সম্পূর্ণ নতুন ধরনের এক বিপ্লবী

যে বিধ্বংসী এবং অধৈর্য্য মনোভাবে জুলাই-বিক্ষোভের বিরোধিতা করেছিলেন, ঠিক সেভাবেই অবিলম্বে সোভিয়েতের হাতে সমস্ত ক্ষমতা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানালেন লেনিন। বিপ্লব সম্পর্কে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির কারনে কামেনেভ এবং জিনোভিয়েভের মতো নিজের সবচেয়ে পুরানো এবং সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ কমরেডদের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন।

কেমন মানুষ ছিলেন লেনিন

মানুষ লেনিনের খোঁজ পেতে আমাদের নির্ভর করতে হয় তার পাশে থাকা এমন কিছুজনের স্মৃতিচারণায় যারা তাকে উলিয়ানভ থেকে লেনিন হয়ে উঠতে দেখেছেন, যারা তাকে পরিশ্রমে শ্রান্ত হতে দেখেছেন, উত্তেজিত হতে দেখেছেন, আনন্দে হাসতে দেখেছেন – তার দুঃখের সাক্ষী থেকেছেন। নাঝেদজা ক্রুপ্সকায়া এমনই একজন, তিনি ছিলেন লেনিনের কমরেড ইন আর্মস বলতে যা বোঝায় তাই। লেনিনের স্ত্রী হিসাবে তার পরিচিতি অনেক পরের কথা।

পথপ্রদর্শক, মহান বিপ্লবী, লেনিন- আজ আরো বেশি প্রাসঙ্গিক

কমরেড লেনিনের ১৫৩ তম জন্মদিবসে বিশ্ব সর্বহারার এই অসাধারণ নেতাকে শ্রদ্ধা জানানোর সাথে সাথে আমাদের অঙ্গীকার গ্রহণ করতে হবে। বিশ্বের অন্যান্য পুঁজিবাদী দেশগুলির সাথে সাথে আমাদের ভারতেও মার্কসবাদ-লেনিনবাদের মতাদর্শর তরবারির সাহাজ্যে দক্ষিণপন্থার ভ্রান্ত ও বিকৃত মতাদর্শর বিরুদ্ধে আক্রমণ পরিচালনা করবে সর্বহারার বিপ্লবী আন্দোলন। সন্ত্রাস, হিংসা, প্রতিক্রিয়ার আক্রমণ মোকাবিলায় সক্ষম এমন ভাবে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-কে গড়ে তুলতে হবে। তরুণ প্রজন্মসহ মেহনতী জনগণের সমস্ত অংশের সাথে নিবিড় সম্পর্কই পার্টিকে অপরাজেয় শক্তিতে পরিণত করবে। কমরেড লেনিনের দেখানো পথ ও তার শিক্ষাকে অবলম্বন করেই আমরা অগ্রসর হবো।

Lenin Legacy Souvik ghosh

লেনিনঃ একটি উত্তরাধিকার

দুনিয়াজুড়ে পুঁজিবাদ যখন মানুষকে কিছুজনের সুখে থাকার বিনিময়ে বহুজনের দুর্দশার পক্ষে শর্তাধীন করে তুলতে চাইছে ঠিক তখনই মানুষ সোচ্চারে ঘোষণা করছেন ভরসাযোগ্য বিকল্প সম্ভব, বিকল্প আছে, তার লক্ষ্যে সংগ্রামও রয়েছে। এই ভরসারই মর্যাদা রক্ষা করেছিলেন লেনিন।

Lenin-Sridip Bhattacharya

যুগ সন্ধিক্ষণে কমরেড লেনিন আজ আরও প্রাসঙ্গিক

পুঁজিবাদের পতন ঘটিয়ে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ব্যাতিরেকে সমাধানের অতীত সংকট থেকে মানব সমাজ ও সভ্যতাকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। বিষয়ীগত (Subjective) উপাদানগুলিতে অনেক ধরণের দুর্বলতা বিরাজ করছে, সেই দুর্বলতা অতিক্রম করে দেশে দেশে সমাজতন্ত্রকে জয়যুক্ত করাই একমাত্র বিকল্প। এই লক্ষ্যে প্রতিটি দেশের বাস্তব পরিস্থিতিকে বিশ্লেষণ করেই বিপ্লবের কর্মপন্থা স্থির করতে হবে। সমস্ত ধরণের সংগ্রামের সুযোগকে কাজে লাগিয়েই এই লক্ষ্যে ধৈর্যের সাথে এগিয়ে চলা ছাড়া কমিউনিস্টদের সামনে অন্য কোন বিকল্প নেই। এই কর্তব্য পালনে কমরেড লেনিনের শিক্ষা অমূল্য সম্পদ। বর্তমান পরিস্থিতি, এই যুগ সন্ধিক্ষণে কমরেড লেনিন আজ আরও প্রাসঙ্গিক।