তব অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে

উপসাগরীয় যুদ্ধ, লিবিয়া সঙ্কট বা অন্য কোথাও একই পরিস্থিতিতে হাজার হাজার ভারতীয়কে সরিয়ে নেওয়ার গর্বিত অতীত রেকর্ড রয়েছে ভারতের।ভারত সরকারকে সম্পূর্ণ মনযোগ দিয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সমস্ত ভারতীয়কে সরিয়ে নিতে হবে।

আনিস খাঁনের অভিযোগপত্রঃ সহযোগিতা কামনা করে পুলিশকে লেখা চিঠি

আনিস খাঁন নিজেই স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন, সেই অভিযোগপত্রের সম্পূর্ণ বক্তব্য নিচে তুলে ধরা হল। আনিসের নিজের লেখাতেই স্পষ্ট তাকে এবং তার পরিবারকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সন্ত্রস্থ করে তুলেছিল। যারা হত্যাকারীদের পরিচয়, আশ্রয় সম্পর্কে সন্দিহান তাদের জন্য আনিসের লেখা চিঠিটি ‘আই ওপেনার’। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে প্রত্যেকে সোচ্চার হন, বিচার চান – দোষীদের শাস্তির দাবী জানান।

PB Statement

কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২২-২৩ঃ পলিট ব্যুরোর বিবৃতি

দেশের জনগণের কাছে এই জনবিরোধী, কর্পোরেটদের স্বার্থবাহী বাজেটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আহ্বান জানিয়েছে সিপিআই(এম)-এর পলিট ব্যুরো। আয়কর সীমার বাইরে থাকা পরিবারবর্গের জন্য প্রতি মাসে ৭৫০০ টাকা সরাসরি নগদ অর্থ হস্তান্তরের এবং বিনামূল্যে খাদ্য-কিট বিতরনের দাবি জানাচ্ছে পলিট ব্যুরো৷

Battle Of StalinGrad

অজেয় সেনাবাহিনী বলে কিছু হয় না - স্তালিনগ্রাদের যুদ্ধ

গনতন্ত্র, স্বাধীনতা, মানুষের অধিকার এই শব্দগুলো যতদিন মানবসমাজে প্রাসঙ্গিক থাকবে ততদিনই ইতিহাসের পাতায় আজকের পৃথিবীর মানুষের জন্য একটি ঋণের হিসাবও লেখা রয়ে যাবে। সেই ঋণ সেদিন লেখা হয়েছিল যেদিন সোভিয়েত লাল ফৌজের যান কবুল লড়াইয়ের সামনে আত্মসমর্পণ করেছিল হিটলারের অহংকার, জার্মান সেনাবাহিনী্র ষষ্ঠ ডিভিশন। ইতিহাসের পাতায় সেই আত্মসমর্পণ হয়েছিল আজকের দিনে – ৩১শে জানুয়ারি, ১৯৪৩ সালে।

PB Statement

হরিদ্বারে ধর্মসম্মেলনের মঞ্চে সংবিধান অবমাননার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপের দাবী জানালো পলিট ব্যুরো

হরিদ্বারে আয়োজিত তথাকথিত ধর্ম সংসদে ভারতের মুসলমানদের বিরুদ্ধে চরম বিদ্বেষপূর্ণ বক্তৃতা চলেছে। প্রকাশ্যে এমন কর্মসূচি পালনের মানে দেশের সংবিধান স্বীকৃত আইনি কাঠামোর স্পষ্ট লঙ্ঘন করা। আলোচনার মঞ্চ থেকে একের পর এক বক্তৃতায় দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-সহ অনেকের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডকে সমর্থন জানানো হয়। বিজেপি’র নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষমতাসীন রয়েছে বলেই লাগাতার তিন দিন ধরে প্রকাশ্যে বিনাবাধায় এমন কর্মসূচি চলতে পেরেছে। লজ্জাজনকভাবে এই সম্মেলন শেষ হওয়ার অনেক পরে এমন একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, যাতে কারোর নাম নেই। সংবিধান অবমাননার ঘটনাতেও পুলিশ নিষ্ক্রিয়তা দেখিয়েছে। এফআইআরে প্রধান অপরাধীদের নাম না থাকলেও মঞ্চে বক্তৃতা চলাকালীন রেকর্ড করা ভিডিওগুলি থেকে দোষীদের পরিচয় স্পষ্ট হয়েছে।

PB Statement

নির্বাচনী আইন সংশোধনী বিল সিলেক্ট কমিটির কাছে পাঠানোর দাবী পলিট ব্যুরোর

দেশের নির্বাচনী আইনে রদবদল যা আগামিদিনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তার করতে পারে এমনসব গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনগুলিকে বিলের আকারে লোকসভায় পেশ করে যেভাবে এক ঝটকায় পাস করানো হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে সিপিআই(এম)-এর পলিট ব্যুরো৷ সংসদ সদস্যদের এই বিষয়ে আলোচনার জন্য সময় দেওয়া হয়নি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সংসদ সদস্যদের কোনো সংশোধনী আনার অনুমতি অবধি দেওয়া হয়নি। এভাবে সংসদীয় আইন ও পদ্ধতির চরম লঙ্ঘিত হল। পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বিচারের জন্য সংসদীয় সিলেক্ট কমিটির কাছে বিলটিকে পাঠানোর বিষয়ে আলোচনার সময় বরাদ্দ ছিল অধিবেশনের সকালবেলা। সেই সিদ্ধান্ত খারিজ করে, মধ্যাহ্নভোজের পরেই নতুন এজেন্ডা জারি করে সরকার দ্রুত বিলটি পাস করিয়ে নেয়।