প্রথম দিনেই মুখ থুবড়ে পড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষিত প্রচেষ্টা প্রকল্প। অথচ ক্লাব গুলোকে টাকা দেওয়া চালু আছে।
লক ডাউনের প্রভাবে জীবন জীবিকা একরকম বন্ধ সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের । বাম পারিষদ সহ ও কংগ্রেস পরিষদ দল লাগাতার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করে আসছিলেন অসংগঠিত শ্রমিক সহ দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের আর্থিক সাহায্যের জন্য। কিছুটা বিরোধিদের চাপে পরেই মুখ্যমন্ত্রী প্রচেষ্টা প্রকল্প শুরু করেন। মূলতঃ অসংগঠিত শ্রমিকদের কথা বলেই এই প্রকল্প শুরু করা হয়। এই প্রকল্পে মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। দিন কয়েক আগেই বিলি করা হয়েছে প্রচেষ্টা প্রকল্পের ফর্ম। সোমবার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা ছাড়াই আধার কার্ডসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সমেত সেই ফর্ম জমা শুরু হয় বিভিন্ন পুরসভা ও ব্লক কার্যালয় গুলিতে।
পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা না থাকার জন্য ফর্ম জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব লঙ্ঘন হতে থাকলে, সামাজিক দূরত্বের কারণ দরসিয়ে আচমকাই বন্ধ করে দেওয়া হয় ফর্ম জমা নেওয়ার কাজ।
প্রচেষ্টা প্রকল্পের ফর্ম জমা নেওয়া বন্ধ করায় আবেদনকারীদের বিক্ষোভের জেরে বড়সড় অসন্তোষের খবর এসেছে বেশ কয়েকটি জেলা থেকেও। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য গোড়াতেই গলদ হয়েছে প্রচেষ্টা প্রকল্পের ,প্রকল্প ঘোষণার সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় মহকুমা ও ব্লক অফিসে আবেদনকারী দের নাম নথিভুক্ত করতে, এক্ষেত্রে একটি মহকুমা বা ব্লকে অধীনে যে সমস্ত অঞ্চল থাকে সেই সমস্ত শ্রমিকদের একসঙ্গে সমাগম হবেই। স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে যাবে সমাজিক দূরত্ব। যদি গ্রাম পঞ্চায়েত বা ওয়ার্ডে আবেদন করার কথা বলা হত তাহলে এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো যেত।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের অর্থ দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রচেষ্টা প্রকল্প বন্ধের কথা বলা হলেও পুনরায় আবার কবে এই প্রকল্প চালু হবে বা আদৌ চালু হবে কিনা সেই প্রসঙ্গে কিছু বলা হয়নি। বাম পরিষদীয় দল নেতা সুজন চক্রবর্তী এ দিন প্রশ্ন তুলেছেন , " প্রচেষ্টা প্রকল্প বন্ধ করা হলো কেন? বিপদে পড়ছেন গরিব মানুষ , তাদের কাছে নূন্যতম অর্থ নেই। অসহায় তাঁরা। আর সরকার নির্বিকার।এটাকি ছেলে খেলা হচ্ছে..? আমাদের স্পষ্ট দাবি হলো , প্রত্যেককে মাসিক নূন্যতম ২০০০ টাকা দিতেই হবে। দরকার হলে অনলাইনেও আবেদন পত্র জমা নিতে হবে, প্রত্যেক বিপন্ন মানুষকে সহায়তা করতে হবে। তিনি আরো বলেন ,রাজ্যের সরকার প্রতারনার সরকার ,শুধুই প্রচারের ধান্দা তাদের।
প্রসঙ্গত, গত তিন চার দিনে, মুখ্যমন্ত্রীর ক্লাব গুলিকে ঘোষিত অর্থ হুগলী, বর্ধমান জেলার বিভিন্ন থানা থেকে চেক দেওয়া শুরু হয়েছে। গরিব মানুষ খেতে পাক না পাক মুখ্যমন্ত্রীর অযাচিত দান খয়রাতি চলছেই।"
আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার এই ঘটনার প্রতিবাদে ,প্রচেষ্টা প্রকল্প পুনরায় চালু করার দাবিতে সামাজিক দূরত্ব মেনে বিক্ষোভ দেখাবে সি আই টি ইউ। রাজ্য সরকারের এই অমানবিক সিদ্ধান্ত দেখে বিশেজ্ঞ মহলের বক্তব্য, প্রচেষ্টা প্রকল্প কি শুধুমাত্র লোক দেখানো...?
শেয়ার করুন