ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি প্রেস বিবৃতি
তারিখঃ ২৭ জুন, ২০২৫
কসবা আইন কলেজের ভেতরে এক ছাত্রীর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের দ্বারা দলবদ্ধ ধর্ষনের ঘটনায় রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা কতটা তলানিতে পৌঁছেছে তা আবারও বেআব্রু হলো এবং তৃণমূল যে দুর্বৃত্তদের আঁতুড়ঘর, তাও আবার প্রমাণিত হলো। কলেজ ভবনের মধ্যেও যে পড়ুয়ারা নিরাপদ নয়, আর জি কর কান্ডের পরে এই ঘটনায় তা স্পষ্ট। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে, নির্বাচন বন্ধ রেখে, সেখানে দুর্নীতির আখড়া গড়ে তুলেছে তৃণমূল। মমতা ব্যানার্জী এবং অভিষেক ব্যানার্জী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এক একজন অনুগত দুর্বৃত্তকে বসিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি দিয়ে। তারাই টাকা তোলে ভর্তির সময়ে, তারাই ছাত্র সংসদ চালায়। তাই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষত পেশা ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে নির্বাচনের ব্যবস্থাই তুলে দিয়ে, এই দুর্বৃত্তদের ঠিকা দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জী এবং অভিষেক ব্যানার্জী। আর জি করে পড়ুয়া চিকিৎসককে ধর্ষন এবং হত্যার ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে তাই নিজেই আসরে নেমে পড়েছিলেন মমতা ব্যানার্জী। কালিগঞ্জে উপনির্বাচনের বিজয় মিছিল থেকে বোমা মেরে ১০ বছরের কিশোরীকে হত্যা করেছে এই তৃণমূল দুর্বৃত্তদের দলই। আজ এবং আগামীকাল এর বিরুদ্ধে রাজ্যের সর্বত্র তীব্র বিক্ষোভ হবে। রাজ্যের সমস্ত শুভবুদ্ধি সম্পন্ন গণতান্ত্রিক মানুষ এবং দলগুলোকে প্রতিবাদে সামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে সিপিআই(এম)।
মহঃ সেলিম
সম্পাদক