মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে পুলিশের লাঠি, তৃণমূলের মস্তানি হার মানল জনগণের বিক্ষোভের মেজাজে...

১৬ জুলাই ২০২০
ওয়েবডেস্কের প্রতিবেদন

আমফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত দের দুর্নীতি বন্ধ পরিযায়ী শ্রমিকদের বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করা মূলত এই দুই দাবি নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গির সাহেন রামপুর ও হুকাহারা মোড় থেকে বিশাল সিপিআই(এম) এর নেতৃত্বে বিশাল দুটি ব্লকের অভিমুখে রওনা দেয়, দুটি মিছিল এক হয়ে জলঙ্গি ব্লকে পৌঁছতেই শুরু হয় , পুলিশ ও তৃণমূলের যৌথ হামলা।বিনা প্রচনায় পুলিশের দিক থেকে বিক্ষোভ কারীদের দিকে ছোড়া ইট হয় এবং ব্যাপক লাঠি চার্জ করা হয়। ক্ষুব্ধ মানুষ চোর তারাও এলাকা বাঁচাও এই স্লোগান দিতে ব্লক অফিসের বাইরে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন। বিক্ষোভ রুখতে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। কার্যত প্রায় ১ ঘন্টা রণ ক্ষেত্রের চেহারা নেয় জলঙ্গির ব্লক অফিস চত্বর, শেষে বিক্ষোভকারী মানুষের মেজাজের কাছে হার মেনে পিছু হটে পুলিশ ও তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী। এদিন দুপুর থেকেই সিপি আইএম নেতা কর্মীদের আটক করে পুলিশ। জলঙ্গির বিভিন্ন এলাকায় নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী। এদিন সন্ধ্যায় জলঙ্গির প্রাক্তন বিধায়ক ইউনুস সরকার কেও গ্রেফরার করে পুলিশ।

সারা ভারত কৃষিক সভা ও ক্ষেত মজুর ইউনিয়নের ডাকে মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে ব্লকে ব্লকে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের মিছিল , বিক্ষোভ সভাও ডেপুটেশন কর্মসূচি হয়। ভগবান গোলা এক নম্বর ব্লকেও পুলিশের সাথে ধস্তা ধস্তি হয় আন্দোলনকারীদের।


সিপিআই(এম) মুর্শিদাবাদ জেলার সম্পাদক নৃপেন চৌধুরী জানান, জেলা জুড়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। জলঙ্গিতে শান্তিপূর্ণ ভাবেই আন্দোলন চলছিল। বিনা প্ররচনায় পুলিশ শান্তিপূর্ণ মিছিলে আক্রমণ করেন, আমার তীব্র নিন্দা করছি। পুলিশ গনসংগঠন গুলির নামে মিথ্যা মামলাও সাজাচ্ছে।সারা জেলায় পুলিশ প্রাসশনের এই ভূমিকার প্রতিবাদে ধিক্কার মিছিল হবে।

শেয়ার করুন

উত্তর দিন