তারিখঃ মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০২২
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) নিম্নলিখিত বিবৃতি জারী করেছেঃ
মধ্যপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ডের মতো ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে রাম নবমী উপলক্ষে মিছিলের সময় সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা গভীর উদ্বেগের বিষয়ে পরিণত। বিভিন্ন ঘটনায় প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলি ইঙ্গিত করছে বিভিন্ন এলাকায় আক্রমণাত্মক সশস্ত্র মিছিল হয়েছে। এহেন মিছিলগুলির সাধারণ বৈশিষ্টই হল সংখ্যালঘু নিবিড় এলাকার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময়ই উস্কানিমূলক স্লোগান দেওয়া হয়, যার ফলে পাথর ছুঁড়ে মারামারি হয়৷ খারগোনে ঘটে যাওয়া এধরনের ঘটনা কাকতালীয় কিছু নয়। বিজেপি নেতা কপিল শর্মাই রাজধানীতে সাম্প্রদায়িক হিংসার আগে ঘৃণাভরা বিষাক্ত একের পর এক বক্তৃতার অপরাধী, তিনি ঐসকল এলাকায় নিজে উপস্থিত ছিলেন। বিহারে অত্যন্ত আপত্তিকর ঘটনা ঘটেছে, পুলিশের উপস্থিতিতেই একটি মসজিদে গৈরিক পতাকা লাগানো হয়েছে। দিল্লিতে জেএনইউ ক্যাম্পাসে, রাম নবমীর নামে সংঘ পরিবার অনুমোদিত সংগঠন এবিভিপি একটি হোস্টেল ক্যান্টিনে মেস কর্মীদের উপর আক্রমণ চালায়। প্রথমে কর্মীদের আমিষ খাবার পরিবেশন করতে বাধা দেওয়া হয়, পরে তাদের উদ্ধারে আসা ছাত্রছাত্রীদের উপর আক্রমণ চলে।
মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট এবং বিহারে প্রশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত সন্দেহজনক কারণ জরুরী ও পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ছাড়াই সংখ্যালঘু অঞ্চলের মধ্য দিয়ে মিছিল নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। এছাড়াও, মধ্যপ্রদেশে কোনরকম আইননানুগ প্রক্রিয়া ছাড়াই, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রায় সকলকেই “দাঙ্গাকারী” বলে অভিযুক্তদের সম্পত্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। এহেন কর্মকান্ড কার্যত ভারতের সংবিধান ও আইনব্যবস্থার নাকচ। দেশের সাতটি রাজ্যে এমনধারায় ঘটনা ঘটলেও প্রধানমন্ত্রীর বধিরতা, নীরবতা উদ্বেগের উদ্রেকে বাধ্য করে যে এসব ঘটনায় যুক্তদের পক্ষে ক্ষমতাবানেদের পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে।
আরএসএস- সংঘ পরিবার কর্তৃক সাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রচারের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় উৎসবের সুযোগ নেওয়ার নিন্দা জানাচ্ছে সিপিআই(এম)। শান্তি বজায় রাখা ও ধর্মের নামে মানুষকে বিভক্ত করার চক্রীদের উদ্দেশ্য ব্যর্থ করতে সকল শ্রেণীর মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছে সিপিআই(এম)। শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সারা দেশে পার্টির সকল ইউনিটকেই যথাযথ কর্মসূচি গ্রহনের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
*পার্টির কেন্দ্রিয় কমিটির দপ্তর থেকে প্রচারিত বিবৃতি