তাঁবেদার মিডিয়া - সুশোভন পাত্র

২১ নভেম্বর ২০২৩ (মঙ্গলবার)

‘তৈমুর কি বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি হবে?’

গতকাল টুইটার স্ক্রল করতে গিয়ে দেখলাম সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম রিপাবলিক টিভির টুইটার হ্যান্ডল থেকে এই প্রশ্নটি ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে জনগণের উদ্দেশ্যে। গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। মৌলিক প্রশ্ন। চিন্তার প্রশ্ন। উত্তর খুঁজতে প্রয়োজন গবেষণার, প্রয়োজন সংবেদনশীলতার, প্রয়োজন মেধার।

ও, ওয়েট ওয়েট! কি বলছেন? আপনি জানেনই না তৈমুর কে? নামই শোনেননি? সে কি মশাই! আরে তৈমুর হল বলিউড তারকা সইফ আলি খান আর করিনা কাপুরের ‘সেলেব্রিটি কিড’। সেই তৈমুর যে জন্মানোর ২মাস আগের থেকেই ব্রেকিং নিউজ, সেই তৈমুর যে জন্মানোর ৩৩ মিনিট আগেই হসপিটালে ওভি ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল মিডিয়া, সেই তৈমুর যে সারাদিনে কি খেল, কি পরল, কোথায় বেড়াতে গেলো, কটা ডাইপার চেঞ্জ করল সে বিষয়ে আপনাকে পুঙ্খানুপুঙ্খ খবর পরিবেশন করে মিডিয়া। আর আজ ‘তৈমুর কি বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি হবে?’ এরকম আপনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনাকে জানাবে না মিডিয়া? তা আবার হয় নাকি? আপনাকে জানতেই হবে। আলবাত হবে!

তৈমুর হল মিডিয়ার রিক্রিয়েশন। আপনি যেমন আপনার পেশাদারি রুটিন কাজের বাইরে, একটু আড্ডা দেন, বই পড়েন, গান শোনেন, সিনেমা দেখেন, রেস্তোরাঁ তে যান; মিডিয়াও তেমন একটু বলিউডের গসিপ নিয়ে ফড়ং কাটে, সাল্লু ভাইয়ের ট্রাইসেপস নিয়ে খবর করে, মাধুর দীক্ষিত হাঁচলে খবর করে, বিরাট কোহলি কাশলে খবর করে। এমনিতে অবশ্য ভারতের বেশিরভাগ মিডিয়া আজকাল নিজেদের পেশাদারি রুটিন কাজ হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের পদলেহন করে। হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষে প্রচারের ন্যারেটিভ তৈরি করে। জীবন-জীবিকার প্রশ্ন থেকে আপনার নজর ঘোরাতে উগ্র জাতীয়তাবাদী ও ধর্মীয় মেরুকরণের তাস খেলে।   

যেমন ধরুন, অযোধ্যার রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ প্রসঙ্গ। নিঃসন্দেহে স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে অন্যতম বিতর্কিত এবং কলঙ্কিত প্রসঙ্গ। হিন্দু-মুসলমান, উভয়পক্ষের বহু প্রাণহানি হয়েছে এই বিতর্ককে কেন্দ্র করে। ক্যাসক্যাডিং এফেক্টে মুম্বাই জ্বলেছে, গোধরা পুড়েছে, গুজরাটে দাঙ্গা হয়েছে। ২০১৪তে বিজেপির ক্ষমতায়নের পর হিন্দুত্ববাদীরা সাম্প্রদায়িক কারণেই এই বিতর্কে নতুন করে ইন্ধন জুগিয়েছে। বহু ঘাটের জল খেয়ে আইনত বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের অধীনস্থ ছিল  এবং শেষের দিকে একটি ‘জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিবাদে’ পর্যবসিত হয়েছিল। শেষে রায় ঘোষণা।

কিন্তু বিষয়টি সংবেদনশীল বুঝেই নিউজ ব্রডকাস্টিং স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি (এনবিএসএ) শুনানি শেষ হওয়া এবং রায় ঘোষণা -এই অন্তর্বর্তী সময়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে নির্দেশিকা দিয়ে জানায় ১) নিউজ চ্যানেলগুলির রায় সম্পর্কে জল্পনা করা উচিত নয় ২) পক্ষপাতিত্ব মূলক সংবাদ পরিবেশন করা উচিত নয় ৩) রায় সম্পর্কে দর্শকদের প্রভাবিত করা উচিত নয় ৪) উগ্রবাদী মতামত সম্প্রচারিত করা উচিত নয় ৫) উস্কানিমূলক বিতর্ক সম্প্রচারিত করা উচিত নয়।

কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করবে কে? এতো সময় আছে নাকি মিডিয়ার? তাই মিডিয়া নিজে দায়িত্বেই হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষে প্রচারের ন্যারেটিভ  শুরু করে দিয়েছিল। সর্বভারতীয় একটি হিন্দি সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮’র সন্ধ্যে ৭ টার ডিবেটের ট্যাগলাইন ছিল, ‘আর কিছু দিনের অপেক্ষা, তারপরই কি সুসংবাদ আসতে চলেছে?’ একই দিনে ঐ চ্যানেলেই অন্য একটি সংবাদের শিরোনাম ছিল ‘এবারের দীপাবলি, রাম মন্দিরের দীপাবলি।’ আরেকটি সর্বভারতীয় হিন্দি সংবাদমাধ্যম আজতক চ্যানেলের প্রাইম টাইম ডিবেটের ট্যাগলাইন ছিল, ‘জন্মভূমি আমাদের, রাম আমাদের তাহলে এই মসজিদ ওয়ালারা এলো কোথা থেকে?’ অর্ণব গোস্বামীর সঞ্চালনায় সর্বভারতীয় হিন্দি সংবাদমাধ্যম রিপাবলিক টিভির ডিবেটের শুরুতেই প্যানেলে অন্য সমস্ত অতিথিদের থামিয়ে শাঁখ বাজাতে শুরু করলেন কপালে তিলকধারী একজন তথাকথিত সাধু। সর্বভারতীয় হিন্দি সংবাদমাধ্যম জি-নিউজের ডিবেটে উপস্থিত প্যানেলের হিন্দুত্ববাদী নেতা বললেন “ঐ সব সুপ্রিম কোর্ট বুঝি না। অযোধ্যায় রামের মন্দির হবেই”। সুতরাং হিন্দুত্ববাদী নেতা যখন বলেছেন মন্দির হবেই তখন আর সুপ্রিম কোর্টের অপেক্ষা কিসের? তড়িঘড়ি সর্বভারতীয় হিন্দি সংবাদমাধ্যম নিউজ নেশনের সঞ্চালক দীপক চৌরাসিয়া রীতিমত গ্রাফিক্স ও অ্যানিমেশনের দেখিয়ে বর্ণনা করেন রাম মন্দির দেখতে কেমন হবে। কত ফুট উচ্চতা হবে। কত গুলো তলা হবে। কোন তলায় কি থাকবে। উপরে গেরুয়া ধ্বজা ঠিক কত কিলোমিটার দূর থেকে দেখা যাবে।  

     

এদিকে বাঙলার বাজারি সংবাদমাধ্যমের খবর পড়লে আপনার মনে হবে পৃথিবীর সর্বোত্তম রাজনৈতিক দলটির নাম তৃণমূল কংগ্রেস! এমন দল আর হয় না গো! হোলসেল রূপকথা। একেবারে নিষ্পাপ। সেন্ট পার্সেন্ট নিষ্কলুষ। ঠিক যেন, বাবুরাম সাপুড়ের ফ্যান্টাসি সাপ। যে সাপের চোখ নেই, শিং নেই, নোখ্ নেই। যে সাপ ছোটে না, হাঁটে না, কাউকে কাটে না, করে নাকো ফোঁস ফাঁস, মারে নাকো ঢুঁশঢাঁশ। নেই কোন উৎপাত, খায় শুধু দুধ ভাত!  তৃণমূল হল স্মুথ অ্যাস বাটার। কুল অ্যাস কিউকাম্বার!

প্রত্যেকবার যেই কোন তৃণমূল নেতা নেত্রী দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার হবেন, জনমতে সার্বিক ভাবে তৃণমূলের দুর্নীতি দেখে মানুষ ছিঃ ছিঃ করবেন, চোর, চিটিংবাজদের বিরুদ্ধে মানুষ একরাশ ঘেন্না উগরে দেবেন অমনি এক পুরাতন বোতলে নতুন মদের যাত্রাপালা শুরু হবে! “তৃণমূল দুর্নীতি কে প্রশ্রয় দেয় না!”, “কেউ  দুর্নীতি করে থাকলে সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়, দল এর সঙ্গে জড়িত নয়”, “আমাকে জড়াবেন না, আমার হাতেও কিন্তু আলকাতরা আছে” – পিসি-ভাইপো পালা করে ডায়লগবাজির রঙ্গমঞ্চে এরকম নানান বাণী বিতরণ করবেন। আর নবান্নের গৃহপালিত বাঙলা মিডিয়ার কুশীলবরা সেগুলো চরণামৃত ভেবে লেজে আগুন লাগিয়ে প্রচার করবেন।

মধ্যপ্রদেশের ব্যাপম কেলেঙ্কারি থেকে রাফায়েল বিমানের দুর্নীতি প্রসঙ্গে তৃণমূলের মাতব্বর নেতাদের বিবৃতি বাঙলা সংবাদমাধ্যমে এমন সোনার অক্ষরে লেপটে ছাপা হয়েছিল যেন নারদের স্টিং অপারেশনর ক্যামেরা তে আপনি যাদের ঘুষ খেতে দেখেছিলেন তারা সব এলিয়েন ছিলেন। পিকে সিনেমায় আমির খানের সঙ্গে স্পেশশিপ থেকে ম্যাথু স্যামুয়েলসের ক্যামেরার সামনে টপকে পড়েছিল। আর সারদা চিট ফান্ড কেলেঙ্কারি ঘটনা এ রাজ্যে নয় নেপচুনের পাঁচমাথার মোড়ের হরিদাস পালের ক্যান্টিনে ঘটেছিল।

আইনস্টাইনের থিওরি অফ রিলেটিভিটি, নিউটনের থিওরি অফ গ্র্যাভিটি এমনকি সদ্য বিশ্ব কে চমকে দেওয়া নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপেও ১৪০০ কোটি বছর পিছিয়ে বিগ ব্যাং-র যুগে পৌঁছে গেলেও পিসি ভাইপো কর্তৃক আবিষ্কৃত ও বাঙলা মিডিয়ার মারফৎ প্রচারিত এমন থিওরির তুলনা আপনি পাবেন না!

অস্ট্রেলিয়ার সরকারের গোপনীয়তার অজুহাতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আড়াল করার নব্য নীতি এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর ক্রমবর্ধমান সরকারী হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে অস্ট্রেলিয়ার সমস্ত খবরের কাগজ বছরখানেক আগে একসাথে সামনের পাতা ব্ল্যাক-আউট করেছিল। গত এপ্রিলে মাসে যে ‘প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সের’ তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাতে ১৮০টি দেশের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার স্থান ৫ ধাপ নেমে ১৬ তে এসে ঠেকেছে। তাই গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে না পেরে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম দৃষ্টান্তমূলক প্রতিবাদ সংগঠিত করাই জরুরী মনে করেছে। শুনলে অবাক হবেন, ঐ একই ‘প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সের’ তালিকায় ভারতের স্থান ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৬১-এ। দেশের কোন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর ক্রমবর্ধমান সরকারী হস্তক্ষেপের কোন প্রতিবাদের লেশমাত্র দেখেছেন কি? অবশ্য দেখালে তো মুশকিল আছে। নিউজক্লিকের মত সংবাদ মাধ্যমকে এই কঠিন লড়াইটা করার জন্যই ভুগতে হচ্ছে। চক্ষুশূল হলেই ইডি সিবিআই লেলিয়ে দিচ্ছে। কিম্বা বাংলায় গণশক্তিতে সরকারী বিজ্ঞাপন না দিয়ে ভাতে মারার চেষ্টা করছে।

১৯৫৪ তে আর একটা ১৯৮৮ তে স্বাধীন ভারতে গঠিত দুটো প্রেস কমিশনই নিজেদের রিপোর্টে বলেছিল যে, কর্পোরেট পুঁজি থেকে মিডিয়া কে মুক্ত করতে না পারলে মিডিয়া গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেব স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারবে না। যথারীতি অন্য অনেক কমিশনের রিপোর্টের মতই এই প্রেস কমিশনের রিপোর্ট গুলোরও জায়গা হয়েছিল ডাস্টবিনে। তাই আজ এই মিডিয়া গুলি যে ১% বিগ বিজনেস হাউস গুলির অর্থে পুষ্ট হয়ে কিম্বা অঙ্গুলি হেলনে পরিচালিত  হয়, তাঁদের গায়ে এই অর্থনীতির মন্দাবস্থার ফোস্কা পড়েনি। বরং কংগ্রেস-বিজেপি সরকার গুলির আর্থিক উদারীকরণের নীতির অনুশীলনে সাধারণ মানুষের কাঁধে  বোঝা চাপিয়ে এই মুষ্টিমেয় বিগ বিজনেস হাউস গুলির মুনাফা অর্জন করে গেছে দিনের পর দিন। তাই আর্থিক মন্দা থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে, পাকিস্তান আর কাশ্মীরের তু-তু-ম্যা-ম্যা তে সাধারণ মানুষের মনন কে দখল করে রাখতে, আর্থিক উদারীকরণ সরকার বিরুদ্ধে জন বিক্ষোভ সংগঠিত করে বিব্রত না করতে, কর্পোরেট পুঁজির পোস্টার বয় নরেন্দ্র মোদীর ইমেজ বাঁচাতে মিডিয়ার এই পরিকল্পিত প্রচার একেবারেই কোন বিক্ষিপ্ত ঘটনা নয় বরং কেতাবি পুঁজিবাদী ঘরানার আস্ত একটা মোডাস অপারেন্ডি।

দেশের পক্ষে বিপজ্জনক রাষ্ট্রনেতা’দের মাথায় তুলে নাচার প্রবণতা মিডিয়ার বহু পুরনো অভ্যাস। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখে যাবে যে, ১৯২০-৩০’র দশকে মুসোলিনির কিম্বা হিটলারের মত ফ্যাসিস্টদের উত্থানের সময়ও ইতালি কিম্বা জার্মানির স্তাবক সংবাদমাধ্যম গুলি তো বটেই, এমনকি পুঁজিবাদের আঁতুড় ঘর, গণতন্ত্রের সাক্ষাৎ পূজারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম গুলি ভেসে গিয়েছিল হিটলার এবং মুসোলিনির মত ফ্যাসিস্টদের স্তুতি তে। একটি গবেষণা তে দেখা গেছে যে, আমেরিকার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ১৯২৫ থেকে ১৯৩২ সময়কালে কমপক্ষে ১৫০ টি নিবন্ধ ছাপা হয়েছিল যে নিবন্ধ গুলি ছিল মুসোলিনির পক্ষে প্রশংসা সূচক। সেই সময় কালে নিউ ইয়র্ক ট্রিবিউন পত্রিকায় বলা হয়েছিল “প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বামপন্থীদের উত্থান প্রতিহত করার জন্য ফ্যাসিস্টদের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয় এবং দেশের অর্থনীতি কে পুনরুজ্জীবিত করার পক্ষেও গুরুত্বপূর্ণ।” মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম গুলি তে যেখানে ছেড়ে গিয়েছিলেন মুসোলিনি সেখান থেকেই শুরু করেন হিটলার। প্রথম দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম গুলি হিটলার কে বলতেন জার্মান মুসোলিনি। পরবর্তী সময় হিটলারের নির্বাচনী জয়ের পর ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে ‘পরিবর্তনের বার্লিন’ শীর্ষকে হিটলারের উন্নয়ন কামী ইমেজ কে পুনর্নির্মাণ করা হয়। একাধিক পত্রিকায় হিটলারের ইহুদী নিধন যজ্ঞের খবর বেমালুম চেপে যাওয়া হয়।

কিন্তু এত ব্রজ আঁটুনিতেও মুক্তিকামী সংগঠিত মানুষের প্রতিরোধ রোখা যায়নি। ইতিহাস সাক্ষী যে ১২ বছরের বেশি নাৎসি পার্টিও টেকেনি, ল্যাম্পপোস্ট ছাড়া মুসোলিনির কিছুই আর জোটেনি, আত্মহনন কারী বুলেট থেকে হিটলারও রক্ষা পায়নি। ফ্যাসিস্ট’দের স্বার্থ রক্ষা করতে মিডিয়ার তাঁবেদারি সেদিনও ছিল। ফ্যাসিস্ট’দের স্বার্থ রক্ষা করতে মিডিয়ার তাঁবেদারি আজও আছে। মিডিয়ার তাঁবেদারি সেদিনও ফ্যাসিস্টদের রক্ষা করতে পারেনি। মিডিয়ার তাঁবেদারি আজও ফ্যাসিস্টদের রক্ষা করতে পারবে না। সভ্যতার ইতিহাসে সেদিনও শেষ কথা বলেছিল মেহনতি মানুষ। আর সভ্যতার ইতিহাসে এবারও শেষ কথা বলবে  মেহনতি মানুষ।


শেয়ার করুন