জনমানসে একটি ধারণা আছে যে সংকটকালে সকলেই সমাজতান্ত্রিক হয়ে পড়ে, এই সময় শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থে মুক্তবাজারব্যাবস্থা পিছনে হটে যায়। এই প্রসঙ্গে উদাহরণ হিসাবে বলা যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলার সময়ে ব্রিটেনে সর্বজনিন গণবন্টন (রেশন) ব্যবস্থা চালু হওয়ায় সেখানকার শ্রমজীবীরা অন্য সময়ের তুলনায় পুষ্টির বিচারে ভাল অবস্থায় ছিল। একইভাবে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে সরকারি নির্দেশের আওতায় এনে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পণ্য উৎপাদন করানো হয়, এভাবেই প্রকৃতপক্ষে জনস্বার্থ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা হয়েছিল।
মহামারীর ধাক্কায় কিছুটা এমনই ব্যাপার ঘটছে এখন। একের পর এক দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের উৎপাদনের ক্ষেত্রে অথবা জনস্বাস্থ্য ব্যাবস্থার সামাজিকীকরণ করা হচ্ছে যা পুঁজিবাদী ব্যাবস্থাপনার ধারনার থেকে উল্লেখযোগ্য ভাবে অনেকটাই আলাদা। এই সব দেশেই সংকটের মাত্রা যত বেশি সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রও ততটাই বিস্তৃত। যেমন, ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে ইতালির পরেই সবচেয়ে সঙ্কটে পড়েছে স্পেন, সেখানে সংকট মোকাবিলা করতে সবকটি বেসরকারি হাসপাতালের জাতীয়করণ করা হয়েছে, সেগুলি এখন সম্পূর্ন সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন। এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্প অবধি তার দেশের বেসরকারি কোম্পানিগুলিকে মহামারী চলাকালীন জরুরী ভিত্তিতে পণ্য উৎপাদন এবং সরবরাহের জন্য সরকারি নির্দেশ পাঠিয়েছেন। বেসরকারি ক্ষেত্রের উপরে সরকারি নজরদারি বলতে এখন আর শুধু চীনের কথা বলা যাবে না, একথা এখন ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং এমনকি আমেরিকার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
মহামারীর ধাক্কায় সারা পৃথিবীতে এইভাবে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার দিকে ঝুঁকে পড়ার পিছনে দ্বিতীয় একটি কারণও রয়েছে। মহামারীর কারনেই জনমানসে বিজ্ঞানচেতনা গড়ে তোলবার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে, আর বিজ্ঞানচেতনা গড়ে ওঠাই হল সমাজতন্ত্রের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ। যেমন হিন্দুত্বের ধ্বজাধারীরা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় গবাদি পশুর বর্জ্য (গোবর এবং গোমূত্র) ব্যবাহারের যেসব শূন্যগর্ভ তত্ব ফেরী করছিলেন তাদেরকে এই পরিস্থিতিতে মানুষের তাচ্ছিল্যের সামনে পড়তে হচ্ছে। যারা এইসব তত্ব মানুষের মধ্যে ফেরী করছিলেন, নিজেদের সর্দির প্রথম উপসর্গেই আতংকগ্রস্থ হয়ে তারাই, হয় নিজে থেকে নয়তো তাদের ভক্তকুলের কাঁধে চেপে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। এই সময় প্রমান করেছে কুসংস্কার পোষণ করলে তার চড়া মুল্য চোকাতে হয়। জনমানসে একধরণের সক্রিয় মনোভাবের বলপূর্বক সূচনা হয়েছে যা সমাজতন্ত্রের ধারনার দিকে ব্যবস্থাকে নিয়ে যেতে সহায়ক হয়।
এটা ঠিকই যে জনমানসে দ্রুত গড়ে ওঠা বিজ্ঞানচেতনাই হোক অথবা পণ্যউৎপাদনের ব্যাবস্থাপনা এবং জনস্বাস্থ্যের সামাজিকীকরণই হোক ভারত অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই পেছিয়ে রয়েছে। বিপদের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও এখনও আমাদের দেশে সংকটমোচনে সহজে বাজিমাত করে দেবার একটি জঘন্য ঝোঁক প্রভাববিস্তার করে রয়েছে। যেমন উল্লেখ করা যেতে পারে ২২ মার্চ মোদীর ঘোষণা অনুযায়ী ৫ মিনিটের “জনতা কার্ফ্যু” পালন করতে গিয়ে অতি উৎসাহী মোদী-ভক্তেরা ব্যাপারটাকে একটি প্রকাশ্য এবং উচ্চনিনাদে ঢাকা পড়ে যাওয়া প্রায় আধঘন্টার উদযাপনে পরিণত করে যাতে প্রচুর মানুষ একসাথে ঘন্টা বাজাতে রাস্তায় নেমে আসে। এই কাজে “সামাজিক দুরত্ব” বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কার্যত সেই নির্দেশকে নস্যাৎ করে দেওয়া হয়।
একইভাবে দেখা যাচ্ছে সরকারের হস্তক্ষেপে সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে সংক্রমণ পরীক্ষা করার ব্যাবস্থাকে ব্যাপ্ত করা হলেও এখনও সেইসব জায়গায় বিনামুল্যে সংক্রমনের পরীক্ষা এবং চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
একদিকে জনমানসে বিজ্ঞানচেতনাকে বাতিল করতে হিন্দুত্ব ঝোঁকের প্রাদুর্ভাব বজায় রয়েছে, অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে এই অবস্থাতেও মুনাফা লুটে নেবার প্রবণতা বিদ্যমান - যার থেকে একথা বলাই যায় যে এদেশে সংকট এখনও সেইভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। যদি বিপদ আরও বাড়ে, যা হয়ত কেউই চাইবে না তখন অন্যান্য দেশগুলির মতো ভারতকেও নিজেদের দিশা সামাজিকীকরণের দিকে ঘোরাতে বাধ্য হতে হবে।
“সাহায্যের নামে পড়শিকে ভিখারি বানাও” এরকম এক বিকল্প ব্যাবস্থার প্রবণতা এই মুহূর্তে অনেক জায়গায় কাজ করছে।এই প্রবনতার সবচেয়ে স্পষ্ট উদাহরণ হল, জার্মান ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা কিওরভ্যাক’র বানানো প্রতিষেধকের একচ্ছত্র অধিকার পেতে ট্রাম্পের প্রচেস্টা। সোজাকথায় বলা যায় ট্রাম্প চেয়ছিলেন যাতে প্রতিষেধক শুধুমাত্র আমেরিকার হাতেই থাকে, অন্য কোন দেশের যাতে সেই সুযোগ না হয় – জার্মানির সরকার ট্রাম্পের এই চেষ্টায় জল ঢেলে দিয়েছে। এই ধারার অনুসঙ্গেই আরেকটি প্রবনতা শক্তিসঞ্চয় করছে যার দ্বারা জনগণের একটি নির্দিষ্ট অংশের মানুষের জন্যেই যাবতীয় সুরক্ষার ব্যাবস্থা করা হচ্ছে এবং শ্রমজীবী প্রান্তিক মানুষজন, বয়স্ক এবং মহিলাদের কপালের ভরসায় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। সংক্রমনের ভয়ানক আক্রমনে জর্জরিত হওয়া সত্ত্বেও ইরানের উপর থেকে জারি করা নিষেধাজ্ঞা না তুলতে চাওয়ার যে একগুঁয়ে মনোভাব ট্রাম্প এখনও দেখিয়ে চলেছেন তাতে এই প্রবনতার সম্পর্কে প্রত্যয় আরও দৃঢ় হয়। এইসব কিছুই নির্দেশ করছে পুঁজিবাদের সেই ধ্রুপদী অভ্যাসের দিকে যা উচ্চবিত্ত, শক্তিশালী এবং পুষ্টি ক্রয় করে শক্তপোক্ত থাকতে পারা অংশকে রক্ষা করতে ব্যাস্ত থাকে এবং নির্বিত্ত ও অসুরক্ষিত জনগণকে মহামারীর দয়ার দানের উপরে ভরসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী নির্বাচনের আগের লড়াইতে সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির মানুষ বলে পরিচিত, যিনি সর্বজনিন জনস্বাস্থ্য ব্যবাস্থার দাবি তুলেছিলেন সেই বার্নি সন্ড্যার্স’র পরাজয় পুঁজিবাদী প্রবনতাকেই শক্তিশালী করেছে।
অবশ্য এই প্রবনতারও একটা পরিসীমা রয়েছে। এই মহামারীর একটি বড় চারিত্রিক বৈশিষ্ট হল একে কোন একটি দেশে আটকে রাখা বা সারা পৃথিবীর জনগণের একটি নির্দিষ্ট অংশের মধ্যে বেঁধে রাখা যায় না। এরকম কোন সুনির্দিষ্ট প্রচেস্টা যা ট্রাম্প করতে চেয়েছিলেন অসার প্রমানিত হয়েছে। একথা বলার মধ্যে দিয়ে এরকম কোন ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে না যে এই সংকটকে মোকাবিলা করার জন্য মানবজাতির কাছে সরাসরি পুঁজিবাদকে বাতিল করা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই কিন্তু এতুকু বলাই যায় এই পরিস্থিতিতে পুঁজিবাদের সীমানা পেরিয়ে যারা সামনে এগোতে পারবে তারাই ভবিষ্যতে সারা পৃথিবীতে শক্তির কেন্দ্র হিসাবে নিজেদের অবস্থান নির্ধারণ করবে। এই সংকট যত বেশি সময় ধরে চলবে এই সেই সম্ভাবনাও তত বেশি বাস্তবোচিত হয়ে উঠবে।
এই মহামারী আসলে যে সত্যকে তুলে ধরেছে তা হল বর্তমান বিস্বায়নের ব্যাবস্থা যা পুঁজিবাদকে আশ্রয় করে গড়ে উঠেছে সেই পুঁজিবাদের হাতে এমন কোন অস্ত্র নেই যা দিয়ে এই বিশ্বায়নের পতনকে সে মোকাবিলা করতে পারে। পুঁজিবাদ বর্তমানে সেই পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যখন পুঁজি ও পন্যের চলন বিশ্বায়িত করা গেছে, এমনকি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও – ধরে নেওয়া হয়েছিল যে কোন সমস্যার মোকাবিলায় পুঁজি ও পন্যের বিশ্বায়িত চলন একাই যথেষ্ট হবে। কিন্তু সেই ভাবনা অসম্ভব প্রমান হয়েছে। বিশ্বায়নের হাত ধরেই ভাইরাসের সংক্রমণ এবং মহামারী, এগুলিও খুব দ্রুত বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
এবারকার মহামারীর মতো উচ্চ মৃত্যুহার সম্বলিত সংক্রমণ এর আগে একবারই দেখা গেছিল যখন ১৯১৮ সাল নাগাদ স্প্যানিস ফ্ল্যু ভাইরাস দেখা দেয় এবং সেই মহামারী যুদ্ধের সময়ে বিস্তার লাভ করায় হাজার হাজার সেনা যারা হাজার মাইল দূরত্ব পেরিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রের ট্রেঞ্চে উপস্থিত হয় এবং সংক্রমণের বাহক হিসাবে নিজেদের বাড়ি ফিরে মহামারীকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছিল। সংক্ষেপে বলা যায় কয়েক বছর ধরে চলা সেই যুদ্ধ একটি নির্দিষ্ট সীমানার জাতীয় সমস্যার সমাধানে শুরু হলেও তার পরিণতিতে মেলে বিশ্বজোড়া মহামারি। ২০০৩ সালে সার্স সংক্রমণের ফলে ২৬ টি দেশে প্রভাব বিস্তার করেছিল এবং সংক্রমনের সর্বোচ্চ স্তরে তা ৮০০ মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছিল। বর্তমান মহামারী ইতিমধ্যেই আগেরবারের চেয়ে দশগুনের বেশি ক্ষতি করেছে।
এখন যেহেতু এই ধরণের নির্দিষ্ট সীমানার জাতীয় সমস্যাকে বর্তমানের পুঁজিবাদী বিশ্বব্যাবস্থার মধ্যেই প্রোথিত করা রয়েছে আর তাই এধরণের যে কোন মহামারী যেমনটি এখন আমরা দেখছি এভাবেই প্রত্যেক বার বিশ্বজুড়েই ক্ষতিসাধন করবে এবং সেইজন্যেই ট্রাম্প এই সংকটকে যেভাবে একটা নির্দিষ্ট ভৌগলিক সীমানা অথবা পৃথিবীজোড়া মানুষের একটি নির্দিষ্ট অংশের জন্য বেঁধে রাখতে চেয়েছিলেন সেরকম যেকোনো প্রয়াস ব্যার্থ হতে বাধ্য। কম কথায় পুঁজিবাদ এমন একটি পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যখন পুঁজিবাদ উদ্ভুত সমস্যাগুলির মোকাবিলায় তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠানগুলিই কোনোরকম সমাধান বের করতে আর সক্ষম নয়।
বর্তমানের এই মহামারী আসলে পুঁজিবাদী প্রপঞ্চের একটি উদাহরণ, এছাড়াও দুশ্চিন্তা উদ্রেকে সক্ষম এমন অনেকগুলি ঘটনা আগতপ্রায়। এগুলির মধ্যে আমি শুধুমাত্র তিনটির কথা বলবো। প্রথমটি হল বিশ্বজোড়া অর্থনৈতিক মন্দা যা পুঁজিবাদের বর্তমান পর্যায়ে আর সমাধানযোগ্য নয়। এই কাজ করতে হলে ন্যুনতম ব্যাবস্থা হিসাবে অনেকগুলি দেশের সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে যোগসূত্র স্থাপন করে নিজেদের রাজকোষের সাথে সাযুজ্যতা বজায় রেখে সেইসব দেশে চাহিদার বৃদ্ধি ঘটাতে হবে। এধরণের কোন আন্তর্জাতিক সংহতির সম্ভাবনা থেকে আমরা কতটা দূরে অবস্থান করছি তা বুঝতে আমাদের আমেরিকার উদাহরণই যথেষ্ট হবে যারা এই বিশ্বব্যাপি মন্দার সময়ে যেনতেন প্রকারে কেবলমাত্র নিজেদের উন্নতিসাধনেই সচেষ্ট যেরকম মনোভাব তারা এই বিশ্বজোড়া মহামারী মোকাবিলার ক্ষেত্রেও দেখিয়েছে। দ্বিতীয় উদাহরণ হল জলবায়ুর পরিবর্তন যা আসলে পুঁজিবাদী ব্যাবস্থারই ফলাফল এবং পুঁজিবাদের ভান্ডারে সম্ভবত আর এমন কিছুই নেই যা দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে। আমার তৃতীয় উদাহরণটি হল প্রখ্যাত “রেফিউজি সংকট” বা বলা চলে ধ্বংসোন্মুখ পূঁজিবাদের সংকট থেকে উদ্ভুত যুদ্ধ ও শান্তির প্রক্রিয়ার ফলে বিশ্বজুড়ে মানুষের পরিচলন।
এই সংকটগুলি চিহ্নিত করছে প্রচলিত ব্যাবস্থার এক মহাতনের। সেই মহাপতন শুধু একটি পর্বের জন্য হবে এমন নয়, চলতি বিশ্বব্যাপি মন্দা কোন সাময়িক নিম্নগামিতার সুচক নয় বরং এটি গোটা ব্যাবস্থার একটি সামগ্রিক বহিঃপ্রকাশ। ঠিক যেমন বিশ্ব উষ্ণায়নের সংকট থেকে মুক্তি পাবার স্বয়ংক্রিয় বা চটজলদি কোন সমাধান নেই। পুঁজিবাদী বিশ্বায়নের যুগে একশ বছরেরও কম সময়ে পুনর্বার কিভাবে ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তার করে লক্ষ লক্ষ মানুষকে আক্রান্ত করে এই মহামারী তা দেখিয়ে দিয়েছে। মানবসভ্যতার সামনে উদ্ভুত এই সংকটের মোকাবিলা করে নিজেকে টিকিয়ে রাখার লড়াইতে পুঁজিবাদের প্রতিষ্ঠানগুলি চূড়ান্তভাবে অপর্যাপ্ত। পুরনো পথ বদলে সমাজতন্ত্রের দিকে এগিয়ে চলার লড়ায়ের সময় হয়েছে। যদিও আপাতত মুক্ত বাজার, মুনাফার ধান্দা ইত্যাদিকে অতিক্রম করেই জরুরী পদক্ষেপ নেওয়া চলছে তবু মনে রাখতে হবে এই পদক্ষেপগুলি সবই আসলে পরিস্থিতির চাপে নেওয়া অনিচ্ছাকৃত সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত বৈ আর কিছুই নয়।
শেয়ার করুন