dollar hegemony cover

The Hegemony of the Dollar

প্রভাত পট্টনায়েক

উদারবাদ এমন একটি ধারণা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ও আর্থিক ব্যবস্থা হল এর অন্তর্ভুক্ত সমস্ত দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার এমন এক মাধ্যম, এমন এক সুবিধাজনক ব্যবস্থা যা পুঁজি যোগানের মাধ্যমে সবাইকে বাণিজ্য করার সুযোগ করে দেয়। যদিও বাস্তব অবস্থাটি অবশ্য একেবারেই অন্যরকম। আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাটার বিষয়টিইই পশ্চিমী সাম্রাজ্যবাদের আধিপত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ফলস্বরূপ ঐ আধিপত্য বজায় র’য়ে যায়। যেহেতু মার্কিন ডলার হচ্ছে সেই আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার মূলস্তম্ভ তাই কেউ বলতে পারে যে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে ডলারের আধিপত্য পশ্চিমী সাম্রাজ্যবাদের আধিপত্য দ্বারা টিকেই থাকে। এমনকি এহেন বন্দোবস্তে অংশগ্রহণকারী দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক সুবিধাজনক বাণিজ্যের পথে সেই আধিপত্য অনেক সময়ে অন্তরায়ও হয়ে দাঁড়ায়।

একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। ধরুন দেশ ‘ক’-এর জন্য একটি পণ্য ‘এক্স’-এর প্রয়োজন যেটি ‘খ’ দেশে আছে, এবং দেশ ‘খ’ এর জন্য পণ্য ‘ওয়াই’-এর প্রয়োজন যেটা আবার ‘খ’ দেশে আছে। তারা, বর্তমান ব্যবস্থার অধীনে, কেবল নিজেদের মধ্যে এই দুটি পণ্য বিনিময় করে না। অন্যের পণ্য কেনার আগে তাদের প্রত্যেককে প্রথমে নিজেদের হাতে ডলার মজুত থাকতে হবে। বাণিজ্য শুরু করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ডলার মজুত (রিজার্ভ) না থাকলে, ঐ বাণিজ্য করাই যাবে না। অন্য কথায়, আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলার প্রচলনের মাধ্যম হওয়ায় কিছু দেশের হাতে ডলারের ঘাটতি তাদের পারস্পরিক লেনদেনও বন্ধ করে দেবে। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা বিশেষভাবে সত্য। এই সকল দেশগুলিতে পারস্পরিক বাণিজ্য সংকুচিত রয়ে গেছে কারণ প্রতিটি দেশই ডলারের কম মজুতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত। তাদের পারস্পরিক বাণিজ্য প্রসারিত হতে পারে যদি নিজস্ব মুদ্রায় বাণিজ্য করা যায়। এমনটা করতে গেলে ‘ডি-ডলারাইজ’ করার পথে এগোতে হবে। ‘ডি-ডলারাইজেশন’ বলতে বোঝায় বিনিময়ের মাধ্যম, বৈদেশিক বাণিজ্যের অ্যাকাউন্টের একক, বা আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য রিজার্ভ রাখার মুদ্রা হিসাবে মার্কিন ডলারের উপর নির্ভরতাকে কমিয়ে চলা।

মার্কিন ডলারের বিরোধিতা স্বাভাবিকভাবেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কখনো মেনে নেয় না। কারণ বিশ্ব অর্থনীতিতে সাধারণ মুদ্রা হিসাবে ডলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একে সাধারণভাবে ‘সোনার সমতুল্য’ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ডলারের ব্যবহার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এক বিশাল সুবিধা দেয়, যেন মার্কিনীরা একটি অক্ষয় সোনার খনি-র মালিক। ডলারের মাধ্যমে তারা অন্যান্য দেশ থেকে সম্পদ কিনতে পারে, সে দেশের শিল্পোদ্যোগগুলির দখল নিতে পারে, বিদেষের মাটিতে যেমন ইচ্ছা বিনিয়োগ করতে পারে এবং সেই দেশের আয়-ব্যয় সংক্রান্ত (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট)-র ঘাটতিতে পয়সা যোগাতে পারে। এ সব কিছুই তারা পারে কেন? কারণ তারা চাইলেই ডলার ছাপিয়ে নেয়।

কিন্তু এধরণের সুস্পষ্ট সুবিধাগুলি ছাড়াও, আন্তর্জাতিকরূপে সীমাহীন পরিমাণে ক্রয়ক্ষমতা থাকার জন্য, মার্কিনীরা ডলারের এহেন ভূমিকাকে ব্যবহার করে অন্য দেশগুলিকে তার আধিপত্য স্বীকার করতে বাধ্য করতে পারে। এমন ক্ষমতার জোরে যেমন একটি দেশের জন্য ডলার সহজলভ্য হতে পারে, আবার শাস্তি দেওয়ার ইচ্ছা হলে নির্দিষ্ট দেশের ডলারের রিজার্ভকে তারা বাজেয়াপ্তও করতে পারে। কারণ সাধারণভাবে এ ধরনের ডলার রিজার্ভ পশ্চিমী ব্যাঙ্কগুলিতেই মজুত রাখা হয়ে থাকে। অতীতে ইরান থেকে রাশিয়া পর্যন্ত অনেক দেশকেই তারা এমন শাস্তি দিয়েছে। ডি-ডলারাইজেশনের প্রবণতা যা সাধারণত তৃতীয় বিশ্বের সেই সমস্ত  দেশগুলির দ্বারা সমর্থিত হয় যারা সাধারণভাবে ডলারের ঘাটতির কারণে আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছে।  সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ডলারকৃত এই ধরনের বহুল পরিমাণে জবরদখলের কারণে এই ‘ডি-ডলারাইজেশন’-এর প্রবণতা আগের চাইতে আরও বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

যদি বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ দেশ একতরফা পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়ে থাকে, তবে সেটা হল এমন একটি নিষেধাজ্ঞা যাতে জাতিসংঘের সমর্থন নেই যেহেতু এধরণের নিষেধাজ্ঞাগুলি বর্ণবাদ বিরোধী পদক্ষেপ হিসাবে কিছু নীতির প্রতিরক্ষার জন্য আরোপ করা হয়নি (যেমনটি এক সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে করা হয়েছিল) তাহলে দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলির মধ্যে ‘ডি-ডলারাইজ’ করার প্রবল আকাঙ্ক্ষা থাকাটাই স্বাভাবিক কারণ তাদের এমন একপেশে নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। সম্প্রতি ব্রিকস অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির মধ্যেকার কাজান শীর্ষ সম্মেলনে সেই ইচ্ছারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

ডি-ডলারাইজেশনের আকাঙ্ক্ষাকে শক্তিশালী করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞার ভূমিকা মার্কিন প্রশাসনের মধ্যেই স্বীকৃত হয়েছে। ইউএস ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন, জুলাই মাসে হাউস ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস কমিটির সাথে কথা বলার সময় বলেছিলেন যে ‘মার্কিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্রিকস ‘ডি-ডলারাইজেশন’ শুরু করার চেষ্টা করছে’। তিনি স্বীকার করেছেন- ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যত বেশি এধরণের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে, তত বেশি দেশ (যারা ব্রিকসের অন্তর্ভুক্ত) মার্কিন ডলারের সাথে জড়িত নয় এমন আর্থিক লেনদেনের পদ্ধতি খুঁজবে’। ইয়েলেনের মন্তব্যে অন্তর্নিহিত স্বীকারোক্তি এটিই ছিল যে মার্কিন ডলারের আধিপত্যকে ব্যবহার করে ঐ সকল দেশগুলিকে তারা নিজেদের লেজুড়বৃত্তি করতে বাধ্য করে এবং এতে করে ‘চোখ রাঙিয়ে শাসন’ বিরোধী দেশের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।

একতরফা নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আধিপত্য কায়েম করার ক্ষেত্রে এক নির্দিষ্ট দ্বন্দ্ব রয়েছে। যদি একটি বা দুটি উচ্ছৃঙ্খল দেশের উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয় তবে তার প্রভাবে ডলার মাধ্যমে বাণিজ্যের সার্বিক কাঠামোয় কোনও বিপদের লক্ষণ তৈরি হয় না। কিন্তু অনেকগুলি দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হলে নিষেধাজ্ঞার বন্দোবস্তটি নিজেই বিপদের মুখোমুখি হয়। নয়া-উদারবাদের অধীনে চলা দেশসমূহ যেমন দুরবস্থায় পতিত হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে সময়ের সাথে সাথে ‘অবাধ্য’ দেশের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে। ডলারের মজুত রাখতে মঞ্জুরিপ্রাপ্ত দেশের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে অত্যাবশ্যকভাবে ডি-ডলারাইজেশনের প্রবণতাও জোরদার হচ্ছে। ডলারের আধিপত্যের পিছনে যে জোর জবরদস্তি সেই আধিপত্য যে আসলে সাম্রাজ্যবাদী আস্ফালনের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে তা স্পষ্ট হয়ে উঠলে ‘ডলার ব্যবস্থা’ সকল দেশের স্বার্থে বলে উদারনীতি যেমনটা দাবী করে তার অসারতাই স্পষ্ট হয়।

ডলারের আধিপত্যের পিছনে একটি ঘটনা সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭০-এর দশকে সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যে চুক্তি হয়েছিল যে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ডলারেই প্রকাশ করা হবে এবং তেল বাণিজ্য ডলারের মাধ্যমেই হবে। তেলের গুরুত্বের কারণে বিশ্ব-বাণিজ্যের বিনিময়ের একমাত্র মাধ্যম হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে এমন চুক্তি ডলারকে বিরাট পরিমাণে সহায়তা যুগিয়েছে। সম্প্রতি রুবলকে (রাশিয়ার মুদ্রা) ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমীরা আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। তখন রাশিয়া নিজেদের তেল ও গ্যাস রপ্তানির জন্য যাবতীয় আর্থিক লেনদেনকে রুবলের মাধ্যমে করার সিদ্ধান্ত নিলে সেই নিষেধাজ্ঞা অকেজো হয়ে যায়।

ডলারের অব্যাহত আধিপত্য নিশ্চিত করার জন্য ১৯৭০-এর দশকে তেল রপ্তানিকারকদের সাথে মার্কিনী চুক্তিটি এখন আর যথেষ্ট বলে মনে হয় না। এমনকি জ্যানেট ইয়েলেন (যিনি এর আগে ডি-ডলারাইজেশন সংক্রান্ত যাবতীয় আলোচনাই ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছিলেন) অবধি ইদানিং এমন আলোচনায় গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই যে সকল দেশ ডলারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বন্দোবস্ত থেকে সরে আসতে চাইছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তাদের পণ্য রপ্তানির উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে বলে ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে হুমকি দিয়েছেন তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ট্রাম্পের হুমকিতে স্পষ্ট হয়ে যায় ডলারের আধিপত্যের পিছনে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের জোর-জবরদস্তিই রয়েছে।

এ ধরনের জবরদস্তি এখনো কার্যকর হতে পারে কারণ, ডি-ডলারাইজেশন এমনই এক প্রক্রিয়া যার বাস্তবায়ন সময়সাপেক্ষ। যদি ইতিমধ্যে মার্কিন ডলারের রপ্তানি কমিয়ে আনা হয়, তবে ঐ দেশগুলি ডলারের মজুতে তীব্র ঘাটতির মুখোমুখি হবে যা পরিস্থিতিকে অত্যন্ত কঠিন করে তুলতে পারে। ডলারের পরিপ্রেক্ষিতে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি থাকলে কোনোভাবে নন-ডলার পেমেন্টের মাধ্যমে নিজেদের আমদানির প্রয়োজনটুকু পূরণ করতে পারে। আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক কিংবা পশ্চিমী কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি হয়ে থাকলে সে সুযোগগুলির সুবিধা নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই ট্রাম্পের হুমকি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ঐ নির্লজ্জ হুমকি দিয়ে ট্রাম্প কার্যত মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সেই পরিকল্পনাকেই সামনে এনেছেন যা সাধারণত উদারপন্থী বুকনিবাজির দ্বারা আড়ালে রাখা হয়।

তবে যা হাস্যকর তা হল এমন হুমকির (যা স্বল্পমেয়াদে কার্যকর হতে পারে) প্রতিক্রিয়ায় ক্রমশ আরও বেশি সংখ্যক দেশ ডি-ডলারাইজ করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠবে। ডলারের আধিপত্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীতদাসত্বেরই সমান। কার্যকরী ডি-ডলারাইজেশন সম্পূর্ণ হওয়ার জন্য এখনও অনেক দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে ঠিকই, কাজান শীর্ষ সম্মেলন সেই সত্য সম্পর্কে যথেষ্ট অবগত ছিল। ট্রাম্পের হুমকির পরে, ভারত সহ বেশ কয়েকটি দেশ ডি-ডলারাইজেশনে তাদের আগ্রহের অভাব প্রকাশ করেছে। তবে এটি আমেরিকার স্নেহভাজন থাকার জন্য তাৎক্ষণিক কৌশলী পদক্ষেপ হতে পারে। এই মুহূর্তে সাম্রাজ্যবাদ যে একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তা নিয়ে সন্দেহ নেই। ইউক্রেন এবং গাজার প্রশ্নে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলিকে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ দেখাচ্ছে তার কারণ ঐ সব দেশের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক রাজনীতিও সাম্রাজ্যবাদী নীতির লেজুড়ে পরিণত হয়েছে। আজকের পরিস্থিতিতে সাম্রাজ্যবাদের সামনে যে চ্যালেঞ্জ উপস্থিত হয়েছে নিজেদের মধ্যেকার ঐক্যই তার গুরুত্বকে তুলে ধরে।

ডি-ডলারাইজেশনের আলোচনা সেই চ্যালেঞ্জেরই একটি অংশ। একথা সত্যি যে ডলার বন্দোবস্তকে প্রতিস্থাপন করতে পারে এমন কোনও বিকল্প আর্থিক কাঠামো সম্পর্কে এই মুহূর্তে ব্রিকসের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই। বিশ্বের প্রগতিশীল মতামতকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে ডলারের আধিপত্যকে প্রতিস্থাপিত করার সময় ডলারের বদলে অন্য কোনও মুদ্রার আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবে না, মার্কিন আধিপত্যের বদলে অন্য কোনও দেশ বা দেশসমূহের আধিপত্যও সামনে আসবে না।

এর জন্য প্রয়োজন নির্দিষ্ট কোনও মুদ্রা বা ব্রিকস মুদ্রার মাধ্যমে ডলারের আধিপত্য উচ্ছেদের পাশাপাশি আর্থিক লেনদেনের আগেকার ব্যবস্থাটিও যেন বদলে যায়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নিয়মবিধির যথাবিহিত পরিবর্তন করতে হবে। আর্থিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য আয়-ব্যয়ের ঘাটতিযুক্ত দেশগুলির উপর যেন বোঝা চাপিয়ে না দেওয়া হয়। ব্রেটন উডস ব্যবস্থার সময় এমনটাই করা হয়েছিল এবং এখনও সেই কৌশল প্রয়োগ করা হয়। অর্থনৈতিক দিক থেকে শক্তিশালী ও দুর্বল দেশগুলির মাঝে সমন্বয়সাধনের দায়িত্ব যেন উদ্বৃত্তভোগী দেশগুলির উপরেই বর্তায়।

পিপলস ডেমোক্রেসির ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ সংখ্যায় প্রকাশিত

ভাষান্তরঃ অঞ্জন মুখোপাধ্যায়, সৌভিক ঘোষ

Spread the word

Leave a Reply