৫ এপ্রিল ২০২৩ (বুধবার) ১ ফ্যাসিবাদ কায়েমের পূর্বে হিটলারের একটি কথা শোনা যাক – ” আমরা সংসদীয় গণতন্ত্রের পথে আর্য
Tag: Covid19.
পলিট ব্যুরোর বিবৃতি
সদ্য সমাপ্ত ২৩তম পার্টি কংগ্রেসের পরে নবগঠিত পলিট ব্যুরোর এটিই প্রথম বৈঠক। কাজ এবং দায়িত্ব বণ্টন সংক্রান্ত আলোচনায় যা নির্ধারিত হয়েছে সেইসব এই বছর ১৮-১৯ জুন কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে বিবেচনার জন্য পেশ করা হবে।
বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের নয়া উদারবাদী সমাধান!
মোদি সরকার নয়া-উদারবাদী পথে চলতে নরকে যেতেও রাজি আছে। অর্থনীতিতে শ্রমজীবীদের কল্যানের উদ্দেশ্যে যেটুকু সংস্থান রয়েছে নির্লজ্জের মত সেইসবকিছু জলাঞ্জলি দিয়ে আন্তর্জাতিক লগ্নী-পুঁজির নির্দেশ পালনেই তাদের একমাত্র আগ্রহ। সরকারি ব্যায়বরাদ্দ এবং রাজস্বঘাটতিকে ক্রমাগত কমিয়ে দেবার পাশাপাশি শ্রমজীবীদের যাবতীয় অধিকারের উপরে একের পর এক আক্রমন নামিয়ে আনছে তারা। এই সরকারের স্পষ্ট অর্থনীতি হল উদ্বৃত্তে ক্রমশ মজুরির অংশ কমিয়ে দিয়ে মুনাফার হার বাড়ানোর কাজে পুঁজিপতিদের সহায়তা যুগিয়ে যাওয়া। শ্রমজীবী জনতার পকেট কেটে আগামিদিনে আরও উচ্চহারে টোল আদায় করবে তারা।
কোভিড সংক্রান্ত ক্ষতিপূরণের দায় নিক কেন্দ্রিয় সরকার - পলিট ব্যুরোর বিবৃতি
মহামারী মোকাবিলায় প্রোটোকল এবং নির্দেশিকা সবই কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়েছে। কোভিড আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণ দেবার মূল দায়িত্ব তাই কেন্দ্ররই বহন করা উচিত। সুপ্রিম কোর্ট এখনও এই মামলায় চূড়ান্ত রায় দেয়নি। এই দায় বহনে কেন্দ্রের প্রাথমিক দায়িত্ব নিশ্চিত করতে হবে এবং ক্ষতিপূরণের পরিমাণও যথার্থরুপে বৃদ্ধি করতে হবে।
উদারীকরণ ও আজকের ভারত (২য় পর্ব)
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের অধঃস্তন সহযোগী হয়ে উঠতে বর্তমানে যে কায়দায় নয়া-উদারবাদী সংস্কার চলছে তার ভিত্তি লুকিয়ে রয়েছে কর্পোরেটদের সাথে সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তির আঁতাতের ভিতরে। সংবিধানের সংজ্ঞা অনুযায়ী এক ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র থেকে আরএসএস’র পরিকল্পনামতো ভারতকে এক অসহিষ্ণু, কর্তৃত্বকারী ফ্যাসিবাদী দেশে বদলে ফেলার পরিকল্পনাই হল ‘হিন্দুত্ব রাষ্ট্র’।
কোভিড মহামারী, মৃত্যুমিছিল এবং সম্পত্তিরক্ষার পবিত্র অধিকার প্রসঙ্গে
একথা সত্য, কোনও আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালনের আগে যে কোনও সরকারেই নিজের দেশের নাগরিকদের জীবনকে অগ্রাধিকার দেবে। কিন্তু উন্নত দেশগুলির সরকারগুলির সামনে নিজেদের নাগরিকের জীবন বনাম অন্য দেশের নাগরিকদের জীবন সংক্রান্ত তুলনার প্রশ্ন কার্যত অহেতুক; সামগ্রিকভাবে ভ্যাকসিনের ঘাটতির কারণে একদল মানুষের জীবনযাত্রার ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছে যা আসলে ব্যক্তিগত সম্পত্তি-অধিকার রক্ষার প্রয়োজনে সৃষ্ট একটি কৃত্রিম ঘাটতি। এহেন সুরক্ষার পরিকল্পনাই আসলে টিকার উৎপাদন বৃদ্ধি রুদ্ধ করে রেখেছে। সংক্ষেপে বললে এসব এক দেশের লোক বনাম আরেক দেশের লোকের প্রশ্নই নয়, এ হল লাভ বনাম মানুষের জীবনের মধ্যে যে কোন একটিকে বেছে নেবার প্রশ্ন।
পলিট ব্যুরোর বিবৃতি
পুঁজিপতিদের মুনাফা লাভের অংক আরো বাড়ানোর জন্য জলের দরে দেশের সম্পদ বিক্রির উদ্যোগ চলছে। এর বিরুদ্ধে দেশের শ্রমজীবী মানুষ এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রতিবাদকে প্রতিরোধের লক্ষ্যেই এই অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণের ৪১টি কারখানাকে মাত্র সাতটি কর্পোরেট পরিণত করা হচ্ছে। মাত্র চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা থাকবে স্ট্রাটেজিক ক্ষেত্র বলে, ঘোষণা করেছেন মোদি সরকার। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দেশের সম্পদ নগ্নভাবে লুটের বিরুদ্ধে লড়াই আন্দোলন আরো বৃদ্ধি পাবে।
মানুষের জীবনের বিনিময়ে মুনাফার চক্রান্ত চলছে - এর জবাব চাই
মোদী সরকার এই হাহাকারের দায় কখনোই এড়িয়ে যেতে পারে না কারন যে “খোলাবাজারের” উদারবাদী নীতিতে আমাদের দেশে টিকার উৎপাদন সম্পাদিত হয়েছে তাতে এমনটাই ছিল অবশ্যম্ভাবী। জনগণের টাকায় টিকার গবেষণা চলেছে অথচ যখন প্রয়োজন এলো সেই গবেষণালব্ধ টিকা হয়ে গেল বেসরকারি মালিকানাধীন পণ্য! আর কে না জানে পণ্য উৎপাদন এবং তার মূল্য নির্ধারণের আগাগোড়া সবটাই অমানবিক!
মহামারীর প্রকোপে মৃতদের পরিবারগুলিকে দুর্যোগ মোকাবিলা আইন অনুযায়ীই আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে - পলিট ব্যুরোর দাবী
কোটি মানুষ গত এক বছরে তাদের জীবিকা হারিয়েছেন এবং বেঁচে থাকতে কঠিন লড়াই করছেন। এরই
মাঝে কোভিড সংক্রমণ থেকে বাঁচতে অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং জীবনদায়ী যন্ত্রপাতির
গুরুতর অভাবে তাদের ভয়ংকর দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে। দেশের কোটি কোটি মানুষের রুটিরুজি
চলে যে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করে সেই ক্ষেত্রই আজ ধ্বংস হতে বসেছে। নোট বাতিল এবং জিএসটি
লাগু হবার পর থেকে যে ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় কোভিড মহামারী সেই ধ্বংসই ত্বরান্বিত
করছে।
বিনামূল্যে সর্বজনীন গণটিকাকরন নীতি গ্রহণ করতে হবেঃ পলিট ব্যুরোর বিবৃতি
সিপিআই(এম) দাবী জানাচ্ছে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকার বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্য ২৫ শতাংশ ভ্যাকসিনের সংরক্ষন নীতি বর্জন করুক। দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা সমস্ত প্রতিষেধক কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিক এবং রাজ্যগুলির সাথে যথাযথ আলোচনা পূর্বক তাদের মধ্যে সেই ভ্যাকসিনের বণ্টন করা হোক।