নেতৃত্বদের গ্রেফতার করেও, রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমিয়ে রাখতে পারল না, দলদাস পুলিশ..

১৭ জুন,২০২০
ওয়েবডেস্কের প্রতিবেদন:
আবার এক স্বৈরাচারী আচরণ করে গণতন্ত্র কে আঘাত করল পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার। মানুষের জন্য খাদ্য, স্বাস্থ্য ,জীবিকার মত মৌলিক চাহিদার দাবি জানালে গ্রেফতার করা বাম নেতৃত্বদের।

বর্তমান পরিস্থিতিতে COVID-19 অতিমারী ও লকডাউনের সময় কমপক্ষে অতিরিক্ত ১৫ কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন এবং বিপুল সংখ্যক মানুষ বেকার হয়েছেন। দেশের জনগণের এক বিশাল অংশ জীবিকা হারিয়েছেন। রাস্তায় ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত শ্রমিকদের দেখে বোঝা গেছে যে আজও বিপুল সংখ্যক মানুষ তীব্র কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। কেন্দ্র সরকার উদাসীন। তারই প্রতিবাদের দেশ জুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বামপন্থীরা।

আমাদের রাজ্যেও সকলের জন্য খাদ্য, সকলের জন্য চিকিৎসা, সকলের হাতে কাজ,অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পরা মানুষের জন্য আর্থিক সহযোগীতা,আমফান ঘূর্ণিঝড় কে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করার দাবি ও রেশনে ঘটে চলা দুর্নীতির বিরোধিতা সহ দেশের সরকারের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কাছে বেশ কয়েক দফা দাবি নিয়ে, রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল ১৬টি বামপন্থী দল সমূহ। তারই অংশ হিসেবে, দুপুরবেলা বৃষ্টি মাথায় করে রানী রাসমণি রোডে উপস্থিত হন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রসহ বাম নেতৃত্বরা । প্রায় সাথে সাথেই সভা শুরুর আগেই সূর্যকান্ত মিশ্র সহ ৩৩ জন বাম নেতৃত্বকে গ্রেফতার করে লাল বাজারে নিয়ে যায় তৃণমূল সরকারের দলদাস পুলিশ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পূর্ব ঘোষিত সভা বিশেষ নিরাপত্তা বিধি মেনেই এই সভার স্থলে নেতৃত্বরা উপস্থিত হয়েছিলেন।

প্রিজন ভ্যানে করে তাদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পার্টির সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের দুর্দিন অবসানের দাবি জানাতে গিয়েছিলাম। সভা শুরুই করতে দিল না পুলিশ।

অন্যদিকে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু , বাম নেতৃত্বদের গ্রেফতারের গ্রেপ্তার খবর শোনা মাত্র সাথে সাথে পথে নেমে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, দাবি লাল বাজারের সামনে উপস্থিত হয়ে দাবি জানান ‘অবিলম্বে কমরেডদের নি:রশর্ত মুক্তির দাবি তোলেন। পুলিশ প্রশ্ন করলে বললেন, 'কমরেডদের ছাড়বেন নাকি এখানে অবস্থানে বসবো আমরা।'

এই ঘটনার প্রতিবাদে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়,কমরেডদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে। পুলিশ এরপর কমরেডদের নি:রশর্ত মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

বামফ্রন্টের নেতৃত্বের তরফে পুলিশের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। তাদের দাবি, পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে স্বৈরাচারী আচরণ করছে পুলিশ। এর বিহিত হওয়া দরকার।


শেয়ার করুন

উত্তর দিন