৫ রাজ্যের নির্বাচন - শিক্ষা নিয়ে দ্বিগুন উদ্যমে ঝাঁপাতে হবে

শমীক লাহিড়ী

সম্প্রতি ৫ রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন হয়ে গেল। এই নির্বাচনের দিকে সবাই তাকিয়ে ছিল। আগামী লোকসভার নির্বাচন কয়েকমাস বাদেই। তাই এই নির্বাচনগুলি নিয়ে মানুষের ঔৎসুক্য ছিল স্বাভাবিক। কারণ এই ৫টি রাজ্যে লোকসভার আসন সংখ্যা ৮৩টি। এই ৮৩টি আসনের ফলাফলের ওপর ২০২৪ সালে সরকার গঠন কারা করবে তা অনেকটাই নির্ভর করবে। এটাই ছিল এই বিধানসভা নির্বাচনগুলিকে ঘিরে তৈরি হওয়া কৌতূহলের মূল কারণ।

এক নজরে ফল

এই নির্বাচনে নিঃসন্দেহে বিজেপি নিজেদের শক্তি বাড়িয়েছে। রাজস্থানে বিজেপি এবং কংগ্রেস যথাক্রমে পেয়েছে ১১৫ এবং ৬৯ আসন। বিজেপি পেয়েছে ১ কোটি ৬৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৭৮৭ টি ভোট (৪১.৬৯%), এবং কংগ্রেস পেয়েছে ১ কোটি ৫৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৯৪৭ টি ভোট (৩৯.৫৩%)। মধ্যপ্রদেশে বিজেপি জয়ী ১৬৪ আসনে এবং কংগ্রেস ৬৫ আসনে। বিজেপি পেয়েছে ২ কোটি ১১ লক্ষ ১৬ হাজার ১৯৭ টি ভোট (৪৮.৬১%), কংগ্রেসের বাক্সে গিয়েছে ১ কোটি ৭৫ লক্ষ ৭১ হাজার ৫৮২ টি ভোট (৪০.৪৪%)।

ছত্তিশগড়ে বিজেপি ৫৪ আসনে জয়ী , কংগ্রেস জিতেছে ৩৫ আসনে। বিজেপি পেয়েছে ৭২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৯৬৮ টি ভোট (৪৬.২৮%), কংগ্রেস পেয়েছে ৬৬ লক্ষ ০২ হাজার ৫৮৬ টি ভোট (৪২.১৯%)। তেলেঙ্গানায় কংগ্রেস জয়ী হয়েছে ১১৯টির মধ্যে ৬৪ আসনে, বিআরএস জয়ী ৩৯ আসনে। কংগ্রেস পেয়েছে ৯২ লক্ষ ৩৫ হাজার ৭৯২ টি ভোট (৩৯.৪০%), বিআরএস ৩৭.৩৯ শতাংশ ভোট। বিজেপি এখানে তৃতীয় শক্তি। এদের ভোট প্রাপ্তি মাত্র ৩২ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫১১ টি ভোট (১৩.৯%)।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই ৫ রাজ্যের মধ্যে রাজস্থানে সিপিআই(এম) ১৭ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩,৮২, ৩৭৮ ভোট পেয়েছে। এর মধ্যে একটা আসনে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে সিপিআই(এম) প্রার্থী। তেলেঙ্গানায় ১৯টি আসনে ৫২,৩৬৪ টি ভোট, মধ্যপ্রদেশে ৪টে আসনে ৫,৮৮০টি এবং ছত্তিশগড়ে ৩টে আসনে ৬,৫৯৬টি ভোট পেয়েছে। রাজস্থান বাদে অন্য রাজ্যে বামপন্থী শক্তি নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরেই দুর্বল,তাই এই ফলাফল অপ্রত্যাশিত কিছু নয়।

বিজেপি’র উল্লাস

রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশে এই জয়ে বিজেপি উল্লসিত। প্রধানমন্ত্রী লাড্ডু বিলি করে বলেছেন – এটা জয়ের হ্যাটট্রিক।

এটা ঠিক কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় হারের পরে মুষড়ে পড়া বিজেপি শিবির নিজেদের আত্মবিশ্বাস অনেকটা ফিরে পেয়েছে। প্রবল বিদ্বেষপূর্ণ প্রচার, হিন্দুত্ববাদের হাওয়ায় ভর করে এই নির্বাচনগুলোতে সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। ফলে প্রবল বিদ্বেষ আর হিন্দুত্ববাদী প্রচারকেই হাতিয়ার করবে বিজেপি আগামী লোকসভা নির্বাচনে।

লাভ কার?

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য হিন্দুধর্মের সাথে হিন্দুত্ববাদের কোনও সম্পর্কই নেই। হিন্দুত্ববাদ হলো ক্ষমতা দখলের জন্য একটা রাজনৈতিক প্রকল্প – একথা হিন্দুত্ব মতবাদের স্রষ্ট্রা সাভারকার নিজেই বলেছেন। তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিষাক্ত বিদ্বেষপূর্ণ সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে দেশের শ্রমজীবী মানুষকে বিভক্ত করার কাজ চালায় বিজেপি। উদ্দেশ্য একটাই - হিন্দুত্বের ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠন। হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, আসলে ধর্মকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করার একটি প্রকল্প। এই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে কি হিন্দু শ্রমিকের মজুরি বাড়বে? হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী সাধারণ সব মানুষের জন্য খাদ্য-বাসস্থান-কাজ-শিক্ষা- চিকিৎসার সুযোগ তৈরি হবে? হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী আদানী-আম্বানি সহ বৃহৎ পুঁজিপতিরা কি হিন্দু ধর্মাবলম্বী শ্রমিকদের শোষণ করা বন্ধ করে ভজন-পূজন করবে? এর কোনোটাই হবেনা।

এই ৫ রাজ্যের নির্বাচনের ফলে কি সত্যিই বিজেপি আগের তুলনায় অনেক এগিয়েছে? গতবারের চাইতে আরও বেশি আসনে কি জেতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে? এই ৫টি রাজ্যের নির্বাচনে কি লোকসভায় গতবারের জেতা আসন সংখ্যা ধরে রাখতে পেরেছে বিজেপি? কারণ মোদিজি এবং তাঁর পোষ্য বাজারি সংবাদমাধ্যম এইসব প্রচারের ঝড় তুলে মানুষকে বোঝাতে চাইছে - ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি’র জয় শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। সত্যি কি তাই?

প্রকৃত তথ্য

সম্প্রতি প্রকাশিত ফল বিশ্লেষণে কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রথমতঃ মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা এবং মিজোরামে ৮৩টি লোকসভা আসন রয়েছে। ২০১৯ সালে বিজেপি এই ৮৩টির মধ্যে ৬৫টি আসনে জিতেছিল। কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ৬টি আসন। দ্বিতীয়তঃ ২০২৩ সালের এই বিধানসভা নির্বাচনের ফল অনুযায়ী, বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৪৬টি লোকসভা আসনে। আর কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ২৮টি আসনে। অর্থাৎ, ২০১৯’র তুলনায় বিজেপি ১৯টি কম আসনে এগিয়ে আছে। তৃতীয়তঃ রাজস্থানে, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশে ২০১৯ সালে মোট ৬৫ টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ৬১টি আসন। চতুর্থত এই নির্বাচনে বিজেপি কংগ্রেসের তুলনায় সাড়ে দশ লক্ষ ভোট কম পেয়েছে। অবশ্য এর একটা কারণ তারা তেলেঙ্গানায় তৃতীয় শক্তি হওয়ায় মোট ভোটের সংখ্যার নিরিখে পিছিয়ে পড়েছে। পঞ্চমতঃ এই নির্বাচনে কংগ্রেসের ভোট বিগত নির্বাচনের তুলনায় তেমন কমেনি, তবে তেলেঙ্গানা সহ সব রাজ্যেই বিজেপি’র ভোট বাড়ার অন্যতম একটা কারণ, অকংগ্রেসী বিজেপি বিরোধী দলগুলির ভোট মেরুকরণের কারণে বিজেপি’র বাক্সে গেছে।

এই বিধানসভা ভোটের ফল অনুযায়ী রাজস্থানের ২৫টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপি ১৪টি এবং কংগ্রেস ১১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। ছত্তিশগড়ের ১১টি আসনের মধ্যে বিজেপি এগিয়ে ৮টি এবং কংগ্রেস ৩টি আসনে। মধ্যপ্রদেশের ২৯টি আসনের মধ্যে বিজেপি এগিয়ে ২৫টি আসনে। কংগ্রেস ৪টি আসনে এগিয়ে। তেলেঙ্গানার ১৭টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৯ আসনে। বিজেপি এই রাজ্যে একটিও আসনে এগিয়ে নেই। বিআরএস ৭টি এবং এআইএমআইএম এগিয়ে ১টি আসনে।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মোট ৬৫টি আসনের মধ্যে ৬১টি আসনই দখলে ছিল বিজেপি’র। এখানে মোট আসন আসন বাড়ার যেহেতু কোনও সুযোগ নেই, তাই বিজেপি’র আসন আর বাড়ার সুযোগও নেই। বরং এই বিধানসভার নির্বাচনের ফল অনুযায়ী ৬৫ টি আসনের মধ্যে ৪৭ টি আসনে এগিয়ে আছে বিজেপি। আর তেলেঙ্গানায় গতবার ৪টি লোকসভা আসনে জিতলেও এবার ১টি আসনেও এগিয়ে নেই তারা।

প্রকৃত চেহারা

এই হিসাবটা কি বিজেপি’র কাছে নেই? অবশ্যই আছে। তাই তো ২০১৯ সালের তুলনায় পিছিয়ে পড়ার এই অঙ্কটা ঢাকতে মরিয়া হয়ে ‘জয়ের হ্যাট্রিক’-এর ঢক্কানিনাদে নেমে পড়েছে গোদি মিডিয়া।

বিগত লোকসভা নির্বাচনে বিহারে নীতিশ কুমারের সাথে জোট বেঁধে ১৭ আসন জুটিয়েছিল বিজেপি, এবার নীতিশ নেই। কর্ণাটকে ২৮টি আসনের ২৫টা আসনেই জিতেছিল ২০১৯ সালে। এবার এবছর মে মাসে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে গতবারের তুলনায় ৩৮ টি আসনে হারিয়ে ১০৪ থেকে ৬৬ তে পৌঁছেছে। সেখানে ২৫ টি আসন জিতে আসার কোনও সুযোগ নেই, এটা বিজেপি ভালোই জানে। ঝাড়খন্ডেও ১৪ টার মধ্যে ২০১৯ এর মতো ১১ টা আসনে জেতার সুযোগ কম বিজেপি’র। দিল্লিতে ২০১৯ সালের মতো ৭টি আসনের ৭টিই দখল করা অসম্ভব, এটাও মোদি-শাহ্‌ জুটি ভালোই বোঝে। পশ্চিমবঙ্গে গতবারের ১৯ টা আসনে পিসি-ভাইপো দুজনকে ম্যানেজ করতে পারলেও জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই। ফলে গতবারের ৩০৩ আসন জেতা বিজেপি’র কপালে ঘাম জমছে, এই ব্যাপারে সন্দেহ’র কোনও অবকাশই নেই।

শিক্ষা নিতে হবে

তবে এই নির্বাচন থেকে বিজেপি বিরোধী দলগুলোকেও শিক্ষা নিতে হবে। বিরোধী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য না থাকার কারণে বিজেপি নিজেদের আসন সংখ্যা অনেকটাই বাড়িয়ে নিতে পেরেছে, এটা আসন ভিত্তিক ভোটের ফলে প্রমাণিত। বহু আসনেই বিরোধী দলগুলোর সম্মিলিত ভোট বিজেপি প্রার্থীদের থেকে বেশি, বিশেষত রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে।

এই নির্বাচনে হিন্দুত্ববাদী বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারে মানুষ প্রভাবিত হয়েছে। বিদ্বেষের যে বীজ গোটা দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে তা দেশের সম্প্রীতি, ঐক্য,সংহতি সব কিছুই ধ্বংস করে দেবে। এরা মৌলবাদী শাসিত দেশে রূপান্তরিত করতে চাইছে স্বাধীন গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ ভারতবর্ষকে। দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ভেঙে এককেন্দ্রিক একটা দেশে পরিণত করতে চাইছে। দেশের মানুষই গণতন্ত্রে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা বলে। আমাদের স্বাধীনতার পর থেকে এই ধারণা থেকেই গণতন্ত্র , মানবাধিকার, ব্যক্তি অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার ইত্যাদি প্রতিষ্ঠার লড়াই চলছে। সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের বদলে এখন কর্পোরেট নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যম, যা বিজেপি’র প্রচারের মূল স্তম্ভে পরিণত হয়েছে। সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও অধিকার জরুরি অবস্থার সময়েও এইভাবে হরণ করা হয়েছিল কি না সন্দেহ!

নরম হিন্দুত্ববাদ দিয়ে হিন্দুত্ববাদী শক্তিকে পরাস্ত করা সম্ভব নয়, এটা অবশ্যই সব প্রকৃত বিজেপি বিরোধী দলগুলোর উপলব্ধিতে থাকা অত্যন্ত জরুরি। এই কাজে ভুল রাস্তা নেওয়ায় হিন্দুত্ববাদ বিরোধী অবস্থান নিয়েই ঐসব রাজ্যের মানুষের মধ্যে ধোঁয়াশা ছিল। হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে লড়াই সম্ভব একমাত্র ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক অবস্থানে দৃঢ় থেকেই। এই প্রশ্নে যে কোনওরকম দ্বিধা দ্বন্দ্ব কাজ করলে তা বিজেপি-আরএসএস-কেই সুবিধা দেয়।

বিজেপি’র গণতন্ত্রে মানুষের কোনও মূল্য নেই। একজনই সব ক্ষমতার আধার – এই হলো বিজেপি’র গণতন্ত্রের সংজ্ঞা। এটা ঠিক আমাদের দেশে আগেও এককেন্দ্রিক ক্ষমতা, এক নেতা/নেত্রীর হাতেই সব ক্ষমতা তুলে দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে স্বাধীনতার পরে বারবার। কিন্তু দেশের মানুষ গণতন্ত্রে মূল ভুমিকা পালন করবে, এই তত্ত্বের বিরোধিতা কেউই করেনি, যা এখন করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান –রেল স্টেশন-বিমান বন্দর সহ জনবহুল স্থানগুলোতে নরেন্দ্র মোদি’র কাট আউট/মূর্তি বসানো হচ্ছে সরকারি খরচে যাতে সবাই তার সাথে সেল্‌ফি তুলতে পারে। সরকারী অর্থে এমন নির্লজ্জ ব্যক্তিপ্রচার যে চলতে পারে একবিংশ শতকেও, তা গণতন্ত্রে অবিশ্বাস্য। একনায়কতন্ত্রী সাম্প্রদায়িক মধ্যযুগীয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন দেশ গড়ে তুলতে চাইছে বিজেপি।

চাই হিন্দুত্ববাদ বিরোধী শক্তির ঐক্য

এসবের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই আগামী লোকসভা নির্বাচনে করা প্রয়োজন, এটাই সাম্প্রতিক হয়ে যাওয়া বিধানসভা নির্বাচনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা। এই প্রশ্নে বড় দলগুলোকেই বিশ্বাসযোগ্য বিজেপি বিরোধী দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি করার দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্যগুলোর নিজস্ব বাস্তবতা অনুযায়ী। সব রাজ্যে সব আসনে হয়ত সার্বিক বোঝাপড়া হবেনা সব দলের মধ্যে। সমগ্র দেশ জুড়ে বোঝাপড়া একই চেহারা নিয়ে থাকবে না, রাজনৈতিক পরিস্থিতির ভিন্নতার জন্যই। কিন্তু বিজেপি যাতে জিততে না পারে, অথবা আরএসএস প্রভাবিত ছদ্মবেশী কোনও শক্তি যাতে এই বোঝাপড়াকে ভেঙে দিতে না পারে সেই বিষয়টাতেও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

(দেশহিতৈষী পত্রিকার বর্তমান সংখ্যায় প্রকাশিত)
শেয়ার করুন

উত্তর দিন