কৃষকদের লড়াই ইতিহাস তৈরি করল আজ
আজ ভারতে সাধারণতন্ত্র দিবস। নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবীতে দিল্লি সীমান্তে কৃষকদের আন্দোলন চলছে কয়েক মাস ধরে। সরকারের সাথে বারে বারে আলোচনা, এমনকি সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও সরকার আইন বাতিলে রাজি নয়, কৃষকেরাও আইন বাতিল না হওয়া অবধি আন্দোলন চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। আন্দোলনে এখনও অবধি একশো জনেরও বেশী কৃষক শহীদ হয়েছেন।
পূর্বঘোষণা মতোই আজ সকালে কৃষকেরা ট্রাক্টর প্যারেড শুরু করেন। পুলিশি ব্যারিকেডের বাধা টপকে তারা এগিয়ে চলেন লাল কেল্লার দিকে। সেই পথে বারে বারে পুলিশ তাদের এগোতে বাধা দেয়, বেপরোয়া লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস সেল চার্জ চলে। সবক’টি সীমানায় সব ব্যারিকেড ভেঙে চুরমার। । কৃষক-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ। হাতাহাতি থেকে সংঘর্ষ অবধি নিয়ে যেতে বাধ্য করে মোদী সরকারের প্রশাসন। রক্তাক্ত হন অনেকেই। আজ একজন কৃষক শহীদ হলেন । এখনও নিজেদের অকুতোভয় মেজাজ কৃষকেরা ধরে রেখেছেন। নয়া সংস্কার নীতির নামে মোদী সরকারের কর্পোরেট তোষণের বিরুদ্ধে দেশের খাদ্যসুরক্ষা, কৃষিক্ষেত্র এবং কৃষকদের জীবনজীবিকাসহ দেশের ধর্মনিরপেক্ষ, গনতান্ত্রিক সংবিধান রক্ষায় কৃষকদের এই ঐতিহাসিক লড়াইকে বামদলগুলির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ আইটিও চত্বরে (আয়কর ভবন) ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিক্ষোভ।
ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে আজ রাত বারোটা অবধি সিঙ্ঘু, টিকরি, গাজীপুর, মুকারবা চক এমন বেশ কিছু জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। উদ্দেশ্য স্পষ্ট সরকার চায়না কৃষকদের এই ঐতিহাসিক আন্দোলনের ছবি দেশের মানুষ দেখুক।
কৃষকেরা আজ লাল কেল্লায় পৌঁছেছেন। লড়াইয়ের নিশান উড়েছে আজ লাল কেল্লায়। যদিও আই টি সেলের কেরামতি প্রচারে জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়েছে বলে ফেক নিউজ ছড়ানোর চেষ্টা চলেছে। এমনকি কয়েকটি ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমেও নেতিবাচক প্রচার চলেছে। তবু এখনও অবধি কৃষকেরা লড়ছেন - এটাই আজকের খবর।