আজকের দুনিয়াতেও বিপ্লবের বাস্তবায়নে পুনরায় জোয়ার উঠবে, আগামিদিনে কোনও এক প্রান্তে আবার উচ্চারিত হবে সেই আহ্বান।
Tag: BritishIndia
চুয়াড় বিদ্রোহ ও বীরাঙ্গনা রানী শিরোমণি
সমগ্র জেলায় রাজস্ব আদায় সম্পূর্ণ বন্ধ আছে, সর্বত্র ভয়ঙ্কর অরাজক অবস্থা চলছে, কোন জমিতে এখনও পর্যন্ত লাঙলের একটি আঁচড়ও পড়ে নাই
নাগপুর থেকে মুচিপাড়া: সঙ্ঘের ‘নেশানহুড ডিফাইনড’
সাভারকারের প্রতিটি মুচলেকা আসলে তার বিশ্বাসের প্রতিফলন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে আদপে স্বাধীনতা সংগ্রাম মনে না করার ধারনা প্রতিফলিত হয়েছে তার নিদারুণ ক্ষমা প্রার্থনায়।
জাতীয় মুক্তির জন্যই যাঁর জীবন ছিল উৎসর্গীকৃত – বিপ্লবী কমরেড আমির হায়দার খান স্মরণে
সাম্রাজ্যবাদের শৃঙ্খল মুক্ত করে সাম্যের স্বদেশ গড়ার স্বপ্ন ছিল দুই চোখে। সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নের জন্য ব্যক্তিজীবনে একের পর এক আত্মত্যাগ করে গেছেন। স্বপ্নকে হৃদয়ে লালন করেই ব্রিটিশ কারাগারের নির্মম অত্যাচার হাসিমুখে সহ্য করেছিলেন।
কাকাবাবু কেমন ছিলেন ?
কমিউনিস্ট পার্টির কাজে কমরেডদের সামনে এমন কিছু নির্দিষ্ট মুহূর্ত আসে যখন ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করতে হয়। আমাদের দেশে দু’বার পার্টি ভেঙেছে, প্রথমবার সেই লড়াই ছিল সময়োপযোগী করার নামে কমিউনিস্ট পার্টিকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির লেজুড়ে পরিণত করার বিরুদ্ধে সংগ্রাম। পরেরবার জনগণের শক্তিতে আস্থা হারিয়ে নিজেরাই বিদ্রোহে ফেটে পড়ার সংকীর্ণতায় পা জড়িয়ে ফেলেন কিছুজন। কমিউনিস্ট পার্টির কাজে এই ঘটনা নতুন কিছু না। লেনিনকেও এই সমস্যার সমাধান করেই এগোতে হয়েছিল, মাও সে তুং কেও।
যে বুলেট বিদ্ধ করেছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের হৃদয় – শহীদ বিপ্লবী উধম সিং স্মরণে
মহম্মদ সিং আজাদ, তার আই.ডি কার্ডেও ওই নামই লেখা ছিল। যখন পুলিশ তাকে নিয়ে ক্যাক্সটন হল থেকে বেরোচ্ছে, সিং আজাদের মুখে এক যুদ্ধ জয়ের হাসি। তার ২১ বছরের স্বপ্ন আজ পূর্ণ হয়েছে।
দুর্ভিক্ষের কারণ কিছু মানুষ
১৯৪৩ সালে তৎকালীন বাংলায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। কমিউনিস্ট পার্টি নিজের সমস্ত শক্তি একত্রিত করে মানুষকে বাঁচানোর কাজে নামে – সংগ্রামের ইতিহাসে সেও এক অনন্য নজীর। মানুষের দুর্দশা এবং সরকারের অপদার্থতা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে একটি ছোট পুস্তিকা (হ্যান্ডবুক) প্রকাশিত হয়, শিরোনাম ছিল ‘দ্য ম্যান মেড ফ্যামিন’।ইংরেজিতে সেই লেখা ছিল জ্যোতি বসুরই।
এক মহাত্মা ও তার জীবন প্রসঙ্গে - ই এম এস নাম্বুদিরিপাদ
অর্ধশতাব্দীরও বেশী সময় ধরে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা স্বীকার করছেন যে স্বপ্নের জন্য তিনি লড়াই করেছিলেন, ১৯৪৭ সালের ১৫ই অগাস্ট সেই স্বাধীনতা আদৌ অর্জন করা যায়নি, ক্ষমতার বলে বলিয়ান হয়ে তাঁর প্রাক্তন শিষ্যরাই এমন স্বার্থপর এবং কুচক্রী হয়ে পড়েছেন যে নিজের হাতে গড়ে তোলা ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের গোটা সংগঠনটাকেই তিনি বাতিল করে দিতে চান – একমাত্র গান্ধীর পক্ষেই এতটা হিম্মত দেখানো সম্ভব ছিল। সত্যের উপলব্ধি প্রকাশের হিম্মতের জন্যেই তাকে প্রকৃত মহাত্মা বলা যায়, যিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা করলেন তার গোটা জীবনটাই লক্ষ্যভেদে ব্যার্থ।