এই ঘোষণার ব্যাপারে যদি বিজেপি সরকারের সত্যিই সদিচ্ছা থাকে তবে সরকারকে ২০০৩ সালের নাগরিকত্ব আইনে উল্লিখিত নিয়মাবলির আইনানুগ সংশোধন করতে হবে। ঐ আইনের ৩, ৪, ৫(ক), (খ), ৬ (ক), (খ), (গ) ধারাগুলিতে এনপিআর (জাতীয় জনগণনা পঞ্জি) তৈরি, সেই অনুসঙ্গে নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে সন্দেহজনক ব্যাক্তিদের চিহ্নিত করার উল্লেখ রয়েছে এবং পরবর্তী পর্যায়ে সন্দেহজনক হিসাবে চিহ্নিত ব্যাক্তিদের ক্ষেত্রে অনুসন্ধান এবং প্রয়োজনীয় দলিল সংক্রান্ত পদ্ধতি-প্রকরণের বিবরণী এবং নির্দেশ রয়েছে।
সংসদে পেশ করা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে যদি বিশ্বাস করতে হয় তবে সরকারের উচিত এখনই উল্লিখিত আইনের ঐ সকল ধারাগুলিকে বাতিল করা। সে ক্ষেত্রে ২০০৩ সালের নাগরিকত্ব আইনের সেই আনুসঙ্গিক ধারাগুলিও বর্জিত হবে যেগুলির দ্বারা এনআরসি (জাতীয় নাগরিক পঞ্জি) কে আনুসাঙ্গিক ও কার্যকরী আইনি মর্যাদা দেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনী প্রনয়ন করে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি – এনআরসি’কে অকার্যকর এবং বাতিল ঘোষণা করতে হবে।
দেশের জনগণের বিরাট একটি অংশের প্রতিনিধি হিসাবে বেশিরভাগ রাজ্যসরকারগুলি এনআরসি’র (জাতীয় নাগরিক পঞ্জি) বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। এই অবস্থানের মর্যাদা দিতেও ২০০৩ সালের নাগরিকত্ব আইনে কার্যকরী সংশোধনী প্রনয়ন করে এনআরসি (জাতীয় নাগরিক পঞ্জি) বাতিল করা উচিত।
সিপিআই(এম)’র পলিট ব্যুরো সুনির্দিষ্টভাবে জানিয়েছে সংসদে এনপিআর (জাতীয় জনগণনা পঞ্জি) কে ভবিষ্যতে এনআরসি’র (জাতীয় নাগরিক পঞ্জি) জন্য ব্যাবহার করা হবে না বলে শুধুমাত্র বক্তব্য পেশ করলেই জনগণের বিশ্বাস অর্জন করা যাবে না। এই প্রসঙ্গে ২০০৩ সালের আইনের নির্দিষ্ট ধারাগুলিকে বাতিল করে নাগরিকত্ব আইনের সংশোধন করতে হবে।
নীলোৎপল বসুঃ সিপিআই(এম)পলিট ব্যুরো সদস্য
শেয়ার করুন