The Suffocating Occupation of Palestine is now a Series of War Crimes

বিজয় প্রসাদ

গাজায় ইজরায়েল ক্রমাগত বোমাবর্ষণ করে চলেছে। এখনও অবধি ৬৫০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন, এদের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন রাষ্ট্রসংঘেরই কর্মী। গত ২৪ তারিখেই ইজরায়েলের মনোভাব স্পষ্ট হয়ে যায়, তারা প্যালেস্তাইনের বাসিন্দাদের কিছুতেই ঐ এলাকায় বসবাস করতে দিতে চায় না। বোমাবর্ষণের মধ্যে দিয়ে গোটা এলাকাটাই ব্যবহারের অযোগ্য করে দেওয়া হচ্ছে। ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী এই অঞ্চলে প্রায় ২ মিলিয়ন মানুষের বাস। ১৯৪৮ সাল থেকে যারা রিফিউজি হিসাবে এখানে বসবাস করে আসছেন তারা রাষ্ট্রসংঘের উপরে বিশ্বাস করেছিলেন। ১৯৪৯ নাগাদ পূর্ব প্যালেস্তাইনে বসবাসকারী রিফিউজিদের জন্য রাষ্ট্রসংঘ একটি পৃথক এজেন্সি (ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্ক্স এজেন্সি ফর প্যালেস্তাইন রিফিউজিস ইন দ্য নিয়ার ইস্ট বা ইউএনআরডব্লিউএ) অবধি গঠন করে। সুরক্ষা কাউন্সিলের সভায় পরিস্থিতি সম্পর্কে বিবৃতি দিতে গিয়ে রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টনিও গুতারেস নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেছিলেন আর কিছুদিনের মধ্যেই আক্রান্তদের জন্য ত্রান সরবরাহকারী ট্রাকগুলিতে ব্যবহৃত জ্বালানী তেল ফুরিয়ে যাবে। ‘ত্রানের প্রয়োজন সমুদ্রের মত হলে ঐ ট্রাকগুলিতে যতটুকু সাহায্য পাঠানো যেত তা একফোঁটা জলের মতো’ একথাও তিনি জানান। ত্রান সংগ্রহের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন ৬ লক্ষ ৬৬ হাজার মানুষ। সাহায্য মেলার আশায় গাজার পূর্ব সীমান্ত বরাবর অর্থাৎ ইজিপ্টের দিকে তারা ক্রমশ এসে জড় হচ্ছেন। ঐ অঞ্চলে রাষ্ট্রসংঘের বেশ কিছু দফতর রয়েছে তাই। গুতারেস বলেন- ‘ওখানে যা পরিস্থিতি তার মোকাবিলায় বিপুল পরিমাণ ত্রানসামগ্রীর প্রয়োজন, যতটুকু হাতে রয়েছে তা দ্রুত পাঠানো দরকার। এই কাজে কোনোরকম বাধা দেওয়া উচিত নয়’।

অ্যান্টনিও গুতারেস খুবই ধীরস্থির ও দৃঢ়তার সাথে নিজের বক্তব্য পেশ করেন। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও উত্তর আমেরিকার নেতৃবর্গেরা ঠিক এর উল্টো পথেই চলেছেন। ইজরায়েলের সমর্থনে ঐ সকল দেশের নেতারা একের পর এক তেল আভিভে হাজির হয়েছেন, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু’র পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। ইতিহাস এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই গুতারেসের বক্তব্যে কিছু জরুরী বিষয় উঠে এসেছে। তিনি বলেছেন গাজার সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য শুধু ৭ই অক্টোবরের ঘটনাকে দায়ী করলে চলে না। ঐ দিন হামাস সহ আরও কিছু প্যালেস্তিনীয় গোষ্ঠী ইজরায়েলের সুরক্ষা প্রাচীর ভেঙ্গে দেয় এবং গাজাকে অবরুদ্ধ করে রাখা বন্দোবস্তে হামলা চালায়। অবরুদ্ধ প্যলেস্তাইনের পরিস্থিতি ও গাজায় আটকে থাকা জনসাধারণের দুর্গতির পর্যালোচনা করতে গিয়ে রাষ্ট্রসংঘ হাজার হাজার পাতার প্রতিবেদন ছাপিয়েছে। তারই ভিত্তিতে গুতারেস নিজের বক্তব্য পেশ করেন- ‘হামাস আক্রমণ চালিয়েছে একথা যেমন সঠিক তেমনই মনে রাখতে হবে এই হামলা আচমকা, কোনোরকম পূর্বপরিস্থিতি নিরপেক্ষ হিসাবে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড না। দীর্ঘ ৫৬ বছর ধরে প্যালেস্তাইনের জনসাধারণের গলা টিপে ধরে রাখা হয়েছ, তাদের দেশ দখল করে রেখেছে বিদেশীরা। এই সময়কালে প্রতিনয়ত আক্রমণ ও হামলা চালিয়ে তাদের জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে, ঘরবাড়ি ধ্বংস করে দিয়ে তাদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। নিজেদের দেশেই তারা রিফিউজি’তে পরিণত হয়েছেন, এই দীর্ঘ যুদ্ধে প্যালেস্তাইনের অর্থনীতি সম্পুর্ন ধ্বসে গেছে। তারা ক্রমশ উপলব্ধি করেছেন এই সমস্যার মোকাবিলায় কোনোরকম রাজনৈতিক সমাধান আসলে অসম্ভব’। গাজায় বসবাসকারী প্যালেস্তিনীয়দের কীরকম শ্বাসরোধকারী অবস্থায় দিনগুজরান করতে হয় সেটুকু এই বক্তব্যে পরিস্কার ফুটে উঠেছে।   

রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল হিসাবে গুতারেসের এমন বক্তব্যের সাথে সাথেই (যেন তারা আগে থেকেই জানতেন উনি কি বলতে চলেছেন) ইজরায়েলের প্রতিনিধিরা তার ইস্তফার দাবী জানান। রাষ্ট্রসংঘে ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত জিলাড এর্দান অভিযোগ তোলেন এসব বলে গুতারেস আসলে ‘সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন’ করেছেন, ‘বাস্তব পরিস্থিতির ব্যখ্যায় বারংবার সত্যের বিকৃতি ঘটিয়েছেন’। প্যালেস্তাইন আসলে ‘আপনাদের মনগড়া পৃথিবী’ বলে গুতারেস’কে কটাক্ষ করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী এলি কোহেন। এর্দান’ও জানিয়ে দেন তারা কিছুতেই রাফা সীমান্ত দিয়ে রাষ্ট্রসংঘের পাঠানো ত্রানসামগ্রীকে গাজায় পৌঁছাতে দেবেন না। সিকিওরিটি কাউন্সিলের সভায় চীন ও রাশিয়া উভয়েই আমেরিকার পেশ করা একটি প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো প্রয়োগ করে আটকায়। আমেরিকান প্রস্তাবে উল্লেখ ছিল নিজেদের সুরক্ষিত রাখার অধিকার ইজরায়েলের অবশ্যই রয়েছে এবং প্যালেস্তাইনের সমর্থনে ইরানের অস্ত্র সাহায্য পাঠানো উচিত নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আপাতত যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দিয়েছে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্লজ্জের মতো রাষ্ট্রসংঘের সিদ্ধান্তকে নিজেদের ইচ্ছামতো প্রভাবিত করতে চাইছে। আমেরিকা সোজাসুজি ইজরায়েলের সমর্থক এবং প্যলেস্তাইনের বিরুদ্ধে তাই রাষ্ট্রসংঘকেও একই অবস্থানে নিয়ে যেতে তারা মরিয়া। ইরান সম্পর্কেও তাদের বিশেষ দুশ্চিন্তা রয়েছে।  

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনোদিনই নিরপেক্ষ নয়

৬০-র দশক থেকে আমেরিকার সাথে ইজরায়েলের সুসম্পর্ক ক্রমশ গভীর হয়েছে। তারা ইজরায়েলকে কয়েক বিলিয়ন ডলার মূল্যের সামরিক অস্ত্র সরবরাহ করেছে, লক্ষ্য কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তাও যুগিয়েছে। যত দিন এগিয়েছে ওয়াশিংটন ততই ইজরায়েলের পক্ষে অবস্থা নিয়েছে, তেল আভিভের সাথে তাদের মাখামাখি বেড়েছে। এযাবৎ কাল অবধি যতবার ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের মধ্যে শান্তি সমঝোতা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে আলোচনা হয়েছে ততবারই আমেরিকা কার্যত ছলনার আশ্রয় নিয়েছে, নিরপেক্ষ হওয়ার ভাণ করেছে। যদিও বাস্তব হল এই যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদতেই ইজরায়েল ফুলেফেঁপে উঠেছে, প্যালেস্তাইন’কে ধ্বংস করতে তারা সর্বদা সহায়তা যুগিয়ে এসেছে। অসলো চুক্তি’র বয়ানে বড় বড় কথা লেখা হলেও ঐ চুক্তি অনুযায়ী প্যালেস্তাইনের হাতে নিজেদের দেশ শাসনের কার্যত কোনও ক্ষমতাই নেই। অসলো চুক্তি সাক্ষর হওয়ার ফলাফল হিসাবেই পূর্ব জেরুজালেম সহ ওয়েস্ট ব্যাংক এলাকাগুলি প্যালেস্তাইনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, এখন গাজায় যা ঘটছে তাও ঐ চুক্তিরই ফলশ্রুতি। গুতারেসের বক্তৃতায় যে শ্বাসরোধকারী পরিস্থিতি’র কথা উঠে এসেছে সেই অবস্থার জন্যও দায়ী ঐ সমঝোতা।

২০০৫ সাল নাগাদ ইজারায়েলের সেনাবাহিনী গাজা থেকে সরে আসে। তখন থেকেই গাজা এলাকাকে ঘিরে ইজরায়েলের সুরক্ষা প্রাচীর গড়ে তোলা শুরু হয়। আজকের গাজা আসলে এক বিরাট জেলখানা। এর একদিকে সমুদ্র আরেকদিকে ইজরায়েলী প্রাচীর। পূর্ব সীমান্তে (যার নাম রাফা) ইজিপ্টের সীমানা, পশ্চিমপ্রান্তে ইজরায়েলী সেনাবাহিনীর ঘাঁটি। অর্থাৎ চারদিক থেকে আটকে থাকা প্যালেস্তাইনের জনসাধারণ। এমন পরিস্থিতিতে ইজরায়েল লাগাতার গাজায় বোমাবর্ষণ করে চলেছে এবং সেই আক্রমণের তীব্রতা প্রতিবার আগের চাইতে বেড়েছে। ২০০৮ থেকে ২০০৯ অবধি ইজরায়েল গাজায় অপারেশন কাস্ট লিড চালিয়েছে, এর পর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাষ্ট্রসংঘের আলোচনায় যুদ্ধবিরতির দাবীর বিরোধিতা শুরু করে। ইজরায়েলের সেনাবাহিনী আল-আহলি হাসপাতালে অবধি বোমা নিক্ষেপ করেছে। যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন তেল আভিভে এসে হাজির হয়েছেন এবং হাসপাতালে বোমা ছোঁড়া হয়নি বলে সরাসরি মিথ্যা বিবৃতি অবধি দিয়েছেন। জো বাইডেন ইজরায়েলে পৌঁছানোর আগেই এই যুদ্ধে ইজরায়েল’কে সাহায্য করতে ইউএসএস ডোয়াইট ডি আইজেনহাওয়ার ও ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড নামের দুটি মার্কিন রণতৈরি নিজেদের নৌবাহিনী সমেত ভুমধ্যসাগরে প্রবেশ করেছে। এই সহায়তা আসলে ইজারায়েলের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক বিলিয়ন ডলারের বার্ষিক যুদ্ধচুক্তিরই অংশ, এছাড়াও সম্প্রতি তাদের মধ্যে ১৫ বিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা চুক্তিও সাক্ষরিত হয়েছে। আজকের ইজরায়েল আসলে আমেরিকান ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার এলাকা। গাজায় যা চলছে তাকে শুধু ইজরায়েলের যুদ্ধ ভাবলে ভুল হবে, এ হল ইজরায়েল, আমেরিকা ও তাদের পশ্চিমী মিত্রদের জোটবদ্ধ যুদ্ধ।

গাজা শেষ অবধি মসুলে পরিণত হবে

গাজার পরিস্থিতিকে সামরিক পরিভাষায় মাটির উপরে বা আরও নির্দিষ্ট করে বললে শহরাঞ্চলের যুদ্ধ বলা হয়। আইসিসের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে মার্কিন সেনাবাহিনীর কিছু সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে চলে আসা সেই যুদ্ধে ইরাকের দুটি এলাকা মসুল ও রাক্কা থেকে জঙ্গিদের ঠেলে বের করার নামে মার্কিন সেনা নিরবিচ্ছিন্ন বোমাবর্ষণ করে আস্ত দুটি শহরই ধ্বংস করে দিয়েছে। সেই যুদ্ধে অভিজ্ঞ লিউট্যানেন্ট জেনারেল জেমস গ্লিন’কেই  ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর সহায়তায় পাঠানো হয়েছে। জেমস একজন থ্রি স্টার মেরিন পদমর্যাদার অফিসার। অবশ্য গ্লিন নিজে কোনও নির্দেশ দেবেন না,  ইজরায়েলী সেনাবাহিনীর কমান্ডারের অধীনে থেকে কেবল সহায়তা যোগাবেন। গাজার যুদ্ধে গ্লিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর প্রয়োজন রয়েছে বলে ব্যখ্যা দিয়েছেন মার্কিন ডিফেন্স সেক্রেটারি লয়েড অস্টিন। ইজরায়েলের ডিফেন্স সেক্রেটারি যোয়াভ গালান্তের সাথে একান্ত আলোচনায় তিনি জানিয়েছেন ২০১৬-১৭ নাগাদ আইসিসের বিরুদ্ধে অপারেশন রিসল্ভ চালানোর সময় তিনি নিজেও অন্যতম নেতৃত্বের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। আমেরিকা মনে করে আগামিদিনে গাজার পরিস্থিতি ক্রমশ শহুরে যুদ্ধের চেহারা নেবে। সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলতে গিয়ে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন- ‘সবারই একটা কথা জেনে রাখা উচিত বা আমার মনে হয় এটা হয়ত সকলেই জানে যে শহর এলাকায় যুদ্ধ চালানো খুবই কঠিন কাজ’।

আমরা হঠাৎ অস্টিনের বক্তব্যে মনযোগী হলাম কেন? আইসিসের সাথে যুদ্ধে মার্কিন সেনাবাহিনীর হামলায় রাক্কা ও মসুল এলাকার কি পরিণতি হয়েছে তা অনেকেরই অজানা। অস্টিনরা ঐ দুটি শহর কার্যত নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছেন। সম্প্রতি ঐ যুদ্ধে মৃতদের সংখ্যা বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অ্যাসোসিয়েট প্রেস। সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে অন্তত নয় থেকে এগারো হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তবে মনে রাখত হবে গাজার পরিস্থিতির সাথে মসুলের বাস্তব অবস্থার কিছু ফারাক রয়েছে। ঐ যুদ্ধে আইসিসের হাতে মাত্র দুবছর মতো সময় ছিল, আজকের গাজায় সংঘর্ষরত প্যালেস্তাইনের বিদ্রোহীরা ২০০৫ সাল থেকে নিজেদের প্রস্তুত করেছে। মসুল ও রাক্কায় মার্কিন হামলা শুরু হওয়ার সাথে সাথেই ঐ দুটি এলাকা থেকে বেসামরিক জনসাধারণ গ্রামাঞ্চলে পালিয়ে বেঁচেছিল, তা নাহলে অ্যাসোসিয়েট প্রেসের প্রতিবেদনে উল্লিখিত মৃতের সংখ্যা খুব করে হলেও দ্বিগুণ বা আরও বেশি হত।  গাজার বাসিন্দাদের পালিয়ে বাঁচার কোনও সুযোগই নেই, এমনকি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে চান না এমন লোকজনেরও কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। যুদ্ধের আগে মসুলের জনসংখ্যা ছিল ১.৬ মিলিয়ন, গাজায় বাস করেন অন্তত ২.৩ মিলিয়ন মানুষ। ইজরায়েলের বোমাবর্ষণে গাজায় প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বুঝতে অসুবিধা হয় না আগামিদিনে এই এলাকার পরিণতি কেমন হবে। এই যুদ্ধ যখন শেষ হবে ততদিনে গাজা সম্ভবত এক বিশাল ধ্বংসস্তুপে পরিণত হবে যে ভূখণ্ড আসলে এক বিস্তীর্ণ কবরখানা ছাড়া আর কিছুই নয়।

পিপলস ডেমোক্র্যাসি পত্রিকার ২৯ অক্টোবর সংখ্যায় প্রকাশিত প্রতিবেদন

ভাষান্তরঃ সৌভিক ঘোষ

Spread the word

Leave a Reply