৬ জুলাই , সোমবার, ২০২০
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-এর পলিট ব্যুরো 'প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার আইন, ২০১৬' এর বিভিন্ন ধারাকে লঘু করার জন্য কেন্দ্রের প্রয়াসের নিন্দা জানায়। সরকার প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলো প্রতিবন্ধীদের সাথে ঘটা বিভিন্ন অপরাধকে "বৈধতা" দেওয়া, কিছুকে "নগন্য" হিসাবে চিহ্নিত করা এবং কিছু অপরাধকে একত্র করা ও লঘু করার মাধ্যমে আইনটির প্রকৃতিকে আমূল পরিবর্তন করবে।বর্তমানে বাতিল হওয়া পিডব্লিউডি অ্যাক্ট, ১৯৯৫এর তুলনায় আরপিডি আইনের অন্যতম প্রগতিশীল বৈশিষ্ট্য হল এই আইনটির অমান্যতা ও লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কঠোরতর দন্ডবিধি।
সরকারের বক্তব্য যে আরপিডি আইনের ধারাগুলো " দেশী এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগকে প্রভাবিত করার অন্যতম প্রধান কারণ এবং বিনোয়োগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে", এই অদ্ভূত যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। দীর্ঘমেয়াদী সংগ্রামের ফলে অর্জিত মৌলিক মানবাধিকারের স্বীকৃতি "ব্যবসার সুবিধা" এর জন্য লঙ্ঘিত হতে পারে না। সংসদে পাশ করা আরপিডি আইনের এই ধারাগুলোর উদ্দেশ্য হল আমাদের সমাজের সর্বাধিক প্রান্তিক শ্রেণীর অন্যতম, যারা বহুমাত্রিক বৈষম্যের মুখোমুখি হয়, তাদের প্রতি দায়বদ্ধতা রেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া।
সরকার প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলো থেকে এটা স্পষ্ট যে, মহামারি পরিস্থিতি ব্যবহার করে বিদেশী ও দেশীয় পুঁজি দ্বারা নিরবচ্ছিন্ন লুটপাটের অর্থনীতিকে আরও উন্মুক্ত করার জন্য মোদি সরকারের প্রচেষ্টার সাথে এই অবস্থান সামঞ্জস্যপূর্ণ।গণতান্ত্রিক অধিকার, মতবিরোধের অধিকার , শ্রম আইন- এই সবের সাথে, অর্জিত অধিকারকে আক্রমণ করার এই নয়া সংশোধনী মেনে নেওয়া যায় না।
সিপিআই (এম) এর পলিট ব্যুরো প্রতিবন্ধী অধিকার সংগঠন এবং তাদের কর্মীদের লড়াইয়ের প্রতি সংহতি জানায় যখন এই নয়া সংশোধনী এই আইনকে লঘু করার জন্য সাম্য,ন্যায়বিচার কে লঙ্ঘন করে বিদ্বেষের পরিবেশ তৈরি করবে এই আশঙ্কা রয়েছে।