২০০৩ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন এন ডি এ সরকার একটি মডেল আইনের খসড়া রাজ্যগুলির কাছে পাঠায়। কৃষি রাজ্য তালিকাভূক্ত বিষয়, তাই রাজ্য বিধান সভায় এই আইন পাশ করার কথা বলা হয়। মোদি সরকার ২০১৭ সালে পুনরায় রাজ্যগুলির কাছে মডেল আইন পাঠায় যেখানে নতুন করে ই-কমার্স এবং অনলাইন ট্রেডিং বিষয়টি যুক্ত করা হয়। বলা বাহুল্য আমাদের রাজ্যের সরকার ২০১৪ সালে বিরোধীদের যুক্তি উপেক্ষা করে, শুধু সংখ্যার জোরে কেন্দ্রের পাঠানো মডেল আইন পাশ করে দেয়। ২০১৭ সালেই কেন্দ্রের পরামর্শ মত ই-কমার্স এবং অনলাইন ট্রেডিং এর ব্যবস্থা চালু করে দেয়।গত ২৭ শে সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে কৃষক বধের যে আইন চালু হল তা এ রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী আগেই করেছেন। নতুন কৃষক বধের আইনের এই লোকদেখানো বিরোধীতা, প্রতিবাদ শুধু মানুষের চোখে ধুলো দেবার জন্য। আইনের বিরুদ্ধে কথা বলার কোন নৈতিক অধিকার তৃণমূল কংগ্রেসের নেই। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষি ক্ষেত্রে যে নতুন আইনী ব্যবস্থা কায়েম করেছে তা একান্তভাবে বৃহৎ ব্যবসায়ী এবং কর্পোরেটদের স্বার্থ রক্ষা করবে। যেভাবে এই আইন রাজ্যসভায় সদস্যদের ভোট দেওয়ার অধিকার কে অস্বীকার করে , গায়ের জোরে পাশ করানো হল তা থেকে বুঝতে অসুবিধা নেই যে সরকারের এই আইনের পক্ষে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা বা যুক্তি ছিলনা। নতুন আইনে কি হতে চলেছে দেখে নেওয়া দরকার।
সরকারি ফসল ক্রয়ের ব্যবস্থা ধ্বংস করার আইন-
চালু ব্যবস্থায় ছিল কৃষক উৎপাদিত পণ্য মান্ডী, সরকার নিয়ন্ত্রিত বাজার, এ পি এম সি এবং বেসরকারি বাজারে বিক্রি করতেন। রাজ্যভেদে কিছু ইতর-বিশেষ থাকলেও বেশিরভাগ ছিল অভাবি বিক্রি। ফসল বিক্রি করতে হত ফড়েদের কাছে। ফলে সরকার ঘোষিত সহায়ক মূল্য পাওয়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সম্ভব ছিল না। সরকারি তথ্য বলছে মাত্র ৬% কৃষক সহায়ক মূল্য পেতেন সেটাও মূলত যেখানে এফ সি আই, নাফেড বা কনফেডের মতো সংস্থা বা রাজ্য সরকার নিয়োজিত এজেন্সি ফসল কেনে। নতুন আইনে কৃষক কে তার ফসল সরকারি ব্যবস্থাপনার বাইরে বেসরকারি বাজারে বিক্রি করতে বলা হচ্ছে। দরদাম ঠিক হবে ক্রেতা বিক্রেতার আলোচনার মাধ্যমে। এখানে এম এস পি মূল্য নির্দ্ধারনের ভিত্তি হবেনা। দাবি করা হচ্ছে নতুন কৃষি পণ্যের বিপনন ব্যবস্থা হবে ফড়ে বা মিডিলম্যান মুক্ত। কৃষক স্বাধীন হবে জেলা,রাজ্য, রাজ্যের বাইরে যে কোন বেসরকারি বাজারে ফসল বিক্রি করতে পারবে। এমনকি ই- কমার্স বা অনলাইন ট্রেডিং এর সু্যোগ নিয়ে ফসল বিক্রি করা যাবে। সরকারের এই দাবির সারবত্তা কতটা তা একটু খতিয়ে দেখা যাক।- সরকার ২৩ টি কৃষি ফসলের জন্য প্রতি বছর ন্যুনতম সহায়ক মূল্য ঘোষণা করে থাকে। এই ঘোষণা অনুযায়ী কৃষক ফসলের দাম পাচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নেই। ফলে ৯৪% কৃষক সহায়ক মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। নতুন আইনে সব কেনাবেচা হবে বেসরকারি বাজারে যেখানে সহায়ক মূল্যে ফসল কেনার কোন আইনী বাধ্যবাধকতা নেই। ফলে সহায়ক মূল্য ঘোষণা অর্থহীন হয়ে পড়বে। সব কৃষক বঞ্চনার শিকার হবে।
- কৃষি বাজারের দরজা খুলে দেওয়া হচ্ছে দেশী-বিদেশী বৃহৎ ব্যবসায়ী দের জন্য। মনসেন্টো, পেপসি, বেয়ার, ওয়ালমার্ট, কার্গিল , ম্যারিকো, নেসলে, রালিস, রিলায়েন্স ফ্রেস,আদানি লজেস্টিক্স ইত্যাদি অসংখ্য কর্পোরেট সংস্থার ঠিকানা এখন ভারত। কৃষি পণ্যের বিপনন ব্যবস্থায় এখন থেকে এঁরাই দাপিয়ে বেড়াবে। এদের এজেন্টরাই হবে নতুন ফড়ে। দরদাম ঠিক করার প্রক্রিয়া হবে অসম। আমাদের রাজ্যের বেশিরভাগ ছোট ও প্রন্তিক কৃষকের দম কতোটা যে এদের সঙ্গে দরাদরি করবে।
- সরকারি সংগ্রহ ক্রমান্বয়ে উঠে যাবে। সরকার কৃষককে বলছে সরকারকে নয়, প্রাইভেট কে ফসল বিক্রি কর। অর্থাৎ নাফেড, এফ সি আই, মাণ্ডী, এ পি এম সি থাকবেনা। ইতিমধ্যে এফ সি আই কয়েকটি রাজ্যে ফসল কেনা বন্ধ করেছে। তাদের পরিষেবা গুটিয়ে আনা শুরু হয়েছে। সরকারি সংগ্রহ না থাকলে গণবন্টন ব্যবস্থা চালু রাখা অসম্ভব। দেশ কি খাদ্যের জন্য প্রাইভেটদের উপর নির্ভরশীল হবে? না, রেশনে ক্যাস ট্রান্সফারের বহু চর্চিত রাস্তায় সরকার হাটবে?
- পশ্চিমবাংলায় ২ হেক্টরের কম জমির মালিক মোট কৃষকদের ৮৬%। এদের মধ্যে সিংহভাগের জমি এক হেক্টরের কম। এদের বিক্রয়যোগ্য ফসলের পরিমান কম। ধান,আলু ছাড়াও সারাবছর শাক সব্জির চাষ করে। এই ফসল দুরবর্তী বাজারে, ভিন রাজ্যে বিক্রি করে যেটুকু বাড়তি মূল্য পাওয়া সম্ভব পরিবহনের খরচ তা থেকে অনেকটাই বেশি। তাই যেটা সরকারের মতে সুবিধা বাস্তবে সেটা চাষির পক্ষে অলাভজনক। এমনকি ই কমার্স বা অনলাইন ট্রেডিং এর সু্যোগ কৃষকের জন্য নয়। গ্রামে, চাষির ঘরে এই প্রযুক্তির সুবিধা নেই। কোন কিয়ক্স থেকে যোগাযোগ করলেও সামান্য ফসলের জন্য ক্রেতারা আগ্রহ দেখায় না। কেউ আবার ফসলের চালু বাজার দর থেকে পরিবহনের খরচ বাদে কৃষক কে দাম মেটায়। তাতে কৃষক স্থানীয় বাজারের থেকেও কম দাম পায়। আমাদের রাজ্যে ২০১৭ থেকে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। কৃষকরা এ ব্যবস্থায় একজনও উপকৃত হননি।
চুক্তি চাষের আইনঃ
এই আইনে চাষ হবে এক অসম চুক্তির ভিত্তিতে। কৃষককে ফসল চাষের পূর্বেই চুক্তি সম্পাদন করতে হবে বৃহৎ কোম্পানি বা কর্পোরেট সংস্থার সংগে। একজন মধ্যস্ততাকারি তৃতীয় পক্ষ বা ক্ষমতাবান ফড়ে (Aggregator) এই চুক্তিতে যুক্ত থাকবে। কি ফসলের চাষ হবে, কি জাতের বীজ ব্যবহৃত হবে, কি কি রাসায়নিক সার লাগবে, ফসলের দাম কি হবে, গুনমান কেমন হলে চুক্তিমতো দাম পাওয়া যাবে এসবই চাষের আগেই ঠিক হয়ে যাবে। সার,বীজ,কীটনাশক সহ সব কৃষি উপকরণ সরবরাহ করবে স্পনসর কোম্পানির পক্ষে মিডিলম্যান। শুধু তাই নয়, তারা যে দামে এই উপকরণ সরবরাহ করবে কৃষক সেই দামেই তা কিনতে বাধ্য থাকবে। উৎপাদিত ফসলের মান বা গ্রেড ঠিক করবে ক্রেতা এবং তার উপর ভিত্তি করে কৃষকের প্রাপ্য নির্ধারিত হবে। দরদামের প্রশ্নে বা চুক্তির শর্তঅনুযায়ী কাজ না হলে বিরোধ নিষ্পত্তি করবে সরকারের নিযুক্ত আমলা। কৃষক আদালতে যেতে পারবে না। এমনকি কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার বা এই দুই সরকারের নিযুক্ত আমলাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করা যাবে না। এই আইনের সুবাদে বৃহৎ ব্যবসায়ী বা কর্পোরেট সমস্ত কৃষি উপকরণের বিক্রয়, ফসল ক্রয়, সমস্ত প্রকারের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, সঞ্চয়, হিমঘর, পরিবহন এবং বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ করবে। দেশের খাদ্য শৃঙ্খল বিদেশী সংস্থাগুলির নেতৃত্বে বড় পুঁজি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। সেখানে আত্মনির্ভরতা কোনও স্থান থাকবে না। আমাদের রাজ্যে চুক্তি চাষ আছে এবং ক্রমশ বাড়ছে। একজন কৃষক যার পরিবারের কেউ শ্রম দেয়না এবং মূলত অকৃষি ক্ষেত্রের আয় থেকেই পরিবার চলে তাদের মধ্যে জমি অন্য কৃষক কে চুক্তিতে চাষ করতে দেওয়ার প্রবনতা দেখা যাচ্ছে। খেতমজুর বা গরীব কৃষকরাই চুক্তি চাষি। এক্ষেত্রে একজন কৃষকের জমি অন্য কৃষক চাষ করে। প্রাকৃতিক কারণে ফসলের ক্ষতি হলে বীমা বা ত্রাণ বাবদ অর্থ চুক্তি চাষির বিনিয়োগে অংশীদারিত্ব থাকলেও তারা তা পায়না। বর্তমান আইনে এ সম্পর্কে কিছু বলা নেই। আসলে এই আইন একান্তভাবে কর্পোরেট স্বার্থে করা হয়েছে। চুক্তি হবে কর্পোরেট সংস্থার সঙ্গে ছাপোষা কৃষকের। কেনাবেচার ক্ষেত্রে দরাদরি করার এক অসম প্রক্রিয়া। কর্পোরেটদের চাহিদাই শেষ কথা। কোন জমিতে কি ফসলের চাষ হবে সে প্রশ্নে কৃষকের কোন স্বাধীনতা থাকবেনা। একটা সময় ছিল যখন ইংরেজ শাসন বাংলার কৃষকদের জবরদস্তি নীল চাষে বাধ্য করেছিল। এই দানবীয় আইন সেই নীল চাষের দিনগুলো স্মরণ করিয়ে দেয়। এই আইনে চুক্তির ফাঁসে জড়িয়ে কৃষক সর্বশান্ত হবে। ধরা যাক পেপসি কোম্পানির সংগে চুক্তির ভিত্তিতে ৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করা হল। বীজ, সার সহ সমস্ত উপকরণ চড়া দামে পেপসি কোম্পানি থেকে কৃষক কিনতে বাধ্য হল। আলু ওঠার পর কোম্পানির দালাল আলুর গুনমান পরীক্ষা করে জানিয়ে দিল এই আলু তারা কিনবে না। এই বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থার সুবিধা নেবে কর্পোরেট। দেশের প্রধানমন্ত্রী যেখানে কর্পোরেটের পক্ষে সেখানে কৃষকের চোখের জলের দাম কে দেবে?অত্যাবশকীয় পণ্য আইনের সংশোধন
এই সংশোধনের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো দানা শস্য, ডাল, ভোজ্য তেল সহ তৈল বীজ,আলু এবং পেয়াজ অর্থাৎ মোট ২০ টি কৃষি ফসল এই আইনের আওতায় রাখা হবে না। এই পণ্য ক্রয় ও মজুতের ক্ষেত্রে কোন সীমা থাকবেনা। কোথায় এবং কত দামে বিক্রি করা হবে তা সরকার নিয়ন্ত্রণ করবে না। এককথায় মজুতদারি ও কালোবাজারির ছাড়পত্র দেওয়া হল। মানুষের চোখে ধূলো দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে যুদ্ধ এবং দুর্ভিক্ষের সময় সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারবে। সকলেই এটা জানেন যুদ্ধ এবং দুর্ভিক্ষ ফি বছর হয়না। কোন কোন পণ্যের ক্ষেত্রে ১০০% দাম বাড়লে,সব্জির দাম ৫০% বৃদ্ধি পেলে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। মোদ্দা কথা ৯৯.৯৯% বা সব্জির ক্ষেত্রে ৪৯.৯৯% দাম বাড়ানোর ছাড়পত্র আগাম দেওয়ার ব্যবস্থা এই আইনের মাধ্যমে সুনিশ্চিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দাবি করছেন এর ফলে কৃষকের উপকার হবে। কৃষিতে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়বে। তা হয়তো বাড়বে কিন্তু তা একান্তভাবেই কর্পোরেটদের মুনাফার জন্য। আমদের রাজ্যে কমবেশি ১১ মিলিয়ন টন আলু উৎপাদন হয়। এই আলু সংরক্ষণের জন্য যে হিমঘর আছে তার ৯০ শতাংশ বেসরকারি বিনিয়োগে তৈরি হয়েছে। এটাও ঠিক যে এই হিমঘর আলু চাষি কে পরিষেবা দেয়। কিন্তু ২০১৯-২০ সালে আলু চাষি ৭০০ টাকা কুইন্ট্যাল দামে আলু বিক্রি করেছেন, সেই আলুর দাম ৫ গুন বেড়ে এখন ৩৫০০ টাকা প্রতি কুইন্ট্যাল। বিপুল মুনাফা হচ্ছে বড়ো ব্যবসায়ীদের। চাষির কোন উপকার হচ্ছে কি? এই ২০ টি নিয়ন্ত্রণমুক্ত ফসল বৃহৎ ব্যবসায়ী বা কর্পোরেট সংস্থা যখন কৃষকের থেকে কিনবে তখন ফসলের সরকার ঘোষিত ন্যুনতম সহায়ক মূল্য প্রযোজ্য হবে এমন কথা আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলছেন না। আইনেও লেখা হয়নি। এই সংশোধনের ফলে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ঘটবে। ক্ষতিগ্রস্থ হবে সর্বস্তরের ক্রেতা সাধারণ। আসলে সরকারের এই পদক্ষেপ কৃষি বিপণন, বানিজ্য এবং উৎপাদনে বৃহৎ পুঁজি কে কর্তৃত্বকারি ভুমিকায় প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ। দানা শস্য, ডাল, তৈল বীজ, আলু,পেয়াজ ইত্যাদি সরকারকে সংগ্রহ করতে হবে এবং গনবন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণকে সরবরাহ করতে হবে। কোনকারণেই আমাদের গনবন্টন ব্যবস্থাকে কর্পোরেট নির্ভর করতে দেওয়া হবে না। ফসল বিক্রি হবে ন্যুনতম সহায়ক মূল্যে বা তার উর্ধ্বে। সহায়ক মূল্যের থেকে কম দামে ফসল কেনা বন্ধ করতে প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সরকারি ক্রয় কেন্দ্র চালু করতে হবে। অতীতে সমবায় সমিতি সাফল্যের সাথে এই দায়িত্ব পালন করেছে। দেশে খাদ্য উৎপাদন করতে কত জমি প্রয়োজন এবং কত জমিতে অর্থকরী ফসলের চাষ হবে সেটা নিয়ন্ত্রণ করবে সরকার। এ দায়িত্ব কর্পোরেটের ওপর ছেড়ে দিলে আমাদের খাদ্য সুরক্ষা ধ্বংস হবে। কোটি কোটি কৃষক ও খেতমজুরদের আর্থিক বিপন্নতার বিনিময়ে বৃহৎ ব্যবসায়ী বা কর্পোরেট সংস্থার সীমাহীন মুনাফা অর্জনের ব্যবস্থা হিসাবে চুক্তিতে চাষ প্রো-কর্পোরেট সরকারের পরিকল্পিত পদক্ষেপ। এই আইন বাতিল করতে হবে। অত্যাবশকীয় পণ্য আইনের সংশোধনী জনস্বার্থবিরোধী। যেসব পণ্য এই আইনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে তার উদ্দেশ্য একটাই। বিপুল পরিমাণ মুনাফা অর্জন। অনিবার্যভাবেই অস্বাভাবিক হারে মূল্যবৃদ্ধি ঘটবে। এই সংশোধনী বাতিল করতে হবে। রাজ্যের সরকারকে বিধানসভার আধিবেশন ডেকে ২০১৪ সালে গৃহীত তথাকথিত মডেল আইন এবং ২০১৭ সালের ই-কমার্স ও অনলাইন ট্রেডিং আইন বাতিলের ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের কৃষক সমাজ এই তিনটি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে মরনপন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। নয় মাসাধিককাল সবধরনের প্রাকৃতিক প্রতিকূল পরিস্থিতি এবং বিজেপি সরকারের দমন পীড়ন মোকাবিলা করে হাজারো কৃষকের দীর্ঘতম লড়াই এর দিকে তাকিয়ে আছে গোটা দেশ। এই নজিরবিহীন সংগ্রামের পরবর্তী ধাপ হিসেবে ২৭ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। দেশ বাঁচানোর দায় আমাদের সকলের।শেয়ার করুন