সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের যে বিশাল পরিকাঠামো গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে আছে তার উপর নির্ভর করতে হবে। প্রতিদিন নীচের রিপোর্ট উপরে আসতে হবে। ব্লক ও পৌরসভা স্তরে সেগুলো একত্রিত করে জেলায় এবং জেলা থেকে রাজ্যে পাঠানো হয়।
এগুলো অন লাইনে নজরদারি করলে কোথায় কি হচ্ছে ,সমস্যা কি তার দৈনন্দিন পর্যালোচনা করে ফাঁক ফোকর ও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের গতিবিধি বোঝা যাবে। আমাদের গলদ গোড়ায়। তাই সেখান থেকেই শুরু করতে হবে।
রাজ্যের যারা গ্রামিন স্বাস্থ্য কর্মী ANM নার্স, 2ND ANM নার্স ও আশা দিদি, তাদের কাজের এলাকা ৫০০০ জনসংখ্যা প্রতি একটা সাব সেন্টার।
প্রতি পঞ্চায়েত ৩ টি করে সাব সেন্টার। বাস্তবে এখন এক একটা সাব ১০,০০০ জনসংখ্যা পর্যন্ত আছে।
একটি সাব সেন্টারে ১ জন ANM দিদি , ২ জন 2nd ANM দিদি আর ৪/৫ জন আশা দিদি।
এদের জন্য রাজ্য সরকারের বরাদ্দের পরিমান মাত্র ১৫০০ টাকা।
এনারাই গ্রামের প্রতি বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতনতা বাড়াচ্ছেন। যারা ভিন রাজ্য বা বিদেশ থেকে আসছেন তাদের কাছে যাচ্ছেন। তাঁদের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ এই সামান্য। যা বরাদ্দ তাও তাঁরা পাচ্ছেন না।
এনাদের কে দেওয়া হয়েছে ২০০ ml এর একটি স্যানিটাইজার আর ২ টি করে মাস্ক। গ্লাভস নেই। ভাবুন ৭ জনের ২০০ ml সেনিটাইজার নিয়ে লড়াই হবে।
আর ANM , 2ND ANM ও আশা কর্মীদের জন্য যাতয়াতের ব্যাবস্থা করা হবে বলে সার্কুলার করা হলেও এখনো কোন ব্যাবস্থা নেই। ফলত মারাত্মক অসুবিধার মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে।
এছাড়াও করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে স্বাস্থ্য কর্মী দের সাথে তাল মিলিয়ে গ্রাম ও পৌরসভা এলাকায় কাজ করে যাচ্ছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকারা।
নিজের নিজের এলাকায় কতো জন বাইরে থেকে এসেছেন ,এলাকার কেউ বাইরে আটকে আছে কিনা ?যাঁরা বাইরে থেকে এসেছেন তাঁরা ও তাঁদের পরিবার হোম কোয়ারেন্টাইন এ আছে কিনা এসমস্ত খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষন করা ও উর্ধতন্ কর্তৃপক্ষ কে নিয়মিত খবর দেওয়ার জন্য প্রতিদিন এলাকায় যেতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে একটি রেজিস্টারে বাড়ির সদস্য কে দিয়ে সই করাতে হচ্ছে।
এ জন্য প্রায় প্রত্যেকের খুব কাছে গিয়ে এনাদের কাজ করতে হচ্ছে। অথচ সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী কোনো রকম ppe যেমন মাস্ক ,গ্লাভস ,স্যানিটাইজার সাবান এর আই সি ডি এস কর্মীদের দেওয়া হয়নি।
এনাদের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত, এনারা সংক্রামিত হলে আরো বহু জন এর সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়। এ বিষয়ে যদি সরকারী ভাবে দ্রুত সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন।
শেয়ার করুন