Women Day: Today’s Issue

সমাজ এগোচ্ছে, অন্তত এগোনোর কথা। কিন্তু কিভাবে এগোচ্ছে, কোন দিকে এগোচ্ছে? এক বড় মাপকাঠিতে মেয়েদের অবস্থান।

জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্সে ( লিঙ্গ বৈষম্যের সূচক) ১৫৬ দেশের মধ্যে ভারতের স্হান ১৪০। ২০২১ সালে আরো ২৮ ধাপ নেমে গেছে।

এর একটা বড় কারণ মেয়েদের কর্মসংস্থান হচ্ছে না। বিশেষ করে যুবতী অংশের। শ্রম শক্তিতে মেয়েদের অংশ বিপজ্জনক ভাবে কমছে। ২০১৭ থেকে ২০২১-এর মধ্যে ২ কোটি মহিলা শ্রম শক্তির বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে। এর বড় অংশই তরুণী। একদিকে কাজ নেই, কাজ খোওয়া যাচ্ছে। বেকারী বৃদ্ধির হার বাড়ছে। বেকারীর হার নিয়ে যে পরিসংখ্যান দেখা যায় মাঝে মাঝেই তা আংশিক সত্য। কেননা এখানে যে বিপুল অংশ কাজ করতে পারতেন কিন্তু করছেন না, তাদের ধরাই হয় না। সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ কাজ খুঁজছেন না, কেননা পাচ্ছেন না। মেয়েদের মধ্যে কাজ করতে পারতেন এমন জনসংখ্যার মাত্র ৯ শতাংশ কাজ করছেন।
প্রাক-মহামারী সময়ের তুলনায় মহামারীর পরে শহরে মেয়েদের মাসিক গড় কর্মসংস্থান ২২ শতাংশ কমে গেছে।

গ্রামে কাজ নেই। তার মধ্যে গ্রামীণ গরিব অংশের একমাত্র উপায় রেগার বরাদ্দ নির্মম ভাবে ছাঁটাই হয়েছে। প্রায় ৩০% বরাদ্দ কমেছে এবারের বাজেটে।

যারা কাজ করছে তাদের মজুরি কমছে। সব সমীক্ষাতেই দেখা যাচ্ছে মজুরি কমে যাচ্ছে। অর্থাৎ আয় কমছে। এমনিতেই সমকাজে মহিলাদের সমমজুরি নেই। উপরন্তু মেয়েদের বেশির ভাগ কাজই অস্থায়ী, ঠিকা, মরসুমি, বা গৃহ উৎপাদন। কোনটাতেই মজুরির গ্যারান্টি নেই।

শ্রমজীবী মানুষের জীবন- জীবিকার ভিত্তি হল তাঁদের মজুরি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রকাশিত তথ্যে (২০১৯-২০) দেখাচ্ছে, সারা ভারতে গড় মজুরি পুরুষদের জন্য দৈনিক ৩৪৮ টাকা, পশ্চিমবঙ্গে মজুরি ৩০৫ টাকা। এই নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ দেশের শেষ বারোটি রাজ্যের মধ্যে স্হান করেছে। কেরলে গড় দৈনিক মজুরি ৭০১ টাকা, যা পশ্চিমবঙ্গের দ্বিগুণেরও বেশি। এ রাজ্যে মেয়েরা পান দৈনিক ২৫৬ টাকা, সারা দেশে গড় ২৭৮ টাকা।

ভারতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করেন বিপুল সংখ্যক নারী-কর্মী। এ রাজ্যে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ১ লক্ষ ৭০ হাজার, সহায়িকা ১ লক্ষের কিছু বেশি, আশাকর্মী ৫৫ হাজার, মিড-ডে মিলে কর্মরত প্রায় ২ লক্ষ ৩২ হাজার।

কিন্তু সরকার-নির্ধারিত শ্রমিক অধিকার প্রায় কিছুই পান না। এই ধরনের কর্মজীবী কোটি কোটি নারী পুরুষ সুষ্ঠভাবে রোজগারের সুযোগ পেলে নিজের আয়ের সংস্থান থেকেই নিজেদের চাহিদা পূরণ করতে পারতেন।

সরকারের তরফে দরকার ছিল সঠিক মজুরি ঘোষণা ও তা পাওয়ার উপযুক্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। আপদে-বিপদে সামাজিক সুরক্ষা ছাড়া, এই শ্রমিকদের তা হলে সরকারকে প্রয়োজন হত না৷

শ্রম অর্জিত মজুরি যদি সঙ্কুচিত হয়, অনুদান সেই ফাঁক পূরণ করতে পারে না। অনুদান পাওয়ার আশা হয়তো সরকারকে সমর্থন পেতে সাহায্য করে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে তা রাজ্যের শ্রমনির্ভর অর্থনীতিকে পঙ্গু করে তুলছে। আজ হয়তো নারীর শ্রমের অবমূল্যায়ন দিয়ে উৎপাদন চালানো যাচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে সস্তায় শ্রম কেনার আশায় বসে থেকে বহু সংস্থা বন্ধ হয়ে যাবে।

কম মজুরি সর্বাধিক ক্ষতি করছে মেয়েদের।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে ই-শ্রম পোর্টালে (২০ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত) রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ২ কোটি ৫৭ লাখ শ্রমিকের। এর মধ্যে নারী-কর্মী ১ কোটি ৪০ লক্ষ (৫৪ শতাংশ)।

তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কৃষি, নির্মাণ, গৃহকর্মী, পোশাক, তামাক শিল্প, বিক্রয়- কর্মী, শিক্ষা, পরিবহণ, স্বাস্থ্য পরিষেবা, চামড়া শিল্প, খনি-কর্মী, এমন নানা পেশার শ্রমিক। পেশাসূত্রে প্রাপ্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাস্তবিক তাঁরা কতটা পাচ্ছেন এবং সেগুলির পরিধি বাড়াতে সরকার কী ভাবছে, সে বিষয়ে বাজেট বক্তৃতায় কিছু নেই বটেই, কোনও সাম্প্রতিক সরকারি ঘোষণা বা রাজনৈতিক বিবৃতিতেও কিছু পাওয়া যায় না। বরং বিপরীত চিত্রই দেখা যাচ্ছে—

মজুরিতে ঘাটতির জন্য (দৈনিক ২৩২ টাকা) চা বাগানে শ্রমিক অনুপস্থিতির হার ৪৫ শতাংশে পৌঁছেছে। গত তিন বছরে আঠারো বার ত্রিপাক্ষিক মিটিং-এর পর দৈনিক মজুরি ত্রিশ টাকা বাড়ল। তার পরে ডুয়ার্সের বাগানে না গিয়ে পুরুষেরা ভুটানের কারখানায় দৈনিক পাঁচশো টাকা মজুরিতে কাজে যাচ্ছেন। সস্তার শ্রম দিয়ে সেই ফাঁক পূরণ করছেন মেয়েরা।

রাজ্যের চটকলগুলিতে এখন মহিলা শ্রমিকদের কদর খুব বেড়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে। শুনতে হচ্ছে, মেয়েদের নাকি ‘ডিসিপ্লিন’ বেশি, তাঁরা দক্ষ, কামাই করেন কম, উৎপাদন দেন বেশি, ইত্যাদি। যদিও সত্তর-আশির দশকে বলা হত উল্টোটাই মেয়েরা উৎপাদন কম করেন, এই অজুহাতে হাজার হাজার নারী-শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে। আজ তাঁদের কদর বেড়েছে, কারণ সস্তায় তাঁদের দক্ষ শ্রম কেনা যাচ্ছে। বাংলার চটকলগুলিতে হাজার হাজার ‘ট্রেনি’ মেয়ে শ্রমিক কাজ করছেন, যাঁরা দিনে ২২০ টাকা (বা তার সামান্য বেশি) পান। রাতের শিফটে নারী শ্রমিকদের কাজ আইনসম্মত করার চেষ্টা চলছে। যদিও এখনই অনেক চটকলে রাতের শিফটে নারী শ্রমিক কাজ করছেন কোনও রকম সুরক্ষা ছাড়াই।

যদিও মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি আইন ২০০৫ এ সরকারের উদ্দেশ্যে কথা আলাদা বলা হয়েছিল।

অর্থনৈতিক নিরাপত্তা প্রদান এবং গ্রামীণ সম্পদ তৈরি করা ছাড়াও, জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি স্কিম-কে প্রচার করার জন্য বলা অন্যান্য জিনিসগুলি হল যে এটি পরিবেশ রক্ষা, গ্রামীণ মহিলাদের ক্ষমতায়নের, গ্রামীণ-শহুরে অভিবাসন হ্রাস এবং সামাজিক ন্যায্যতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে। এর অধীনে উপলব্ধ কাজের জন্য অর্ধেক নারীদের নিশ্চিত করা হয়েছে।
একটি আর্থিক বছরে কমপক্ষে ১০০ দিনের মজুরি কর্মসংস্থান প্রদান করে গ্রামীণ এলাকায় জীবিকার নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা৷
যার দ্বারা প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যরা অদক্ষ কায়িক কাজ করতে সক্ষম৷ জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি স্কিম এর আরেকটি লক্ষ্য হল “টেকসই সম্পদ ” (যেমন রাস্তা, খাল, পুকুর এবং বাগান) তৈরি করা।

ল্যাম্পস গুলি শেষ। কেন্দু পাতার কাজ করা মহিলারা অসহায়। জঙ্গলে ঢোকা নিষেধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওটা ছাড়া আর কোন জীবিকা নেই ,তাই মহাজনের জালে জড়িয়ে গেছেন দরিদ্রতম মহিলারা।

উত্তরবঙ্গে মহিলাদের হাতের কাজ বা কুটিরশিল্প নেই বললেই চলে। অন্যের জমিতে খাটাই একমাত্র জীবিকা, এবং মজুরি মারত্মক কম।

মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির অবস্থা খারাপ, কারণ পুঁজির অভাব। রাজ্য সরকার স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প বন্ধ করে চিট ফান্ডের দিকে ঠেলে দিয়েছিল, ফলে সেই প্রকল্প থেকে সহজ সুদে ঋণ পাওয়ার পথ বন্ধ। গ্রামের মহিলারা কিছু করতে গেলেই ফেঁসে যাচ্ছেন মাইক্রো ফাইন্যান্স কোম্পানি গুলির ফাঁদে। এটা সারা বাংলার চিত্র।

গ্রামীণ পরিবার গুলির শিশু দের জন্য icds কেন্দ্র আছে, কিন্তু সেগুলির অবস্থা শোচনীয়। মিড-ডে মিল থেকে শিক্ষিকা সবটাই করুন অবস্থায়। আশা কর্মীরা মারাত্মক বঞ্চনার শিকার।

গ্রামীণ মহিলাদের নতুন কর্ম সংস্থানের কোন ব্যবস্থা হয়নি। গ্রামের পুরুষদের সাথে অনেক ক্ষেত্রেই মহিলারাও পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে গেছেন অথবা পুরুষের অনুপস্থিতিতে সংসারের সম্পূর্ন দায় তাঁদের কাঁধে। ফলে সন্তান অবহেলিত হচ্ছে।

ন্যাশনাল ক্রাইমস রেকর্ড ব্যুরোর শেষ হিসাব ২০২১ সালের। ২০২১-এ দেশে মহিলাদের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত অপরাধ ৪ লক্ষ ২৮ হাজার। ৬ বছরে ২৬ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১-এ ধর্ষণ হয়েছে ৩২ হাজার। আগের বছরের তুলনায় ৩ হাজার বেশি। অর্থাৎ দিনে ৮৭ ধর্ষণের ঘটনা। প্রত্যেক ঘণ্টায় ৩-এর বেশি। এও শুধু রিপোর্ট নথিভুক্ত ঘটনা। আরো মারাত্মক, ধর্ষণকারীরা শাস্তি পাচ্ছে না। ধর্ষণ আড়াল করতেই পুলিশ ব্যস্ত থাকে। উত্তরপ্রদেশে যেমন, পশ্চিমবঙ্গেও তেমন। ধর্ষণ আসলে একটা হাতিয়ারে পরিণত হচ্ছে যা দিয়ে মেয়েদের ভয়ের মধ্যে রাখা যাবে।

অন্য অপরাধ ছাড়াও পণের জন্য মৃত্যু। ২০২১-এর হিসাবে প্রতি ৭৭ মিনিটে একজন পণের জন্য মারা যাচ্ছেন— dowry death.
২০২২ সালে শুধু জাতীয় মহিলা কমিশন ( National Commission for Women)- র কাছে ৩১ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। ২০১৪-র পর থেকে সর্বোচ্চ। এটা শুধু জাতীয় স্তরে। ৫৪ শতাংশ উত্তরপ্রদেশ থেকেই। এ হিমশৈলের চূড়া মাত্র।
এইসব সরকারী তথ্য। national family health survey-5 রিপোর্টে দেখা গেছে ভারতে মেয়েদের ৩০% কোনো না কোনো যৌন হয়রানি/আক্রণের শিকার হচ্ছে। গার্হস্থ্য হিংসা (domestic violence)-ও এর মধ্যে রয়েছে। Silent Pandemic of Violence Against Women. হিংসার নীরব মহামারী।

মেয়েদের বিরুদ্ধে হিংসার বিরুদ্ধে জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে। ঘটনা ঘটলেই শুধু নয়, দেশব্যাপী একটা ধারাবাহিক আন্দোলন। আক্রান্ত তরুণীদের পাশে দাঁড়াতে পারে, পুলিশকে অভিযোগ নিতে বাধ্য করতে পারে, শাস্তি পর্যন্ত লড়াই চালাতে পারে।

হিন্দুত্বের মতাদর্শ আধিপত্যকারী মতাদর্শে পরিণত হচ্ছে। কোনো লড়াইয়েরই অর্থ থাকবে না যদি এই মতাদর্শের বিরুদ্ধে সংগ্রাম না করা যায়।

হিন্দুত্বের মতাদর্শ মৌলিক ভাবেই মহিলাদের স্বার্থবিরোধী। মনুবাদী চিন্তায় আচ্ছন্ন- জেনে বা না জেনে। যেখানে শূদ্র ও মহিলাদের পায়ের তলায় রাখার কথা বলা আছে। যেমন দলিতরা আক্রান্ত তেমনই মহিলারাও আক্রান্ত। সাম্প্রদায়িকতার একটি রূপই হল মহিলাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। ‘লাভ জিহাদ’ এমন একটি ধারণা যা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ভীতি সঞ্চারের জন্য। স্বরা ভাস্কর অন্য ধর্মে বিয়ে করতে পারেন, করেছেন বলে অভিনন্দন পাচ্ছেন, পাওয়ারই কথা। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের কোনো গ্রাম-মফস্বলে এখন তা সম্ভব কি?

ভারতে আন্তঃ ধর্মবিবাহ লক্ষ লক্ষ হয়, এমন নয় ,অল্পই হয়। কিন্তু লাভ জিহাদের ধারণা একই সঙ্গে মুসলিম-বিদ্বেষী ও মহিলা বিরোধী। অথবা, হিজাব বিতর্ক। ইচ্ছাকৃত ভাবে এই বিতর্ক তোলা হয়েছে, যা একই সঙ্গে সংখ্যালঘু বিদ্বেষী এবং মহিলাদের স্বাধীনতার বিরোধী।

আরএসএস ও সঙ্ঘ পরিবার বিশ্বাস করে মহিলাদের কাজ ঘরকন্না করা, সন্তান প্রতিপালন করা। মেয়েদের ঘরবন্দি করে রাখার আদর্শে তারা বিশ্বাস করে। সামন্ততন্ত্রের যে নিয়মকানুন রয়েছে, তা আধুনিক ভারতেও চাপিয়ে দিতে চায়।

অন্য একটি বিপদের দিক রয়েছে। হিন্দুত্বের মতাদর্শ ক্রমশ সমাজে নৈতিক সম্মতি আদায় করে নিচ্ছে। তা পারছে কেননা সঙ্ঘ পরিবারের সংগঠন লাগাতার, নিরলস ভাবে মানুষের মধ্যে এই মতাদর্শ ছড়িয়ে দিচ্ছে। মেয়েদের মধ্যেও। রাষ্ট্রীয় সেবিকা সমিতি, সেবা ভারতী, সঙ্ঘের স্কুলের মাধ্যমে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযানে মেয়েরাও অংশ নিচ্ছে। সোজা কথা, মহিলাদের মধ্যে, এমনকি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শহরের মেয়েদের মধ্যেও ইসলামোফোবিয়া ছড়িয়ে পড়ছে। এখানেই মতাদর্শভাবে মোকাবিলার কাজ জরুরী। মেয়েদের, যুবতীদের আসল সমস্যা কী, কোন ছদ্মবেশে তাকে আড়াল করা হচ্ছে, তা প্রচারে নিয়ে যাওয়া আমাদের কাজ। কেবল উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে প্রচার করলে এ কাজ শেষ হয় না, গ্রাম-শহরের সব অংশের মধ্যে প্রচার করতে হবে। শুধু প্রচার নয়, বিকল্প জনপ্রিয় কর্মসূচি নিতে হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান চেতনা প্রসারের ছোট ছোট কর্মসূচি নেওয়া যায়।

লড়াই কঠিন, কিন্তু লড়াই হচ্ছে। নারীদের অধিকার রক্ষার লড়াই অবিরত চলতে থাকবে। সেটাই হোক নারী দিবসের শপথ।

Spread the word

Leave a Reply