৬ এপ্রিল,সোমবার, ২০২০
মাননীয় রাষ্ট্রপতি মহাশয়,ভারতের সংবিধানের তত্বাবধায়ক অছি’র দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির এবং তারই অনুমোদন ও প্রাধিকার সাপেক্ষে দেশের সরকারকে কাজ করতে হয় – তাই এই চিঠি আপনার উদ্দেশ্যে লেখা।
ইতিমধ্যেই ভারত ও ভারতবাসীরা দুটি প্রতীকী কর্মসূচি পেরিয়ে এসেছে। মহামারীর প্রকোপের বিরুদ্ধে গোটা দেশ যখন লড়াই করছে সেই সময়ে গতকাল অনেকেই পটকা-বাজি ইত্যাদি জ্বালিয়ে এরকমই এক প্রতীকী কর্মসূচির পালন করেছে যা দৃশ্যত পীড়াদায়ক। আমি নিশ্চিত, এখনকার কঠিন সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করে এই ধরনের প্রতীকী সংহতি’র উদযাপন’কে আপনিও কোন বিকল্প ব্যাবস্থা মনে করেন না।
এই প্রসঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী’কে বারে বারে জানানো সত্বেও কোন সুরাহা না হওয়ায় আমি আপনার হস্তক্ষেপ দাবি করতে বাধ্য হচ্ছি। দেশের সরকার সর্বদাই রাষ্ট্রপতির অনুমোদন স্বাপেক্ষে কাজ করতে বাধ্য, তাই ভারতের জনগণের প্রতিনিধি হিসাবে আমি আপনার কাছে এই দাবি জানাচ্ছি যাতে কোভিড-১৯ মহামারীর মোকাবিলায় আপনি সরকারকে নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে ২১ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করার মাত্র চার ঘন্টা পরেই তা কার্যকর করতে সরকারি আদেশনামা জারী করা হল অথচ ২২ মার্চ একদিনের প্রতীকী কর্মসূচি হিসাবে “জনতা কার্ফ্যু” সফল করতে জনতাকে প্রস্তুত হবার জন্য ২ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল।
এই লকডাউনকে বলপূর্বক কার্যকরী করতে সবার উপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে অথচ একে সফল করতে কোনোরকম পুর্বপ্রস্তুতি না তো সরকারের ছিল, না ছিল দেশের জনগণের। এরই ফলাফল হিসাবে মহামারীকে সামাজিক সংক্রমনের পর্যায়ে উত্তির্ন হওয়া রোখা গেল না বরং সারা দেশে এক নৈরাজ্য এবং বিশৃঙ্খলতা ছড়িয়ে পড়ল।
এই অবস্থায় আমি আপনাকে আবেদন জানাতে বাধ্য হচ্ছি যাতে আপনি নিম্নলিখিত বিষয়গুলিতে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মতোই সরকারকে কাজ করতে নির্দেশ দেন।
১. পরিযায়ী শ্রমিকদের সংকটঃ
দৈনিক আয়ের উপরে নির্ভরশীল লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক এই পরিস্থিতিতে কাজ হারিয়ে কয়েকশো কিলোমিটার পেরিয়ে নিজেদের ঘরে ফিরে যেতে ছত্রভঙ্গের ন্যায় জাতীয় সড়কগুলীতে ছুটে বেড়াচ্ছেন। এখন দেশে শস্যোৎপাদনের মরসুম হওয়ায় তারা নিজেদের পরিবারের মুখে দুমুঠো গ্রাস তুলে দেবার দুশ্চিন্তা থেকেও এভাবে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনতে বিশেষ বিমান পরিষেবার আয়োজন করেছিল সরকার। আমাদেরই সহনাগরিক এই শ্রমিকদের জন্যেও একইভাবে বিমান না হোক অন্তত রেল অথবা বাস পরিবহনের বন্দোবস্তটুকু করা যেত। তাও না করা গেলে জরুরী ভিত্তিতে এদের জন্য পর্যাপ্ত রেশন এবং অস্থায়ী আশ্রয়ের ব্যাবস্থা করাই যেত যেখানে সংক্রমনের থেকে সুরক্ষিত থাকতে এরা একে অন্যের থেকে দুরত্ব বজায় রেখে চলতে পারতেন।
২. রাজ্যগুলিকে অনুপযোগী ধারণা করে কেন্দ্রীয় কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত করা হলো নাঃ
ভারতের সংবিধানের প্রথম অনুচ্ছেদেই “ইন্ডিয়া অথবা ভারত হল রাজ্যগুলির একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যাবস্থা” উল্লেখ করে আমাদের দেশের বুনিয়দি বৈশিষ্টের ব্যাখ্যা দেওয়া রয়েছে।
এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে লকডাউন জারী করার আগে বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচিত সরকারগুলির সাথে একটিবারের জন্যেও কোন আলোচনার প্রয়োজন অনুভব করলেন না। ফলে অনেক রাজ্যই এই দুর্যোগ মোকাবিলায় সম্পুর্ন অপ্রস্তুত হয়ে রইল।
এখন পরিযায়ী শ্রমিকদের সংকটের দায় সম্পূর্ণরুপে রাজ্যসরকারগুলির উপরে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে যা ভয়ানক অন্যায়। এই কাজে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যসরকারগুলীকে যথাযথ আর্থিক সাহায্য করা উচিত। সাম্প্রতিক ঘোষণা অনুযায়ী রাজ্য সরকারগুলির ত্রান তহবিলে পাঠানো অর্থসাহায্য একেবারেই অপর্যাপ্ত এবং প্রয়োজনের তুলনায় অত্যাল্প।
৩.দেশের অর্থনীতিতে আসন্ন ক্ষতিকর প্রভাব প্রশমিত করার দায়িত্বঃ
ক) এই লকডাউনের কারনেই কোটি কোটি মানুষ রোজগারের সুযোগ হারিয়েছেন। জনগণের একটি বড় অংশের উপরেই খাদ্যসংকট নেমে আসতে চলেছে যা হতে দেওয়া যায় না। আমি নিশ্চিত আপনিও যে কোন মুল্যে এই সংকট মোকাবিলা করতে চাইবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার ভান্ডারে প্রায় ৭.৫ কোটি টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। তা পোকায় কেটে অথবা পচে নষ্ট হবার বদলে রোজগার হারানো মানুষজনের মধ্যে বন্টন করা শুরু হোক।
খ) দেশে আগে থেকেই অর্থনৈতিক মন্দার কুপ্রভাব চলছিল – এই মহামারী সেই কুপ্রভাবকেই আরও বিস্তৃত করবে। বহু জায়গাতে কর্মীদের লে-অফ ঘোষণা করা হচ্ছে। লকডাউন চলাকালীন বেতন না কমানোর সরকারি নির্দেশ থাকা সত্বেও অনেক জায়গাতেই কার্যত তা মানা হচ্ছে না। কর্মচারীদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে ব্যাবসা-বানিজ্য বন্ধ থাকায় তাদের বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
বহু দেশের সরকার এই অবস্থায় কর্মচারীদের বেতনের দায় স্বীকার করে কোথাও প্রায় ৮০% অবধি ভর্তুকি দেবার কথা ঘোষণা করেছে। আমাদের দেশের ক্ষেত্রেও আপনার অনুমোদিত সরকারের উচিত এরকমই কোন পদক্ষেপ নেওয়া।
গ) কোটি কোটি মধ্যবিত্ত মানুষ ব্যাংক থেকে মাসিক কিস্তিতে দেনা শোধ করার শর্ত অনুযায়ী নানা প্রয়োজনে ঋণ নিয়েছেন। সেই ঋণের মাসিক কিস্তি এবং ইএমআই পরিশোধ এসবকিছুকেই আগামী তিনমাসের জন্য বিনা সুদ চাপিয়ে স্থগিত রাখতে হবে।
ঘ) এই পরিস্থিতিতে কৃষিক্ষেত্রে সংকট তীব্রতর হতে বাধ্য, আপনার অনুমোদিত সরকারের উচিত চাষিদের ঋণ মুকুব করতে এককালীন ঘোষণা করা। এই কাজ অবশ্যই সম্ভব, কেননা সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার দেশের অতিধনী কর্পোরেটদের জন্য ৭.৭৮ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ মুকুবের ঘোষণা করেছে। দেশের অন্নদাতাদের স্বার্থেও একইরকম সহানুভূতি দেখান উচিত।
৪. চিকিৎসা সামগ্রির অভাবঃ
দেশের বহু প্রান্ত থেকেই চিকিৎসা সামগ্রির গুরুতর অভাবের খবর আসছে। অত্যন্ত সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে আমাদের দেশে স্বাস্থ্যকর্মীরা বর্তমানে মহামারী মোকাবিলায় কাজ করছেন অথচ তারা নিজেরা যথাযথ সুরক্ষা পোশাক পাচ্ছেন না এমন অভিযোগ অনেক হাসপাতাল সুত্রেই পাওয়া যাচ্ছে। সরকারকে পিপিই সরবরাহের সমস্যার সমাধানে এখনই অগ্রাধিকার দিতে হবে।
হাসপাতালগুলীতে আইশোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জায়গার সংকুলান হচ্ছে না – এখনই এর সমাধান করতে হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যায় ভেন্টিলেটরের ক্ষেত্রে চরম ঘাটতি রয়েছে – অতি দ্রুত সেই ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে হবে।
সংক্রমণ পরীক্ষা করার নিরিখে অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের অবস্থান সবার নিচে না হলেও যথেষ্টই নিচে একথা এখন সর্বজনবিদিত। যেখানে প্রতি লক্ষে দক্ষিন কোরিয়া ৭৬৫৯ জনকে পরীক্ষা করাচ্ছে সেখানে আমাদের দেশে সেই সংখ্যা ভয়ংকর হলেও মাত্র ৩২। ভবিষ্যতে এর ফলাফল ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে। ব্যাপকহারে পরীক্ষা চালিয়ে খুব দ্রুত সেইসব এলাকাকে চিহ্নিত করতে হবে যেখানে সংক্রমণ অনেকের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে, তারপরে সেইসব অঞ্চলে লকডাউন জারী করতে হবে, পুরো দেশে নয়।
উল্লিখিত এই সমস্ত ক্ষেত্রেই আপনার অনুমোদিত সরকারকে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কাজ করার নির্দেশ দিন।
৫. কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নতুন তহবিলঃ
অত্যন্ত অদ্ভুতভাবে সম্প্রতি দেশের সরকারের পক্ষ থেকে এই মহামারী মোকাবিলায় “পি এম কেয়ারস” নামে একটি তহবিল গঠন করা হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে আজ অবধি যে কোন দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রান তহবিলকেই ব্যবহার করা হয়েছে। সেই তহবিল স্বচ্ছতা বজায় রেখেছে, তার হিসাব দেওয়ার দায় রয়েছে এবং সেই তহবিলকে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল বা ক্যাগ দ্বারা নিরীক্ষণ করান হয়। অন্যদিকে এই “পি এম কেয়ারস” তহবিলটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন চারজন সদস্যকে নিয়ে গঠিত একটি ট্রাস্টের হাতে। এই চারজন হলেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী। কিভাবে এই তহবিলে অর্থসাহায্য নেওয়া হচ্ছে, তার বন্টন হচ্ছে অথবা এই তহবিলের হিসাব দেবার দায় সংক্রান্ত কোনকিছুই জানা নেই। জবরদস্তি করে অর্থসাহায্য আদায় করা, সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশায় যুক্ত অথবা স্বাস্থ্যকর্মীদের অনুমোদন ছাড়াই তাদের একদিনের বেতন কেটে নেবার মতো বিরক্তি উদ্রেককারী খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই কর্পোরেট, বিখ্যাত ব্যাক্তিত্ব, জাতীয়করণ করা হয়েছে এমন সংস্থাগুলীর থেকে এবং বেতন কেটে হাজার হাজার কোটি টাকা এই তহবিলে জমা হয়েছে।
জনগণের স্মরনে রয়েছে একইভাবে পুলওয়ামায় আতংকবাদীদের হামলায় শহীদ জওয়ানদের পরিবারগুলীকে সাহায্যের উদ্দেশ্যে “ভারত কে বীর” নামে একটি তহবিল গড়ে তোলা হয়েছিল। আজ অবধি সেই তহবিলের কোন হিসাব জনসমক্ষে আনা হয় নি। আমি নিশ্চিত এই ধরনের তহবিলের অসচ্ছতা এবং হিসাব বহির্ভুত চরিত্র নিয়ে আপনিও একমত হবেন। কিভাবে আপনার অনুমোদন সাপেক্ষে চলা সরকারকে এই ধরণের তহবিল পরিচালনা করার অনুমতি দেবেন?
এই ক্ষেত্রে আমি আপনার হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি যাতে এইধরনের সদ্য গঠিত তহবিল প্রকৃতপক্ষে যার নাম হওয়া উচিত “ইন্ডিয়া কেয়ারস” সেগুলিকে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রান তহবিলের সাথে যুক্ত করা হোক।
সবচেয়ে বড় কথা হল কোভিড-১৯ মহামারীর মোকাবিলায় জনগণের জন্য স্বাস্থ্যপরিষেবা পৌঁছে দেবার প্রাথমিক দায়িত্ব যেহেতু সরকারের তাই উচিত হবে এই তহবিলের একটি বড় অংশকেই রাজ্যগুলির হাতে তুলে দেওয়া যাতে তারা যথাযথ এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হয়।
৬. সাম্প্রদায়িকিকরনঃ
সবশেষে, নিশ্চয়ই আপনি এই ব্যাপারে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে রাজি হবেন যখন একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের উপরে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে দেবার দায় চাপানোর অপচেষ্টা চলছে। তবলিঘি জামাত’র উদ্যোক্তারা নিশ্চিতরুপেই দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করেছেন। কিন্তু এই সুযোগে সামগ্রিকভাবে মুসলমান সম্প্রদায়কে এর জন্যে দায়ী করা চলে না। এই অপচেস্টা রোখা না গেলে কোভিড মহামারীর মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ দেশের জনগণের লড়াই ক্ষতিগ্রস্থ হবেই।
আপনি হয়ত এই বিষয়ে অবগত আছেন যে সারা দেশে ধর্মীয় অথবা অন্য কোন কারনে যে কোন জনসমাবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারী হবার পরেও এধরণের অনেক ঘটনা ঘটেছে। এমনকি লকডাউন ঘোষণা হবার দিনে সন্ধ্যা অবধি সংসদেও কাজ চলেছিল। মধ্যপ্রদেশ বিধানভায় চলতি সরকারের বিরুদ্ধে নতুন সরকার গঠনের জন্য ফ্লোর টেস্ট’র আয়োজন অবধি করা হয়েছে। এই সমস্ত জমায়েতে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের প্রত্যেককেই অবিলম্বে সংক্রমণ চিহ্নিতকারী পরীক্ষার আওতায় আনা হোক এবং প্রয়োজনে আইশলেশনে পাঠানো হোক যাতে ভবিষ্যতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
আমি আশা করব দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন সবাইকে একসাথে মিলে এমন এক বিপদের মোকাবিলা করতে হবে যা ধর্ম, জাতি, শ্রেণী ইত্যাদি নির্বিশেষে মানুষকে সংক্রামিত করে তখন সংবিধানের তত্বাবধায়ক অছি হিসাবে আপনি মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিভাজনকে বিস্তৃত হতে দেবেন না। এসময় দুর্বৃত্তায়নের নয় বরং প্রয়োজন মানবিক সহানুভুতির, নিজস্ব প্রাধিকার প্রয়োগ করে সেই কথা সরকারকে বোঝান।
উল্লিখিত সকল বিষয়গুলীকে আশু প্রয়োজনীয়তা এবং গুরত্বসহ বিচার করার জন্য আমি আপনার সামনে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি। সবকটি ক্ষেত্রে অবিলম্বে যথার্থ পদক্ষেপ নেবার জন্য আপনার প্রাধিকার এবং অনুমোদন স্বাপেক্ষে চলা সরকারকে নির্দেশ দিন, এবং আরও একবার উল্লেখ করছি যুদ্ধ পরিস্থিতির ন্যায় তাদের সেই কাজ করতে হবে।
সীতারাম ইয়েচুরি
সাধারণ সম্পাদক
শ্রী রামনাথ কোবিন্দ
ভারতের রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি ভবন
নতুন দিল্লি
শেয়ার করুন
One comment