ভারতের জাতীয় আন্দোলন ও আর এস এস – (তৃতীয় পর্ব)

ধারাবাহিক রচনায় - গৌতম রায়

রাজনৈতিক হিন্দু সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী চিন্তা চেতনা আরএসএস নামক একটি সংগঠনের মধ্যে দিয়ে সংগঠিত হওয়ার অনেক আগেই ,অবিভক্ত ভারতের উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে নানা সাংগঠনিক কার্যকলাপের ভেতর দিয়ে একটা রূপ পেতে শুরু করেছিল। এই ক্ষেত্রে অবিভক্ত পাঞ্জাবের পশ্চিম অংশ,অর্থাৎ ;এখন যেটি ভৌগোলিকভাবে পাকিস্তানের অন্তর্গত ,সেই অংশের হিন্দু বণিকদের শ্রেণীর স্বার্থ ভিত্তিক কর্মকাণ্ড গুলি খুব বড় রকমের ভূমিকা পালন করেছিল।

রাজনৈতিক হিন্দু সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী চিন্তা চেতনা

                 সেই ভূমিকা গুলি ছোট-বড় নানা রকম সংগঠন, ধর্মীয় নানা ধরনের কার্যকলাপের আবরণের আড়ালে, রাজনৈতিক হিন্দু চিন্তাচেতনার বিকাশের ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে শুরু করেছিল ।সেই ভূমিকা আমরা হিন্দু মহাসভার প্রতিষ্ঠা(১৯১৫ সালের ৯ ই এপ্রিল) ও কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে দেখতে পাই। তবে উত্তর ভারতে ভারতের বহুত্ববাদী ধ্যানধারণা ,সমন্বয়ী চিন্তা-চেতনার অভি ধারায় পুষ্ট প্রচলিত হিন্দুধর্মকে রাজনৈতিক হিন্দুধর্মে রূপান্তরিত করে, একটা সাংগঠনিক ভিত্তির  ভেতর দিয়ে, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সহায়ক শক্তি হিসেবে গড়ে তুলে ,অদূর ভবিষ্যতে ভারতবর্ষকে রাজনৈতিক হিন্দু রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রাথমিক চিন্তা চেতনা টি বিস্তার লাভ করেছিল কিন্তু মূলত মহারাষ্ট্রে এবং সেটি সংগঠিত রূপ লাভ করেছিল প্রধানত মহারাষ্ট্রে।

ভারতবর্ষকে রাজনৈতিক হিন্দু রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় আর এস এস

                  উত্তর ভারতে, উত্তর পশ্চিম ভারতে ভারতবর্ষের বহুত্ববাদী আধ্যাত্বিক ধ্যান-ধারণাকে রাজনৈতিক হিন্দুত্বে পরিণত করবার উদ্দেশ্যে খানিকটা সামরিক কায়দায় কুচকাওয়াজ , শরীরচর্চা ইত্যাদি মত বিষয়গুলির চর্চা আমরা সেভাবে দেখতে পাইনা ।এই বিষয়টি কিন্তু রাজনৈতিক হিন্দুদের ভেতরে প্রধানত সংক্রমিত হয়েছে মহারাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক হিন্দু অস্মিতার চিন্তাভাবনা প্রসূত ,বিশেষ করে শিবাজী কে কেন্দ্র করে নানা ধরনের কল্পিত বীরত্বব্যঞ্জক ইতিহাসকে নির্ভর করে।

আরএসএস হলো রাজনৈতিক হিন্দু সন্ত্রাসী, মৌলবাদী সংগঠন

                  শিবাজী কে কেন্দ্র করে হিন্দু ধর্মের একটি রাজনৈতিক অভিশ্রুতি দান, যে অভিশ্রুতির মূল লক্ষ্য হচ্ছে ;মুসলিম বিদ্বেষ, সেটি মারাঠা জনজীবনে উনিশ শতকের শেষ দিকে খুব বড় রকম বিস্তার লাভ করতে শুরু করে।  এই বিস্তারের  প্রভাব শিশু ও কিশোর বয়সে হেডখেওয়ারের  উপর পড়েছিল। যেটি পরবর্তীকালে তিনি আরএসএস নামক রাজনৈতিক হিন্দু সন্ত্রাসী, মৌলবাদী সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার সময় সংগঠনের আদর্শগত এবং রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক অভিধা নির্মাণে অত্যন্ত সচেতনভাবে এবং বিশেষ রকমের গুরুত্বের সঙ্গে প্রয়োগ করেছিলেন।

পড়তে থাকুন..www.cpimwb.org.in


শেয়ার করুন

উত্তর দিন