"মনে পড়ে ছোট্ট সেই মেয়েটির কথা যে পায়ে মল পড়ে ঝুমঝুম করে বাজিয়ে ছুট্টে এসে বসে পড়তো ঠাম্মা সৌদামিনী দেবীর কোলে, নামবে না কিছুতেই"
এভাবেই 'মনে মনে' বইতে কনকদি নিজের স্মৃতিচারণার প্রথম দিকে লিখেছিলেন। ভাবতেও অবাক লাগে, স্মৃতিশক্তি কত প্রবল হলে এত শৈশবের কথাও গল্পের ছলে মনে থাকে। হ্যাঁ কনক দি ছিলেন এরকমই, এক চলমান অভিজ্ঞতার ভান্ডার। আমি তাঁকে পাইনি খুব নিবিড়ভাবে, কারণ আমরা তখন মহিলা সমিতিতে নেহাতই বালখিল্য। এত ঐতিহ্য আর পরম্পরাগত এক সংগঠনের এরকম নেত্রী যিনি আমাদের কাছে ছিলেন আকাশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো! তাঁকে দেখে দিশা ঠিক করা যায়, পথ হাঁটা যায় তাঁর স্নেহের পরশে। অবশ্য খানিক ব্যক্তিগতভাবে পেয়েছি আমিও, যা আমাকে ভরিয়ে রাখবে চিরকাল! তখন সদ্য এস এফ আই ছেড়েছি, আস্তে আস্তে মহিলা সমিতি অফিসে যাতায়াত শুরু হয়েছে, কনকদির দৃষ্টিশক্তি তখন প্রায় নেই বললেই চলে! নাম শুনে গায়ে হাত বুলিয়ে বলতেন,
"ছাত্র করে এসেছ, লিখতে হবে কিছু শুধু বললে হবে না; তোমরাই তো লিখবে। নতুনেরা না লিখলে কেমন করে হবে!"
৩০শে ডিসেম্বর, ১৯২১ সালে শ্রদ্ধেয়া কনক মুখার্জি জন্মগ্রহণ করেন, এখনকার বাংলাদেশের নড়াইল সাব ডিভিশন থানার বেন্দা গ্রামে, যদিও সে গ্রাম প্রায় সবটাই তলিয়ে গেছে পাশে বয়ে যাওয়া নবগঙ্গার গর্ভে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। শৈশবেই তিনি মাতৃহারা।যৌথ পরিবারে ঠাম্মার স্নেহছায়ায় তিনি প্রতিপালিত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন সবার কাছে পুঁটু কিন্তু ঠাকুমার আদরের পুঁটুরানী। বৃহৎ পরিবারে ভাইবোনদের মধ্যে ছোট ছিলেন কনক মুখার্জি, লিখেছেন, "তাদের গ্রামের বাড়ি ছিল যৌথ পরিবারের মূল কেন্দ্র। এছাড়াও যশোর কলকাতা ও হালিশহরে পরিবারের তিনটি বড় শাখা ছিল।"
তখনকার দিনে দাশগুপ্ত পরিবার শিক্ষিত ও বর্ধিষ্ণু হওয়া সত্বেও, আর পাঁচটা পরিবারের মতোই মেয়েদের পড়ালেখার চল ছিলনা। কিন্তু লেখাপড়ায় আগ্রহ দেখে তার অভিভাবকরা তাকে স্কুলে ভর্তি করে দেন। মেয়েদের পাঠশালা চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত, সেই পাঠশালায় তিনি পড়তেন। নিজেই বলেছেন, "লেখাপড়া করতে আমার খুব ভালো লাগত, সবাই বলতো ক্লাসের মধ্যে আমি সবচেয়ে ভালো মেয়ে। অংকে ফুল মার্কস পেতাম।" বৃত্তি পেলেন লোয়ার প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারিতে। ১৯৩৭ সালে প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বেথুন কলেজে ভর্তি হন। এই সময় থেকেই ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দিয়ে তিনি ছাত্র ফেডারেশনের প্রাদেশিক কমিটির সদস্য হন, ১৯৩৮ সালে এর মধ্যে দিয়ে তরুণ বয়সেই তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন। যে জীবন তার চলেছে নিরবিচ্ছিন্নভাবে।
ছোটবেলা থেকেই স্বাধীনচেতা কনক, নানান চিন্তায় ছিলেন আধুনিক, তারই লেখা থেকে আমরা পাই, তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে যাচ্ছেন দেখে বাড়ির বড়রা পরামর্শ করে ঠিক করেন তাকে বিয়ে দিতে হবে কিন্তু তার সাথে কোনরকম পরামর্শ ছাড়া জ্যাঠামশাই তার সম্বন্ধে করলে তিনি জেদ ধরে পাত্রপক্ষের সামনে কিছুতেই যাননি। ঐ প্রথম বড়দের অতটা অবাধ্য হয়েও তিনি নিজের মতে স্থির ছিলেন। এমনই ছিলেন কনক। তার মন যে কাজে সায় দেয়নি, সে কাজ তিনি করেননি কখনো।
১৯৩৮ সালে ছাত্র ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত গার্লস স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদিকা হন তিনি। ১৯৩৯ সালের শেষে লক্ষ্ণৌ অল ইন্ডিয়া গার্লস স্টুডেন্ট কনফারেন্সে যোগ দেন। কলকাতায় ফেরার পথেই গ্রেপ্তার হন। চলতে থাকে কখনো কারা জীবন, কখনো আত্মগোপনের জীবন।
কমরেড মুজফ্ফর আহমেদ এর নির্দেশে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজে বিএ প্রথম বর্ষে ভর্তি হন। ছয় মাসের এক্সটার্নড হয়ে গোপনে খুলনায় আসেন। এই সময়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে মুজাফ্ফর আহমেদের নির্দেশে আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যান। ওই সময়ে স্কুলে সংস্কৃত শেখা কনক ওই বিদ্যার সাহায্য নিয়ে অন্যান্য ছাত্র নেতাদের সাথে শ্রমিক অঞ্চলে স্বাক্ষরতার ক্লাস করাতেন হিন্দি ভাষীদের। নিজেও শিখতেন আবার পড়াতেন। তিনি স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেছেন
‘এক বুড়ো শ্রমিক খাটিয়ায় বসে আমাকে কোলের কাছে টেনে বসিয়ে আদর করে বলছে, “বিটি তুই ইত্নি দুব্লি পাতলি হ্যা, ক্যাসে ইতনা কাম করোগী? পহলে কুছ খা পী লে”, আমাকে যত্ন করে ভাঁড়ের চা আর লাড্ডু টাড্ডু কিনে খাওয়াচ্ছে! আমি আবার তারপর তাকে হিন্দি অ-আ-ক-খ শেখাচ্ছি। সেই হৃদ্য পরিবেশ এখনও আমার চোখের সামনে ভাসে।‘ এরকম ভাবেই নানান নিরলস কাজের মধ্যে দিয়ে তিনি জীবন অতিবাহিত করেছেন।
১৯৪০ সালে ছাত্রনেতা কানাই রায়ের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী ছদ্মবেশে বোম্বাই চলে যান, সেখানে সর্বভারতীয় পার্টির নেতৃত্বের সঙ্গে পরিচিত হন এবং কেন্দ্রের কাজ করেন। .১৯৪২ সালের ২২শে জুলাই পার্টির ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে আত্মগোপন থেকে বেরিয়ে আসেন এবং মহিলা সমিতি গঠনের কাজে যুক্ত হন। ১৯৪২ সালের ১৫ই অক্টোবর কমিউনিস্ট নেতা সরোজ মুখার্জির সাথে বিয়ের পর কনক মুখার্জি নামে পরিচিত হন। ১৯৪৩ সালে সালে ফ্যাসিস্ট শক্তির আক্রমণের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্য, দেশরক্ষার জন্য এবং দুর্ভিক্ষ পীড়িত দুঃস্থ মানুষের সেবা ও রিলিফের জন্য মণিকুন্তলা সেন, পঙ্কজ আচার্য, গীতা মুখার্জী, যুঁইফুল রায়, বানী দাসগুপ্ত প্রমুখ নেতৃবৃন্দ গড়ে তুলেছিলেন “বঙ্গীয় প্রাদেশিক মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি”। এই সমিতির প্রাদেশিক কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
স্বাধীনতা সংগ্রামী কনক মুখার্জি স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে প্রতিটি বাঁক মোড়ে মানুষের আন্দোলনে বিশেষত মহিলাদের সংগঠিত করার কাজে নিয়েছিলেন অবিস্মরনীয় ভূমিকা। ঝোড়ো দিনের এলোমেলো হাওয়ায় সন্ত্রাস আর সন্দেহের কঠিন সময়ে স্থৈর্য্য, দৃড়তা নিয়ে উত্তাল সমুদ্রে পথ হেঁটেছেন কনক মুখার্জি। ১৯৫৮-৫৯ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি থেকে আত্মরক্ষা নাম টি বাদ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ মহিলা সমিতি নাম হয়। ১৯৭০ সালের সমিতির অভ্যন্তরে রাজনৈতিক মতাদর্শের বিভেদ দেখা দিলে সমিতি বিভক্ত হয়। ত্রয়োদশ রাজ্য সম্মেলন থেকে গঠিত হয় পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি।লক্ষ্য গণতন্ত্র, সমানাধিকার, নারী মুক্তি। সমিতির গঠনতন্ত্র ও লক্ষ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল তার। ১৯৮১সালে মাদ্রাজে সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই প্রশ্নেও কনক মুখার্জি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রথম সম্মেলন থেকে ১৯৯৮ সালের পঞ্চম সম্মেলন পর্যন্ত তিনি ছিলেন অন্যতম সহ সভানেত্রী। তারপর থেকে আমৃত্যু তিনি ছিলেন অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। ১৯৬৭ থেকে ৬৯ তিনি ছিলেন পৌরসভার অল্ডার ম্যান, মূলত তার উদ্যোগেই প্রথম অধিবেশনেই প্রস্তাব নেওয়া হয় যে বিপিন বিহারী গাঙ্গুলী স্ট্রিট ও কলেজ স্ট্রিটের সংযোগস্থলে ১৯৪৯ সালের নারী শহীদদের স্মরণে একটি স্মারক স্তম্ভ নির্মাণ করা হোক। এই প্রস্তাব অনুযায়ী নির্দিষ্ট স্থানে শহীদ স্তম্ভটি নির্মিত হয়। ওইখানে আমরা এখনো প্রতি বছর ২৭ শে এপ্রিল শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করি। নানান কাজে যুক্ত কনক মুখার্জী ১৯৭৮- ১৯৯০পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য থাকাকালীন যোগ্যতার সাথে তি কাজ করেন।মহিলাদের অধিকার নিয়ে তার লড়াই ছিল সংসদের মধ্যেও। ‘বৈরাগ্য সাধনে’ মুক্তি তিনি চাননি। সংসারের সমস্ত কর্তব্যের আহ্বান কে অস্বীকার না করে অবিচল থেকেছেন আদর্শে কর্তব্যনিষ্ঠায়। সাংগঠনিক দক্ষতায় কাজ করেছেন আর লেখনীতে পরিস্ফুট করেছেন তার স্পষ্ট ভাবনা। শুধু বললে হবে না লিখতে হবে, রেখে যেতে হবে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অভিজ্ঞতা, শিক্ষামালা। সত্যই তার রচিত শিক্ষা সিরিজ আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রত্যেক কর্মীর কাছে আজ ও অবশ্যপাঠ্য। কনক মুখার্জী ছিলেন অসাধারণ বাগ্মী। ইংরেজি হিন্দিতেও যথেষ্ট পারদর্শী ছিলেন তিনি। বাংলা, হিন্দি ইংরেজি তিনটে ভাষাতেই তার ওজস্বিনী বক্তৃতা সমৃদ্ধ করেছে মহিলা তথা গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে। রাজনৈতিক জীবনের অবিরাম চলার গতি, তার কাব্য সাহিত্য চর্চায় ছেদ ঘটাতে পারেনি। ছোটবেলায় রবীন্দ্রনাথের দীর্ঘ কবিতা গড়গড় করে মুখস্থ বলা যার অন্যতম ভালোলাগা ছিল, তিনি গণতান্ত্রিক শিবিরের কবি-সাহিত্যিকদের সঙ্গে প্রথম সারিতে নিজের স্থান করে নেবেন তাতে আর আশ্চর্যের কি! একের পর এক লেখায় প্রাঞ্জল ভাষায় লিখে গেছেন তিনি।প্রবন্ধ কবিতা সবেতেই ছিলেন সমান স্বচ্ছন্দ। একইসাথে পত্রিকা সম্পাদনায় তার ছিল এক বিরল কৃতিত্ব। ১৯৫৭- ১৯৬৭ মহিলা সংগঠনের পত্রিকা ‘ঘরে বাইরে’-র ছিলেন সম্পাদিকা। ১৯৬৮ থেকে ‘একসাথে’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।এই পদে তিনি ছিলেন আমৃত্যু। তার কথা বলতে গেলে আসলে ‘ছুটলে কথা থামায় কে’ হয়ে ওঠে। পাতার পর পাতা লিখলেও তার সম্মদ্ধে লেখা শেষ হবে না।বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অবদানের জন্য তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ‘ভুবনমোহিনী দাসী’ স্বর্ণপদক থেকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিলিট, নানান পুরস্কার উপাধি লাভ করেন। তার স্মৃতিচারণা ‘মনে মনে’ এক অনবদ্য স্মৃতিকথা। তার ‘নারী আন্দোলন ও আমরা’ তার সময়ের রাজনৈতিক জীবনের আয়না। আগস্ট বেবেলের রচনার অনুবাদও তিনি করেছিলেন। দক্ষ সংগঠক ও বহু প্রতিভার অধিকারী কনকদি সুন্দর সমৃদ্ধ একটি জীবনের স্বপ্নকে বুকের মধ্যে লালন করে পথ চলেছেন। তার যাপনে সুখকে ত্যাগ করেছেন নিতান্ত অবহেলায়, আর তাইতো পথের সাথীদের মায়ের স্নেহে, দিদির দরদে, সহকর্মীর মেজাজে, আত্মসম্মান আত্মমর্যাদাবোধকে বিন্দুমাত্র ক্ষুণ্ণ না করে লড়াইয়ের ময়দানে টিকে থাকার শিক্ষা দিয়েছেন, শিখিয়েছেন বিপ্লবী লক্ষ্যে অবিচল থাকতে। ১৯৩৮ সালে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পদ থেকে ১৯৬৪ সালে যখন পার্টি দ্বিধা বিভক্ত হয় তখন সিপিআইএম এ যোগ দেন। ১৯৭৮ সালের পশ্চিমবঙ্গ পার্টি ত্রয়োদশ রাজ্য সম্মেলন থেকে রাজ্য কমিটির সদস্য, ১৯৮৯ সালের পার্টির ত্রয়োদশ কংগ্রেস থেকে ১৯৯৮ সালের ষোড়শ পার্টি কংগ্রেস পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।
স্নেহময় কনকদির স্নেহের স্পর্শে তার সমকালীন প্রত্যেকেই ধন্য হয়েছিলেন। সংগঠন কে গড়া থেকে লেখিকা তৈরি, মতাদর্শকে সমৃদ্ধ করা থেকে মনের সুকুমারবৃত্তি গুলোকে বিকশিত হওয়ার সুযোগ-- সর্বক্ষেত্রেই তার অবাধ বিচরণ তাকে প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছিল।
আজ তার শতবর্ষে আমরা যখন তাকে স্মরণ করছি তখন আসলে এই উত্তাল সময়ে তার রেখে যাওয়া অজস্র মণিমুক্তা থেকে আমরা সংগ্রহ করতে চাই বিন্দু বিন্দু করে এগিয়ে চলার প্রেরণা, তার শিক্ষায় নিজেদের সিঞ্চিত করতে চাই। এই সময় যখন কেন্দ্র রাজ্যের শাসক দল বহুবিভক্ত করতে চায় মানুষকে, মেরুকরণ করতে চায় তাদের, আর মহিলাদের ঠেলে দিতে চায় আরো দূরতম প্রান্তে, তখন কনকদির শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সদর্পে মনুবাদীদের চোখে চোখ রেখে বলতে চাই, এদেশ আমাদের হিন্দু মুসলিম শিখ ঈশাই সকলের, এদেশ মহিলার—তারও প্রতিভার, কৃতিত্বের স্বাক্ষরের। এদেশ মহিলাদের অধস্তন করার চেষ্টার প্রতিবাদ করবেই আর সেই প্রতিবাদের মশাল কনক দি দেরঐতিহ্যকে সাথে করেই উত্তরাধিকারের পথ ধরে থাকবে আমাদের হাতে।
রাজ্যকে লুটেরাদের হাত থেকে উদ্ধার করে নতুন রাজ্য গড়ার শপথ নিতে কনক মুখার্জী দের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েই দৃপ্ত কণ্ঠে আমরা উচ্চারণ করতে পারি, এ আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার। কনক মুখার্জির শতবর্ষে তার প্রতিভার ফল্গুধারার মতো নানান ধারায় বিকশিত করবই তার প্রিয় সংগঠনকে, আমাদের সংগঠন কে,এ আমাদের প্রতিজ্ঞা, আমাদের অঙ্গীকার।