দেশের কৃষি ক্ষেত্রকে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিতে মোদী সরকার যে তিনটি নয়া কৃষি আইন করেছে এবং কৃষিপণ্যের বিপণনকে দেশি বিদেশী কর্পোরেট সংস্থার হাতে তুলে দিচ্ছে তার প্রতিবাদে সারা দেশে কৃষকরা সোচ্চার হয়েছেন। তিনটি নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লির বুকে লক্ষ লক্ষ কৃষক অবস্থান করছেন, অনশন করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার নানা কথায় আন্দোলনকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলেও তাঁরা একজোট হয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের একটাই দাবি, নয়া তিনটি কৃষি আইন এবং বিদ্যুৎ বিল বাতিল করতে হবে।
আজ কলকাতায় রানি রাসমণি রোডে জেলাগুলি থেকে হাজার হাজার কৃষকরা এসে জমায়েত করবেন। কৃষক আন্দোলনে বাংলার যে ঐতিহ্য রয়েছে সেই অনুসারেই এরাজ্যের কৃষকরা প্রতিবাদে সোচ্চার হবেন।
রাজ্যের ২১টি কৃষক ও খেতমজুর সংগঠন রয়েছে সারা ভারত কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটির পশ্চিমবঙ্গ শাখায়। তারাই বুধবারের কৃষক সমাবেশের আহ্বায়ক। এআইকেএসসিসি’র পশ্চিমবঙ্গ শাখার নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, বুধবার দুপুর ১টায় শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশন থেকে দু’টি বিরাট মিছিল করে কলকাতার মধ্যস্থল রানি রাসমণি রোডে আসবেন কৃষকরা। পূর্ব ও পশ্চিম দিক থেকে দু’টি মিছিল ধর্মতলা অঞ্চলকে ছাপিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে, অন্তত ৪০ হাজার মানুষের জমায়েত হবে। দুপুর ২টোয় রানি রাসমণি রোডে সমাবেশে সভা শুরু হবে। সভায় বিভিন্ন সংগঠনের কৃষক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ভাষণ দেবেন সারা ভারত কৃষকসভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা। সভা চলাকালীন কৃষকদের ৬জনের একটি প্রতিনিধিদল রাজভবনে যাবেন দাবি পত্র নিয়ে।
শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধেই নয়, এরাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধেও সোচ্চার কৃষক খেতমজুররা। এআইকেএসসিসি নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে বিধানসভার অধিবেশন ডেকে প্রস্তাব গ্রহণ করতে হবে এবং কেন্দ্রীয় আইন যাতে রাজ্যে কার্যকরী না হয় তার জন্য রাজ্য সরকারকে বিশেষ আইন প্রণয়ন করতে হবে। এগুলো না করে মুখ্যমন্ত্রী মুখে কৃষক আন্দোলনকে সমর্থনের কথা বললে তা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
সৌজন্যে – গণশক্তি